আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
২৫. অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
হাদীস নং: ৫৪৭৪
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদ: হাশর ইত্যাদির বর্ণনা
৫৪৭৪. হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ তা'আলা অগ্রবর্তী ও পশ্চাৎবর্তী সমস্ত মানুষকে এক নির্ধারিত সীমিত সময়ে চল্লিশ বছর দণ্ডায়মান অবস্থায় সমবেত রাখলে, তাদের দৃষ্টি হবে স্থির। তারা বিচারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকবে। তিনি বলেন, আল্লাহ তা'আলা মেঘের শামিয়ানার ছায়ায় আরশ থেকে কুরসীতে অবতরণ করবেন। অতঃপর একজন আহ্বানকারী আহ্বান করে বলবে, হে মানব সম্প্রদায়। তোমরা কি তোমাদের সেই প্রতিপালকের প্রতি, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তোমাদেরকে রিযিক দিয়েছেন এবং তোমাদেরকে তাঁর ইবাদত করতে ও তাঁর সাথে কিছু শরীক না করতে নির্দেশ দিয়েছেন, এ ব্যাপারে সন্তুষ্ট যে, তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তি দুনিয়াতে যার ইবাদত করতে তাকে তার অভিভাবক বানিয়ে দেবেন? এটা কি তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সুবিচার হবে না? তারা বলবে জ্বী হ্যাঁ। অতঃপর প্রত্যেক সম্প্রদায় দুনিয়ায় যে যার ইবাদত করত এবং যাকে সে অভিভাবকরূপে মান্য করত, তার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে। তিনি বলেন, তারা যাবে এবং তারা যেসব বস্তুর ইবাদত করত, তাদের সামনে সেগুলোর অবিকল ছবি পেশ করা হবে। সুতরাং তাদের মধ্য থেকে কেউ সূর্যের কাছে যাবে, কেউ চন্দ্র পাথরের প্রতিমা, এবং তারা যেসব বস্তুর ইবাদত করত সেগুলোর প্রতিকৃতির কাছে যাবে। তিনি বলেন, যারা ঈসা (আ)-এর ইবাদত করত তাদের জন্য ঈসা (আ)-এর শয়তানের ছবি পেশ করা হবে এবং যারা উযায়র (আ)-এর ইবাদত করত, তাদের জন্য উযায়ব (আ)-এর শয়তানের ছবি পেশ করা হবে। অবশিষ্ট থাকবে মুহাম্মাদ ও তাঁর উম্মাত। তিনি বলেন, তারপর আল্লাহ তা'আলা একটি আকার ধারণ করে তাদের কাছে আসবেন এবং তাদেরকে জিজ্ঞেস করবেন। তোমাদের কি হল, মানুষ যেমন যাচ্ছে, তোমরা সেরূপ যাচ্ছ না যে? তিনি বলেন, তারা বলবে, নিশ্চয় আমাদের একজন মা'বুদ রয়েছেন যাকে আমরা দেখি নাই। তিনি জিজ্ঞেস করবেন, যদি তোমরা তাকে দেখ, তবে কি তোমরা তাকে চিনতে পারবে? তারা বলবে, নিশ্চয় আমাদের ও তাঁর মধ্যে একটি চিহ্ন রয়েছে, যখন আমরা সে চিহ্নটি দেখতে পার, তখন তা চিনতে পারব। তিনি বলেন, আল্লাহ তা'আলা জিজ্ঞেস করবেন, সে চিহ্নটি কি? তারা বলবে, তিনি তাঁর পায়ের গোছা অনাবৃত করবেন। তখন তিনি তাঁর পায়ের গোছা অনাবৃত করবেন। ফলে তারা সিজদায় লুটিয়ে পড়বে। কিন্তু যারা (প্রকৃতপক্ষে) মুশরিক ছিল, অথচ মানুষকে দেখাবার জন্য সিজদা করত তারা চিৎ হয়ে পড়ে যাবে। এবং এক সম্প্রদায় অবশিষ্ট থাকবে তাদের পৃষ্ঠ হবে গরুর শিশু-এর মত। তারা সিজদা করতে ইচ্ছা করবে, কিন্তু তারা তাতে সক্ষম হবে না। তাদেরকে দুনিয়াতে সিজদার জন্য ডাকা হত এবং তারা ছিল সুস্থ। অতঃপর তিনি বলবেন, তোমরা তোমাদের মাথা উঠাও। তারা তাদের মাথা উঠাবে তখন তাদেরকে তাদের আমল অনুপাতে নূর প্রদান করা হবে। তন্মধ্যে কাউকে বিশাল পর্বত পরিমাণ নূর প্রদান করা হবে, যা তাদের সামনে দৌড়াতে থাকবে, কাউকে এর চেয়ে কম নূর প্রদান করা হবে, কারও হাতে খেজুর গাছ পরিমাণ (নূর) প্রদান করা হবে, কাউকে এর চেয়ে কম প্রদান করা হবে। অবশেষে তাদের সর্বশেষ ব্যক্তিকে তার পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে নূর প্রদান করা হবে। একবার আলোকিত হবে, আবার নিভিয়ে দেয়া হবে। যখন তার পা আলোকিত হবে, তখন সে হাঁটবে, আবার যখন নিভিয়ে দেওয়া হবে। আর সে দাঁড়িয়ে যাবে। তিনি বলেন, আল্লাহ তা'আলা তাদের সামনে থাকবেন। এভাবে তাদেরকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবেন এবং তাঁর গমনের চিহ্ন থাকবে তরবারির ধারের মত। তিনি বলেন, তারপর আল্লাহ তা'আলা বলবেন, তোমরা পা অতিক্রম কর। তখন তারা তাদের নূর অনুপাতে অতিক্রম করবে। তাদের মধ্য থেকে কেউ পলক গতিতে চলবে, কেউ বিদ্যুতের গতিতে চলবে, কেউ মেঘের গতিতে চলবে, কেউ নক্ষত্র পতনের গতিতে চলবে, কেউ বায়ুর গতিতে চলবে, কেউ ঘোড়ায় আরোহণের মত চলবে, কেউ পায়ে হাঁটার মত চলবে। অবশেষে যাকে তার পদ পৃষ্ঠে নূর প্রদান করা হবে, সে তার মুখমণ্ডলের উপর ভর করে দু'হাত ও দু'পায়ে হামাগুড়ি দিয়ে চলবে। এক হাত টানা হবে। আরেক হাত ঝুলিয়ে রাখা হবে, এক পা টানা হবে, আরেক পা ঝুলিয়ে রাখা হবে এবং তার আশে-পাশে থাকবে আগুন। এভাবে সে মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত চলতে থাকবে, যখন সে মুক্তি পেয়ে যাবে, তখন সে জাহান্নামের সামনে দাঁড়িয়ে বলবে, সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহ্ তা'আলার জন্য, তিনি আমাকে এমন পুরস্কার দিয়েছেন, যা অন্য কাউকে দেন নি। কেননা, তিনি আমাকে আমার জাহান্নাম প্রত্যক্ষ করার পর তা থেকে মুক্তি দিয়েছেন। তিনি বলেন, তারপর তাকে জান্নাতের দরজার সামনে অবস্থিত একটি দীঘির দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। সে তাতে গোসল করবে। ফলে জান্নাতীদের ঘ্রাণ ও জান্নাতীদের রঙ তার গায়ে ফিরে আসবে এবং সে দরজার ফাঁক দিয়ে জান্নাতের নেয়ামত সমূহ দেখতে পাবে। তখন সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক। তুমি আমাকে জান্নাতে দাখিল কর। আল্লাহ তা'আলা বলবেন, তুমি কি আমার কাছে জান্নাত প্রার্থনা করছ অথচ আমি তোমাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়েছি? সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক। আমার ও জাহান্নামের মাঝে পর্দা টেনে দিন, যাতে আমি তার কোন গুঞ্জরণ শুনতে না পাই তিনি বলেন, তারপর সে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং সে দেখবে অথবা তার জন্য এর সামনে আরেকটি প্রাসাদ প্রদর্শন করা হবে। যেন সে প্রাসাদের মধ্যে যা কিছু রয়েছে তা তার প্রাসাদের তুলনায় স্বপ্নতুল্য। সে বলবে, প্রভু! আমাকে এ প্রাসাদটি দান করুন। তখন তিনি বলবেন, যদি আমি তোমাকে এ প্রাসাদটি দান করি, তবে তুমি হয়ত আরেকটি চেয়ে বসবে। সে বলবে, জ্বী না, আপনার ইযযতের কসম, আমি আরেকটি চাইব না। আর এ প্রাসাদের চেয়ে উৎকৃষ্ট আর কী ই বা হতে পারি? তারপর তাকে সে প্রাসাদটি দান করা হবে।
সে উক্ত প্রাসাদে প্রবেশ করবে এবং তার সামনে আরেকটি এমন প্রাসাদ দেখতে পাবে, যেন উক্ত প্রাসাদে যা কিছু রয়েছে, তা তার প্রাসাদের তুলনায় স্বপ্নতুল্য। সে বলবে, প্রভু! আমাকে এ প্রাসাদটি দান করুন। আল্লাহ তা'আলা তাকে বলবেন, যদি আমি তোমাকে এ প্রসাদটি দান করি, তবে তুমি হয়ত আরেকটি চেয়ে বসবে।
সে বলবে জ্বী না, আপনার ইযযতের কসম, আর কোন প্রাসাদই এর চেয়ে উৎকৃষ্ট হতে পারে? তখন তাকে সে প্রাসাদটি দান করা হবে, সে তাতে প্রবেশ করবে এবং সে নীরব হয়ে যাবে। আল্লাহ তা'আলা জিজ্ঞেস করবেন, তোমার কি হলো হে? তুমি যে আর কিছু প্রার্থনা করছ না। সে বলবে, হে আমার রব। আমি আপনার কাছে চাইতে লজ্জিত হয়ে গেছি। তখন আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, আমার দুনিয়া সৃষ্টি করার পর থেকে ধ্বংস করা পর্যন্ত দুনিয়ার সমান ও তার দশগুণ আমি তোমাকে দান করব? সে বলবে, আপনি কি আমার সাথে উপহাস করছেন, অথচ আপনি হচ্ছেন রাব্বুল ইযযত। তিনি বলেন, তখন আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, না, বরং আমি তা করতে সক্ষম। সে বলবে, আপনি আমাকে মানুষের সাথে সাক্ষাৎ করিয়ে দিন। তিনি বলবেন, তুমি মানুষের সাথে সাক্ষাৎ কর। তিনি বলেন, তারপর সে দ্রুত গতিতে জান্নাতের মধ্যে হাঁটতে থাকবে। যখন সে মানুষের নিকটবর্তী হবে তখন তার জন্য একটি মুক্তার প্রাসাদ উঠানো হবে। তখন সে সিজদায় লুটিয়ে পড়বে। আল্লাহ তা'আলা তাকে বলবেন, তুমি তোমার মাথা উঠাও। তোমার কি হয়েছে? সে বলবে, আমি আমার প্রতিপালককে দেখেছি, অথবা আমার প্রতিপালক আমাকে দেখা দিয়েছেন। তখন তাকে বলা হবে, এটা তোমার প্রাসাদসমূহের মধ্য থেকে একটি প্রাসাদ।
তিনি বলেন, অতঃপর সে এক লোকের কাছে যাবে এবং তাকে সিজদা করতে উদ্যত হবে। তখন তাকে বলা হবে। বিরত হও। সে বলবে, আমি দেখছি, তুমি ফিরিশতাদের মধ্যকার একজন ফিরিশতা। ফিরিশতা বলবে, আমি আপনার কোষাধ্যক্ষদের মধ্যেকার একজন কোষাধ্যক্ষমাত্র এবং আপনার গোলাম সমূহের মধ্য থেকে একজন গোলাম মাত্র। আমি যে দায়িত্বে রয়েছে, তাতে আমার অধীনে এক হাজার কর্মচারী রয়েছে। তিনি বলেন, তারপর ফিরিশতা তার সামনে চলতে থাকবে এবং তার জন্য উক্ত প্রাসাদের দরজা খুলবে। তিনি বলেন, সে প্রাসাদটি হবে ফাঁপা মুক্তায় নির্মিত। তার ছাদ, দরজা ও তালা চাবি ও হবে ফাঁপা মুক্তার তৈরী। প্রাসাদটির সামনে থাকবে সবুজ যহরত, যার ভেতরে থাকবে লাল যহরত। তাতে থাকতে সত্তরটি দরজা। প্রতিটি দরজা একটি সবুজ যহরত পর্যন্ত পৌছিয়ে দেবে, যার ভিতর ভাগ থাকবে ঠাসা। প্রতিটি যহরত ভিন্ন রঙের একটি যহরত পর্যন্ত পৌছিয়ে দেবে। প্রত্যেক যহরতে থাকবে পালংক, স্ত্রী ও বাঁদী-দাসী। তন্মধ্যে সর্ব নিম্নমানের হবে শুভ্রবর্ণা ও আয়ত লোচনা রমনী। তার পরনে থাকবে সত্তরটি পোষাক। তার সেসব পোষাকের উপর থেকে তার পায়ের গোছার মগজ দেখা যাবে। তার কলজে হবে (জান্নাতী) পুরুষের আয়না, এবং সে পুরুষের কলজে হবে তার আয়না স্বরূপ। যখন সে তার প্রতি একটু বিমুখতা প্রদর্শন করবে, তার চোখে যতটুকু সুন্দরী ছিল, তার চেয়ে সত্তরগুণ বেশি সুন্দরী হয়ে যাবে। তখন সে তাকে বলবে, আল্লাহর কসম তুমি তো আমার দৃষ্টিতে সত্তরগুণ বেশি সুন্দরী হয়ে গিয়েছ এবং রমণী বলবে, তুমিও আমার দৃষ্টিতে সত্তরগুণ বেশি সুন্দর হয়ে গিয়েছ। তারপর তাকে বলা হবে, তুমি নিকটে আস। সে নিকটে আসবে। তাকে বলা হবে, একশ বছরের দূরত্ব তোমার মালিকানাধীন। তাতে তোমার দৃষ্টি শক্তি পৌঁছবে।
তিনি বলেন, তারপর উমর (রা) তাকে বললেন, হে কা'ব। ইবনু উম্মে আব্দ একজন নিম্নতম পর্যায়ের জান্নাতী সম্পর্কে আমাদেরকে যা বলে, তা কি তুমি শুনছ? সুতরাং উচ্চতম পর্যায়ে জান্নাতীদের অবস্থা কি হবে। সে বলল, হে আমীরুল মু'মিনীন। যা কোন চোখ কোনদিন দেখেনি, এবং কোন কান কোনদিন শুনেনি এ বলে সে হাদীসটি বর্ণনা করল।
