মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
হাদীস নং: ৮৩
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: একদল জিনের ইসলাম গ্রহণ, রাসূলের (ﷺ) সাথে তাদের সাক্ষাত ও তাঁর কাছ থেকে তাদের কুরআন শ্রবণ
(৮৩) আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত, 'আমর বলেছেন, 'আবদুল্লাহ বলেন, রাসূল (ﷺ) আমাকে সাথে নিলেন এবং আমরা অমুক অমুক স্থানে পৌছালাম। তখন রাসূল (ﷺ) আমাকে ঘিরে একটি রেখা টেনে দিলেন এবং আমাকে বললেন, তুমি আমার পেছনে এখানটায় অবস্থান করবে এখান থেকে বের হবে না; এখান থেকে বের হলে তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে। সুতরাং আমি সেখানে অবস্থান করলাম। রাসূল (ﷺ) পাথর নিক্ষেপ করার মত অথবা এর চেয়ে একটু বেশী দূরত্বে গেলেন। (অথবা তিনি যেরূপ বলেছেন)। অতঃপর তাদের পুরুষরা (জ্বিন সম্প্রদায়ের) আসতে লাগলো ('আফ্ফান বলেছেন) যেন তারা যুত্ব (সুদানের এক গোষ্ঠী) সম্প্রদায়ের মতো ইনশাআল্লাহ। তাদের গায়ে কোন কাপড় ছিল না, কিন্তু আমি তাদের খারাপও (গুপ্তাঙ্গসমূহ) কিছু দেখিনি; তারা দীর্ঘাকৃতির (কম মাংসসম্পন্ন) ও ক্ষীণকায়। তারা এসে একে একে রাসূলের (ﷺ) কাছে জড়ো হতে থাকে। রাসূল (ﷺ) তাদের উদ্দেশ্যে কুরআন পাঠ করতে থাকেন। তারা আমার কাছেও আসতে থাকে, ঘুরতে থাকে এবং আমার সামনে প্রকাশমান হতে থাকে। আবদুল্লাহ বলেন, তাদের দেখে খুব ভয় পেয়ে যাই। অতঃপর আমি বসলাম (অথবা তিনি যেমন বলেছেন)। যখন ভোরের আগমন ঘনিয়ে আসলো, তারা প্রস্থান করতে শুরু করলো (অথবা তিনি যেমন বলেছেন)। অতঃপর রাসূল (ﷺ) খুব ভারাক্রান্ত ও ক্লান্ত শরীরে ফিরে এলেন। অথবা তারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে ঘিরে ধরার কারণে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। যাহোক, তিনি (রাসূল সা.) বলেন, আমি ভারাক্রান্ত অনুভব করছি (অথবা তিনি যেমন বলেছেন)। তখন রাসূল (ﷺ) আমার কোলে তাঁর মাথা রাখলেন (অথবা তিনি যেমন বলেছেন)। এরপর আবারও অপরিচিত লোকজন আসলো (ফেরেশতা), তাদের পরণে সাদা কাপড়, দীর্ঘাকৃতিসম্পন্ন (অথবা তিনি যেমন বলেছেন), রাসূল (ﷺ) তখন ঘুমাচ্ছেন। আবদুল্লাহ্ বলেন, এবার আমি প্রথমবারের চেয়েও বেশী ভয় পেয়ে গেলাম। ('আরিম তাঁর হাদীসে বলেন) তখন তাঁরা পরস্পর (ফেরেশতারা) বলাবলি করছিল, এই বান্দাকে কল্যাণ প্রদান করা হয়েছে, (অথবা তাঁরা যেমন বলেছেন)। তাঁর চক্ষুদ্বয় নিদ্রা যায় (অথবা তাঁর চোখ, অথবা তারা যেমন বলেছেন), কিন্তু তাঁর অন্তর জাগ্রত থাকে। (আলিম ও আফ্ফান বলেন) তাঁরা পরস্পর আরো বলছিলেন যে, আস, আমরা এই বান্দার একটি উদাহরণ ঠিক করি (অথবা তাঁরা যেমন বলেছিলেন)।
অতঃপর তারা একজন অপরজনকে বললেন, তাঁর উদাহরণ হচ্ছে একজন সর্দারের ন্যায় যিনি একটি মজবুত প্রাসাদ নির্মাণ করেছেন; এরপর মানুষকে তার খাবারে অংশগ্রহণের জন্য ডেকে পাঠান (অথবা যেমন তিনি বলেছেন)। যে ব্যক্তি তাঁর খাবার খেতে আসবে না অথবা তার অনুসরণ করবে না; তাকে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে (অথবা তিনি যেমন বলেছেন)। অন্যরা বললেন, সর্দার হচ্ছেন, আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন, প্রাসাদ হচ্ছে ইসলাম, খাবার হচ্ছে জান্নাত। আর তিনি রাসূল হচ্ছেন আহ্বায়ক (দা'ঈ)। যে তাঁর অনুসরণ করবে, সে জান্নাতে থাকবে। (আরিম তাঁর হাদীসে বলেন, অথবা তাঁরা যেমন বলেছেন) এবং যে তাঁর অনুসরণ করবে না, তাকে শাস্তি দেওয়া হবে (অথবা তিনি যেমন বলেছেন)। অতঃপর রাসূল (ﷺ) জাগ্রত হন এবং বলেন, তুমি কী দেখলে, হে ইব্ন উম্মে আবদ? আবদুল্লাহ বললেন, আমি এই এই দেখলাম। রাসূল (ﷺ) বললেন, তাঁরা যা বলেছেন, তাঁর কিছুই আমার অগোচরে নয়। এঁরা হচ্ছেন একদল ফেরেশতা (অথবা তিনি যেমন বলেছেন) তাঁরা ফেরেস্তা, অথবা যেমনটি আল্লাহ্ ইচ্ছা করেছেন।
