আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
৯. অধ্যায়ঃ রোযা
হাদীস নং: ১৫১৫
বিনা ওযরে রমযানের কোন একদিনের রোযা ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে সতর্কবাণী
১৫১৫. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, শরীয়তসম্মত ওযর ও অসুস্থতা ছাড়া যে ব্যক্তি রমযানের একদিনের রোযা ছেড়ে দিল, সারা জীবন রোযা রাখলেও সে এর কাযা আদায় ও ক্ষতিপূরণ করতে পারবে না।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দসমূহ তাঁরই। আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবন মাজাহও এটি বর্ণনা করেন। ইব্ন খুযায়মাও হাদীসটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি রিওয়ায়াত করেছেন। এঁরা সবাই ইবনুল মুতাওয়াস সূত্রে এটি রিওয়ায়াত করেন। এও বলা হয় যে, বর্ণনাকারী হলেন আবুল মুতাওয়াস। তিনি তাঁর পিতার সূত্রে হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। বুখারী এ হাদীসটি তালীক হিসেবে খুব নিশ্চয়তা ছাড়া এভাবে বর্ণনা করেছেন। আবূ হুরায়রা (রা) থেকে মারফু' সূত্রে উল্লেখ করা হয় যে, যে ব্যক্তি রমযানের একদিনের রোযা কোন ওযর ও অসুস্থতা ব্যতীত ছেড়ে দিল, সে যদি সারা জীবন রোযা রাখে তবুও এর কাযা আদায় বা ক্ষতিপূরণ হবে না।
তিরমিযী বলেছেন, এই সূত্রটি ছাড়া অন্য কোন সূত্রে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আমি মুহাম্মদ অর্থাৎ ইমাম বুখারীকে বলতে শুনেছি যে, আবুল মুতাওয়াস-এর নাম ইয়াযীদ ইবনুল মুতাওয়াস। এ হাদীসটি ছাড়া তাঁর অন্য কোন হাদীস আমার জানা নেই। বুখারী আরো বলেছেন, আবুল মুতাওয়াস-এর পিতা হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে কোন হাদীস শুনেছেন কিনা; আমি জানি না। ইবন হিব্বান বলেন, আবুল মুতাওয়াস একা কোন হাদীস বর্ণনা করলে এরদ্বারা দলীল দেয়া যাবে না। আল্লাহই ভাল জানেন।)
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দসমূহ তাঁরই। আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবন মাজাহও এটি বর্ণনা করেন। ইব্ন খুযায়মাও হাদীসটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি রিওয়ায়াত করেছেন। এঁরা সবাই ইবনুল মুতাওয়াস সূত্রে এটি রিওয়ায়াত করেন। এও বলা হয় যে, বর্ণনাকারী হলেন আবুল মুতাওয়াস। তিনি তাঁর পিতার সূত্রে হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। বুখারী এ হাদীসটি তালীক হিসেবে খুব নিশ্চয়তা ছাড়া এভাবে বর্ণনা করেছেন। আবূ হুরায়রা (রা) থেকে মারফু' সূত্রে উল্লেখ করা হয় যে, যে ব্যক্তি রমযানের একদিনের রোযা কোন ওযর ও অসুস্থতা ব্যতীত ছেড়ে দিল, সে যদি সারা জীবন রোযা রাখে তবুও এর কাযা আদায় বা ক্ষতিপূরণ হবে না।
তিরমিযী বলেছেন, এই সূত্রটি ছাড়া অন্য কোন সূত্রে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আমি মুহাম্মদ অর্থাৎ ইমাম বুখারীকে বলতে শুনেছি যে, আবুল মুতাওয়াস-এর নাম ইয়াযীদ ইবনুল মুতাওয়াস। এ হাদীসটি ছাড়া তাঁর অন্য কোন হাদীস আমার জানা নেই। বুখারী আরো বলেছেন, আবুল মুতাওয়াস-এর পিতা হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে কোন হাদীস শুনেছেন কিনা; আমি জানি না। ইবন হিব্বান বলেন, আবুল মুতাওয়াস একা কোন হাদীস বর্ণনা করলে এরদ্বারা দলীল দেয়া যাবে না। আল্লাহই ভাল জানেন।)
التَّرْهِيب من إفطار شَيْء من رَمَضَان من غير عذر
1515- عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من أفطر يَوْمًا من رَمَضَان من غير رخصَة وَلَا مرض لم يقضه صَوْم الدَّهْر كُله وَإِن صَامَهُ
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ كلهم من رِوَايَة ابْن المطوس وَقيل أبي المطوس عَن أَبِيه عَن أبي هُرَيْرَة وَذكره البُخَارِيّ تَعْلِيقا غير مجزوم فَقَالَ وَيذكر عَن أبي هُرَيْرَة رَفعه
من أفطر يَوْمًا من رَمَضَان من غير عذر وَلَا مرض لم يقضه صَوْم الدَّهْر وَإِن صَامَهُ
وَقَالَ التِّرْمِذِيّ لَا نعرفه إِلَّا من هَذَا الْوَجْه وَسمعت مُحَمَّدًا يَعْنِي البُخَارِيّ يَقُول أَبُو المطوس اسْمه يزِيد بن المطوس وَلَا أعرف لَهُ غير هَذَا الحَدِيث انْتهى
وَقَالَ البُخَارِيّ أَيْضا لَا أَدْرِي سمع أَبوهُ من أبي هُرَيْرَة أم لَا وَقَالَ ابْن حبَان لَا يجوز الِاحْتِجَاج بِمَا انْفَرد بِهِ وَالله أعلم
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ كلهم من رِوَايَة ابْن المطوس وَقيل أبي المطوس عَن أَبِيه عَن أبي هُرَيْرَة وَذكره البُخَارِيّ تَعْلِيقا غير مجزوم فَقَالَ وَيذكر عَن أبي هُرَيْرَة رَفعه
من أفطر يَوْمًا من رَمَضَان من غير عذر وَلَا مرض لم يقضه صَوْم الدَّهْر وَإِن صَامَهُ
وَقَالَ التِّرْمِذِيّ لَا نعرفه إِلَّا من هَذَا الْوَجْه وَسمعت مُحَمَّدًا يَعْنِي البُخَارِيّ يَقُول أَبُو المطوس اسْمه يزِيد بن المطوس وَلَا أعرف لَهُ غير هَذَا الحَدِيث انْتهى
وَقَالَ البُخَارِيّ أَيْضا لَا أَدْرِي سمع أَبوهُ من أبي هُرَيْرَة أم لَا وَقَالَ ابْن حبَان لَا يجوز الِاحْتِجَاج بِمَا انْفَرد بِهِ وَالله أعلم
