আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

১৫. অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়

হাদীস নং: ২৮০৩
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
ঋণ গ্রহণ থেকে ভীতি প্রদর্শন, ঋণ গ্রহীতা ও বিবাহ-ইচ্ছুক ব্যক্তিকে ঋণ পরিশোধের নিয়্যত রাখার প্রতি উৎসাহ দান এবং মৃত ব্যক্তির ঋণ সত্বর আদায় করা প্রসঙ্গে
২৮০৩. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম (ﷺ) এর নিকট জানাযা পড়ার জন্য একটি লাশ নিয়ে আসা হল। তিনি বললেনঃ তার যিম্মায় কি কোন ঋণ রয়েছে? লোকেরা বলল জ্বী, হ্যাঁ। নবী করীম (ﷺ) তখন বললেনঃ জিবরাঈল (আ) আমাকে ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জানাযা পড়তে নিষেধ করেছেন। অতঃপর বললেন, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি কবরে ঋণের দরুণ বন্দী অবস্থায় থাকে, যে পর্যন্ত না তার ঋণ আদায় করে দেয়া হয়।
(হাদীসটি আবূ ইয়ালা বর্ণনা করেছেন। তাবারানীও এটি নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেনঃ
আনাস বলেনঃ আমরা নবী করীম (ﷺ) এর নিকট ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তির জানাযা পড়ার জন্য তার লাশ নিয়ে আসা হল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এর যিম্মায় কি কোন ঋণ আছে? লোকেরা বলল, জ্বী হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ এমন ব্যক্তির জানাযা পড়লে তোমাদের কি লাভ হবে, যার রূহটি কবরে বন্দী অবস্থায় থাকে এবং তার রূহ আকাশের দিকে উড়ে যেতে পারে না? তবে তোমাদের কেউ যদি তার ঋণ পরিশোধের যামিন হয়, তবে আমি দাঁড়িয়ে যাব এবং তার জানাযা আদায় করে দেব। কেননা তখন আমার জানাযা পাঠ তার উপকারে আসবে।
(হাফিয বলেনঃ) নবী করীম (ﷺ) থেকে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি এক সময় ঋণগ্রস্থ ব্যক্তির জানাযা পড়তেন না। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এ বিধানটি রহিত হয়ে গিয়েছে।
যেমন মুসলিম প্রমুখ ইমামগণ হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকট কোন ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির শবদেহ (জানাযার জন্য) নিয়ে আসা হলে তিনি জিজ্ঞাসা করতেন, সে কি ঋণ পরিশোধের মত কিছু রেখে গিয়েছে? যদি বলা হতো যে, ঋণ আদায়ের মত সম্পদ সে রেখে গিয়েছে, তবে তিনি তার জানাযা পড়তেন। অন্যথায় বলতেন। তোমরা তোমাদের সাথীটির জানাযা পড়ে নাও। অতঃপর আল্লাহ্ যখন রাজ্য জয়ের মাধ্যমে তাঁকে বিস্তর সম্পদ দান করলেন, তখন তিনি বলতেনঃ আমি মু'মিনদের নিকট তাদের নিজেদের চেয়েও অধিকতর ঘনিষ্ট। অতএব যে ব্যক্তি ঋণগ্রস্থ অবস্থায় মারা যাবে, সে ঋণ পরিশোধ করা আমার দায়িত্ব হবে। আর যে ব্যক্তি সম্পদ রেখে যাবে, সে সম্পদ তার উত্তরাধিকারীদের জন্য থাকবে।)
كتاب البيوع
التَّرْهِيب من الدّين وترغيب المستدين والمتزوج أَن ينويا الْوَفَاء والمبادرة إِلَى قَضَاء دين الْمَيِّت
2803- وَرُوِيَ عَن أنس رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أُتِي بِجنَازَة ليُصَلِّي عَلَيْهَا قَالَ هَل عَلَيْهِ دين قَالُوا نعم فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن جِبْرِيل نهاني أَن أُصَلِّي على من عَلَيْهِ دين فَقَالَ إِن صَاحب الدّين مُرْتَهن فِي قَبره حَتَّى يقْضى عَنهُ دينه
رَوَاهُ أَبُو يعلى وَالطَّبَرَانِيّ وَلَفظه قَالَ كُنَّا عِنْد النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَأتي بِرَجُل يُصَلِّي عَلَيْهِ فَقَالَ هَل على صَاحبكُم دين قَالُوا نعم
قَالَ فَمَا ينفعكم أَن أُصَلِّي على رجل روحه مُرْتَهن فِي قَبره لَا تصعد روحه إِلَى السَّمَاء فَلَو ضمن رجل دينه قُمْت فَصليت عَلَيْهِ فَإِن صَلَاتي تَنْفَعهُ
قَالَ الْحَافِظ قد صَحَّ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه كَانَ لَا يُصَلِّي على الْمَدِين ثمَّ نسخ ذَلِك
فروى مُسلم وَغَيره من حَدِيث أبي هُرَيْرَة وَغَيره أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَانَ يُؤْتى بِالرجلِ الْمَيِّت عَلَيْهِ الدّين فَيسْأَل هَل ترك لدينِهِ قَضَاء فَإِن حدث أَنه ترك وَفَاء صلى عَلَيْهِ وَإِلَّا قَالَ صلوا على صَاحبكُم فَلَمَّا فتح الله عَلَيْهِ الْفتُوح قَالَ أَنا أولى بِالْمُؤْمِنِينَ من أنفسهم فَمن توفّي وَعَلِيهِ دين فعلي قَضَاؤُهُ وَمن ترك مَالا فلورثته
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান