হাদীসে কুদসী
কিতাবের হাদীস সমূহ
হাদীস নং: ৪৫
কিতাবের হাদীস সমূহ
৪৫। হযরত আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবু মারসাদ, যুবাইর ও আমাকে এক অভিযানে পাঠিয়েছিলেন এবং আমরা সকলেই অশ্বারোহী। তিনি আমাদেরকে বললেন, তোমরা যাও। যেতে যেতে তোমরা ‘রাওযা খাখ’ নামক স্থানে পৌঁছে তথায় একজন স্ত্রীলোক দেখতে পাবে। তার নিকট (মক্কায়) মুরশিকদের কাছে লিখিত হাতিব ইবনে আবু বালতার একখানা পত্র আছে। (সে পত্রখানা ছিনিয়ে আনবে।) আলী (রাযিঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)– এর নির্দেশিত স্থানে গিয়ে তাকে ধরে ফেললাম। সে তখন স্বীয় একটি উটের উপর আরোহণ করে পথ অতিক্রম করছিল। আমরা তাকে বললাম, পত্রখানা আমাদের নিকট অর্পণ কর। সে বলল, আমার নিকট কোন পত্র নেই।
আমরা তখন তার উটটিকে বসিয়ে তার তল্লাশী নিলাম। কিন্তু পত্রখানা উদ্ধার করতে পারলাম না। আমরা বললাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মিথ্যা বলেন নি। তোমাকে পত্রখানা বের করতেই হবে। নতুবা আমরা তোমাকে উলঙ্গ করে ছাড়ব। যখন (আমাদের) কঠোর মনোভাব লক্ষ্য করল তখন স্ত্রীলোকটি তার কোমরের পরিধেয় বস্ত্রের গিঁটে কাপড়ের পুঁটুলির মধ্য থেকে পত্রখানা বের করে দিল। আমরা তা নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)– এর নিকটে উপস্থিত হলাম (সব দেখে শুনে) উমর (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সে তো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এবং মু’মিনদের সাথে বিশ্বাসঘাতকথা করেছে। আপনি আমাকে অনুমতি দিন, আমি তার গর্দান উড়িয়ে দিই।
তখন নবী কারীম (ﷺ) (হাতিব ইবনে আবু বালতা (রাযিঃ)– কে ডেকে) বললেন, তোমাকে একাজ করতে কিসে উদ্বুদ্ধ করল? হাতিব (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আল্লাহ ও তার রাসূল (ﷺ)– এর বিশ্বাসী নই, আমি এরূপ নই। বরং (এ কাজ করার পেছনে) আমার মূল উদ্দেশ্য হল (মক্কার শত্রু) কওমের প্রতি কিছু অনুগ্রহ করা যাতে আল্লাহ এ উসীলায় (তাদের অনিষ্ট থেকে) আমার মাল এবং পরিবার ও পরিজনকে রক্ষা করেন। আর আপনার সাহাবীদের সকলেরই কোন না কোন আত্মীয় সেখানে রয়েছে, যার দ্বারা আল্লাহ তার ধন–সম্পদ ও পরিবারবর্গকে রক্ষা করেছেন (এ কথা শুনে) নবী কারীম (ﷺ) বললেন, সে সত্যই বলেছে।
সুতরাং তোমরা তার ব্যাপারে ভাল ব্যতীত আর কিছু বলো না। তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, সে তো আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও মু’মিনদের সাথে বিশ্বাসঘাতকথা করেছে। সুতরাং আপনি আমাকে অনুমতি দিন, আমি তার গর্দান উড়িয়ে দিই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সে কি বদরী সাহাবী নয়? নিশ্চয়ই বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদেরকে দেখে শুনেই আল্লাহ বলেছেনঃ “তোমাদের যা ইচ্ছা কর” তোমাদের জন্য জান্নাত অবধারিত অথবা (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি। (এ কথা শুনে) উমর (রাযিঃ)– এর দু’চোখ তখন অশ্রু সজল হয়ে উঠল। তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই সর্বাধিক জ্ঞাত।
আমরা তখন তার উটটিকে বসিয়ে তার তল্লাশী নিলাম। কিন্তু পত্রখানা উদ্ধার করতে পারলাম না। আমরা বললাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মিথ্যা বলেন নি। তোমাকে পত্রখানা বের করতেই হবে। নতুবা আমরা তোমাকে উলঙ্গ করে ছাড়ব। যখন (আমাদের) কঠোর মনোভাব লক্ষ্য করল তখন স্ত্রীলোকটি তার কোমরের পরিধেয় বস্ত্রের গিঁটে কাপড়ের পুঁটুলির মধ্য থেকে পত্রখানা বের করে দিল। আমরা তা নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)– এর নিকটে উপস্থিত হলাম (সব দেখে শুনে) উমর (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সে তো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এবং মু’মিনদের সাথে বিশ্বাসঘাতকথা করেছে। আপনি আমাকে অনুমতি দিন, আমি তার গর্দান উড়িয়ে দিই।
