আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
৬. অধ্যায়ঃ নফল
হাদীস নং: ৯৩৫
অধ্যায়ঃ নফল
কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯৩৫. হযরত মু'আয ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তোমাদের মধ্যকার যে ব্যক্তি সালাতুল-লায়ল আদায় করে, সে যেন সালাতে সশব্দ কিরাআত পাঠ করে। কেননা ফিরিশতা তার সাথে সালাত আদায় করেন এবং কিরাআত শুনেন। যে সকল মুমিন জিন্ন বায়ুমণ্ডলে বিচরণ করে এবং যারা গর্তে বাস করে, তারা তার সাথে সালাত আদায় করে এবং তার কিরাআত শুনে। সে কিরাআত পাঠ করে, তার ঘর থেকে ফাসিক জিন্ন ও অভিশপ্ত শয়তান তাড়িয়ে দেয়। যে ঘরে কুরআন তিলাওয়াত করা হয়, তার উপর হিদায়াতের নূরের পর্দা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এরদ্বারা সমুদ্রে বিচরণকারী এবং পথহারা যমীনবাসী পথের সন্ধান পায়। যখন কুরআন তিলাওয়াতকারী ইনতিকাল করে, তখন তার উপর থেকে রেহমতের) চাঁদোয়া তুলে নেয়া হয়, আসমানবাসী ফিরিশতা তখন বিচরণ করে, সেই আলো দেখতে পান না। ফিরিশতাগণ যখন এক আসমান থেকে অন্য আসমানে যান, তখন ফিরিশতাকুল আত্মসমূহের মধ্যে সেই আত্মার প্রতি দু'আ করেন। এরপর তাদের সাথে যে সব ফিরিশতা (দুনিয়ায়) ছিলেন, তারা তাকে মুবারকবাদ জানান। এরপর পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত ফিরিশতাগণ তার জন্য মাগফিরাত কামানা করেন। কোন মুসলমান যখন কুরআন শিক্ষা করে, এরপর রাতের কিছু অংশে সালাত আদায় করে, সে রাতের পূর্ব রাত উপদেশ দেয়, সে যেন সালাত আদায়ের সময় তাকে জাগিয়ে দেয় এবং তার জন্য সালাত আদায় সহজতর করে দেয়। এরপর লোকটি মারা গেলে যখন তার পরিবার-পরিজন তাকে দাফন করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে, তখন কুরআন শরীফ অত্যন্ত সুন্দর সুরত নিয়ে তার শিয়রে দাঁড়িয়ে যায়। এমনকি তা তার কাফনের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং তার বুকের কাপড়ের মধ্যে অবস্থান করে। যখন তাকে কবরে দাফন করা হয় এবং তার কবরের মাটি সমান করে সবাই ফিরে আসে, তখন তার নিকট মুনকার-নাকীর উপস্থিত হন এবং তাকে কবরে বসান। তখন কুরআন আসে এবং মুনকার-নাকীরের মধ্যে দাঁড়িয়ে যায়। তখন দুই ফিরিশতা কুরআনকে বলেন: তুমি আমাদের মাঝ থেকে চলে যাও, আমরা তাকে প্রশ্ন করব। তখন কুরআন বলেঃ কাবার রবের শপথ! তা হতে পারে না। নিশ্চয়ই সে আমার সাথী, আমার বন্ধু। আমি কোন অবস্থাতেই তাকে লাঞ্ছিত