(ইবনু আবুদ দুনিয়া ও তাবারানী বিভিন্ন সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তন্মধ্যে একটি সনদ সহীহ। হাদীসটির উল্লিখিত পাঠ তাবারানী বর্ণিত। হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ।)
সে উক্ত প্রাসাদে প্রবেশ করবে এবং তার সামনে আরেকটি এমন প্রাসাদ দেখতে পাবে, যেন উক্ত প্রাসাদে যা কিছু রয়েছে, তা তার প্রাসাদের তুলনায় স্বপ্নতুল্য। সে বলবে, প্রভু! আমাকে এ প্রাসাদটি দান করুন। আল্লাহ তা'আলা তাকে বলবেন, যদি আমি তোমাকে এ প্রসাদটি দান করি, তবে তুমি হয়ত আরেকটি চেয়ে বসবে।
সে বলবে জ্বী না, আপনার ইযযতের কসম, আর কোন প্রাসাদই এর চেয়ে উৎকৃষ্ট হতে পারে? তখন তাকে সে প্রাসাদটি দান করা হবে, সে তাতে প্রবেশ করবে এবং সে নীরব হয়ে যাবে। আল্লাহ তা'আলা জিজ্ঞেস করবেন, তোমার কি হলো হে? তুমি যে আর কিছু প্রার্থনা করছ না। সে বলবে, হে আমার রব। আমি আপনার কাছে চাইতে লজ্জিত হয়ে গেছি। তখন আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, আমার দুনিয়া সৃষ্টি করার পর থেকে ধ্বংস করা পর্যন্ত দুনিয়ার সমান ও তার দশগুণ আমি তোমাকে দান করব? সে বলবে, আপনি কি আমার সাথে উপহাস করছেন, অথচ আপনি হচ্ছেন রাব্বুল ইযযত। তিনি বলেন, তখন আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, না, বরং আমি তা করতে সক্ষম। সে বলবে, আপনি আমাকে মানুষের সাথে সাক্ষাৎ করিয়ে দিন। তিনি বলবেন, তুমি মানুষের সাথে সাক্ষাৎ কর। তিনি বলেন, তারপর সে দ্রুত গতিতে জান্নাতের মধ্যে হাঁটতে থাকবে। যখন সে মানুষের নিকটবর্তী হবে তখন তার জন্য একটি মুক্তার প্রাসাদ উঠানো হবে। তখন সে সিজদায় লুটিয়ে পড়বে। আল্লাহ তা'আলা তাকে বলবেন, তুমি তোমার মাথা উঠাও। তোমার কি হয়েছে? সে বলবে, আমি আমার প্রতিপালককে দেখেছি, অথবা আমার প্রতিপালক আমাকে দেখা দিয়েছেন। তখন তাকে বলা হবে, এটা তোমার প্রাসাদসমূহের মধ্য থেকে একটি প্রাসাদ।
তিনি বলেন, অতঃপর সে এক লোকের কাছে যাবে এবং তাকে সিজদা করতে উদ্যত হবে। তখন তাকে বলা হবে। বিরত হও। সে বলবে, আমি দেখছি, তুমি ফিরিশতাদের মধ্যকার একজন ফিরিশতা। ফিরিশতা বলবে, আমি আপনার কোষাধ্যক্ষদের মধ্যেকার একজন কোষাধ্যক্ষমাত্র এবং আপনার গোলাম সমূহের মধ্য থেকে একজন গোলাম মাত্র। আমি যে দায়িত্বে রয়েছে, তাতে আমার অধীনে এক হাজার কর্মচারী রয়েছে। তিনি বলেন, তারপর ফিরিশতা তার সামনে চলতে থাকবে এবং তার জন্য উক্ত প্রাসাদের দরজা খুলবে। তিনি বলেন, সে প্রাসাদটি হবে ফাঁপা মুক্তায় নির্মিত। তার ছাদ, দরজা ও তালা চাবি ও হবে ফাঁপা মুক্তার তৈরী। প্রাসাদটির সামনে থাকবে সবুজ যহরত, যার ভেতরে থাকবে লাল যহরত। তাতে থাকতে সত্তরটি দরজা। প্রতিটি দরজা একটি সবুজ যহরত পর্যন্ত পৌছিয়ে দেবে, যার ভিতর ভাগ থাকবে ঠাসা। প্রতিটি যহরত ভিন্ন রঙের একটি যহরত পর্যন্ত পৌছিয়ে দেবে। প্রত্যেক যহরতে থাকবে পালংক, স্ত্রী ও বাঁদী-দাসী। তন্মধ্যে সর্ব নিম্নমানের হবে শুভ্রবর্ণা ও আয়ত লোচনা রমনী। তার পরনে থাকবে সত্তরটি পোষাক। তার সেসব পোষাকের উপর থেকে তার পায়ের গোছার মগজ দেখা যাবে। তার কলজে হবে (জান্নাতী) পুরুষের আয়না, এবং সে পুরুষের