আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
৯. অধ্যায়ঃ রোযা
হাদীস নং: ১৫৩১
আরাফার বাইরে অবস্থানকারীদের জন্য আরাফার রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং হজ্জের উদ্দেশ্যে আরাফায় অবস্থানরত ব্যক্তিদের জন্য এর নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গ
১৫৩১. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ আরাফায় অবস্থানকালে আরাফার দিবসের রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন।
(হাদীসটি আবু দাউদ ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। ইবন খুযায়মাও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেন। তাবারানী তাঁর 'আওসাত' নামক কিতাবে এ হাদীসটি হযরত আয়েশা (রা) সূত্রে বর্ণনা করেছেন।)
(হাফিয (যাকীউদ্দীন) বলেন: আরাফায় অবস্থানকালে আরাফার রোযা রাখার ব্যাপারে আলিমগণের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। হযরত ইবন উমর (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আবু বকর, উমর, উসমান (রা) কেউই এমতাবস্থায় রোযা রাখেননি, তাই আমিও রোযা পালন করি না। ইমাম মালিক ও সুফিয়ান সাওরী (র) রোযা না রাখাকেই বেশি ভাল মনে করতেন। এদিকে হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র ও হযরত আয়েশা (রা) এমন অবস্থায় রোযা রাখতেন।
উসমান ইবন আবুল আস-এরও এ মতের বর্ণনা পাওয়া যায়। ইমাম ইসহাকও রোযার পক্ষে ছিলেন। আতা ইবন আবু রাবাহ বলেন, শীতকাল হলে আমি রোযা রাখি; কিন্তু গ্রীষ্মকালে রাখি না। কাতাদা বলেন, রোযা পালনে কোন ক্ষতি নেই যদি দুর্বলতার কারণে দু'আ থেকে অক্ষম হয়ে যাবার আশংকা না থাকে। ইমাম শাফিঈ (র) বলেন, হাজীগণ ব্যতীত অন্যদের জন্য আরাফার রোযা রাখা মুস্তাহাব। আর হাজীদের জন্য রোযা না রাখাই আমার কাছে বেশি পসন্দনীয় যাতে তারা দু'আ করার শক্তি পায়। ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (র) বলেন, যদি রোযা রাখার মত শক্তি থাকে, তবে রোযা রাখবে। অন্যথায় এ দিনটিতে তো শক্তি-সামর্থ্যের প্রয়োজন দেখা দেয়।
(হাদীসটি আবু দাউদ ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। ইবন খুযায়মাও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেন। তাবারানী তাঁর 'আওসাত' নামক কিতাবে এ হাদীসটি হযরত আয়েশা (রা) সূত্রে বর্ণনা করেছেন।)
(হাফিয (যাকীউদ্দীন) বলেন: আরাফায় অবস্থানকালে আরাফার রোযা রাখার ব্যাপারে আলিমগণের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। হযরত ইবন উমর (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আবু বকর, উমর, উসমান (রা) কেউই এমতাবস্থায় রোযা রাখেননি, তাই আমিও রোযা পালন করি না। ইমাম মালিক ও সুফিয়ান সাওরী (র) রোযা না রাখাকেই বেশি ভাল মনে করতেন। এদিকে হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র ও হযরত আয়েশা (রা) এমন অবস্থায় রোযা রাখতেন।
উসমান ইবন আবুল আস-এরও এ মতের বর্ণনা পাওয়া যায়। ইমাম ইসহাকও রোযার পক্ষে ছিলেন। আতা ইবন আবু রাবাহ বলেন, শীতকাল হলে আমি রোযা রাখি; কিন্তু গ্রীষ্মকালে রাখি না। কাতাদা বলেন, রোযা পালনে কোন ক্ষতি নেই যদি দুর্বলতার কারণে দু'আ থেকে অক্ষম হয়ে যাবার আশংকা না থাকে। ইমাম শাফিঈ (র) বলেন, হাজীগণ ব্যতীত অন্যদের জন্য আরাফার রোযা রাখা মুস্তাহাব। আর হাজীদের জন্য রোযা না রাখাই আমার কাছে বেশি পসন্দনীয় যাতে তারা দু'আ করার শক্তি পায়। ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (র) বলেন, যদি রোযা রাখার মত শক্তি থাকে, তবে রোযা রাখবে। অন্যথায় এ দিনটিতে তো শক্তি-সামর্থ্যের প্রয়োজন দেখা দেয়।
التَّرْغِيب فِي صِيَام يَوْم عَرَفَة لمن لم يكن بهَا وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَنْهَا لمن كَانَ بهَا حَاجا
1531- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نهى عَن صَوْم يَوْم عَرَفَة بِعَرَفَة
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط عَن عَائِشَة
قَالَ الْحَافِظ اخْتلفُوا فِي صَوْم يَوْم عَرَفَة بِعَرَفَة فَقَالَ ابْن عمر لم يصمه النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَلَا أَبُو بكر وَلَا عمر وَلَا عُثْمَان وَأَنا لَا أصومه وَكَانَ مَالك وَالثَّوْري يختاران الْفطر وَكَانَ ابْن الزبير وَعَائِشَة يصومان يَوْم عَرَفَة
وَرُوِيَ ذَلِك عَن عُثْمَان بن أبي العَاصِي وَكَانَ إِسْحَاق يمِيل إِلَى الصَّوْم وَكَانَ عَطاء يَقُول أَصوم فِي الشتَاء وَلَا أَصوم فِي الصَّيف وَقَالَ قَتَادَة لَا بَأْس بِهِ إِذا لم يضعف عَن الدُّعَاء
وَقَالَ الشَّافِعِي يسْتَحبّ صَوْم يَوْم عَرَفَة لغير الْحَاج فَأَما الْحَاج فَأحب إِلَيّ أَن يفْطر لتقويته على الدُّعَاء
وَقَالَ أَحْمد بن حَنْبَل إِن قدر على أَن يَصُوم صَامَ وَإِن أفطر فَذَلِك يَوْم يحْتَاج فِيهِ إِلَى الْقُوَّة
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط عَن عَائِشَة
قَالَ الْحَافِظ اخْتلفُوا فِي صَوْم يَوْم عَرَفَة بِعَرَفَة فَقَالَ ابْن عمر لم يصمه النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَلَا أَبُو بكر وَلَا عمر وَلَا عُثْمَان وَأَنا لَا أصومه وَكَانَ مَالك وَالثَّوْري يختاران الْفطر وَكَانَ ابْن الزبير وَعَائِشَة يصومان يَوْم عَرَفَة
وَرُوِيَ ذَلِك عَن عُثْمَان بن أبي العَاصِي وَكَانَ إِسْحَاق يمِيل إِلَى الصَّوْم وَكَانَ عَطاء يَقُول أَصوم فِي الشتَاء وَلَا أَصوم فِي الصَّيف وَقَالَ قَتَادَة لَا بَأْس بِهِ إِذا لم يضعف عَن الدُّعَاء
وَقَالَ الشَّافِعِي يسْتَحبّ صَوْم يَوْم عَرَفَة لغير الْحَاج فَأَما الْحَاج فَأحب إِلَيّ أَن يفْطر لتقويته على الدُّعَاء
وَقَالَ أَحْمد بن حَنْبَل إِن قدر على أَن يَصُوم صَامَ وَإِن أفطر فَذَلِك يَوْم يحْتَاج فِيهِ إِلَى الْقُوَّة
