আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
১১. অধ্যায়ঃ হজ্জ
হাদীস নং: ১৮১২
অধ্যায়ঃ হজ্জ
আরাফা ও মুযদালিফায় অবস্থান করার প্রতি উৎসাহ দান ও আরাফা দিবসের ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮১২. আবু সুলামান দারানী (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত আলী (রা)-কে প্রশ্ন করা হল যে, আরাফায় কেন অবস্থান করতে হয় এবং এটি হারাম শরীফের সীমানায় কেন হয় না? তিনি বললেন, কা'বা হল আল্লাহর ঘর। আর হারাম শরীফ আল্লাহর দরজা। অতএব মানুষ যখন আল্লাহর উদ্দেশ্যে আসে, তখন তিনি তাদেরকে দরজার কাছে কান্নাকাটি করে অবস্থান করতে বলেন। প্রশ্ন করা হল, হে আমীরুল মু'মিনীন। মুযদালিফায় অবস্থান কিসের জন্য ? তিনি বললেন, লোকদেরকে যখন তাঁর কাছে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হল, তখন দ্বিতীয় আর একটি পর্দা দ্বারা তাদেরকে দাঁড় করিয়ে রাখলেন। আর এটিই হল মুযদালিফা। তারপর তাদের কান্নাকাটি যখন দীর্ঘ সময় পর্যন্ত চলতে থাকল, তখন মিনায় কুরবানী করে নৈকট্যলাভের অনুমতি দিলেন। পরে যখন তারা নিজেদের দেহের ময়লা দূর করে এবং কুরবানী করে গুনাহ থেকে পাক হয়ে গেল, তখন পাক অবস্থায় তাদেরকে যিয়ারতের অনুমতি দিলেন।
প্রশ্ন করা হল, হে আমীরুল মু'মিনীন। আইয়ামে তাশরীকে রোযা রাখা কেন হারাম করা হল? তিনি বললেন, লোকগুলো আল্লাহর যিয়ারতে এসেছে, আর তারা তখন তাঁরই যিয়াফতে। আর কোন মেহমানের জন্য যে মেজবান তাকে যিয়াফত করে এনেছে, তার অনুমতি ব্যতীত রোযা রাখা বৈধ নয়।
প্রশ্ন করা হল, হে আমীরুল মু'মিনীন। কোন ব্যক্তির কা'বার গিলাফকে জড়িয়ে ধরার কি অর্থ? তিনি বললেন, এটি হল এমন, যেমন কোন ব্যক্তি অন্যের কাছে কোন অপরাধ করে ফেললে তার কাপড় জড়িয়ে ধরে, তার শরণ নেয় এবং বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে, যাতে করে সে তার অপরাধ মার্জনা করে দেয়।
(হাদীসটি বায়হাকী প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ এভাবে মুনকাতি পদ্ধতিতে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী এটিকে যুন্নন মিসরীর ভাষ্য হিসেবেও বর্ণনা করেছেন। আমার কাছে এটিই বিশুদ্ধতর মনে হয়। আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।)
প্রশ্ন করা হল, হে আমীরুল মু'মিনীন। আইয়ামে তাশরীকে রোযা রাখা কেন হারাম করা হল? তিনি বললেন, লোকগুলো আল্লাহর যিয়ারতে এসেছে, আর তারা তখন তাঁরই যিয়াফতে। আর কোন মেহমানের জন্য যে মেজবান তাকে যিয়াফত করে এনেছে, তার অনুমতি ব্যতীত রোযা রাখা বৈধ নয়।
প্রশ্ন করা হল, হে আমীরুল মু'মিনীন। কোন ব্যক্তির কা'বার গিলাফকে জড়িয়ে ধরার কি অর্থ? তিনি বললেন, এটি হল এমন, যেমন কোন ব্যক্তি অন্যের কাছে কোন অপরাধ করে ফেললে তার কাপড় জড়িয়ে ধরে, তার শরণ নেয় এবং বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে, যাতে করে সে তার অপরাধ মার্জনা করে দেয়।