কলজে হবে তার আয়না স্বরূপ। যখন সে তার প্রতি একটু বিমুখতা প্রদর্শন করবে, তার চোখে যতটুকু সুন্দরী ছিল, তার চেয়ে সত্তরগুণ বেশি সুন্দরী হয়ে যাবে। তখন সে তাকে বলবে, আল্লাহর কসম তুমি তো আমার দৃষ্টিতে সত্তরগুণ বেশি সুন্দরী হয়ে গিয়েছ এবং রমণী বলবে, তুমিও আমার দৃষ্টিতে সত্তরগুণ বেশি সুন্দর হয়ে গিয়েছ। তারপর তাকে বলা হবে, তুমি নিকটে আস। সে নিকটে আসবে। তাকে বলা হবে, একশ বছরের দূরত্ব তোমার মালিকানাধীন। তাতে তোমার দৃষ্টি শক্তি পৌঁছবে।
তিনি বলেন, তারপর উমর (রা) তাকে বললেন, হে কা'ব। ইবনু উম্মে আব্দ একজন নিম্নতম পর্যায়ের জান্নাতী সম্পর্কে আমাদেরকে যা বলে, তা কি তুমি শুনছ? সুতরাং উচ্চতম পর্যায়ে জান্নাতীদের অবস্থা কি হবে। সে বলল, হে আমীরুল মু'মিনীন। যা কোন চোখ কোনদিন দেখেনি, এবং কোন কান কোনদিন শুনেনি এ বলে সে হাদীসটি বর্ণনা করল।
(ইবনু আবুদ দুনিয়া ও তাবারানী বিভিন্ন সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তন্মধ্যে একটি সনদ সহীহ। হাদীসটির উল্লিখিত পাঠ তাবারানী বর্ণিত। হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
5474- وَعَن عبد الله بن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يجمع الله الْأَوَّلين والآخرين لميقات يَوْم مَعْلُوم قيَاما أَرْبَعِينَ سنة شاخصة أَبْصَارهم ينتظرون فصل الْقَضَاء
قَالَ وَينزل الله عز وَجل فِي ظلل من الْغَمَام من الْعَرْش إِلَى الْكُرْسِيّ ثمَّ يُنَادي مُنَاد أَيهَا النَّاس ألم ترضوا من ربكُم الَّذِي خَلقكُم ورزقكم وأمركم أَن تَعْبُدُوهُ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئا أَن يولي كل إِنْسَان مِنْكُم مَا كَانُوا يعْبدُونَ فِي الدُّنْيَا أَلَيْسَ ذَلِك عدلا من ربكُم قَالُوا بلَى فَينْطَلق كل قوم إِلَى مَا كَانُوا يعْبدُونَ ويتولون فِي الدُّنْيَا قَالَ فَيَنْطَلِقُونَ ويمثل لَهُم أشباه
مَا كَانُوا يعْبدُونَ فَمنهمْ من ينْطَلق إِلَى الشَّمْس وَمِنْهُم من ينْطَلق إِلَى الْقَمَر والأوثان من الْحِجَارَة وَأَشْبَاه مَا كَانُوا يعْبدُونَ
قَالَ ويمثل لمن كَانَ يعبد عِيسَى شَيْطَان عِيسَى ويمثل لمن كَانَ يعبد عُزَيْرًا شَيْطَان عُزَيْر وَيبقى مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَأمته قَالَ فيتمثل الرب تبَارك وَتَعَالَى فيأتيهم فَيَقُول مَا لكم لَا تنطلقون كَمَا انْطلق النَّاس قَالَ فَيَقُولُونَ إِن لنا إِلَهًا مَا رَأَيْنَاهُ
فَيَقُول هَل تعرفونه إِن رَأَيْتُمُوهُ فَيَقُولُونَ إِن بَيْننَا وَبَينه عَلامَة إِذا رأيناها عرفناها
قَالَ فَيَقُول مَا هِيَ فَيَقُولُونَ يكْشف عَن سَاقه فَعِنْدَ ذَلِك يكْشف عَن سَاقه فيخر كل من كَانَ مُشْركًا يرائي لظهره وَيبقى قوم ظُهُورهمْ كصياصي الْبَقر يُرِيدُونَ السُّجُود فَلَا يَسْتَطِيعُونَ وَقد كَانُوا يدعونَ إِلَى السُّجُود وهم سَالِمُونَ ثمَّ يَقُول ارْفَعُوا رؤوسكم فيرفعون رؤوسهم فيعطيهم نورهم على قدر أَعْمَالهم فَمنهمْ من يعْطى نوره مثل الْجَبَل الْعَظِيم يسْعَى بَين أَيْديهم وَمِنْهُم من يعْطى نوره أَصْغَر من ذَلِك وَمِنْهُم من يعْطى مثل النَّخْلَة بِيَدِهِ وَمِنْهُم من يعْطى أَصْغَر من ذَلِك حَتَّى يكون آخِرهم رجلا يعْطى نوره على إِبْهَام قدمه يضيء مرّة ويطفأ مرّة فَإِذا أَضَاء قدمه قدم وَإِذا أطفىء قَامَ
