আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
৯. অধ্যায়ঃ রোযা
হাদীস নং: ১৫০১
অধ্যায়ঃ রোযা
পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫০১. হযরত আবূ মাসউদ গিফারী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রমযান আগমন করলে একদিন আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ এ-কে বলতে শুনেছি। মানুষ যদি জানত যে, রমযান কি, তাহলে আমার উম্মত এ আকাঙ্ক্ষা পোষণ করত যে, সারাটি বৎসরই যদি রমযান হতো।
বনু খুযা'আর জনৈক ব্যক্তি বলল, ইয়া নাবীয়্যাল্লাহ্। আপনি এ সম্পর্কে আমাদেরকে বলুন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেনঃ রমযানের আগমনে জান্নাতকে বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সজ্জিত করা হয়। তারপর যখন রমযানের প্রথম দিনটি আসে, তখন আরশের নীচ থেকে একটি বাতাস বইতে শুরু করে। এতে জান্নাতের বৃক্ষসমূহের পাতাগুলো দুলতে থাকে। জান্নাতের হুরগণ এ দৃশ্যটি দেখে বলতে থাকে, হে আমাদের প্রতিপালক! এ মাসে তোমার বান্দাগণের মধ্য থেকে আমাদের জন্য স্বামী নির্বাচিত করে দাও, যাদের দ্বারা আমাদের চোখ জুড়াব আর আমাদের দ্বারাও তাদের চোখ জুড়াবে। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেন। যে বান্দা রমযানের একটি দিন রোযা রাখে, তাকে মণিমুক্তার তাঁবুতে অবস্থানকারী একজন আয়তলোচনা হুরের সাথে বিয়ে দেয়া হবে। যেমন আল্লাহ্ তা'আলা হুরদের বর্ণনায় বলেছেনঃ
حُورٌ مَقْصُورَاتٌ فِي الْخِيَامِ
তাঁবুতে অবস্থানকারিণী হুরগণ। (সূরা আর-রহমান, আয়াত ৭২)
প্রত্যেক হূরের গায়ে বিভিন্ন রংয়ের সত্তর জোড়া করে কাপড় থাকবে, এদের সত্তর ধরনের সুগন্ধি দেয়া হবে। আর এগুলোর ঘ্রাণ হবে ভিন্ন ভিন্ন। প্রতিটি হুবের জন্য সত্তর হাজার করে মহিলা খাদিম ও সত্তর হাজার পুরুষ খাদিম থাকবে। প্রত্যেক খাদিমের হাতে এক-একটি সোনার পেয়ালা থাকবে। এই পেয়ালাগুলোতে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী থাকবে। একজন বেহেশতী ব্যক্তি এ খাদ্যের প্রতিটি পরবর্তী গ্রাসে এমন স্বাদ অনুভব করবে যা যে প্রথমটিতে পায়নি। বেহেশতী হুরের প্রত্যেকের জন্য সত্তরটি করে লাল চুণির তৈরি পালক থাকবে। প্রতিটি পালকের উপর রেশমের আস্তর বিশিষ্ট সত্তরটি করে বিছানা থাকবে। প্রতিটি বিছানার উপর সত্তরটি করে হেলান দেয়ার সিংহাসন থাকবে। তাদের স্বামীদেরকেও অনুরূপ দেয়া হবে। লাল চুণির তৈরি ও মুক্তার কারুকার্যমণ্ডিত একটি পালকে সোনার দুটি কাঁকন থাকবে। এসব নিয়ামত হবে অন্যান্য পুণ্য ছাড়া শুধু রমযানের প্রতিটি রোযার বিনিময়ে।
(হাদীসটি ইবন মুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেন। আবুশ শায়খণ্ড এটি 'কিতাবুস সওয়াবে' বর্ণনা করেছেন। ইবনু খুযায়মা বলেনঃ আমার মনে জারীর ইবন আইয়ুব সম্পর্কে খটকা রয়েছে।)
(হাফিয বলেন।) জারীর ইবন আইউব বাজালী অনির্ভরযোগ্য। আল্লাহই ভাল জানেন।)
বনু খুযা'আর জনৈক ব্যক্তি বলল, ইয়া নাবীয়্যাল্লাহ্। আপনি এ সম্পর্কে আমাদেরকে বলুন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেনঃ রমযানের আগমনে জান্নাতকে বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সজ্জিত করা হয়। তারপর যখন রমযানের প্রথম দিনটি আসে, তখন আরশের নীচ থেকে একটি বাতাস বইতে শুরু করে। এতে জান্নাতের বৃক্ষসমূহের পাতাগুলো দুলতে থাকে। জান্নাতের হুরগণ এ দৃশ্যটি দেখে বলতে থাকে, হে আমাদের প্রতিপালক! এ মাসে তোমার বান্দাগণের মধ্য থেকে আমাদের জন্য স্বামী নির্বাচিত করে দাও, যাদের দ্বারা আমাদের চোখ জুড়াব আর আমাদের দ্বারাও তাদের চোখ জুড়াবে। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেন। যে বান্দা রমযানের একটি দিন রোযা রাখে, তাকে মণিমুক্তার তাঁবুতে অবস্থানকারী একজন আয়তলোচনা হুরের সাথে বিয়ে দেয়া হবে। যেমন আল্লাহ্ তা'আলা হুরদের বর্ণনায় বলেছেনঃ
حُورٌ مَقْصُورَاتٌ فِي الْخِيَامِ
তাঁবুতে অবস্থানকারিণী হুরগণ। (সূরা আর-রহমান, আয়াত ৭২)
প্রত্যেক হূরের গায়ে বিভিন্ন রংয়ের সত্তর জোড়া করে কাপড় থাকবে, এদের সত্তর ধরনের সুগন্ধি দেয়া হবে। আর এগুলোর ঘ্রাণ হবে ভিন্ন ভিন্ন। প্রতিটি হুবের জন্য সত্তর হাজার করে মহিলা খাদিম ও সত্তর হাজার পুরুষ খাদিম থাকবে। প্রত্যেক খাদিমের হাতে এক-একটি সোনার পেয়ালা থাকবে। এই পেয়ালাগুলোতে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী থাকবে। একজন বেহেশতী ব্যক্তি এ খাদ্যের প্রতিটি পরবর্তী গ্রাসে এমন স্বাদ অনুভব করবে যা যে প্রথমটিতে পায়নি। বেহেশতী হুরের প্রত্যেকের জন্য সত্তরটি করে লাল চুণির তৈরি পালক থাকবে। প্রতিটি পালকের উপর রেশমের আস্তর বিশিষ্ট সত্তরটি করে বিছানা থাকবে। প্রতিটি বিছানার উপর সত্তরটি করে হেলান দেয়ার সিংহাসন থাকবে। তাদের স্বামীদেরকেও অনুরূপ দেয়া হবে। লাল চুণির তৈরি ও মুক্তার কারুকার্যমণ্ডিত একটি পালকে সোনার দুটি কাঁকন থাকবে। এসব নিয়ামত হবে অন্যান্য পুণ্য ছাড়া শুধু রমযানের প্রতিটি রোযার বিনিময়ে।
(হাদীসটি ইবন মুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেন। আবুশ শায়খণ্ড এটি 'কিতাবুস সওয়াবে' বর্ণনা করেছেন। ইবনু খুযায়মা বলেনঃ আমার মনে জারীর ইবন আইয়ুব সম্পর্কে খটকা রয়েছে।)
(হাফিয বলেন।) জারীর ইবন আইউব বাজালী অনির্ভরযোগ্য। আল্লাহই ভাল জানেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1501- وَعَن أبي مَسْعُود الْغِفَارِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ذَات يَوْم وَأهل رَمَضَان فَقَالَ لَو يعلم الْعباد مَا رَمَضَان لتمنت أمتِي أَن تكون السّنة كلهَا رَمَضَان فَقَالَ رجل من خُزَاعَة يَا نَبِي الله حَدثنَا فَقَالَ إِن الْجنَّة لتزين لرمضان من رَأس الْحول إِلَى الْحول فَإِذا كَانَ أول يَوْم من رَمَضَان هبت ريح من تَحت الْعَرْش فصفقت ورق أَشجَار الْجنَّة فتنظر الْحور الْعين إِلَى ذَلِك فيقلن يَا رَبنَا اجْعَل لنا من عِبَادك فِي هَذَا الشَّهْر أَزْوَاجًا تقر أَعيننَا بهم وتقر أَعينهم بِنَا قَالَ فَمَا من عبد يَصُوم يَوْمًا من رَمَضَان إِلَّا زوج زَوْجَة من الْحور الْعين فِي خيمة من درة كَمَا نعت الله عز وَجل {حور مقصورات فِي الْخيام} الرَّحْمَن 27
