আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
১২. অধ্যায়ঃ জিহাদ
হাদীস নং: ২১৪৪
শাহাদতের উৎসাহ দান ও শহীদের ফযীলত প্রসঙ্গে
২১৪৪. মুজাহিদ সূত্রে হযরত ইয়াযীদ ইবন শাজারা (রা) থেকে বর্ণিত। ইয়াযীদ ইবন শাজারা ছিলেন সেই ব্যক্তি যাঁর কাজ তাঁর কথার সত্যতা প্রমাণ করত। তিনি একবার ভাষণে আমাদেরকে বললেনঃ হে লোক সকল। আল্লাহ্ তোমাদের কত সুন্দর নিয়ামত দান করেছেন। তোমরা আল্লাহর এসব নিয়ামতের কথা স্মরণ কর। এসব নিয়ামতের মধ্যে দেখা যায়, সবুজ, লাল ও হলুদ। আর পুরুষদের জন্য সেখানে কতই না বিচিত্র নিয়ামত রয়েছে। তিনি বলতেন, যখন মানুষ সালাতের জন্য এবং জিহাদের জন্য সারিবদ্ধ হয়, তখন আসমানে ও জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। জান্নাতী আয়তলোচনা হুরদেরকে সুসজ্জিত করা হয় এবং তারা উঁকি দেয়। যখন লোকটি জিহাদের জন্য অগ্রসর হয়, তখন তারা বলতে থাকে, হে আল্লাহ্। তাকে সাহায্য কর। আর যখন লোকটি পশ্চাদপসরণ করে, তখন তারা পর্দার অন্তরালে চলে যায়, আর বলে, হে আল্লাহ্। তাকে মাফ কর। অতএব তোমরা শত্রুর মুখে প্রচণ্ড আঘাত হানো। তোমাদের জন্য আমার পিতামাতা উৎসর্গিত হোন। তোমরা আয়তলোচনা হুরদেরকে অপমানিত করো না। কেননা প্রথম যে রক্তের ফোঁটাটি প্রবাহিত হয়, এরদ্বারাই তারকৃত সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। জান্নাতী আয়তলোচনা হুর তার দিকে এগিয়ে এসে তার চেহারার ধূলিবালি পরিষ্কার করে দেয়। তারা বলে, তোমার জন্য আমরা উৎসর্গিত। লোকটি বলে, আমিও তোমাদের জন্য উৎসর্গিত। তারপর মানুষের তৈরি পোশাকের অনুরূপ একশ পোশাক তাকে পরিয়ে দেয়া হয় কিন্তু আসলে এগুলো বেহেশতী পোশাক। যদি এগুলো দু'আঙ্গুলের ভিতর রাখা হয়, তবে রাখা যাবে।* তিনি বলতেন, আমি জ্ঞাত হয়েছি যে, তরবারি হলো জান্নাতের চাবিকাঠি।
(হাদীসটি তাবারানী দু'টি সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তন্মধ্যে একটি সূত্র বিশুদ্ধ। বায়হাকীও 'পুনরুত্থান অধ্যায়ে' হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেনঃ
জিহাদের মধ্যে তোমাদের শরীর থেকে প্রথম যে রক্তের ফোঁটাটি পতিত হয়, আল্লাহ্ এরদ্বারাই সকল গুনাহ ঝরিয়ে দেন, যেমন করে গাছের পাতা ঝরে পড়ে। দু'জন আয়তলোচনা হুর তার দিকে দ্রুত এগিয়ে আসে এবং তার চেহারার ধূলিবালি ঝেড়ে পরিষ্কার করে। তারা বলতে থাকে, আমরা তোমার জন্য নিবেদিতা। সে লোকটি বলে, আমিও তোমাদের জন্য নিবেদিত। তারপর তাকে একশ'টি বেহেশতী পোশাক পরিয়ে দেয়া হয়। যদি এগুলো কেউ দু'আঙ্গুলের ভিতর রেখে দিতে ইচ্ছা করে, তা সে অনায়াসেই পারবে। তবে সেগুলো মানুষের বানানো কাপড় নয়, বেহেশতের তৈরি। তোমাদের নাম-ধাম আল্লাহর কাছে লিখা থাকে।