হতে দেব না। যদি তোমরা কোন কাজের জন্য অদিষ্ট হয়ে থাক, তবে তোমরা তোমাদের আদিষ্ট কাজের দিকে চলে যাও। আমাকে আমার জায়গায় ছেড়ে দাও, যেহেতু আমি তাকে জান্নাতে না পৌঁছিয়ে ছাড়ব না। এরপর কুরআন তার পাঠকের দিকে তাকাবে এবং বলবে: আমি তোমার ঐ কুরআন, যা তুমি প্রাকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে তিলাওয়াত করতে, তুমি আমাকে ভালবাসতে এবং আমিও তোমাকে ভালবাসি। আর আমি যাকে ভালবাসি, আল্লাহ তাকে ভালবাসেন। মুনকার নাকীরের প্রশ্নের পরে তোমার জন্য কোন দুশ্চিন্তা অথবা হতাশা নেই। এরপর মুনকার-নাকীর তাকে প্রশ্ন করবেন এবং আকাশের দিকে উড়ে যাবেন। আর মৃত ব্যক্তি কুরআন নিয়ে থাকবে। এরপর কুরআন বলবেঃ তুমি আমার জন্য রাত জেগে এবং দিনে কষ্ট করে তিলাওয়াত করেছ, এর বিনিময়ে আমি তোমার জন্য মোলায়েম বিছানার ব্যবস্থা করব এবং আমি তোমার জন্য উত্তম পোশাকের ব্যবস্থা করব। তিনি বলেন: এরপর কুরআন চোখের পলকের চেয়ে দ্রুতগতিতে আসমানের দিকে উঠবে এবং সে আল্লাহর কাছে যা চাইবে, আল্লাহ তাকে তা দান করবেন। এরপর কুরআন আসবে এবং ষষ্ঠ আকাশের হাজার হাজার ফিরিশতা ঐ ব্যক্তির নিকট অবতরণ করবেন। এরপর কুরআন তাকে মুবারকবাদ জানাবে এবং বলবে: তোমাকে ছেড়ে আল্লাহর সাথে আমার কথা বলা, কেবলমাত্র তোমার জন্য বিছানা, পোশাক ও বাতির ব্যবস্থা করা ব্যতীত আর আমি দেরি করিনি। এখন আমি কাছে এলাম। তুমি দাঁড়াও যাতে ফিরিশতাকুল তোমার জন্য বিছানা করে দেন। তিনি বলেন, এরপর ফিরিশতাগণ তাকে অত্যন্ত মোলায়েমভাবে উঠাবেন এরপর তার কবর চারশ' বছরের রাস্তা সমান প্রশস্ত করে দেবেন। তার বিছানার মধ্যভাগ হবে সবুজ রংয়ের রেশমের, উপরিভাগ হবে আযফার নামক মিশকের এবং তার পায়ের দিকে থাকবে সূক্ষ্ম এবং স্কুল রেশম আর তার মাথার দিকে একটি বাতি এবং পায়ের দিকে একটি বাতি কিয়ামতের দিন পর্যন্ত প্রজ্জ্বলিত থাকবে। এরপর ফিরিশতাগণ তাকে ডান কাতে কিবলামুখী করে শোয়াবেন এবং তার কাছে জান্নাতের সুগন্ধি ফুলসমূহ উপস্থিত করবেন এবং তাঁরা চলে যাবেন। এরপর কুরআন এবং সে ব্যক্তি কবরে থাকবে। কুরআন একটি তাজা ফুল তার নাকের কাছে রাখবে এবং সে তার ঘ্রাণ নেবে, এমন কি পুনরুত্থান সংঘটিত হবে। এরপর কুরআন তার (মৃতের) পরিবার-পরিজনের দৈনন্দিন সংবাদ তার কাছে পৌঁছাতে থাকবে এবং কুরআন তাকে রক্ষণাবেক্ষণ করবে, যেমন স্নেহময় পিতা তার সন্তানের কল্যাণের সাথে দেখাশুনা করে। যদি তার সন্তানের কেউ কুরআন শিক্ষা করে, কুরআন তাকে তার সুসংবাদ পৌঁছিয়ে দেয়। আর যদি তার পরিত্যাজ্যদের কেউ অন্যায় কাজে জড়িয়ে পড়ে, কুরআন তাদের জন্য কল্যাণের ও সৌভাগ্যের দু'আ করে।
(হাদীসটি বায্যার বর্ণনা করেন এবং বলেন: খালিদ ইবন মা'দান হযরত মু'আয থেকে বর্ণনাটি শোনেননি। أَنه يَجِيء -অর্থ হলো কুরআনের সওয়াব। যেমন নবী বলেছেন: কিয়ামতের দিন এক লোক যার বিনিময়ে উহুদ পর্বতের সমান সওয়াব দেয়া হবে।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেন:] সনদে একজন অজ্ঞাত রাবী রয়েছেন যার অবস্থা অজ্ঞাত এবং মতনে অনেকগুলো দুর্বোধ্য শব্দ রয়েছে এবং প্রকাশ্যত জটিলতা রয়েছে। উকায়লী এবং অন্যান্যগণ সনদের ব্যাপারে সমালোচনা করেছেন। তবে হাদীসটি ইবন আবিদ-দুনিয়া ও আন্যান্যগণ হযরত উবাদা ইবন সামিত (রা) থেকে মাওকূফ সূত্রে বর্ণনা করেছেন। সম্ভবত এটিই যথার্থ।
(হাদীসটি বায্যার বর্ণনা করেন এবং বলেন: খালিদ ইবন মা'দান হযরত মু'আয থেকে বর্ণনাটি শোনেননি। أَنه يَجِيء -অর্থ হলো কুরআনের সওয়াব। যেমন নবী বলেছেন: কিয়ামতের দিন এক লোক যার বিনিময়ে উহুদ পর্বতের সমান সওয়াব দেয়া হবে।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেন:] সনদে একজন অজ্ঞাত রাবী রয়েছেন যার অবস্থা অজ্ঞাত এবং মতনে অনেকগুলো দুর্বোধ্য শব্দ রয়েছে এবং প্রকাশ্যত জটিলতা রয়েছে। উকায়লী এবং অন্যান্যগণ সনদের ব্যাপারে সমালোচনা করেছেন। তবে হাদীসটি ইবন আবিদ-দুনিয়া ও আন্যান্যগণ হযরত উবাদা ইবন সামিত (রা) থেকে মাওকূফ সূত্রে বর্ণনা করেছেন। সম্ভবত এটিই যথার্থ।
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
935 - وَرُوِيَ عَن معَاذ بن جبل رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صلى مِنْكُم من اللَّيْل فليجهر بقرَاءَته فَإِن الْمَلَائِكَة تصلي بِصَلَاتِهِ وتستمع لقرَاءَته وَإِن مؤمني
الْجِنّ الَّذين يكونُونَ فِي الْهَوَاء وجيرانه فِي مَسْكَنه يصلونَ بِصَلَاتِهِ ويستمعون قِرَاءَته وَإنَّهُ يطرد بقرَاءَته عَن دَاره وَعَن الدّور الَّتِي حوله فساق الْجِنّ ومردة الشَّيَاطِين وَإِن الْبَيْت الَّذِي يقْرَأ فِيهِ الْقُرْآن عَلَيْهِ خيمة من نور يَهْتَدِي بهَا أهل السَّمَاء كَمَا يهتدى بالكوكب الدُّرِّي فِي لجج الْبحار وَفِي الأَرْض القفر
