আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
১৪. অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
হাদীস নং: ২৪৭৩
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
ফরয নামাযের পর কতিপয় আয়াত পাঠ ও যিকির আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
২৪৭৩. মুসলিমেরই অপর এক বর্ণনায় রয়েছেঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেক সালাতের পর তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশবার আলহামদু লিল্লাহ ও তেত্রিশবার আল্লাহু আকবর বলবে, এতে হবে নিরান্নব্বই। অতঃপর একশ পূর্ণ করার জন্য "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর" একবার পাঠ করবে, তার সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে-যদিও তা সাগরের ফেনার মত হয়।
এ হাদীসটি মালিক এবং ইবন খুযায়মা ও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এরূপই বর্ণনা করেছেন। তবে মালিক বলেছেনঃ সাগরের ফেনাতুল্য হলেও তার পাপসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।
আবু দাউদ ও এ হাদীসটি নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেছেনঃ হযরত আবু হুরায়রা (রা) বলেনঃ হযরত আবু যর (রা) বলেছিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ। সম্পদশালীরা তো সব পূণ্য নিয়ে গেল। কেননা তারা আমাদের মত সালাত আদায় ও সওম পালন করে। উপরন্তু তাদের রয়েছে অতিরিক্ত সম্পদ, যা তারা দান করে থাকে, অথচ আমাদের এমন সম্পদ নেই, যা আমরা দান করতে পারি। রাসূলুল্লাহ বললেনঃ হে আবু যর। আমি কি তোমাকে এমন কিছু বাক্য শিখিয়ে দিব না যার দ্বারা তুমি তোমার চেয়ে অগ্রগামীদেরকে ধরে ফেলতে পারবে এবং তোমার পিছনে থেকে যাওয়া ব্যক্তিটি তোমার নাগাল পাবে না? তবে কেউ যদি তোমার আমলের মত করে ফেলে থাকে, তবে তার কথা স্বতন্ত্র। হযরত আবু যর (রা) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অবশ্যই বলুন। তিনি তখন বললেন। প্রত্যেকবার সালাত অন্তে তেত্রিশবার আল্লাহু আকবর, তেত্রিশবার আলহামদু লিল্লাহ, তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ বলবে এবং "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, লা শরীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর" দিয়ে এটি শেষ করবে। তোমার গুনাহ সাগরের ফেনা পরিমাণ হলেও তা মার্জনা করে দেয়া হবে।
হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং হাসান বলে মন্তব্য করেছেন। নাসাঈও এটি ইবন আব্বাসের হাদীসরূপে বর্ণনা করেছেন। তাঁরা অবশ্য এ হাদীসে এও বলেছেনঃ
তোমরা যখন সালাত সমাপ্ত করবে, তখন তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশবার আলহামদু লিল্লাহ, চৌত্রিশবার আল্লাহু আকবর এবং দশবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলবে। এতে তোমরা তোমাদের অগ্রবর্তীদেরকে ধরে ফেলবে এবং তোমাদের পিছনের কেউ তোমাদের চেয়ে অগ্রগামী হতে পারবে না।
এ হাদীসটি মালিক এবং ইবন খুযায়মা ও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এরূপই বর্ণনা করেছেন। তবে মালিক বলেছেনঃ সাগরের ফেনাতুল্য হলেও তার পাপসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।
আবু দাউদ ও এ হাদীসটি নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেছেনঃ হযরত আবু হুরায়রা (রা) বলেনঃ হযরত আবু যর (রা) বলেছিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ। সম্পদশালীরা তো সব পূণ্য নিয়ে গেল। কেননা তারা আমাদের মত সালাত আদায় ও সওম পালন করে। উপরন্তু তাদের রয়েছে অতিরিক্ত সম্পদ, যা তারা দান করে থাকে, অথচ আমাদের এমন সম্পদ নেই, যা আমরা দান করতে পারি। রাসূলুল্লাহ বললেনঃ হে আবু যর। আমি কি তোমাকে এমন কিছু বাক্য শিখিয়ে দিব না যার দ্বারা তুমি তোমার চেয়ে অগ্রগামীদেরকে ধরে ফেলতে পারবে এবং তোমার পিছনে থেকে যাওয়া ব্যক্তিটি তোমার নাগাল পাবে না? তবে কেউ যদি তোমার আমলের মত করে ফেলে থাকে, তবে তার কথা স্বতন্ত্র। হযরত আবু যর (রা) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অবশ্যই বলুন। তিনি তখন বললেন। প্রত্যেকবার সালাত অন্তে তেত্রিশবার আল্লাহু আকবর, তেত্রিশবার আলহামদু লিল্লাহ, তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ বলবে এবং "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, লা শরীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর" দিয়ে এটি শেষ করবে। তোমার গুনাহ সাগরের ফেনা পরিমাণ হলেও তা মার্জনা করে দেয়া হবে।
হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং হাসান বলে মন্তব্য করেছেন। নাসাঈও এটি ইবন আব্বাসের হাদীসরূপে বর্ণনা করেছেন। তাঁরা অবশ্য এ হাদীসে এও বলেছেনঃ
তোমরা যখন সালাত সমাপ্ত করবে, তখন তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশবার আলহামদু লিল্লাহ, চৌত্রিশবার আল্লাহু আকবর এবং দশবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলবে। এতে তোমরা তোমাদের অগ্রবর্তীদেরকে ধরে ফেলবে এবং তোমাদের পিছনের কেউ তোমাদের চেয়ে অগ্রগামী হতে পারবে না।
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي آيَات وأذكار بعد الصَّلَوَات المكتوبات
2473- وَفِي رِوَايَة لمُسلم أَيْضا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من سبح فِي دبر كل صَلَاة ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وَحمد الله ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وَكبر الله ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ فَتلك تِسْعَة وَتسْعُونَ ثمَّ قَالَ تَمام الْمِائَة لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد وَهُوَ على كل شَيْء قدير غفرت لَهُ خطاياه وَإِن كَانَت مثل زبد الْبَحْر
وَرَوَاهُ مَالك وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه بِلَفْظ هَذِه إِلَّا أَن مَالِكًا قَالَ غفرت لَهُ ذنُوبه وَلَو كَانَت مثل زبد الْبَحْر
وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَلَفظه قَالَ أَبُو هُرَيْرَة قَالَ أَبُو ذَر يَا رَسُول الله ذهب أَصْحَاب الدُّثُور بِالْأُجُورِ يصلونَ كَمَا نصلي وَيَصُومُونَ كَمَا نَصُوم وَلَهُم فضل أَمْوَال يتصدقون بهَا وَلَيْسَ لنا مَال نتصدق بِهِ فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا أَبَا ذَر أَلا أعلمك كَلِمَات تدْرك بهَا من سَبَقَك وَلَا يلحقك من خَلفك إِلَّا من أَخذ بِمثل عَمَلك قَالَ بلَى يَا رَسُول الله
قَالَ تكبر الله دبر كل صَلَاة ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وَتَحْمَدهُ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وتسبحه ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وتختمها بِلَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد وَهُوَ على كل شَيْء قدير غفرت ذنوبك وَلَو كَانَت مثل زبد الْبَحْر
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَحسنه وَالنَّسَائِيّ من حَدِيث ابْن عَبَّاس نَحوه
وَقَالا فِيهِ فَإِذا صليتم فَقولُوا سُبْحَانَ الله ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ مرّة وَالْحَمْد لله ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ مرّة وَالله أكبر أَرْبعا وَثَلَاثِينَ مرّة وَلَا إِلَه إِلَّا الله عشر مَرَّات فَإِنَّكُم تدركون من سبقكم وَلَا يسبقكم من بعدكم
وَرَوَاهُ مَالك وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه بِلَفْظ هَذِه إِلَّا أَن مَالِكًا قَالَ غفرت لَهُ ذنُوبه وَلَو كَانَت مثل زبد الْبَحْر
وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَلَفظه قَالَ أَبُو هُرَيْرَة قَالَ أَبُو ذَر يَا رَسُول الله ذهب أَصْحَاب الدُّثُور بِالْأُجُورِ يصلونَ كَمَا نصلي وَيَصُومُونَ كَمَا نَصُوم وَلَهُم فضل أَمْوَال يتصدقون بهَا وَلَيْسَ لنا مَال نتصدق بِهِ فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا أَبَا ذَر أَلا أعلمك كَلِمَات تدْرك بهَا من سَبَقَك وَلَا يلحقك من خَلفك إِلَّا من أَخذ بِمثل عَمَلك قَالَ بلَى يَا رَسُول الله
قَالَ تكبر الله دبر كل صَلَاة ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وَتَحْمَدهُ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وتسبحه ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وتختمها بِلَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد وَهُوَ على كل شَيْء قدير غفرت ذنوبك وَلَو كَانَت مثل زبد الْبَحْر
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَحسنه وَالنَّسَائِيّ من حَدِيث ابْن عَبَّاس نَحوه
وَقَالا فِيهِ فَإِذا صليتم فَقولُوا سُبْحَانَ الله ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ مرّة وَالْحَمْد لله ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ مرّة وَالله أكبر أَرْبعا وَثَلَاثِينَ مرّة وَلَا إِلَه إِلَّا الله عشر مَرَّات فَإِنَّكُم تدركون من سبقكم وَلَا يسبقكم من بعدكم
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছ দ্বারা সাহাবায়ে কিরামের ছাওয়াব ও পুণ্যার্জনের কী তীব্র আকাঙ্ক্ষা ছিল তা অনুমান করা যায়। তখন গরীবগণ পুণ্যার্জনের সকল ক্ষেত্রে ধনীদের পাশাপাশি ছিল। কিন্তু ধনীগণ দান-সদাকার মাধ্যমে যে ছাওয়াব অর্জন করতেন তা করতে না পারার কারণে গরীব সাহাবীদের মনে আক্ষেপ ছিল। এ হাদীছে তাঁরা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে সে আক্ষেপের কথাই প্রকাশ করেছেন এবং জানতে চেয়েছেন কিভাবে তাঁরা তাঁদের এ কমতিটুকু পূরণ করতে পারেন। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গরীব সাহাবীদের সে আক্ষেপের কদর করেন এবং মমতাভরে তাদেরকে উপায় বাতলে দেন, যা এ হাদীছে বর্ণিত হয়েছে।
এ হাদীছেও তাসবীহ, তাহলীল ইত্যাদিকে সদাকা সাব্যস্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহর পথে দানখয়রাত করলে যে ছাওয়াব পাওয়া যায়, এর মাধ্যমেও তেমনি ছাওয়াব পাওয়া যায়। কাজেই যাদের বেশি টাকাপয়সা নেই, সেই গরীবগণ বেশি বেশি তাসবীহ-তাহলীল ও যিকর-আযকারের মাধ্যমে দান-সদাকার দ্বারা পুণ্য অর্জন করতে না পারার প্রতিকার করতে পারে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ হাদীছে গরীব সাহাবীদেরকে সে পথই দেখিয়েছেন।
বলা হয়েছে স্ত্রী সহবাসেও সদাকার ছাওয়াব হয়। এটা প্রমাণ করে সহীহ নিয়ত দ্বারা মুবাহ কাজও 'ইবাদতে পরিণত হয়। স্ত্রী সহবাসে যদি স্ত্রীর হক আদায় করা, নিজ চরিত্রের হেফাজত করা, স্ত্রীর চরিত্রের হেফাজত করা, তাদের উভয়ের নজরের হেফাজত করা এবং সুসন্তান কামনা করার নিয়ত থাকে, তবে এটা কেবল একটা পার্থিব কাজ হিসেবেই থেকে যায় না; বরং 'ইবাদতের মর্যাদা লাভ করে। এই একই কথা পানাহার করা, হাট-বাজারে যাওয়া, বেচাকেনা করা, চাষাবাদ করা এমনকি বিশ্রাম করার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ইখলাস ও সহীহ নিয়তের দ্বারা যে-কোনও পার্থিব কাজ, যদি তা শরী'আতসম্মত পন্থায় করা হয়, তবে ‘ইবাদতে পরিণত হয়ে যায় এবং তার বিনিময়ে প্রভূত ছাওয়াব অর্জন করা যায়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ দ্বারা জানা যায় সাহাবায়ে কিরামের অন্তরে ছাওয়াব হাসিলের আকাঙ্ক্ষা কত তীব্র ছিল। অনুরূপ আকাঙ্ক্ষা যাতে আমাদের অন্তরেও এসে যায়, আমাদের উচিত সে উপায় খোঁজা।
খ. গরীবদের উচিত দান-সদাকা করতে না পারার কারণে আক্ষেপ না করে যিকর ও তিলাওয়াত দ্বারা তার প্রতিকারে সচেষ্ট থাকা।
গ. যে-কোনও মুবাহ কাজ ইখলাস ও নেক নিয়তের সাথে করা উচিত। তাতেও "ইবাদতের ছাওয়াব হবে।
এ হাদীছেও তাসবীহ, তাহলীল ইত্যাদিকে সদাকা সাব্যস্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহর পথে দানখয়রাত করলে যে ছাওয়াব পাওয়া যায়, এর মাধ্যমেও তেমনি ছাওয়াব পাওয়া যায়। কাজেই যাদের বেশি টাকাপয়সা নেই, সেই গরীবগণ বেশি বেশি তাসবীহ-তাহলীল ও যিকর-আযকারের মাধ্যমে দান-সদাকার দ্বারা পুণ্য অর্জন করতে না পারার প্রতিকার করতে পারে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ হাদীছে গরীব সাহাবীদেরকে সে পথই দেখিয়েছেন।
বলা হয়েছে স্ত্রী সহবাসেও সদাকার ছাওয়াব হয়। এটা প্রমাণ করে সহীহ নিয়ত দ্বারা মুবাহ কাজও 'ইবাদতে পরিণত হয়। স্ত্রী সহবাসে যদি স্ত্রীর হক আদায় করা, নিজ চরিত্রের হেফাজত করা, স্ত্রীর চরিত্রের হেফাজত করা, তাদের উভয়ের নজরের হেফাজত করা এবং সুসন্তান কামনা করার নিয়ত থাকে, তবে এটা কেবল একটা পার্থিব কাজ হিসেবেই থেকে যায় না; বরং 'ইবাদতের মর্যাদা লাভ করে। এই একই কথা পানাহার করা, হাট-বাজারে যাওয়া, বেচাকেনা করা, চাষাবাদ করা এমনকি বিশ্রাম করার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ইখলাস ও সহীহ নিয়তের দ্বারা যে-কোনও পার্থিব কাজ, যদি তা শরী'আতসম্মত পন্থায় করা হয়, তবে ‘ইবাদতে পরিণত হয়ে যায় এবং তার বিনিময়ে প্রভূত ছাওয়াব অর্জন করা যায়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ দ্বারা জানা যায় সাহাবায়ে কিরামের অন্তরে ছাওয়াব হাসিলের আকাঙ্ক্ষা কত তীব্র ছিল। অনুরূপ আকাঙ্ক্ষা যাতে আমাদের অন্তরেও এসে যায়, আমাদের উচিত সে উপায় খোঁজা।
খ. গরীবদের উচিত দান-সদাকা করতে না পারার কারণে আক্ষেপ না করে যিকর ও তিলাওয়াত দ্বারা তার প্রতিকারে সচেষ্ট থাকা।
গ. যে-কোনও মুবাহ কাজ ইখলাস ও নেক নিয়তের সাথে করা উচিত। তাতেও "ইবাদতের ছাওয়াব হবে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)