(হাদীসটি বাযযার বর্ণনা করেছেন। তাবারানীও ইয়াযীদ ইব্ন শাজারা থেকে সংক্ষিপ্তাকারে মারফূ‘ সূত্রে হাদীসটি উদ্বৃত করেছেন। জুদান সূত্রেও এটি মারফূ‘ পদ্ধতিতে বর্ণিত হয়েছে। তবে মাওকুফ বর্ণনাটিই শুদ্ধ। এখানে বলা যায় যে এরূপ বক্তব্য যেহেতু মনগড়াভাবে দেয়া যায় না, তাই মাওকুফ হলেও এটি অর্থগত দিক দিয়ে মারফূ‘ বলেই গণ্য হবে।)
* বেহেশতী বন্ত্রের সূক্ষ্মতা বুঝানো এ কথা বলার উদ্দেশ্যে।
(হাদীসটি তাবারানী দু'টি সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তন্মধ্যে একটি সূত্র বিশুদ্ধ। বায়হাকীও 'পুনরুত্থান অধ্যায়ে' হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেনঃ
জিহাদের মধ্যে তোমাদের শরীর থেকে প্রথম যে রক্তের ফোঁটাটি পতিত হয়, আল্লাহ্ এরদ্বারাই সকল গুনাহ ঝরিয়ে দেন, যেমন করে গাছের পাতা ঝরে পড়ে। দু'জন আয়তলোচনা হুর তার দিকে দ্রুত এগিয়ে আসে এবং তার চেহারার ধূলিবালি ঝেড়ে পরিষ্কার করে। তারা বলতে থাকে, আমরা তোমার জন্য নিবেদিতা। সে লোকটি বলে, আমিও তোমাদের জন্য নিবেদিত। তারপর তাকে একশ'টি বেহেশতী পোশাক পরিয়ে দেয়া হয়। যদি এগুলো কেউ দু'আঙ্গুলের ভিতর রেখে দিতে ইচ্ছা করে, তা সে অনায়াসেই পারবে। তবে সেগুলো মানুষের বানানো কাপড় নয়, বেহেশতের তৈরি। তোমাদের নাম-ধাম আল্লাহর কাছে লিখা থাকে।
(হাদীসটি বাযযার বর্ণনা করেছেন। তাবারানীও ইয়াযীদ ইব্ন শাজারা থেকে সংক্ষিপ্তাকারে মারফূ‘ সূত্রে হাদীসটি উদ্বৃত করেছেন। জুদান সূত্রেও এটি মারফূ‘ পদ্ধতিতে বর্ণিত হয়েছে। তবে মাওকুফ বর্ণনাটিই শুদ্ধ। এখানে বলা যায় যে এরূপ বক্তব্য যেহেতু মনগড়াভাবে দেয়া যায় না, তাই মাওকুফ হলেও এটি অর্থগত দিক দিয়ে মারফূ‘ বলেই গণ্য হবে।)
* বেহেশতী বন্ত্রের সূক্ষ্মতা বুঝানো এ কথা বলার উদ্দেশ্যে।
التَّرْغِيب فِي الشَّهَادَة وَمَا جَاءَ فِي فضل الشُّهَدَاء
2144- وَعَن مُجَاهِد عَن يزِيد بن شَجَرَة وَكَانَ يزِيد بن شَجَرَة رَضِي الله عَنهُ مِمَّن يصدق قَوْله فعله خَطَبنَا فَقَالَ يَا أَيهَا النَّاس اذْكروا نعْمَة الله عَلَيْكُم مَا أحسن نعْمَة الله عَلَيْكُم ترى من بَين أَخْضَر وأحمر وأصفر وَفِي الرِّجَال مَا فِيهَا وَكَانَ يَقُول إِذا صف النَّاس للصَّلَاة وصفوا لِلْقِتَالِ فتحت أَبْوَاب السَّمَاء وأبواب الْجنَّة