আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
৮. অধ্যায়ঃ সদকা
হাদীস নং: ১৩৫০
অসচ্ছল ব্যক্তির সাথে কঠোরতা না করা, তাকে অবকাশ দান ও দায়মুক্ত করে দেয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান প্রসঙ্গ
১৩৫০. উক্ত হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের কষ্ট মোচন করে দিল, আল্লাহ্ তা'আলা কিয়ামতের দিন তাকে পুরসিলাতের উপর এমন দু'টি নূরের আলোকচ্ছটা দান করবেন যার আলোতে বিপুল জনগোষ্ঠী পথ চলবে, যাদের সঠিক সংখ্যা একমাত্র মহান আল্লাহই জানেন।
(হাদীসটি তারাবানী 'আওসাতে' উল্লেখ করেছেন, এটি গরীব পর্যায়ের হাদীস।)
(হাদীসটি তারাবানী 'আওসাতে' উল্লেখ করেছেন, এটি গরীব পর্যায়ের হাদীস।)
التَّرْغِيب فِي التَّيْسِير على الْمُعسر وإنظاره والوضع عَنهُ
1350 - وَرُوِيَ عَن أبي هُرَيْرَة أَيْضا رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من فرج عَن مُسلم كربَة جعل الله تَعَالَى لَهُ يَوْم الْقِيَامَة شعبتين من نور على الصِّرَاط يستضيء بضوءيهما عَالم لَا يحصيهم إِلَّا رب الْعِزَّة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَهُوَ غَرِيب
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَهُوَ غَرِيب
হাদীসের ব্যাখ্যা:
মুমিন ব্যক্তির কষ্ট নিরসন করার ফযীলত
বলা হয়েছে- من نفس عن مؤمن كربة (যে ব্যক্তি কোনও মুমিনের একটি কষ্ট দূর করে দেয়)। كربة অর্থ এমন দুঃখ-কষ্ট, যা মানুষের হৃদয়মন আচ্ছন্ন করে এবং তাকে এমনভাবে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করে, যদ্দরুন নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। এককথায় শ্বাসরুদ্ধকর কষ্ট।
হাদীছে বোঝানো হচ্ছে, কোনও কোনও দুঃখ-কষ্ট এমন তীব্র হয়ে থাকে, যদ্দরুন মানুষের দম বন্ধ হয়ে আসে। তার সে কষ্ট লাঘব করার দ্বারা যেন গলার বাঁধন শিথিল করা হয়। ফলে সে স্বচ্ছন্দে নিঃশ্বাস গ্রহণ করতে পারে। তো কারও এরকম দম বন্ধ করা দুঃখ-কষ্ট যে ব্যক্তি লাঘব করে দেয়, আল্লাহ তাআলা তার প্রতি খুশি হন। এ হাদীছে জানানো হয়েছে যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের কষ্ট মোচন করে দিল, আল্লাহ্ তা'আলা কিয়ামতের দিন তাকে পুরসিলাতের উপর এমন দু'টি নূরের আলোকচ্ছটা দান করবেন যার আলোতে বিপুল জনগোষ্ঠী পথ চলবে, যাদের সঠিক সংখ্যা একমাত্র মহান আল্লাহই জানেন।। এর দ্বারা অন্যের কষ্ট লাঘব করা-যে কত বড় ফযীলতের কাজ তা অনুমান করা যায়।
আখেরাতের এ অতুলনীয় পুরস্কার অর্জন করাও বিশেষ কঠিন কিছু নয়। দুনিয়ার তুচ্ছ সম্পদের খানিকটা ব্যয় করেই এটা হাসিল হতে পারে। এমনিভাবে তা অর্জন হতে পারে নিজ ক্ষমতার বৈধ ব্যবহার, প্রভাব-প্রতিপত্তি প্রয়োগ, সুপরামর্শ দান, কিছুটা শারীরিক শ্রম ব্যয়, নিজে সরাসরি বা লোকমারফত সুপারিশ করা, একটা চিঠি লিখে দেওয়া কিংবা ফোনে একটা কথা বলার দ্বারাও। অন্ততপক্ষে আল্লাহ তাআলার কাছে দুআও তো করা যেতে পারে যে, হে আল্লাহ, তুমি অমুকের কষ্ট দূর করে দাও। এসবই আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে সে মহান পুরস্কার লাভের এক কার্যকর উপায়। আমরা কি এ উপায় অবলম্বন করব না?
প্রত্যেক মুমিনের এটা কাম্যও বটে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. মুমিন ব্যক্তির দুঃখ-কষ্ট নিবারণের চেষ্টায় অবহেলা করা উচিত নয়।
বলা হয়েছে- من نفس عن مؤمن كربة (যে ব্যক্তি কোনও মুমিনের একটি কষ্ট দূর করে দেয়)। كربة অর্থ এমন দুঃখ-কষ্ট, যা মানুষের হৃদয়মন আচ্ছন্ন করে এবং তাকে এমনভাবে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করে, যদ্দরুন নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। এককথায় শ্বাসরুদ্ধকর কষ্ট।
হাদীছে বোঝানো হচ্ছে, কোনও কোনও দুঃখ-কষ্ট এমন তীব্র হয়ে থাকে, যদ্দরুন মানুষের দম বন্ধ হয়ে আসে। তার সে কষ্ট লাঘব করার দ্বারা যেন গলার বাঁধন শিথিল করা হয়। ফলে সে স্বচ্ছন্দে নিঃশ্বাস গ্রহণ করতে পারে। তো কারও এরকম দম বন্ধ করা দুঃখ-কষ্ট যে ব্যক্তি লাঘব করে দেয়, আল্লাহ তাআলা তার প্রতি খুশি হন। এ হাদীছে জানানো হয়েছে যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের কষ্ট মোচন করে দিল, আল্লাহ্ তা'আলা কিয়ামতের দিন তাকে পুরসিলাতের উপর এমন দু'টি নূরের আলোকচ্ছটা দান করবেন যার আলোতে বিপুল জনগোষ্ঠী পথ চলবে, যাদের সঠিক সংখ্যা একমাত্র মহান আল্লাহই জানেন।। এর দ্বারা অন্যের কষ্ট লাঘব করা-যে কত বড় ফযীলতের কাজ তা অনুমান করা যায়।
আখেরাতের এ অতুলনীয় পুরস্কার অর্জন করাও বিশেষ কঠিন কিছু নয়। দুনিয়ার তুচ্ছ সম্পদের খানিকটা ব্যয় করেই এটা হাসিল হতে পারে। এমনিভাবে তা অর্জন হতে পারে নিজ ক্ষমতার বৈধ ব্যবহার, প্রভাব-প্রতিপত্তি প্রয়োগ, সুপরামর্শ দান, কিছুটা শারীরিক শ্রম ব্যয়, নিজে সরাসরি বা লোকমারফত সুপারিশ করা, একটা চিঠি লিখে দেওয়া কিংবা ফোনে একটা কথা বলার দ্বারাও। অন্ততপক্ষে আল্লাহ তাআলার কাছে দুআও তো করা যেতে পারে যে, হে আল্লাহ, তুমি অমুকের কষ্ট দূর করে দাও। এসবই আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে সে মহান পুরস্কার লাভের এক কার্যকর উপায়। আমরা কি এ উপায় অবলম্বন করব না?
প্রত্যেক মুমিনের এটা কাম্যও বটে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. মুমিন ব্যক্তির দুঃখ-কষ্ট নিবারণের চেষ্টায় অবহেলা করা উচিত নয়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