তখন নবী কারীম (ﷺ) (হাতিব ইবনে আবু বালতা (রাযিঃ)– কে ডেকে) বললেন, তোমাকে একাজ করতে কিসে উদ্বুদ্ধ করল? হাতিব (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আল্লাহ ও তার রাসূল (ﷺ)– এর বিশ্বাসী নই, আমি এরূপ নই। বরং (এ কাজ করার পেছনে) আমার মূল উদ্দেশ্য হল (মক্কার শত্রু) কওমের প্রতি কিছু অনুগ্রহ করা যাতে আল্লাহ এ উসীলায় (তাদের অনিষ্ট থেকে) আমার মাল এবং পরিবার ও পরিজনকে রক্ষা করেন। আর আপনার সাহাবীদের সকলেরই কোন না কোন আত্মীয় সেখানে রয়েছে, যার দ্বারা আল্লাহ তার ধন–সম্পদ ও পরিবারবর্গকে রক্ষা করেছেন (এ কথা শুনে) নবী কারীম (ﷺ) বললেন, সে সত্যই বলেছে।
সুতরাং তোমরা তার ব্যাপারে ভাল ব্যতীত আর কিছু বলো না। তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, সে তো আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও মু’মিনদের সাথে বিশ্বাসঘাতকথা করেছে। সুতরাং আপনি আমাকে অনুমতি দিন, আমি তার গর্দান উড়িয়ে দিই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সে কি বদরী সাহাবী নয়? নিশ্চয়ই বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদেরকে দেখে শুনেই আল্লাহ বলেছেনঃ “তোমাদের যা ইচ্ছা কর” তোমাদের জন্য জান্নাত অবধারিত অথবা (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি। (এ কথা শুনে) উমর (রাযিঃ)– এর দু’চোখ তখন অশ্রু সজল হয়ে উঠল। তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই সর্বাধিক জ্ঞাত।
أحاديث الكتاب
45- عَنْ عَلِيٍّ بن أبي طالب رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبَا مَرْثَدٍ الغَنَوِيَّ، وَالزُّبَيْرَ، وَكُلُّنَا فَارِسٌ، قَالَ: «انْطَلِقُوا حَتَّى تَأْتُوا رَوْضَةَ خَاخٍ، فَإِنَّ بِهَا امْرَأَةً مِنَ المُشْرِكِينَ، مَعَهَا كِتَابٌ مِنْ حَاطِبِ بْنِ أَبِي بَلْتَعَةَ إِلَى المُشْرِكِينَ» فَأَدْرَكْنَاهَا تَسِيرُ عَلَى بَعِيرٍ لَهَا، حَيْثُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْنَا: الكِتَابُ، فَقَالَتْ: مَا مَعَنَا كِتَابٌ، فَأَنَخْنَاهَا فَالْتَمَسْنَا فَلَمْ نَرَ كِتَابًا، فَقُلْنَا: مَا كَذَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَتُخْرِجِنَّ الكِتَابَ أَوْ لَنُجَرِّدَنَّكِ، فَلَمَّا رَأَتِ الجِدَّ أَهْوَتِ الى حُجْزَتِهَا، وَهِيَ مُحْتَجِزَةٌ بِكِسَاءٍ، فَأَخْرَجَتْهُ، فَانْطَلَقْنَا بِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ عُمَرُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدْ خَانَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالمُؤْمِنِينَ، فَدَعْنِي فَلِأَضْرِبَ عُنُقَهُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا حَمَلَكَ عَلَى مَا صَنَعْتَ» قَالَ حَاطِبٌ: وَاللَّهِ مَا بِي أَنْ لاَ أَكُونَ مُؤْمِنًا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَرَدْتُ أَنْ يَكُونَ لِي عِنْدَ القَوْمِ يَدٌ يَدْفَعُ اللَّهُ بِهَا عَنْ أَهْلِي وَمَالِي، وَلَيْسَ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِكَ إِلَّا لَهُ هُنَاكَ مِنْ عَشِيرَتِهِ مَنْ يَدْفَعُ اللَّهُ بِهِ عَنْ أَهْلِهِ وَمَالِهِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صَدَقَ وَلاَ تَقُولُوا لَهُ إِلَّا خَيْرًا» فَقَالَ عُمَرُ: إِنَّهُ قَدْ خَانَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالمُؤْمِنِينَ، فَدَعْنِي فَلِأَضْرِبَ عُنُقَهُ، فَقَالَ: «أَلَيْسَ مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ؟» فَقَالَ: " لَعَلَّ اللَّهَ اطَّلَعَ إِلَى أَهْلِ بَدْرٍ؟ فَقَالَ: اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ، فَقَدْ وَجَبَتْ لَكُمُ الجَنَّةُ، أَوْ: فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ " فَدَمَعَتْ عَيْنَا عُمَرَ، وَقَالَ: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