(হায়ছামী, রাবীগণ নির্ভরযোগ্য।)
অতঃপর তারা একজন অপরজনকে বললেন, তাঁর উদাহরণ হচ্ছে একজন সর্দারের ন্যায় যিনি একটি মজবুত প্রাসাদ নির্মাণ করেছেন; এরপর মানুষকে তার খাবারে অংশগ্রহণের জন্য ডেকে পাঠান (অথবা যেমন তিনি বলেছেন)। যে ব্যক্তি তাঁর খাবার খেতে আসবে না অথবা তার অনুসরণ করবে না; তাকে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে (অথবা তিনি যেমন বলেছেন)। অন্যরা বললেন, সর্দার হচ্ছেন, আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন, প্রাসাদ হচ্ছে ইসলাম, খাবার হচ্ছে জান্নাত। আর তিনি রাসূল হচ্ছেন আহ্বায়ক (দা'ঈ)। যে তাঁর অনুসরণ করবে, সে জান্নাতে থাকবে। (আরিম তাঁর হাদীসে বলেন, অথবা তাঁরা যেমন বলেছেন) এবং যে তাঁর অনুসরণ করবে না, তাকে শাস্তি দেওয়া হবে (অথবা তিনি যেমন বলেছেন)। অতঃপর রাসূল (ﷺ) জাগ্রত হন এবং বলেন, তুমি কী দেখলে, হে ইব্ন উম্মে আবদ? আবদুল্লাহ বললেন, আমি এই এই দেখলাম। রাসূল (ﷺ) বললেন, তাঁরা যা বলেছেন, তাঁর কিছুই আমার অগোচরে নয়। এঁরা হচ্ছেন একদল ফেরেশতা (অথবা তিনি যেমন বলেছেন) তাঁরা ফেরেস্তা, অথবা যেমনটি আল্লাহ্ ইচ্ছা করেছেন।
(হায়ছামী, রাবীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب خلق العالم
باب ما جاء فى إسلام طائفة من الجن ومقابلتهم للنبى صلى الله عليه وسلم واستماعهم القرآن منه
حدثنا عارم وعفان (2) قالا حدثنا معتمر قال قال أبى حدثنى أبو تميمة عن عمرو لعله أن يكون قد قال البكالى يحدثه عمرو عن عبد الله بن مسعود قال عمرو أن عبد الله قال اسبعثنى (3) رسول الله صلى الله عليه وسلم قال فانطلقنا حتى أتيت مكان كذا وكذا فخط لى خطة (4) فقال لى كن بين ظهرى هذه لا تخرج منها فانك ان خرجت هلكت، قال فكنت فيها قال فمضى رسول الله صلى الله عليه وسلم خذفه (5) أو أبعد شيئا أو كما قال ثم أنه ذكر هنينا (6) كأنهم الزط قال عفان أو كما قال عفان ان شاء الله ليس عليهم ثياب ولا أرى سؤاتهم طوالا قليل لمهم، قال فأتوا فجعلوا يركبون رسول الله صلى الله عليه وسلم قال وجعل نبى الله صلى الله عليه وسلم يقرأ عليهم، قال وجعلوا يأتونى فيخيلون حولى ويعترضون لى، قال عبد الله فأرعبت منهم رعبا شديدا، قال فجلست أو كما قال: قال فلما انشق عمود الصبح جعلوا يذهبون أو كما قال، قال ثم إن رسول الله صلى الله عليه وسلم جاء ثقيلا وجعا أو يكاد أن يكون وجعا مما ركبوه، قال انى لأجدنى ثقيلا أو كما قال، فوضع رسول الله صلى الله عليه وسلم رأسه فى حجرى أو كما قال، ثم ان هنينا (7) أتوا، عليهم ثياب بيض طوال أو كما قال وقد أغفى رسول الله صلى الله عليه وسلم قال عبد الله فأرعبت أشد مما أرعبت المرة الأولى قال عارم فى حديثه فقال بعضهم لبعض لقد أعطى هذا العبد خيرا أو كما قالوا، ان عينه نائمتان أو قال عينه أو كما قالوا، وقلبه يقظان، ثم قال قال عارم وعفان قال بعضهم لبعض هلم فلنضرب مثلا أو كما قالوا، قال بعضهم لبعض اضربوا له مثلا وتؤول نحن أو نضرب نحن وتؤولون أنتم، لعلك بعضهم لبعض مثله كمثل سيد ابنتى بنيانا ثم أرسل الى الناس بطعام أو كما قال، فمن لم يأت طعامه أو قال لم يتبعه عذبه عذابا شديدا أو كما قالوا قال الآخرون أما السيد فهو رب العالمين، وما البنيان فهو الاسلام، والطعام الجنة، وهو الداعى فمن اتبعه كان فى الجنة، قال عارم في حديثه أو كما قالوا ومن لم يتبعه عذب أو كما قال، ثم إن رسول الله صلى الله عليه وسلم استيقظ فقال ما رأيت يا ابن أم عبد؟ فقال عبد الله رأيت كذا وكذا، فقال النبى صلى الله عليه وسلم وما خفى على مما قالوا شئ قال نبى الله صلى الله عليه وسلم هم نفر من الملائكة أو كما قال هم من الملائكة أو كما شاء الله