قَالَ والرب تبَارك وَتَعَالَى أمامهم حَتَّى يمر بهم إِلَى النَّار فَيبقى أَثَره كَحَد السَّيْف
قَالَ فَيَقُول مروا فيمرون على قدر نورهم مِنْهُم من يمر كطرفة الْعين وَمِنْهُم من يمر كالبرق وَمِنْهُم من يمر كالسحاب وَمِنْهُم من يمر كانقضاض الْكَوَاكِب وَمِنْهُم من يمر كَالرِّيحِ وَمِنْهُم من يمر كشد الْفرس وَمِنْهُم من يمر كشد الرجل حَتَّى يمر الَّذِي يعْطى نوره على ظهر قَدَمَيْهِ يحبو على وَجهه وَيَديه وَرجلَيْهِ تجر يَد وَتعلق يَد وتجر رجل وَتعلق رجل وتصيب جوانبه النَّار فَلَا يزَال كَذَلِك حَتَّى يخلص فَإِذا خلص وقف عَلَيْهَا فَقَالَ الْحَمد لله الَّذِي أَعْطَانِي مَا لم يُعْط أحدا إِذْ أنجاني مِنْهَا بعد إِذْ رَأَيْتهَا
قَالَ فَينْطَلق بِهِ إِلَى غَدِير عِنْد بَاب الْجنَّة فيغتسل فَيَعُود إِلَيْهِ ريح أهل الْجنَّة وألوانهم فَيرى مَا فِي الْجنَّة من خلل الْبَاب فَيَقُول رب أدخلني الْجنَّة فَيَقُول الله أتسأل الْجنَّة وَقد نجيتك من النَّار فَيَقُول رب اجْعَل بيني وَبَينهَا حِجَابا حَتَّى لَا أسمع حَسِيسهَا قَالَ فَيدْخل الْجنَّة وَيرى أَو يرفع لَهُ منزل أَمَام ذَلِك كَأَن مَا هُوَ فِيهِ بِالنِّسْبَةِ إِلَيْهِ حلم فَيَقُول رب أَعْطِنِي ذَلِك الْمنزل فَيَقُول لَعَلَّك إِن أَعْطيته تسْأَل غَيره فَيَقُول لَا وَعزَّتك لَا أسأَل غَيره وَأي منزل أحسن مِنْهُ فيعطاه فينزله وَيرى أَمَام ذَلِك منزلا كَأَن مَا هُوَ فِيهِ بِالنِّسْبَةِ إِلَيْهِ حلم قَالَ رب أَعْطِنِي ذَلِك الْمنزل فَيَقُول الله تبَارك وَتَعَالَى لَهُ لَعَلَّك إِن أَعْطيته تسْأَل غَيره فَيَقُول لَا وَعزَّتك وَأي منزل أحسن مِنْهُ فيعطاه فينزله ثمَّ يسكت
فَيَقُول الله جلّ ذكره مَا لَك لَا تسْأَل فَيَقُول رب قد سَأَلتك حَتَّى استحييتك فَيَقُول الله جلّ ذكره ألم ترض أَن أُعْطِيك مثل الدُّنْيَا مُنْذُ خلقتها إِلَى يَوْم أفنيتها وَعشرَة أضعافه فَيَقُول أتهزأ بِي وَأَنت رب الْعِزَّة قَالَ فَيَقُول الرب جلّ ذكره لَا وَلَكِنِّي على ذَلِك قَادر فَيَقُول ألحقني بِالنَّاسِ فَيَقُول الْحق بِالنَّاسِ قَالَ فَينْطَلق يرمل فِي الْجنَّة حَتَّى إِذا دنا من النَّاس رفع لَهُ قصر من درة فيخر سَاجِدا فَيَقُول لَهُ ارْفَعْ رَأسك مَا لَك فَيَقُول رَأَيْت رَبِّي أَو ترَاءى لي رَبِّي فَيُقَال إِنَّمَا هُوَ منزل من منازلك قَالَ ثمَّ يَأْتِي رجلا فيتهيأ للسُّجُود لَهُ فَيُقَال لَهُ مَه فَيَقُول رَأَيْت أَنَّك ملك من الْمَلَائِكَة فَيَقُول إِنَّمَا أَنا خَازِن من خزانك وَعبد من عبيدك تَحت يَدي ألف قهرمان على مَا أَنا عَلَيْهِ
قَالَ فَينْطَلق أَمَامه حَتَّى يفتح لَهُ بَاب الْقصر قَالَ وَهُوَ من درة مجوفة سقائفها وأبوابها وأغلافها ومفاتيحها مِنْهَا يستقبله جَوْهَرَة خضراء مبطنة بِحَمْرَاء فِيهَا سَبْعُونَ بَابا كل بَاب يُفْضِي إِلَى جَوْهَرَة خضراء مبطنة كل جَوْهَرَة تُفْضِي إِلَى جَوْهَرَة على غير لون الْأُخْرَى فِي كل جَوْهَرَة سرر وَأَزْوَاج ووصائف أدناهن حوراء عيناء عَلَيْهَا سَبْعُونَ حلَّة يرى مخ سَاقهَا من وَرَاء حللها كَبِدهَا مرآته وكبده مرآتها إِذا أعرض عَنْهَا إعراضة ازدادت فِي عينه سبعين ضعفا عَمَّا كَانَت قبل ذَلِك فَيَقُول لَهَا وَالله لقد ازددت فِي عَيْني سبعين ضعفا وَتقول لَهُ وَأَنت لقد ازددت فِي عَيْني سبعين ضعفا فَيُقَال لَهُ أشرف فيشرف فَيُقَال لَهُ ملكك مسيرَة مائَة عَام ينفذهُ بَصرك قَالَ فَقَالَ لَهُ عمر أَلا تسمع مَا يحدثنا ابْن أم عبد يَا كَعْب عَن أدنى أهل الْجنَّة منزلا فَكيف أعلاهم قَالَ يَا أَمِير الْمُؤمنِينَ مَا لَا عين رَأَتْ وَلَا أذن سَمِعت فَذكر الحَدِيث