وغلقت أَبْوَاب النَّار وزين الْحور الْعين واطلعن فَإِذا أقبل الرجل قُلْنَ اللَّهُمَّ انصره وَإِذا أدبر احْتَجِبْنَ مِنْهُ وقلن اللَّهُمَّ اغْفِر لَهُ فانهكوا وُجُوه الْقَوْم فدى لكم أبي وَأمي وَلَا تخزوا الْحور الْعين فَإِن أول قَطْرَة تنضح من دَمه تكفر عَنهُ كل شَيْء عمله وَينزل إِلَيْهِ زوجتان من الْحور الْعين يمسحان التُّرَاب عَن وَجهه ويقولان فدانا لَك وَيَقُول فدانا لَكمَا ثمَّ يكسى مائَة حلَّة من نسج بني آدم وَلَكِن من نبت الْجنَّة لَو وضعن بَين أصبعين لوسعن وَكَانَ يَقُول نبئت أَن السيوف مَفَاتِيح الْجنَّة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ من طَرِيقين إِحْدَاهمَا جَيِّدَة صَحِيحَة وَالْبَيْهَقِيّ فِي كتاب الْبَعْث إِلَّا أَنه قَالَ فَإِن أول قَطْرَة تقطر من دم أحدكُم يحط الله عَنهُ بهَا خطاياه كَمَا يحط الْغُصْن من ورق الشّجر وتبتدره اثْنَتَانِ من الْحور الْعين وتمسحان التُّرَاب عَن وَجهه ويقولان فدانا لَك وَيَقُول فدانا لَكمَا فيكسى مائَة حلَّة لَو وضعت بَين أُصْبُعِي هَاتين لوسعتاهما لَيست من نسج بني آدم وَلكنهَا من نَبَات الْجنَّة مكتوبون عِنْد الله بأسمائكم وسماتكم
الحَدِيث
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ أَيْضا عَن يزِيد بن شَجَرَة مَرْفُوعا مُخْتَصرا وَعَن جدان أَيْضا مَرْفُوعا وَالصَّحِيح الْمَوْقُوف مَعَ أَنه قد يُقَال إِن مثل هَذَا لَا يُقَال من قبل الرَّأْي فسبيل الْمَوْقُوف فِيهِ سَبِيل الْمَرْفُوع وَالله أعلم
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ من طَرِيقين إِحْدَاهمَا جَيِّدَة صَحِيحَة وَالْبَيْهَقِيّ فِي كتاب الْبَعْث إِلَّا أَنه قَالَ فَإِن أول قَطْرَة تقطر من دم أحدكُم يحط الله عَنهُ بهَا خطاياه كَمَا يحط الْغُصْن من ورق الشّجر وتبتدره اثْنَتَانِ من الْحور الْعين وتمسحان التُّرَاب عَن وَجهه ويقولان فدانا لَك وَيَقُول فدانا لَكمَا فيكسى مائَة حلَّة لَو وضعت بَين أُصْبُعِي هَاتين لوسعتاهما لَيست من نسج بني آدم وَلكنهَا من نَبَات الْجنَّة مكتوبون عِنْد الله بأسمائكم وسماتكم
الحَدِيث
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ أَيْضا عَن يزِيد بن شَجَرَة مَرْفُوعا مُخْتَصرا وَعَن جدان أَيْضا مَرْفُوعا وَالصَّحِيح الْمَوْقُوف مَعَ أَنه قد يُقَال إِن مثل هَذَا لَا يُقَال من قبل الرَّأْي فسبيل الْمَوْقُوف فِيهِ سَبِيل الْمَرْفُوع وَالله أعلم
