আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
৯. অধ্যায়ঃ রোযা
হাদীস নং: ১৫০৬
অধ্যায়ঃ রোযা
পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫০৬. হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যখন রমযান মাসের প্রথম রাত আসে, তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় এবং সারা মাস আর একটি দরজাও বন্ধ করা হয় না; জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর সারা মাস একটি দরজাও খোলা হয় না। আর দুষ্ট জিন্নদেরকে শিকল পরিয়ে দেয়া হয়। প্রতি রাতে প্রভাত পর্যন্ত আসমান থেকে একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিতে থাকে। হে, কল্যাণ প্রত্যাশী। তুমি কল্যাণের ইচ্ছা কর এবং সুসংবাদ গ্রহণ কর। হে অকল্যাণ অভিলাষী। বিরত হও এবং পরিণাম চিন্তা কর। কোন ক্ষমাপ্রার্থী আছে কি? তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে। কোন তওবাকারী আছে কি? আল্লাহ তার তাওবা কবুল করবেন। কোন দু'আকারী আছে কি? তার দু'আ কবুল করা হবে। কোন প্রার্থনা কারী আছে কি? তার প্রার্থনা পূর্ণ করা হবে।
রমযানের প্রতিদিনের ইফতারের সময় আল্লাহর সদয় প্রতিশ্রুতিতে ষাট হাজার লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হয়। তারপর যখন ঈদুল ফিতরের দিন আসে, তখন সারা মাসে যে পরিমাণ লোককে আল্লাহ জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়েছেন, সেই পরিমাণ অর্থাৎ দৈনিক ষাট হাজার হিসাবে ত্রিশ দিনে আঠার লক্ষ লোককে মুক্তি দিয়ে থাকেন।
(হাদীসটি বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। এটি হাসান পর্যায়ের হাদীস। এরদ্বারা অন্য হাদীসের সমর্থন ও পোষকতায় কোন দোষ নেই। এ হাদীসের সনদে নাশিব ইবন আমর শায়বানী নামক একজন বর্ণনাকারী রয়েছেন যাকে অনেকেই নির্ভরযোগ্য বলেছেন। অবশ্য দারু কুতনী তাঁর সমালোচনা করেছেন।
রমযানের প্রতিদিনের ইফতারের সময় আল্লাহর সদয় প্রতিশ্রুতিতে ষাট হাজার লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হয়। তারপর যখন ঈদুল ফিতরের দিন আসে, তখন সারা মাসে যে পরিমাণ লোককে আল্লাহ জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়েছেন, সেই পরিমাণ অর্থাৎ দৈনিক ষাট হাজার হিসাবে ত্রিশ দিনে আঠার লক্ষ লোককে মুক্তি দিয়ে থাকেন।
(হাদীসটি বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। এটি হাসান পর্যায়ের হাদীস। এরদ্বারা অন্য হাদীসের সমর্থন ও পোষকতায় কোন দোষ নেই। এ হাদীসের সনদে নাশিব ইবন আমর শায়বানী নামক একজন বর্ণনাকারী রয়েছেন যাকে অনেকেই নির্ভরযোগ্য বলেছেন। অবশ্য দারু কুতনী তাঁর সমালোচনা করেছেন।
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1506- وَعَن عبد الله بن مَسْعُود رَضِي الله عِنْده عَن رَسُول الله صلى الله عيه وَسلم قَالَ إِذا كَانَ أول لَيْلَة من شهر رَمَضَان فتحت أَبْوَاب الْجنان فَلم يغلق مِنْهَا بَاب وَاحِد الشَّهْر كُله وغلقت أَبْوَاب النَّار فَلم يفتح مِنْهَا بَاب الشَّهْر كُله وغلت عتاة الْجِنّ ونادى مُنَاد من السَّمَاء كل لَيْلَة إِلَى انفجار الصُّبْح يَا باغي الْخَيْر يمم وأبشر وَيَا باغي الشَّرّ أقصر وَأبْصر هَل من مُسْتَغْفِر يغْفر لَهُ هَل من تائب يَتُوب الله عَلَيْهِ هَل من دَاع يُسْتَجَاب لَهُ هَل من سَائل يعْطى سُؤَاله وَللَّه عز وَجل عِنْد كل فطر من شهر رممضان كل لَيْلَة عتقا من النَّار سِتُّونَ ألف فَإِذا كَانَ يَوْم الْفطر أعتق الله مثل مَا أعتق فِي جَمِيع الشَّهْر ثَلَاثِينَ مرّة سِتِّينَ ألف سِتِّينَ ألف رَوَاهُ
الْبَيْهَقِيّ وَهُوَ حَدِيث حسن لَا بَأْس بِهِ فِي المتابعات فِي إِسْنَاده ناشب بن عَمْرو الشيبان وثق وَتكلم فِيهِ الدَّارَقُطْنِيّ
الْبَيْهَقِيّ وَهُوَ حَدِيث حسن لَا بَأْس بِهِ فِي المتابعات فِي إِسْنَاده ناشب بن عَمْرو الشيبان وثق وَتكلم فِيهِ الدَّارَقُطْنِيّ