আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

১১. অধ্যায়ঃ হজ্জ

হাদীস নং: ১৮০২
অধ্যায়ঃ হজ্জ
আরাফা ও মুযদালিফায় অবস্থান করার প্রতি উৎসাহ দান ও আরাফা দিবসের ফযীলত প্রসঙ্গ
১৮০২. হাদীসটি বায়হাকী এভাবে বর্ণনা করেছেন। রাসুলুল্লাহ্ ﷺ আরাফার দিন বিকালে তাঁর উম্মতের মাগফিরাত ও রহমতের জন্য খুব বেশি করে দু'আ করলেন। তখন আল্লাহ তাঁর নিকট ওহী প্রেরণ করলেন যে, আমি আপনার দু'আ কবুল করে নিলাম। কিন্তু তারা একে অন্যের উপর যে যুলম করেছে, তা নয়। আর যে সকল গুনাহর সম্পর্ক কেবল আমার ও তাদের মধ্যে, সেগুলো আমি মার্জনা করে দিলাম। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, যে আমার রব। তুমিতো পার যে, এই মযলুমকে তার উপর কৃত যুলমের উত্তম বিনিময় দিয়ে দেবে আর এই যালিমকে ক্ষমা করে দেবে। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত আল্লাহ্ তার কোন উত্তর দিলেন না। মুযদালিফার প্রভাতে তিনি আবার এই দু'আর পুনরাবৃত্তি করলেন। আল্লাহ তখন উত্তরে বললেন, আমি যালিমদেরকেও মার্জনা করে দিলাম। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ তখন মুচকি হাসলেন। সাহাবীগণের মধ্যে থেকে কেউ কেউ জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ ﷺ আপনি এমন সময়ে হাসলেন, যে সময় সাধারণত আপনি হাসেন না? তিনি বললেন, আমি আল্লাহর দুশমন ইবলীসকে দেখে হেসেছি। সে যখন জানতে পেল যে, আল্লাহ্ আমার উম্মতের পক্ষে আমার দু'আটি কবুল করে নিয়েছেন, তখন সে ধ্বংস ও মৃত্যুকে ডাকতে লাগল এবং অঞ্জলিভরে তার মাথায় ধূলি নিক্ষেপ করতে শুরু করল।
(হাদীসটি বায়হাকী আবদুল্লাহ ইবন কিনানা ইবন আব্বাস ইবন মিরদাস সুলামী থেকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি তাঁর পিতা সূত্রে পিতামহ আব্বাস ইবন মিরদাস থেকে বর্ণনা করেছেন, একথার উল্লেখ নেই। বায়হাকী বলেন, এ হাদীসটির সমর্থনে আরও অনেক হাদীস রয়েছে, যেগুলো আমরা 'পুনরুত্থান অধ্যায়ে' বর্ণনা করেছি। অতএব হাদীসটিকে যদি এ সকল পোষকতাকারী বর্ণনার কারণে সহীহ গণ্য করা হয়, তবে এটি এ কথার দলীল হবে যে, যুলমও ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর যদি হাদীসটিকে সহীহ্ মনে না করা হয়, তবে আল্লাহ্ তা'আলার এই বাণীই এ কথা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ বলেন: وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَآءُ অর্থাৎ "আল্লাহ্ শিরক ছাড়া অন্য সবকিছু যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দিবেন।" আর পারস্পরিক যুলম তো শিরক নয়; বরং তার চেয়ে নিম্ন পর্যায়ের।
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْوُقُوف بِعَرَفَة والمزدلفة وَفضل يَوْم عَرَفَة
1802- وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ وَلَفظه أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم دَعَا عَشِيَّة عَرَفَة لامته بالمغفرة وَالرَّحْمَة فَأكْثر الدُّعَاء فَأوحى الله إِلَيْهِ أَنِّي فعلت إِلَّا ظلم بَعضهم بَعْضًا وَأما ذنوبهم فِيمَا بيني وَبينهمْ فقد غفرتها فَقَالَ يَا رب إِنَّك قَادر على أَن تثيب هَذَا الْمَظْلُوم خيرا من مظلمته وَتغْفر لهَذَا الظَّالِم فَلم يجبهُ تِلْكَ العشية فَلَمَّا كَانَ غَدَاة الْمزْدَلِفَة أعَاد الدُّعَاء فَأَجَابَهُ الله أَنِّي قد غفرت لَهُم
قَالَ فَتَبَسَّمَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ لَهُ بعض أَصْحَابه يَا رَسُول الله تبسمت فِي سَاعَة لم تكن تتبسم قَالَ تبسمت من عَدو الله إِبْلِيس إِنَّه لما علم أَن الله قد اسْتَجَابَ لي فِي أمتِي أَهْوى يَدْعُو بِالْوَيْلِ وَالثُّبُور ويحثو التُّرَاب على رَأسه

رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ من حَدِيث ابْن كنَانَة بن الْعَبَّاس بن مرداس السّلمِيّ وَلم يسمه عَن أَبِيه عَن جده عَبَّاس ثمَّ قَالَ وَهَذَا الحَدِيث لَهُ شَوَاهِد كَثِيرَة وَقد ذَكرنَاهَا فِي كتاب الْبَعْث فَإِن صَحَّ بشواهده فَفِيهِ الْحجَّة وَإِن لم يَصح فقد قَالَ الله تَعَالَى {وَيغْفر مَا دون ذَلِك لمن يَشَاء} النِّسَاء 84 وظلم بَعضهم بَعْضًا دون الشّرك انْتهى
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব - হাদীস নং ১৮০২ | মুসলিম বাংলা