আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
১১. অধ্যায়ঃ হজ্জ
হাদীস নং: ১৭১১
অধ্যায়ঃ হজ্জ
অধ্যায়: হজ্জ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
১৭১১. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন। আল্লাহ তা'আলা আদম (আ)-এর নিকট এই মর্মে ওহী পাঠালেন যে, হে আদম! তুমি এই ঘরের হজ্জ করে নাও তোমার মৃত্যু সংঘটিত হবার পূর্বে। তিনি বললেন, প্রভু। আমার উপর কি সংঘটিত হবে? আল্লাহ বললেন, তুমি যা জান না আর সেটা হল মৃত্যু। তিনি বললেন, মৃত্যু কি? আল্লাহ বললেন, তুমি অচিরেই এর স্বাদ আস্বাদন করবে। আদম (আ) বললেন, আমার পরিজনের জন্য কাকে স্থলাভিষিক্ত করব? আল্লাহ বললেন, তুমি এ দায়িত্বটি আসমান-যমীনের সামনে পেশ কর। তিনি আসমানকে এ দায়িত্ব দিতে চাইলেন; কিন্তু সে অস্বীকার করল। অতঃপর যমীনের সামনে তা পেশ করলেন, সেও অস্বীকার করল, পাহাড়সমূহকে এ দায়িত্ব পেশ করলেন। কিন্তু তারাও অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করল। অবশেষে তার ভ্রাতৃহন্তা সন্তানটি এ দায়িত্ব গ্রহণ করল। আদম (আ) ভারত-ভূমি থেকে হজ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন। তিনি যে সকল স্থানে অবতরণ করে পানাহার করেছেন, পরবর্তীতে এগুলো আবাদ ভূমি ও জনপদ হয়ে গিয়েছিল। এভাবে তিনি মক্কায় এসে পৌছলেন। ফিরিশতাগণ তাঁকে এভাবে অভ্যর্থনা জানালঃ আসসালামু আলাইকা ইয়া আদম। আপনার হজ্জ পুণ্যময় হোক। মনে রাখবেন, আপনার দু'হাজার বছর পূর্ব থেকে আমরা এ ঘরের হজ্জ করে আসছি।
আনাস বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: বায়তুল্লাহ তখন ফাঁপা লাল চুণি পাথরের ছিল। আর তার দু'টি দরজা ছিল। তওয়াফকারীগণ বায়তুল্লাহর অভ্যন্তরের লোকজনকে দেখতে পেত আর বায়তুল্লাহর অভ্যন্তরের লোকজন তওয়াফকারীদেরকে দেখতে পেত। আদম (আ) হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা পালন করলেন। আল্লাহ তা'আলা তখন তাঁর প্রতি ওহী প্রেরণ করলেনঃ হে আদম। তুমি কি হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছ? তিনি বললেন জ্বী হ্যাঁ, প্রভু! আল্লাহ্ বললেন, এখন তোমার অভাব-অনটন সম্পর্কে প্রার্থনা কর, তোমাকে প্রাথিত বস্তু প্রদান করা হবে। আদম (আ) বললেন, আমার মুখ্য প্রার্থনা তো এই যে, আমার এবং আমার সন্তানের গুনাহ মাফ করে দিবেন। আল্লাহ্ বললেন, তোমার গুনাহ তো তখনিই মাফ করে দিয়েছি যখন তা সংঘটিত হয়েছিল। আর তোমার সন্তানের গুনাহ, তবে মনে রেখো যে ব্যক্তি, আমাকে চিনেছে, আমার প্রতি ঈমান এনেছে এবং আমার নবী-রাসূল ও কিতাবকে সত্য বলে স্বীকার করেছে, আমি তার গুনাহ মাফ করে দিয়েছি
(এ হাদীসটিও ইস্পাহানী বর্ণনা করেছেন।)
আনাস বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: বায়তুল্লাহ তখন ফাঁপা লাল চুণি পাথরের ছিল। আর তার দু'টি দরজা ছিল। তওয়াফকারীগণ বায়তুল্লাহর অভ্যন্তরের লোকজনকে দেখতে পেত আর বায়তুল্লাহর অভ্যন্তরের লোকজন তওয়াফকারীদেরকে দেখতে পেত। আদম (আ) হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা পালন করলেন। আল্লাহ তা'আলা তখন তাঁর প্রতি ওহী প্রেরণ করলেনঃ হে আদম। তুমি কি হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছ? তিনি বললেন জ্বী হ্যাঁ, প্রভু! আল্লাহ্ বললেন, এখন তোমার অভাব-অনটন সম্পর্কে প্রার্থনা কর, তোমাকে প্রাথিত বস্তু প্রদান করা হবে। আদম (আ) বললেন, আমার মুখ্য প্রার্থনা তো এই যে, আমার এবং আমার সন্তানের গুনাহ মাফ করে দিবেন। আল্লাহ্ বললেন, তোমার গুনাহ তো তখনিই মাফ করে দিয়েছি যখন তা সংঘটিত হয়েছিল। আর তোমার সন্তানের গুনাহ, তবে মনে রেখো যে ব্যক্তি, আমাকে চিনেছে, আমার প্রতি ঈমান এনেছে এবং আমার নবী-রাসূল ও কিতাবকে সত্য বলে স্বীকার করেছে, আমি তার গুনাহ মাফ করে দিয়েছি
(এ হাদীসটিও ইস্পাহানী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
1711- وَرُوِيَ عَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ أوحى الله تَعَالَى إِلَى آدم عَلَيْهِ السَّلَام أَن يَا آدم حج هَذَا الْبَيْت قبل أَن يحدث بك حدث الْمَوْت
قَالَ وَمَا يحدث عَليّ يَا رب قَالَ مَا لَا تَدْرِي وَهُوَ الْمَوْت
قَالَ وَمَا الْمَوْت قَالَ سَوف تذوق
قَالَ وَمن أستخلف فِي أَهلِي قَالَ اعْرِض ذَلِك على السَّمَوَات وَالْأَرْض وَالْجِبَال فَعرض ذَلِك على السَّمَوَات فَأَبت وَعرض على الأَرْض فَأَبت وَعرض على الْجبَال فَأَبت وَقَبله ابْنه قَاتل أَخِيه فَخرج آدم عَلَيْهِ السَّلَام من أَرض الْهِنْد حَاجا فَمَا نزل منزلا أكل فِيهِ وَشرب إِلَّا صَار عمرانا بعده وقرى حَتَّى قدم مَكَّة فاستقبلته الْمَلَائِكَة فَقَالُوا السَّلَام عَلَيْك يَا آدم بر حجك أما إِنَّا قد حجَجنَا هَذَا الْبَيْت قبلك بألفي عَام
قَالَ أنس قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَالْبَيْت يَوْمئِذٍ ياقوتة حَمْرَاء جوفاء لَهَا بَابَانِ من يطوف يرى من فِي جَوف الْبَيْت وَمن فِي جَوف الْبَيْت يرى من يطوف فَقضى آدم نُسكه فَأوحى الله تَعَالَى إِلَيْهِ يَا آدم قضيت نسكك قَالَ نعم يَا رب
قَالَ فسل حَاجَتك تعط قَالَ جلّ حَاجَتي أَن تغْفر لي ذَنبي وذنب وَلَدي قَالَ أما ذَنْبك يَا آدم فقد غفرنا حِين وَقعت بذنبك
وَأما ذَنْب ولدك فَمن عرفني وآمن بِي وَصدق رُسُلِي وكتابي غفرنا لَهُ ذَنبه
رَوَاهُ الْأَصْبَهَانِيّ أَيْضا
قَالَ وَمَا يحدث عَليّ يَا رب قَالَ مَا لَا تَدْرِي وَهُوَ الْمَوْت
قَالَ وَمَا الْمَوْت قَالَ سَوف تذوق
قَالَ وَمن أستخلف فِي أَهلِي قَالَ اعْرِض ذَلِك على السَّمَوَات وَالْأَرْض وَالْجِبَال فَعرض ذَلِك على السَّمَوَات فَأَبت وَعرض على الأَرْض فَأَبت وَعرض على الْجبَال فَأَبت وَقَبله ابْنه قَاتل أَخِيه فَخرج آدم عَلَيْهِ السَّلَام من أَرض الْهِنْد حَاجا فَمَا نزل منزلا أكل فِيهِ وَشرب إِلَّا صَار عمرانا بعده وقرى حَتَّى قدم مَكَّة فاستقبلته الْمَلَائِكَة فَقَالُوا السَّلَام عَلَيْك يَا آدم بر حجك أما إِنَّا قد حجَجنَا هَذَا الْبَيْت قبلك بألفي عَام
قَالَ أنس قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَالْبَيْت يَوْمئِذٍ ياقوتة حَمْرَاء جوفاء لَهَا بَابَانِ من يطوف يرى من فِي جَوف الْبَيْت وَمن فِي جَوف الْبَيْت يرى من يطوف فَقضى آدم نُسكه فَأوحى الله تَعَالَى إِلَيْهِ يَا آدم قضيت نسكك قَالَ نعم يَا رب
قَالَ فسل حَاجَتك تعط قَالَ جلّ حَاجَتي أَن تغْفر لي ذَنبي وذنب وَلَدي قَالَ أما ذَنْبك يَا آدم فقد غفرنا حِين وَقعت بذنبك
وَأما ذَنْب ولدك فَمن عرفني وآمن بِي وَصدق رُسُلِي وكتابي غفرنا لَهُ ذَنبه
رَوَاهُ الْأَصْبَهَانِيّ أَيْضا