(হাদীসটি বায়হাকী প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ এভাবে মুনকাতি পদ্ধতিতে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী এটিকে যুন্নন মিসরীর ভাষ্য হিসেবেও বর্ণনা করেছেন। আমার কাছে এটিই বিশুদ্ধতর মনে হয়। আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْوُقُوف بِعَرَفَة والمزدلفة وَفضل يَوْم عَرَفَة
1812- وَعَن أبي سُلَيْمَان الدراني قَالَ سُئِلَ عَليّ بن أبي طَالب رَضِي الله عَنهُ عَن الْوُقُوف بِالْجَبَلِ وَلم لم يكن فِي الْحرم
قَالَ لَان الْكَعْبَة بَيت الله وَالْحرم بَاب الله فَلَمَّا قصدوه وافدين أوقفهم بِالْبَابِ يَتَضَرَّعُونَ
قيل يَا أَمِير الْمُؤمنِينَ فالوقوف بالمشعر الْحَرَام قَالَ لِأَنَّهُ لما أذن لَهُم بِالدُّخُولِ إِلَيْهِ وقفهم بالحجاب الثَّانِي وَهُوَ الْمزْدَلِفَة فَلَمَّا أَن طَال تضرعهم أذن لَهُم بتقريب قُرْبَانهمْ بمنى
فَلَمَّا أَن قضوا تفثهم وقربوا قُرْبَانهمْ فتطهروا بهَا من الذُّنُوب الَّتِي كَانَت عَلَيْهِم أذن لَهُم بالزيارة إِلَيْهِ على الطَّهَارَة
قيل يَا أَمِير الْمُؤمنِينَ فَمن أَيْن حرم الصّيام أَيَّام التَّشْرِيق قَالَ لَان الْقَوْم زوار الله وهم فِي ضيافته وَلَا يجوز للضيف أَن يَصُوم دون إِذن من أَضَافَهُ
قيل يَا أَمِير الْمُؤمنِينَ فَتعلق الرجل بِأَسْتَارِ الْكَعْبَة لاي معنى هُوَ قَالَ هُوَ مثل الرجل بَينه وَبَين صَاحبه جِنَايَة فَيتَعَلَّق بِثَوْبِهِ ويتنصل إِلَيْهِ ويتخدع لَهُ ليهب لَهُ جِنَايَته
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ وَغَيره هَكَذَا مُنْقَطِعًا وَرَوَاهُ أَيْضا عَن ذِي النُّون من قَوْله وَهُوَ عِنْدِي أشبه وَالله أعلم
قَالَ لَان الْكَعْبَة بَيت الله وَالْحرم بَاب الله فَلَمَّا قصدوه وافدين أوقفهم بِالْبَابِ يَتَضَرَّعُونَ
قيل يَا أَمِير الْمُؤمنِينَ فالوقوف بالمشعر الْحَرَام قَالَ لِأَنَّهُ لما أذن لَهُم بِالدُّخُولِ إِلَيْهِ وقفهم بالحجاب الثَّانِي وَهُوَ الْمزْدَلِفَة فَلَمَّا أَن طَال تضرعهم أذن لَهُم بتقريب قُرْبَانهمْ بمنى
فَلَمَّا أَن قضوا تفثهم وقربوا قُرْبَانهمْ فتطهروا بهَا من الذُّنُوب الَّتِي كَانَت عَلَيْهِم أذن لَهُم بالزيارة إِلَيْهِ على الطَّهَارَة
قيل يَا أَمِير الْمُؤمنِينَ فَمن أَيْن حرم الصّيام أَيَّام التَّشْرِيق قَالَ لَان الْقَوْم زوار الله وهم فِي ضيافته وَلَا يجوز للضيف أَن يَصُوم دون إِذن من أَضَافَهُ
قيل يَا أَمِير الْمُؤمنِينَ فَتعلق الرجل بِأَسْتَارِ الْكَعْبَة لاي معنى هُوَ قَالَ هُوَ مثل الرجل بَينه وَبَين صَاحبه جِنَايَة فَيتَعَلَّق بِثَوْبِهِ ويتنصل إِلَيْهِ ويتخدع لَهُ ليهب لَهُ جِنَايَته
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ وَغَيره هَكَذَا مُنْقَطِعًا وَرَوَاهُ أَيْضا عَن ذِي النُّون من قَوْله وَهُوَ عِنْدِي أشبه وَالله أعلم