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا وَالطَّبَرَانِيّ من طرق أَحدهَا صَحِيح وَاللَّفْظ لَهُ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ وَينزل الله عز وَجل فِي ظلل من الْغَمَام من الْعَرْش إِلَى الْكُرْسِيّ ثمَّ يُنَادي مُنَاد أَيهَا النَّاس ألم ترضوا من ربكُم الَّذِي خَلقكُم ورزقكم وأمركم أَن تَعْبُدُوهُ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئا أَن يولي كل إِنْسَان مِنْكُم مَا كَانُوا يعْبدُونَ فِي الدُّنْيَا أَلَيْسَ ذَلِك عدلا من ربكُم قَالُوا بلَى فَينْطَلق كل قوم إِلَى مَا كَانُوا يعْبدُونَ ويتولون فِي الدُّنْيَا قَالَ فَيَنْطَلِقُونَ ويمثل لَهُم أشباه
مَا كَانُوا يعْبدُونَ فَمنهمْ من ينْطَلق إِلَى الشَّمْس وَمِنْهُم من ينْطَلق إِلَى الْقَمَر والأوثان من الْحِجَارَة وَأَشْبَاه مَا كَانُوا يعْبدُونَ
قَالَ ويمثل لمن كَانَ يعبد عِيسَى شَيْطَان عِيسَى ويمثل لمن كَانَ يعبد عُزَيْرًا شَيْطَان عُزَيْر وَيبقى مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَأمته قَالَ فيتمثل الرب تبَارك وَتَعَالَى فيأتيهم فَيَقُول مَا لكم لَا تنطلقون كَمَا انْطلق النَّاس قَالَ فَيَقُولُونَ إِن لنا إِلَهًا مَا رَأَيْنَاهُ
فَيَقُول هَل تعرفونه إِن رَأَيْتُمُوهُ فَيَقُولُونَ إِن بَيْننَا وَبَينه عَلامَة إِذا رأيناها عرفناها
قَالَ فَيَقُول مَا هِيَ فَيَقُولُونَ يكْشف عَن سَاقه فَعِنْدَ ذَلِك يكْشف عَن سَاقه فيخر كل من كَانَ مُشْركًا يرائي لظهره وَيبقى قوم ظُهُورهمْ كصياصي الْبَقر يُرِيدُونَ السُّجُود فَلَا يَسْتَطِيعُونَ وَقد كَانُوا يدعونَ إِلَى السُّجُود وهم سَالِمُونَ ثمَّ يَقُول ارْفَعُوا رؤوسكم فيرفعون رؤوسهم فيعطيهم نورهم على قدر أَعْمَالهم فَمنهمْ من يعْطى نوره مثل الْجَبَل الْعَظِيم يسْعَى بَين أَيْديهم وَمِنْهُم من يعْطى نوره أَصْغَر من ذَلِك وَمِنْهُم من يعْطى مثل النَّخْلَة بِيَدِهِ وَمِنْهُم من يعْطى أَصْغَر من ذَلِك حَتَّى يكون آخِرهم رجلا يعْطى نوره على إِبْهَام قدمه يضيء مرّة ويطفأ مرّة فَإِذا أَضَاء قدمه قدم وَإِذا أطفىء قَامَ
قَالَ والرب تبَارك وَتَعَالَى أمامهم حَتَّى يمر بهم إِلَى النَّار فَيبقى أَثَره كَحَد السَّيْف
قَالَ فَيَقُول مروا فيمرون على قدر نورهم مِنْهُم من يمر كطرفة الْعين وَمِنْهُم من يمر كالبرق وَمِنْهُم من يمر كالسحاب وَمِنْهُم من يمر كانقضاض الْكَوَاكِب وَمِنْهُم من يمر كَالرِّيحِ وَمِنْهُم من يمر كشد الْفرس وَمِنْهُم من يمر كشد الرجل حَتَّى يمر الَّذِي يعْطى نوره على ظهر قَدَمَيْهِ يحبو على وَجهه وَيَديه وَرجلَيْهِ تجر يَد وَتعلق يَد وتجر رجل وَتعلق رجل وتصيب جوانبه النَّار فَلَا يزَال كَذَلِك حَتَّى يخلص فَإِذا خلص وقف عَلَيْهَا فَقَالَ الْحَمد لله الَّذِي أَعْطَانِي مَا لم يُعْط أحدا إِذْ أنجاني مِنْهَا بعد إِذْ رَأَيْتهَا