على كل امْرَأَة مِنْهُنَّ سَبْعُونَ حلَّة لَيْسَ مِنْهَا حلَّة على لون الْأُخْرَى وتعطى سبعين لونا من الطّيب لَيْسَ مِنْهُ لون على ريح الآخر لكل امْرَأَة مِنْهُنَّ سَبْعُونَ ألف وصيفة لحاجتها وَسَبْعُونَ ألف وصيف مَعَ كل وصيف صَحْفَة من ذهب فِيهَا لون طَعَام يجد لآخر لقْمَة مِنْهَا لَذَّة لم يجده لاوله وَلكُل امْرَأَة مِنْهُنَّ سَبْعُونَ سريرا من ياقوتة حَمْرَاء على كل سَرِير سَبْعُونَ فراشا بطائنها من إستبرق فَوق كل فرَاش سَبْعُونَ أريكة وَيُعْطى زَوجهَا مثل ذَلِك على سَرِير من ياقوت أَحْمَر موشحا بالدر عَلَيْهِ سواران من ذهب هَذَا بِكُل يَوْم صَامَهُ من رَمَضَان سوى مَا عمل من الْحَسَنَات
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ من طَرِيقه وَأَبُو الشَّيْخ فِي الثَّوَاب وَقَالَ ابْن خُزَيْمَة وَفِي الْقلب من جرير بن أَيُّوب شَيْء
قَالَ الْحَافِظ جرير بن أَيُّوب البَجلِيّ واه وَالله أعلم
الأريكة اسْم لسرير عَلَيْهِ فرَاش وبشخانة وَقَالَ أَبُو إِسْحَاق الأرائك الْفرش فِي الحجال يَعْنِي البشخانات وَفِي الحَدِيث مَا يفهم أَن الأريكة اسْم للبشخانة فَوق الْفراش والسرير وَالله أعلم
على كل امْرَأَة مِنْهُنَّ سَبْعُونَ حلَّة لَيْسَ مِنْهَا حلَّة على لون الْأُخْرَى وتعطى سبعين لونا من الطّيب لَيْسَ مِنْهُ لون على ريح الآخر لكل امْرَأَة مِنْهُنَّ سَبْعُونَ ألف وصيفة لحاجتها وَسَبْعُونَ ألف وصيف مَعَ كل وصيف صَحْفَة من ذهب فِيهَا لون طَعَام يجد لآخر لقْمَة مِنْهَا لَذَّة لم يجده لاوله وَلكُل امْرَأَة مِنْهُنَّ سَبْعُونَ سريرا من ياقوتة حَمْرَاء على كل سَرِير سَبْعُونَ فراشا بطائنها من إستبرق فَوق كل فرَاش سَبْعُونَ أريكة وَيُعْطى زَوجهَا مثل ذَلِك على سَرِير من ياقوت أَحْمَر موشحا بالدر عَلَيْهِ سواران من ذهب هَذَا بِكُل يَوْم صَامَهُ من رَمَضَان سوى مَا عمل من الْحَسَنَات
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ من طَرِيقه وَأَبُو الشَّيْخ فِي الثَّوَاب وَقَالَ ابْن خُزَيْمَة وَفِي الْقلب من جرير بن أَيُّوب شَيْء
قَالَ الْحَافِظ جرير بن أَيُّوب البَجلِيّ واه وَالله أعلم
الأريكة اسْم لسرير عَلَيْهِ فرَاش وبشخانة وَقَالَ أَبُو إِسْحَاق الأرائك الْفرش فِي الحجال يَعْنِي البشخانات وَفِي الحَدِيث مَا يفهم أَن الأريكة اسْم للبشخانة فَوق الْفراش والسرير وَالله أعلم