সহীফায়ে হাম্মাম ইবনে মুনাব্বিহ
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
হাদীস নং: ৪০
কিতাবের পরিচ্ছেদ সমূহ
দানের ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান এবং দাতাকে বিনিময় প্রদানের সুসংবাদ
৪০. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আল্লাহ তাআলা বলেছেন, (হে আদম সন্তান!) তুমি দান কর, আমি তোমাকে দান করব। এবং তিনি যুদ্ধকে কৌশল নামে আখ্যায়িত করেন।
أبواب الكتاب
باب الْحَثِّ عَلَى النَّفَقَةِ وَتَبْشِيرِ الْمُنْفِقِ بِالْخَلَفِ
40 - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ: أَنْفِقْ أُنْفِقْ عَلَيْكَ، وَسَمَّى الْحَرْبَ خُدْعَةً»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এটি একটি 'হাদীছে কুদসী'। হাদীছে কুদসী বলে এমন হাদীছকে, যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই বলে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহ তা'আলা বলেন। সাধারণ হাদীছ থেকে এর পার্থক্য হল, সাধারণ হাদীছ সাহাবীগণ নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এভাবে বর্ণনা করেন যে, তিনি এই বলেছেন বা এই করেছেন। কিন্তু হাদীছে কুদসী বর্ণনা করতে গিয়ে সাহাবীগণ নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের পর আল্লাহ তা'আলারও উল্লেখ করেন এবং বলেন যে, তিনি আল্লাহ তা'আলা থেকে এই এই বর্ণনা করেছেন। এই উভয়প্রকার হাদীছও ওহীই বটে, যেমন কুরআন মাজীদও ওহী। তবে কুরআন মাজীদের ভাব ও ভাষা উভয় আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ, আর সাধারণ হাদীছ ও হাদীছে কুদসীর ভাব আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে কিন্তু ভাষা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিজের। কুরআনকে ওহীয়ে মাতলূ এবং হাদীছকে ওহীয়ে গায়রে মাতলূ বলে।
তো এ হাদীছটিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানাচ্ছেন যে, আল্লাহ তা'আলা বলেন, হে আদমসন্তান! তুমি খরচ করো, তোমার প্রতিও খরচ করা হবে। অর্থাৎ তুমি আমার দেওয়া অর্থ-সম্পদ আমার দেওয়া বিধান অনুযায়ী আমার সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে ব্যয় করো। তা যদি কর, তবে আমি তোমাকে এর বিনিময় দান করব। তা বিভিন্নভাবে হতে পারে। হয়তো আমি তোমার অর্থ-সম্পদ বৃদ্ধি করে দেব। অথবা এর বিনিময়ে তোমাকে দুনিয়ার অন্য কোনও কল্যাণ দান করব। কিংবা আখিরাতে অপরিমিত ছাওয়াব দেব। আল্লাহ তা'আলা বলেন-
وَمَا تُنْفِقُوا مِنْ خَيْرٍ يُوَفَّ إِلَيْكُمْ وَأَنْتُمْ لَا تُظْلَمُونَ (272)
‘আর তোমরা যে সম্পদই ব্যয় করবে, তোমাদেরকে তা পরিপূর্ণরূপে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি বিন্দুমাত্র জুলুম করা হবে না।’(সূরা বাকারা (২), আয়াত ২৭২)
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. হাদীছের ভাব ও মর্মও মূলত আল্লাহ তা'আলার ওহী।
খ. কল্যাণকর খাতে ব্যয় করতে কুণ্ঠিত হতে নেই। কেননা কোনও না কোনওভাবে আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে এর বিনিময় পাওয়াই যাবে।
তো এ হাদীছটিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানাচ্ছেন যে, আল্লাহ তা'আলা বলেন, হে আদমসন্তান! তুমি খরচ করো, তোমার প্রতিও খরচ করা হবে। অর্থাৎ তুমি আমার দেওয়া অর্থ-সম্পদ আমার দেওয়া বিধান অনুযায়ী আমার সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে ব্যয় করো। তা যদি কর, তবে আমি তোমাকে এর বিনিময় দান করব। তা বিভিন্নভাবে হতে পারে। হয়তো আমি তোমার অর্থ-সম্পদ বৃদ্ধি করে দেব। অথবা এর বিনিময়ে তোমাকে দুনিয়ার অন্য কোনও কল্যাণ দান করব। কিংবা আখিরাতে অপরিমিত ছাওয়াব দেব। আল্লাহ তা'আলা বলেন-
وَمَا تُنْفِقُوا مِنْ خَيْرٍ يُوَفَّ إِلَيْكُمْ وَأَنْتُمْ لَا تُظْلَمُونَ (272)
‘আর তোমরা যে সম্পদই ব্যয় করবে, তোমাদেরকে তা পরিপূর্ণরূপে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি বিন্দুমাত্র জুলুম করা হবে না।’(সূরা বাকারা (২), আয়াত ২৭২)
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. হাদীছের ভাব ও মর্মও মূলত আল্লাহ তা'আলার ওহী।
খ. কল্যাণকর খাতে ব্যয় করতে কুণ্ঠিত হতে নেই। কেননা কোনও না কোনওভাবে আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে এর বিনিময় পাওয়াই যাবে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)