قَالَ فَينْطَلق بِهِ إِلَى غَدِير عِنْد بَاب الْجنَّة فيغتسل فَيَعُود إِلَيْهِ ريح أهل الْجنَّة وألوانهم فَيرى مَا فِي الْجنَّة من خلل الْبَاب فَيَقُول رب أدخلني الْجنَّة فَيَقُول الله أتسأل الْجنَّة وَقد نجيتك من النَّار فَيَقُول رب اجْعَل بيني وَبَينهَا حِجَابا حَتَّى لَا أسمع حَسِيسهَا قَالَ فَيدْخل الْجنَّة وَيرى أَو يرفع لَهُ منزل أَمَام ذَلِك كَأَن مَا هُوَ فِيهِ بِالنِّسْبَةِ إِلَيْهِ حلم فَيَقُول رب أَعْطِنِي ذَلِك الْمنزل فَيَقُول لَعَلَّك إِن أَعْطيته تسْأَل غَيره فَيَقُول لَا وَعزَّتك لَا أسأَل غَيره وَأي منزل أحسن مِنْهُ فيعطاه فينزله وَيرى أَمَام ذَلِك منزلا كَأَن مَا هُوَ فِيهِ بِالنِّسْبَةِ إِلَيْهِ حلم قَالَ رب أَعْطِنِي ذَلِك الْمنزل فَيَقُول الله تبَارك وَتَعَالَى لَهُ لَعَلَّك إِن أَعْطيته تسْأَل غَيره فَيَقُول لَا وَعزَّتك وَأي منزل أحسن مِنْهُ فيعطاه فينزله ثمَّ يسكت
فَيَقُول الله جلّ ذكره مَا لَك لَا تسْأَل فَيَقُول رب قد سَأَلتك حَتَّى استحييتك فَيَقُول الله جلّ ذكره ألم ترض أَن أُعْطِيك مثل الدُّنْيَا مُنْذُ خلقتها إِلَى يَوْم أفنيتها وَعشرَة أضعافه فَيَقُول أتهزأ بِي وَأَنت رب الْعِزَّة قَالَ فَيَقُول الرب جلّ ذكره لَا وَلَكِنِّي على ذَلِك قَادر فَيَقُول ألحقني بِالنَّاسِ فَيَقُول الْحق بِالنَّاسِ قَالَ فَينْطَلق يرمل فِي الْجنَّة حَتَّى إِذا دنا من النَّاس رفع لَهُ قصر من درة فيخر سَاجِدا فَيَقُول لَهُ ارْفَعْ رَأسك مَا لَك فَيَقُول رَأَيْت رَبِّي أَو ترَاءى لي رَبِّي فَيُقَال إِنَّمَا هُوَ منزل من منازلك قَالَ ثمَّ يَأْتِي رجلا فيتهيأ للسُّجُود لَهُ فَيُقَال لَهُ مَه فَيَقُول رَأَيْت أَنَّك ملك من الْمَلَائِكَة فَيَقُول إِنَّمَا أَنا خَازِن من خزانك وَعبد من عبيدك تَحت يَدي ألف قهرمان على مَا أَنا عَلَيْهِ
قَالَ فَينْطَلق أَمَامه حَتَّى يفتح لَهُ بَاب الْقصر قَالَ وَهُوَ من درة مجوفة سقائفها وأبوابها وأغلافها ومفاتيحها مِنْهَا يستقبله جَوْهَرَة خضراء مبطنة بِحَمْرَاء فِيهَا سَبْعُونَ بَابا كل بَاب يُفْضِي إِلَى جَوْهَرَة خضراء مبطنة كل جَوْهَرَة تُفْضِي إِلَى جَوْهَرَة على غير لون الْأُخْرَى فِي كل جَوْهَرَة سرر وَأَزْوَاج ووصائف أدناهن حوراء عيناء عَلَيْهَا سَبْعُونَ حلَّة يرى مخ سَاقهَا من وَرَاء حللها كَبِدهَا مرآته وكبده مرآتها إِذا أعرض عَنْهَا إعراضة ازدادت فِي عينه سبعين ضعفا عَمَّا كَانَت قبل ذَلِك فَيَقُول لَهَا وَالله لقد ازددت فِي عَيْني سبعين ضعفا وَتقول لَهُ وَأَنت لقد ازددت فِي عَيْني سبعين ضعفا فَيُقَال لَهُ أشرف فيشرف فَيُقَال لَهُ ملكك مسيرَة مائَة عَام ينفذهُ بَصرك قَالَ فَقَالَ لَهُ عمر أَلا تسمع مَا يحدثنا ابْن أم عبد يَا كَعْب عَن أدنى أهل الْجنَّة منزلا فَكيف أعلاهم قَالَ يَا أَمِير الْمُؤمنِينَ مَا لَا عين رَأَتْ وَلَا أذن سَمِعت فَذكر الحَدِيث
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا وَالطَّبَرَانِيّ من طرق أَحدهَا صَحِيح وَاللَّفْظ لَهُ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد