আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
২১. অধ্যায়ঃ সদ্ব্যবহার
হাদীস নং: ৩৯১৬
অধ্যায়ঃ সদ্ব্যবহার
দীনী ভাই ও নেক্কার লোকের সাথে সাক্ষাৎকারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন
৩৯১৬. হযরত মু'আয ইবনে জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি। আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেন: আমার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে দুই জনের পারস্পরিক বন্ধুত্ব, পারস্পরিক বৈঠক, পারস্পরিক সাক্ষাৎ, পারস্পরিক লেনদেনে আমার ভালবাসা অবধারিত হয়ে যায়।
(মালিক (র) উত্তম সনদে বর্ণনা করেন। উক্ত হাদীসে আবু ইদ্রীসের ঘটনা বর্ণিত আছে এবং في الحب لله অনুচ্ছেদে আমর ইবনে আবাসার হাদীসটিসহ উক্ত হাদীসটি বর্ণিত হবে।)
(মালিক (র) উত্তম সনদে বর্ণনা করেন। উক্ত হাদীসে আবু ইদ্রীসের ঘটনা বর্ণিত আছে এবং في الحب لله অনুচ্ছেদে আমর ইবনে আবাসার হাদীসটিসহ উক্ত হাদীসটি বর্ণিত হবে।)
كتاب البر والصلة
التَّرْغِيب فِي زِيَارَة الإخوان وَالصَّالِحِينَ وَمَا جَاءَ فِي إكرام الزائرين
3916- وَعَن معَاذ بن جبل رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول قَالَ الله تبَارك وَتَعَالَى وَجَبت محبتي للمتحابين فِي وللمتجالسين فِي وللمتزاورين فِي وللمتباذلين فِي
رَوَاهُ مَالك بِإِسْنَاد صَحِيح وَفِيه قصَّة أبي إِدْرِيس وَسَيَأْتِي بِتَمَامِهِ فِي الْحبّ لله مَعَ حَدِيث عَمْرو بن عبسة
رَوَاهُ مَالك بِإِسْنَاد صَحِيح وَفِيه قصَّة أبي إِدْرِيس وَسَيَأْتِي بِتَمَامِهِ فِي الْحبّ لله مَعَ حَدِيث عَمْرو بن عبسة
হাদীসের ব্যাখ্যা:
আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَجَبَتْ مَحَبَّتِي لِلْمُتَحَابِّينَ فِيَّ، وَالْمُتَجَالِسِينَ فِيَّ، وَالْمُتَزَاوِرِينَ فِيَّ، وَالْمُتَبَاذِلِينَ فِيَّ.
(ওই সকল লোকের জন্য আমার ভালোবাসা অবধারিত, যারা আমারই জন্য একে অন্যকে ভালোবাসে; আমারই জন্য পরস্পরে ওঠাবসা করে; আমারই জন্য পরস্পরে দেখা-সাক্ষাত করে এবং আমারই জন্য খরচ করে)। অর্থাৎ যাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, যাদের পারস্পরিক ওঠাবসা, যাদের পারস্পরিক দেখা-সাক্ষাত এবং যাদের পারস্পরিক অর্থব্যয় হয় কেবল আমারই জন্য, আমারই সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে, দুনিয়ার নশ্বর কোনও সম্পদের জন্যও নয় এবং নয় অন্য কোনও পার্থিব স্বার্থে, তারা নিশ্চিত থাকুক যে, আমি অবশ্যই তাদের মহব্বত করি, তাদের ভালোবাসি। আল্লাহু আকবার! কী বিশাল পুরস্কার! এটা আল্লাহ তাআলারই মহত্ত্ব ও মহানুভবতা যে, বান্দার তুচ্ছ কাজের বিনিময়েও তিনি নিজের পক্ষ থেকে অনেক বড় পুরস্কার দিয়ে থাকেন। বান্দাই বা কী আর তার ভালোবাসাই বা কী! এক বান্দা আরেক বান্দাকে ভালোবাসলে কতটুকুই বা বাসতে পারে? একজন আরেকজনের জন্য কী পরিমাণই বা খরচ করতে পারে? অথচ এর বিপরীতে তিনি বান্দাকে নিজ ভালোবাসার নিশ্চয়তা দান করেছেন। এ মহা নি'আমতের কারণে আমরা তাঁর কী শোকর আদায় করব?
প্রকাশ থাকে যে, পারস্পরিক মহব্বত, ওঠাবসা, দেখা-সাক্ষাত ও অর্থব্যয় যদি আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে হয়, তবে তাতে কোনওরকম সীমালঙ্ঘন হতে পারে না। তা হয় শরীআতের নির্দেশনা মোতাবেক। কাজেই এ বিষয়গুলো যাতে নিখুঁতভাবে কেবল আল্লাহ তাআলার জন্যই নিবেদিত থাকে, সে লক্ষ্যে শরীআতের সীমারেখা রক্ষা করে চলা অবশ্যকর্তব্য। খুব সাবধান থাকতে হবে যাতে এর কোনওটিতেই শরীআতের বরখেলাফ না হয়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. মহব্বত ও ভালোবাসা এবং দেখা-সাক্ষাত করা, ওঠাবসা করা ও টাকাপয়সা খরচ করার কাজগুলো কেবলই আল্লাহ তাআলার জন্য হওয়া উচিত, পার্থিব কোনও স্বার্থে নয়।
খ. এসব কাজ আল্লাহর জন্য হলে পুরস্কারস্বরূপ আল্লাহ তাআলার মহব্বত লাভ করা যায়। এরচে' বড় কোনও পুরস্কার হতে পারে না।
وَجَبَتْ مَحَبَّتِي لِلْمُتَحَابِّينَ فِيَّ، وَالْمُتَجَالِسِينَ فِيَّ، وَالْمُتَزَاوِرِينَ فِيَّ، وَالْمُتَبَاذِلِينَ فِيَّ.
(ওই সকল লোকের জন্য আমার ভালোবাসা অবধারিত, যারা আমারই জন্য একে অন্যকে ভালোবাসে; আমারই জন্য পরস্পরে ওঠাবসা করে; আমারই জন্য পরস্পরে দেখা-সাক্ষাত করে এবং আমারই জন্য খরচ করে)। অর্থাৎ যাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, যাদের পারস্পরিক ওঠাবসা, যাদের পারস্পরিক দেখা-সাক্ষাত এবং যাদের পারস্পরিক অর্থব্যয় হয় কেবল আমারই জন্য, আমারই সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে, দুনিয়ার নশ্বর কোনও সম্পদের জন্যও নয় এবং নয় অন্য কোনও পার্থিব স্বার্থে, তারা নিশ্চিত থাকুক যে, আমি অবশ্যই তাদের মহব্বত করি, তাদের ভালোবাসি। আল্লাহু আকবার! কী বিশাল পুরস্কার! এটা আল্লাহ তাআলারই মহত্ত্ব ও মহানুভবতা যে, বান্দার তুচ্ছ কাজের বিনিময়েও তিনি নিজের পক্ষ থেকে অনেক বড় পুরস্কার দিয়ে থাকেন। বান্দাই বা কী আর তার ভালোবাসাই বা কী! এক বান্দা আরেক বান্দাকে ভালোবাসলে কতটুকুই বা বাসতে পারে? একজন আরেকজনের জন্য কী পরিমাণই বা খরচ করতে পারে? অথচ এর বিপরীতে তিনি বান্দাকে নিজ ভালোবাসার নিশ্চয়তা দান করেছেন। এ মহা নি'আমতের কারণে আমরা তাঁর কী শোকর আদায় করব?
প্রকাশ থাকে যে, পারস্পরিক মহব্বত, ওঠাবসা, দেখা-সাক্ষাত ও অর্থব্যয় যদি আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে হয়, তবে তাতে কোনওরকম সীমালঙ্ঘন হতে পারে না। তা হয় শরীআতের নির্দেশনা মোতাবেক। কাজেই এ বিষয়গুলো যাতে নিখুঁতভাবে কেবল আল্লাহ তাআলার জন্যই নিবেদিত থাকে, সে লক্ষ্যে শরীআতের সীমারেখা রক্ষা করে চলা অবশ্যকর্তব্য। খুব সাবধান থাকতে হবে যাতে এর কোনওটিতেই শরীআতের বরখেলাফ না হয়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. মহব্বত ও ভালোবাসা এবং দেখা-সাক্ষাত করা, ওঠাবসা করা ও টাকাপয়সা খরচ করার কাজগুলো কেবলই আল্লাহ তাআলার জন্য হওয়া উচিত, পার্থিব কোনও স্বার্থে নয়।
খ. এসব কাজ আল্লাহর জন্য হলে পুরস্কারস্বরূপ আল্লাহ তাআলার মহব্বত লাভ করা যায়। এরচে' বড় কোনও পুরস্কার হতে পারে না।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)