আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
৫. অধ্যায়ঃ নামাজ
হাদীস নং: ৪৩০
অধ্যায়ঃ নামাজ
মসজিদ পবিত্র রাখা, পবিত্র করা এবং সুগন্ধিময় করার প্রতি অনুপ্রেরণা
৪৩০. হযরত আবুশ শায়খ ইস্পাহানী (র) উবায়দুল্লাহ ইবন মারযুক (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন: মদীনায় এক কৃষ্ণকায় মহিলা মসজিদ ঝাড়ু দিত। সে ইনতিকাল করল কিন্তু নবী (সা) তার ইনতিকালের সংবাদ জানতে পারলেন না। এরপর তিনি তার কবরের পাশ দিয়ে পথ অতিক্রম করছিলেন। তিনি বললেন: এই কবরটি কার? তারা (সাহাবায়ে কিরাম) বললেনঃ উন্মু মিযানের কবর। তিনি বললেনঃ ঐ মহিলা, যে মসজিদ ঝাড়ু দিত? তারা বললেনঃ হ্যাঁ, লোকেরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে গেলে তিনি তার জানাযা আদায় করলেন। এরপর তিনি বললেনঃ তুমি (মহিলা) তোমার কোন আমলকে উত্তমরূপে পেয়েছ? তারা বললঃ সেকি শুনতে পায়? তিনি বললেনঃ তোমরা তার থেকে বেশি শোন না। এরপর তিনি তার (মহিলা) সাড়াদানের কথা আলোচনা করলেন, সে বলেছে, মসজিদ ঝাড়ু দেওয়া।
(মুরসাল সনদে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
(মুরসাল সনদে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي تنظيف الْمَسَاجِد وتطهيرها وَمَا جَاءَ فِي تجميرها
430 - وروى أَبُو الشَّيْخ الْأَصْبَهَانِيّ عَن عبيد الله بن مَرْزُوق قَالَ كَانَت امْرَأَة بِالْمَدِينَةِ تقم الْمَسْجِد فَمَاتَتْ فَلم يعلم بهَا النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَمر على قبرها فَقَالَ مَا هَذَا الْقَبْر فَقَالُوا قبر أم محجن
قَالَ الَّتِي كَانَت تقم الْمَسْجِد قَالُوا نعم
فَصف النَّاس فصلى عَلَيْهَا ثمَّ قَالَ أَي الْعَمَل وجدت أفضل قَالُوا يَا رَسُول الله أتسمع قَالَ مَا أَنْتُم بأسمع مِنْهَا فَذكر أَنَّهَا أَجَابَتْهُ قُم الْمَسْجِد وَهَذَا مُرْسل
قَالَ الَّتِي كَانَت تقم الْمَسْجِد قَالُوا نعم
فَصف النَّاس فصلى عَلَيْهَا ثمَّ قَالَ أَي الْعَمَل وجدت أفضل قَالُوا يَا رَسُول الله أتسمع قَالَ مَا أَنْتُم بأسمع مِنْهَا فَذكر أَنَّهَا أَجَابَتْهُ قُم الْمَسْجِد وَهَذَا مُرْسل
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছে মসজিদের এক মহিলা ঝাড়ুদার সম্পর্কে জানানো হয়েছে যে, তার মৃত্যু হয়ে গেলে সাহাবায়ে কেরাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে না জানিয়ে নিজেরাই তার দাফন-কাফন সম্পন্ন করেন। পরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা জানতে পেরে তার তার জন্য দুআ করেন।
তার নাম উম্মু মিহজান রাযি.। কোনও কোনও বর্ণনায় তার নাম বলা হয়েছে মিহজানা রাযি.। সম্ভবত মিহজানা তার মূল নাম এবং উম্মু মিহজান তার কুনয়াহ্ (উপনাম)।
সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় আছে তারপর তিনি ইরশাদ করলেন-
إن هذه القبور مملوءة ظلمة على أهلها، وإن الله تعالى ينورها لهم بصلاتي عليهم
(এ কবরগুলো তার বাসিন্দাদের নিয়ে অন্ধকারে পরিপূর্ণ থাকে। আল্লাহ তাআলা আমার দু'আর বরকতে তাদের জন্য তা আলোকিত করে দেন)। কবর যেহেতু সবদিক থেকে আবদ্ধ, তাই তার ভেতর সূর্যের আলো পৌঁছার তো কোনও উপায় নেই। তাই বাহ্যিক আলোয় তা আলোকিত থাকবে না এই-ই স্বাভাবিক। সেখানে আলোর ব্যবস্থা হতে পারে কেবল নেক আমল দ্বারা কিংবা আল্লাহ তাআলার কাছে গ্রহণযোগ্য সুপারিশের দ্বারা। সেকথাই প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, আল্লাহ তাআলা কবরকে আলোকিত করেন আমার দু'আর দ্বারা।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. গায়ের রং কালো হওয়ায় কিংবা গরীব ও সাধারণ লোক হওয়ায় কোনও মুসলিমকে অবহেলা করতে নেই।
খ. কবরস্থানে যাওয়া ও কবরবাসীদের জন্য দুআ করাও একটি সুন্নত আমল।
গ. কবর এক অন্ধকার ঘর। ঈমান ও আমলে সালিহার দ্বারা তাতে আলোর ব্যবস্থা হয়।
ঘ. জীবিত ব্যক্তির দুআ মৃত ব্যক্তির উপকারে আসে। দুআ দ্বারা কবরের অন্ধকারও দূর হয়।
তার নাম উম্মু মিহজান রাযি.। কোনও কোনও বর্ণনায় তার নাম বলা হয়েছে মিহজানা রাযি.। সম্ভবত মিহজানা তার মূল নাম এবং উম্মু মিহজান তার কুনয়াহ্ (উপনাম)।
সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় আছে তারপর তিনি ইরশাদ করলেন-
إن هذه القبور مملوءة ظلمة على أهلها، وإن الله تعالى ينورها لهم بصلاتي عليهم
(এ কবরগুলো তার বাসিন্দাদের নিয়ে অন্ধকারে পরিপূর্ণ থাকে। আল্লাহ তাআলা আমার দু'আর বরকতে তাদের জন্য তা আলোকিত করে দেন)। কবর যেহেতু সবদিক থেকে আবদ্ধ, তাই তার ভেতর সূর্যের আলো পৌঁছার তো কোনও উপায় নেই। তাই বাহ্যিক আলোয় তা আলোকিত থাকবে না এই-ই স্বাভাবিক। সেখানে আলোর ব্যবস্থা হতে পারে কেবল নেক আমল দ্বারা কিংবা আল্লাহ তাআলার কাছে গ্রহণযোগ্য সুপারিশের দ্বারা। সেকথাই প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, আল্লাহ তাআলা কবরকে আলোকিত করেন আমার দু'আর দ্বারা।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. গায়ের রং কালো হওয়ায় কিংবা গরীব ও সাধারণ লোক হওয়ায় কোনও মুসলিমকে অবহেলা করতে নেই।
খ. কবরস্থানে যাওয়া ও কবরবাসীদের জন্য দুআ করাও একটি সুন্নত আমল।
গ. কবর এক অন্ধকার ঘর। ঈমান ও আমলে সালিহার দ্বারা তাতে আলোর ব্যবস্থা হয়।
ঘ. জীবিত ব্যক্তির দুআ মৃত ব্যক্তির উপকারে আসে। দুআ দ্বারা কবরের অন্ধকারও দূর হয়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
বর্ণনাকারী: