আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
১৩. অধ্যায়ঃ কুরআন পাঠ
হাদীস নং: ২২৪৯
অধ্যায়ঃ কুরআন পাঠ
সূরা ফাতিহা পাঠের প্রতি উৎসাহদান এবং এর ফযীলত প্রসঙ্গ
২২৪৯. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, মহান আল্লাহ বলেছেনঃ আমি সালাতকে আমার ও আমার বান্দার মধ্যে দু'ভাগে বণ্টন করে দিয়েছি। আর বান্দা যা চাইবে, সে তা পাবে। অন্য বর্ণনায়ঃ এর অর্ধেক আমার জন্য ও বাকী অর্ধেক আমার বান্দার জন্য। বান্দা যখন বলে, সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য, আল্লাহ তখন বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করল। সে যখন বলে, যিনি অতিশয় দয়ালু ও পরম করুণাময়, আল্লাহ তখন বলেন, আমার বান্দা আমার গুণকীর্তন করল। বান্দা যখন বলে, বিচার দিবসের মালিক, আল্লাহ তখন বলেন, আমার বান্দা আমার চরম মহত্ব প্রকাশ করল। আতঃপর বান্দা যখন বলে, আমরা কেবল তোমারই ইবাদত করি এবং তোমারই নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি, আল্লাহ তখন বলেন, এটি হল আমার ও আমার বান্দার মধ্যকার ব্যাপার। আর আমার বান্দা যা চেয়েছে, তাই সে পাবে। তারপর সে যখন বলে, আমাদেরকে সঠিক পথের সন্ধান দাও- তাদের পথে যাদেরকে তুমি পুরস্কৃত করেছ- ওদের পথ নয়, যারা অভিশপ্ত এবং ওদের পথেও নয় যারা পথভ্রষ্ট, আল্লাহ্ তখন বলেন, এটি হল আমার বান্দার জন্য। আর আমার বান্দা যা চেয়েছে তাই সে পাবে।*
(হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। (সংকলক) হাফিয বলেনঃ 'আমি নামাযকে বণ্টন করেছি।' এখানে নামায বলতে সূরা ফাতিহা বুঝানো, হয়েছে। পরবর্তী ব্যাখ্যাই এর প্রমাণ। অনেক সময় কিরাআতকেই নামায বলে দেয়া হয়। কেননা কিরাআত নামাযের একটি অংশবিশেষ। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।)
*বান্দার বক্তব্যরূপ এখানে সুরায়ে ফাতিহার সাতটি আয়াতের তরজমা এ হাদীসের অনুবাদে স্থান পেয়েছে। প্রতিটি আয়াত বান্দা তিলাওয়াতের সাথে সাথে আল্লাহর পক্ষ থেকে জবাবরূপ এরূপ বলা হয়ে থাকে।
(হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। (সংকলক) হাফিয বলেনঃ 'আমি নামাযকে বণ্টন করেছি।' এখানে নামায বলতে সূরা ফাতিহা বুঝানো, হয়েছে। পরবর্তী ব্যাখ্যাই এর প্রমাণ। অনেক সময় কিরাআতকেই নামায বলে দেয়া হয়। কেননা কিরাআত নামাযের একটি অংশবিশেষ। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।)
*বান্দার বক্তব্যরূপ এখানে সুরায়ে ফাতিহার সাতটি আয়াতের তরজমা এ হাদীসের অনুবাদে স্থান পেয়েছে। প্রতিটি আয়াত বান্দা তিলাওয়াতের সাথে সাথে আল্লাহর পক্ষ থেকে জবাবরূপ এরূপ বলা হয়ে থাকে।
كتاب قِرَاءَة الْقُرْآن
التَّرْغِيب فِي قِرَاءَة سُورَة الْفَاتِحَة وَمَا جَاءَ فِي فَضلهَا
2249- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول قَالَ الله تَعَالَى قسمت الصَّلَاة بيني وَبَين عَبدِي نِصْفَيْنِ ولعبدي مَا سَأَلَ
وَفِي رِوَايَة فنصفها لي وَنِصْفهَا لعبدي فَإِذا قَالَ العَبْد {الْحَمد لله رب الْعَالمين} قَالَ الله حمدني عَبدِي فَإِذا قَالَ الرَّحْمَن الرَّحِيم قَالَ أثنى عَليّ عَبدِي فَإِذا قَالَ {مَالك يَوْم الدّين} قَالَ مجدني عَبدِي فَإِذا قَالَ {إياك نعْبد وَإِيَّاك نستعين} قَالَ هَذَا بيني وَبَين عَبدِي ولعبدي مَا سَأَلَ فَإِذا قَالَ اهدنا الصِّرَاط الْمُسْتَقيم صِرَاط الَّذين أَنْعَمت عَلَيْهِم غير المغضوب عَلَيْهِم وَلَا الضَّالّين
قَالَ هَذَا لعبدي ولعبدي مَا سَأَلَ
رَوَاهُ مُسلم
قَوْله قسمت الصَّلَاة يَعْنِي الْقِرَاءَة بِدَلِيل تَفْسِيره بهَا وَقد تسمى الْقِرَاءَة صَلَاة لكَونهَا جُزْءا من أَجْزَائِهَا وَالله أعلم
وَفِي رِوَايَة فنصفها لي وَنِصْفهَا لعبدي فَإِذا قَالَ العَبْد {الْحَمد لله رب الْعَالمين} قَالَ الله حمدني عَبدِي فَإِذا قَالَ الرَّحْمَن الرَّحِيم قَالَ أثنى عَليّ عَبدِي فَإِذا قَالَ {مَالك يَوْم الدّين} قَالَ مجدني عَبدِي فَإِذا قَالَ {إياك نعْبد وَإِيَّاك نستعين} قَالَ هَذَا بيني وَبَين عَبدِي ولعبدي مَا سَأَلَ فَإِذا قَالَ اهدنا الصِّرَاط الْمُسْتَقيم صِرَاط الَّذين أَنْعَمت عَلَيْهِم غير المغضوب عَلَيْهِم وَلَا الضَّالّين
قَالَ هَذَا لعبدي ولعبدي مَا سَأَلَ
رَوَاهُ مُسلم
قَوْله قسمت الصَّلَاة يَعْنِي الْقِرَاءَة بِدَلِيل تَفْسِيره بهَا وَقد تسمى الْقِرَاءَة صَلَاة لكَونهَا جُزْءا من أَجْزَائِهَا وَالله أعلم