فَإِذا مَاتَ صَاحب الْقُرْآن رفعت تِلْكَ الْخَيْمَة فتنظر الْمَلَائِكَة من السَّمَاء فَلَا يرَوْنَ ذَلِك النُّور فَتَلقاهُ الْمَلَائِكَة من سَمَاء إِلَى سَمَاء فَتُصَلِّي الْمَلَائِكَة على روحه فِي الْأَرْوَاح ثمَّ تسْتَقْبل الْمَلَائِكَة الحافظين الَّذين كَانُوا مَعَه ثمَّ تستغفر لَهُ الْمَلَائِكَة إِلَى يَوْم يبْعَث وَمَا من رجل تعلم كتاب الله ثمَّ صلى سَاعَة من ليل إِلَّا أوصت بِهِ تِلْكَ اللَّيْلَة الْمَاضِيَة اللَّيْلَة المستأنفة أَن تنبهه لساعته وَأَن تكون عَلَيْهِ خَفِيفَة فَإِذا مَاتَ وَكَانَ أَهله فِي جهازه جَاءَ الْقُرْآن فِي صُورَة حَسَنَة جميلَة فَوقف عِنْد رَأسه حَتَّى يدرج فِي أَكْفَانه فَيكون الْقُرْآن على صَدره دون الْكَفَن فَإِذا وضع فِي قَبره وسوي وتفرق عَنهُ أَصْحَابه أَتَاهُ مُنكر وَنَكِير عَلَيْهِمَا السَّلَام فيجلسانه فِي قَبره فَيَجِيء الْقُرْآن حَتَّى يكون بَينه وَبَينهمَا فَيَقُولَانِ لَهُ إِلَيْك حَتَّى نَسْأَلهُ فَيَقُول لَا وَرب الْكَعْبَة إِنَّه لصاحبي وخليلي وَلست أخذله على حَال فَإِن كنتما أمرتما بِشَيْء فامضيا لما أمرتما وَدَعَانِي مَكَاني فَإِنِّي لست أفارقه حَتَّى أدخلهُ الْجنَّة ثمَّ ينظر الْقُرْآن إِلَى صَاحبه فَيَقُول أَنا الْقُرْآن الَّذِي كنت تجْهر بِي وتخفيني وتحبني فَأَنا حَبِيبك وَمن أحببته أحبه الله لَيْسَ عَلَيْك بعد مَسْأَلَة مُنكر وَنَكِير هم وَلَا حزن فيسأله مُنكر وَنَكِير ويصعدان وَيبقى هُوَ وَالْقُرْآن فَيَقُول لأفرشنك فراشا لينًا ولأدثرنك دثارا حسنا جميلا بِمَا أَسهرت ليلك وأنصبت نهارك
قَالَ فيصعد الْقُرْآن إِلَى السَّمَاء أسْرع من الطّرف فَيسْأَل الله ذَلِك لَهُ فيعطيه ذَلِك فَيَجِيء الْقُرْآن فَينزل بِهِ ألف ألف ملك من مقربي السَّمَاء السَّادِسَة فَيَجِيء الْقُرْآن فيحييه فَيَقُول هَل استوحشت مَا زِدْت مُنْذُ فارقتك أَن كلمت الله تبَارك وَتَعَالَى حَتَّى أخذت لَك فراشا ودثارا ومصباحا وَقد جئْتُك بِهِ فَقُمْ حَتَّى تفرشك الْمَلَائِكَة عَلَيْهِم السَّلَام
قَالَ فتنهضه الْمَلَائِكَة إنهاضا لطيفا ثمَّ يفسح لَهُ فِي قَبره مسيرَة أَرْبَعمِائَة عَام ثمَّ يوضع لَهُ فرَاش بطانته من حَرِير أَخْضَر حشوه الْمسك الأذفر وَيُوضَع لَهُ مرافق عِنْد رجلَيْهِ وَرَأسه من السندس والإستبرق ويسرج لَهُ سراجان من نور الْجنَّة عِنْد رَأسه وَرجلَيْهِ يزهران إِلَى يَوْم الْقِيَامَة ثمَّ تضجعه الْمَلَائِكَة على شقَّه الْأَيْمن مُسْتَقْبل الْقبْلَة ثمَّ يُؤْتى بياسمين الْجنَّة وتصعد عَنهُ وَيبقى هُوَ وَالْقُرْآن فَيَأْخُذ الْقُرْآن الياسمين فيضعه على أَنفه غضا فيستنشقه حَتَّى يبْعَث وَيرجع الْقُرْآن إِلَى أَهله فيخبرهم كل
يَوْم وَلَيْلَة ويتعاهده كَمَا يتَعَاهَد الْوَالِد الشفيق وَلَده بِالْخَيرِ فَإِن تعلم أحد من وَلَده الْقُرْآن بشره بذلك وَإِن كَانَ عقبه عقب سوء دَعَا لَهُم بالصلاح والإقبال أَو كَمَا ذكر
رَوَاهُ الْبَزَّار وَقَالَ خَالِد بن معدان لم يسمع من معَاذ
وَمَعْنَاهُ أَنه يَجِيء ثَوَاب الْقُرْآن كَمَا قَالَ إِن اللُّقْمَة تَجِيء يَوْم الْقِيَامَة مثل أحد وَإِنَّمَا يَجِيء ثَوَابهَا
انْتهى
قَالَ الْحَافِظ فِي إِسْنَاده من لَا يعرف حَاله وَفِي مَتنه غرابة كَثِيرَة بل نَكَارَة ظَاهِرَة وَقد تكلم فِيهِ الْعقيلِيّ وَغَيره وَرَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا وَغَيره عَن عبَادَة بن الصَّامِت مَوْقُوفا عَلَيْهِ وَلَعَلَّه أشبه
الْجِنّ الَّذين يكونُونَ فِي الْهَوَاء وجيرانه فِي مَسْكَنه يصلونَ بِصَلَاتِهِ ويستمعون قِرَاءَته وَإنَّهُ يطرد بقرَاءَته عَن دَاره وَعَن الدّور الَّتِي حوله فساق الْجِنّ ومردة الشَّيَاطِين وَإِن الْبَيْت الَّذِي يقْرَأ فِيهِ الْقُرْآن عَلَيْهِ خيمة من نور يَهْتَدِي بهَا أهل السَّمَاء كَمَا يهتدى بالكوكب الدُّرِّي فِي لجج الْبحار وَفِي الأَرْض القفر
فَإِذا مَاتَ صَاحب الْقُرْآن رفعت تِلْكَ الْخَيْمَة فتنظر الْمَلَائِكَة من السَّمَاء فَلَا يرَوْنَ ذَلِك النُّور فَتَلقاهُ الْمَلَائِكَة من سَمَاء إِلَى سَمَاء فَتُصَلِّي الْمَلَائِكَة على روحه فِي الْأَرْوَاح ثمَّ تسْتَقْبل الْمَلَائِكَة الحافظين الَّذين كَانُوا مَعَه ثمَّ تستغفر لَهُ الْمَلَائِكَة إِلَى يَوْم يبْعَث وَمَا من رجل تعلم كتاب الله ثمَّ صلى سَاعَة من ليل إِلَّا أوصت بِهِ تِلْكَ اللَّيْلَة الْمَاضِيَة اللَّيْلَة المستأنفة أَن تنبهه لساعته وَأَن تكون عَلَيْهِ خَفِيفَة فَإِذا مَاتَ وَكَانَ أَهله فِي جهازه جَاءَ الْقُرْآن فِي صُورَة حَسَنَة جميلَة فَوقف عِنْد رَأسه حَتَّى يدرج فِي أَكْفَانه فَيكون الْقُرْآن على صَدره دون الْكَفَن فَإِذا وضع فِي قَبره وسوي وتفرق عَنهُ أَصْحَابه أَتَاهُ مُنكر وَنَكِير عَلَيْهِمَا السَّلَام فيجلسانه فِي قَبره فَيَجِيء الْقُرْآن حَتَّى يكون بَينه وَبَينهمَا فَيَقُولَانِ لَهُ إِلَيْك حَتَّى نَسْأَلهُ فَيَقُول لَا وَرب الْكَعْبَة إِنَّه لصاحبي وخليلي وَلست أخذله على حَال فَإِن كنتما أمرتما بِشَيْء فامضيا لما أمرتما وَدَعَانِي مَكَاني فَإِنِّي لست أفارقه حَتَّى أدخلهُ الْجنَّة ثمَّ ينظر الْقُرْآن إِلَى صَاحبه فَيَقُول أَنا الْقُرْآن الَّذِي كنت تجْهر بِي وتخفيني وتحبني فَأَنا حَبِيبك وَمن أحببته أحبه الله لَيْسَ عَلَيْك بعد مَسْأَلَة مُنكر وَنَكِير هم وَلَا حزن فيسأله مُنكر وَنَكِير ويصعدان وَيبقى هُوَ وَالْقُرْآن فَيَقُول لأفرشنك فراشا لينًا ولأدثرنك دثارا حسنا جميلا بِمَا أَسهرت ليلك وأنصبت نهارك
قَالَ فيصعد الْقُرْآن إِلَى السَّمَاء أسْرع من الطّرف فَيسْأَل الله ذَلِك لَهُ فيعطيه ذَلِك فَيَجِيء الْقُرْآن فَينزل بِهِ ألف ألف ملك من مقربي السَّمَاء السَّادِسَة فَيَجِيء الْقُرْآن فيحييه فَيَقُول هَل استوحشت مَا زِدْت مُنْذُ فارقتك أَن كلمت الله تبَارك وَتَعَالَى حَتَّى أخذت لَك فراشا ودثارا ومصباحا وَقد جئْتُك بِهِ فَقُمْ حَتَّى تفرشك الْمَلَائِكَة عَلَيْهِم السَّلَام
قَالَ فتنهضه الْمَلَائِكَة إنهاضا لطيفا ثمَّ يفسح لَهُ فِي قَبره مسيرَة أَرْبَعمِائَة عَام ثمَّ يوضع لَهُ فرَاش بطانته من حَرِير أَخْضَر حشوه الْمسك الأذفر وَيُوضَع لَهُ مرافق عِنْد رجلَيْهِ وَرَأسه من السندس والإستبرق ويسرج لَهُ سراجان من نور الْجنَّة عِنْد رَأسه وَرجلَيْهِ يزهران إِلَى يَوْم الْقِيَامَة ثمَّ تضجعه الْمَلَائِكَة على شقَّه الْأَيْمن مُسْتَقْبل الْقبْلَة ثمَّ يُؤْتى بياسمين الْجنَّة وتصعد عَنهُ وَيبقى هُوَ وَالْقُرْآن فَيَأْخُذ الْقُرْآن الياسمين فيضعه على أَنفه غضا فيستنشقه حَتَّى يبْعَث وَيرجع الْقُرْآن إِلَى أَهله فيخبرهم كل
يَوْم وَلَيْلَة ويتعاهده كَمَا يتَعَاهَد الْوَالِد الشفيق وَلَده بِالْخَيرِ فَإِن تعلم أحد من وَلَده الْقُرْآن بشره بذلك وَإِن كَانَ عقبه عقب سوء دَعَا لَهُم بالصلاح والإقبال أَو كَمَا ذكر
رَوَاهُ الْبَزَّار وَقَالَ خَالِد بن معدان لم يسمع من معَاذ
وَمَعْنَاهُ أَنه يَجِيء ثَوَاب الْقُرْآن كَمَا قَالَ إِن اللُّقْمَة تَجِيء يَوْم الْقِيَامَة مثل أحد وَإِنَّمَا يَجِيء ثَوَابهَا
انْتهى
قَالَ الْحَافِظ فِي إِسْنَاده من لَا يعرف حَاله وَفِي مَتنه غرابة كَثِيرَة بل نَكَارَة ظَاهِرَة وَقد تكلم فِيهِ الْعقيلِيّ وَغَيره وَرَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا وَغَيره عَن عبَادَة بن الصَّامِت مَوْقُوفا عَلَيْهِ وَلَعَلَّه أشبه