আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

২৬. অধ্যায়ঃ জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা

হাদীস নং: ৫৫৭৫
অধ্যায়ঃ জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা
জাহান্নাম থেকে ভীতি প্রদর্শন, আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর ফযল ও করমে আমাদেরকে তা থেকে রক্ষা করুন।
৫৫৭৫. হযরত ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কিয়ামতের দিন (জাহান্নামের) অগ্নিকে আনা হবে, তার থাকবে সত্তর হাজার মাথা। প্রত্যেক মাথার সাথে থাকবে সত্তর হাজার ফিরিশ্তা তাঁরা তা টানবে।
(মুসলিম ও তিরমিযী (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب صفة الجنة والنار
التَّرْهِيب من النَّار أعاذنا الله مِنْهَا بمنه وَكَرمه
5575- وَعَن ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يُؤْتى بالنَّار يَوْم الْقِيَامَة لَهَا سَبْعُونَ ألف زِمَام مَعَ كل زِمَام سَبْعُونَ ألف ملك يجرونها

رَوَاهُ مُسلم وَالتِّرْمِذِيّ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

জাহান্নাম শব্দটি আরবী না অনারবী, সে সম্পর্কে মতভেদ আছে। কারও মতে আরবী। এর উৎপত্তি جهومة থেকে। অর্থ বীভৎস দর্শন। অথবা এর উৎপত্তি جهنام থেকে। অর্থ গভীর। উভয় অর্থই জাহান্নামের সঙ্গে খাটে। জাহান্নামের দৃশ্য বীভৎস এবং তা অনেক গভীরও।

যেদিন সমস্ত মানুষ হিসাবের জন্য আল্লাহ তাআলার সামনে দাঁড়ানো থাকবে, সেদিন জাহান্নামকে টেনে তাদের সামনে উপস্থিত করা হবে। টানার জন্য তার সত্তর হাজার লাগাম থাকবে এবং প্রত্যেক লাগামের সঙ্গে থাকবে সত্তর হাজার ফিরিশতা। জাহান্নাম কেমন, তার লাগামই বা কেমন এবং কিভাবে তা টানা হবে, তা অদৃশ্য জগতের বিষয়। এ জগতে থেকে সে সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা লাভ করা সম্ভব নয়।

জাহান্নামকে টেনে সামনে আনার উদ্দেশ্য হয়তো হাশরের ময়দানের বিভীষিকাকে অধিকতর ভয়ংকর করে তোলা। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সেদিনের বিভীষিকা থেকে তাঁর রহমতের ছায়ায় আশ্রয় দান করুন।

হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ

ক. এ হাদীছ দ্বারা অনুমান করা যায় হাশরের ময়দান কতটা বিভীষিকাময় হবে।

খ. হাদীছটি দ্বারা জানা যায় জাহান্নাম অস্তিত্বমান বস্তু। সুতরাং জাহান্নামের শাস্তি কেবল মানসিক বিষয় নয়; বাস্তবিক শাস্তিই। এর দ্বারা জাহান্নামের বিশালতাও অনুভব করা যায়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব - হাদীস নং ৫৫৭৫ | মুসলিম বাংলা