আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

৮. অধ্যায়ঃ সদকা

হাদীস নং: ১৪৩২
অধ্যায়ঃ সদকা
খাদ্যদান ও পানিপান করানোর প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং এগুলো থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে
ভীতি প্রদর্শন
১৪৩২. আলী ইবনুল হাসান ইবন শকীক (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনুল মুবারক (র)-কে জনৈক ব্যক্তি বলেছিলেনঃ হে আবু আবদুর রহমান। সাত বছর হয় আমার হাঁটুতে একটি বিষ ফোঁড়া বেরিয়েছে। আমি বিভিন্ন পদ্ধতির চিকিৎসা গ্রহণ করেছি এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েছি; কিন্তু কোন ফল পাইনি। আবদুল্লাহ্ ইবনুল মুবারক তখন বললেন, তুমি এমন একটি স্থানের সন্ধান কর সেখানে মানুষের পানির খুব অভাব এবং সেখানে একটি কূপ খনন করে দাও। আমার আশা যে, সেখানে পানির ঝর্ণার ব্যবস্থা হয়ে যাবে আর এদিকে তোমার রক্তক্ষরণও বন্ধ হয়ে যাবে। লোকটি তাই করল এবং তার রোগ নিরাময় হয়ে গেল।
(ঘটনাটি বায়হাকী বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, যে এ ধরনের একটি ঘটনা আমাদের উস্তাদ হাকিম আবূ আবদুল্লাহ (র)-এর জীবনেও ঘটেছিল। কেননা তাঁর মুখে একবার ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা করলেন। কিন্তু এ ক্ষতটি কোনক্রমেই দূর হলো না, বরং এভাবে প্রায় একটি বছর গড়িয়ে চলল। একদিন তিনি ইমাম আবু উসমান সাবুনীকে শুক্রবারে অনুষ্ঠিত তাঁর বিশেষ মজলিসে দু'আ করতে অনুরোধ জানালেন। ইমাম তাঁর জন্য দু'আ করলেন এবং লোকেরা ঘন ঘন আমীন আমীন বলল। পরবর্তী শুক্রবারে জনৈক মহিলা ঐ মজলিসে একটি চিরকুট নিক্ষেপ করল, যাতে লিখা ছিল যে, মহিলাটি বাড়িতে ফিরে গিয়ে শুক্রবার দিবাগত রাতে হাকিম আবু আবদুল্লাহর জন্য বিশেষভাবে দু'আ করেছিল। তারপর ঐ রাতে সে রাসূলুল্লাহ্ সা.-কে স্বপ্নে দেখল, তিনি যেন বলছেন: আবু আবদুল্লাহকে বল, সে যেন মুসলমানদের জন্য পানির সুব্যবস্থা করে দেয়। আমি চিরকূটটি নিয়ে আবু আবদুল্লাহর নিকট আসলাম। তিনি বাড়ির সম্মুখে একটি পানির হাউয তৈরি করার নির্দেশ দিলেন। এর নির্মাণ কাজ শেষ হলে তিনি এতে পানি ও বরফ ফেলতে নির্দেশ দিলেন। আর লোকেরা এখান থেকে পানি পান করতে লাগল। তারপর এক সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পূর্বেই তাঁর নিরাময় হওয়ার লক্ষণ দেখা দিল এবং ক্ষতটি শুকিয়ে গেল। তাঁর চেহারা পূর্বের তুলানায় অধিকতর সুন্দর হয়ে উঠল। এরপরও তিনি অনেক বছর বেঁচে ছিলেন।)
كتاب الصَّدقَات
التَّرْغِيب فِي إطْعَام الطَّعَام وَسقي المَاء والترهيب من مَنعه
1432- وَعَن عَليّ بن الْحسن بن شَقِيق قَالَ سَمِعت ابْن الْمُبَارك وَسَأَلَهُ رجل يَا أَبَا عبد الرَّحْمَن قرحَة خرجت فِي ركبتي مُنْذُ سبع سِنِين وَقد عَالَجت بأنواع العلاج وَسَأَلت الْأَطِبَّاء فَلم أنتفع بِهِ
قَالَ اذْهَبْ فَانْظُر موضعا يحْتَاج النَّاس المَاء فاحفر هُنَاكَ بِئْرا فَإِنِّي أَرْجُو أَن تنبع هُنَاكَ عين ويمسك عَنْك الدَّم فَفعل الرجل فبرأ

رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ وَقَالَ وَفِي هَذَا الْمَعْنى حِكَايَة شَيخنَا الْحَاكِم أبي عبد الله رَحمَه الله فَإِنَّهُ قرح وَجهه وعالجه بأنواع المعالجة فَلم يذهب وَبَقِي فِيهِ قَرِيبا من سنة فَسَأَلَ الْأُسْتَاذ الإِمَام أَبَا عُثْمَان الصَّابُونِي أَن يَدْعُو لَهُ فِي مَجْلِسه يَوْم الْجُمُعَة فَدَعَا لَهُ وَأكْثر النَّاس التَّأْمِين فَلَمَّا كَانَ يَوْم الْجُمُعَة الْأُخْرَى أَلْقَت امْرَأَة فِي الْمجْلس رقْعَة بِأَنَّهَا عَادَتْ إِلَى بَيتهَا وَاجْتَهَدت فِي الدُّعَاء للْحَاكِم أبي عبد الله تِلْكَ اللَّيْلَة فرأت فِي منامها رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَأَنَّهُ يَقُول لَهَا قولي لأبي عبد الله يُوسع المَاء على الْمُسلمين فَجئْت بالرقعة إِلَى الْحَاكِم فَأمر
بسقاية بنيت على بَاب دَاره وَحين فرغوا من بنائها أَمر بصب المَاء فِيهَا وَطرح الجمد فِي المَاء وَأخذ النَّاس فِي الشّرْب فَمَا مر عَلَيْهِ أُسْبُوع حَتَّى ظهر الشِّفَاء وزالت تِلْكَ القروح وَعَاد وَجهه إِلَى أحسن مَا كَانَ وعاش بعد ذَلِك سِنِين
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান