আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৩- উযূর অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১৬২
১২১। (ইসতিনজার জন্য) বেজোড় সংখ্যক ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা
১৬১। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যখন উযু করে তখন সে যেন নাকে পানি দেয়, এরপর যেন নাক ঝেড়ে নেয়। আর যে ইসতিনজা করে সে যেন বেজোড় সংখ্যক ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করে। আর তোমাদের কেউ যখন ঘুম থেকে জাগে তখন সে যেন উযুর পানিতে হাত ঢুকানোর আগে তা ধুয়ে নেয়; কারণ তোমাদের কেউ জানে না যে, ঘুমন্ত অবস্থায় তার হাত কোথায় থাকে।

হাদীসের ব্যাখ্যা:

পেশাব বা পায়খানার পর যথানিয়মে পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা ওয়াজিব। এ ব্যাপারে ফকীহগণের কারো দ্বিমত নেই। পরিচ্ছন্নতা অর্জন ব্যতিরেকে নামায সহীহ হয় না। নিয়ম হল, পেশাবের পর পুরুষ পেশাবের ফোটা বন্ধ হয়েছে মর্মে নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত ঢেলা কুলুখ ধরে রাখবে। তারপর পানি ব্যবহার করবে। আর পায়খানার পর পুরুষ ও মহিলা উভয়ে তিনবার ঢিলা কুলুখ ব্যবহারের পর পানি ব্যবহার করবে। ইস্তিঞ্জায় মলদ্বার পরিচ্ছন্ন করা ওয়াজিব। এ ক্ষেত্রে তিন ঢেলা ব্যবহার করা সুন্নাত। কখনো তিন ঢেলায় পরিচ্ছন্নতা অর্জিত না হলে ঢেলার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। এ পর্যায়ে ঢেলার সংখ্যা বেজোড় সংখ্যক হওয়া মুস্তাহাব । ঢেলা ব্যবহারের পর সাধারণ অবস্থায় পানি দ্বারা ধৌত করা সুন্নাত। কিন্তু কখনো যদি নাপাকী এক দিরহাম (হাতের তালুর নিচ স্থান সমপরিমাণ বিস্তৃত)-এর বেশী পরিমাণ ছড়িয়ে পড়ে সে ক্ষেত্রে ঢেলার পর পানিও ব্যবহার করা ওয়াজিব। উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝা যায় যে, সাধারণ অবস্থায় ইস্তিঞ্জায় গুহ্যদ্বার ও নির্গমনস্থল পরিচ্ছন্ন করা ওয়াজিব। আর ঢেলার সংখ্যা তিনটি হওয়া ওয়াজিব নয়, বরং সুন্নাত ।

ওয়াজিব না হওয়ার পক্ষে নিম্নোক্ত হাদীস লক্ষণীয়ঃ

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنِ اكْتَحَلَ فَلْيُوتِرْ، مَنْ فَعَلَ فَقْدَ أَحْسَنَ، وَمَنْ لَا فَلَا حَرَجَ، وَمَنْ اسْتَجْمَرَ فَلْيُوتِرْ، مَنْ فَعَلَ فَقَدْ أَحْسَنَ، وَمَنْ لَا فَلَا حَرَجَ، وَمَنْ أَكَلَ فَمَا تَخَلَّلَ فَلْيَلْفِظْ، وَمَا لَاكَ بِلِسَانِهِ فَلْيَبْتَلِعْ، مَنْ فَعَلَ فَقَدْ أَحْسَنَ وَمَنْ لَا فَلَا حَرَجَ، وَمَنْ أَتَى الْغَائِطَ فَلْيَسْتَتِرْ، فَإِنْ لَمْ يَجِدْ إِلَّا أَنْ يَجْمَعَ كَثِيبًا مِنْ رَمْلٍ فَلْيَسْتَدْبِرْهُ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَلْعَبُ بِمَقَاعِدِ بَنِي آدَمَ، مَنْ فَعَلَ فَقَدْ أَحْسَنَ وَمَنْ لَا فَلَا حَرَجَ»، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: رَوَاهُ أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ ثَوْرٍ، قَالَ: حُصَيْنٌ الْحِمْيَرِيُّ، وَرَوَاهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ الصَّبَّاحِ، عَنْ ثَوْرٍ، فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ الْخَيْرُ،

হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, মহানবী (সা) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি সুরমা লাগাবে সে যেন বেজোড় সংখ্যায় (তিন/পাঁচ বার) সুরমা লাগায়। যে এমনটি করল সে ভাল কাজ করল। অন্যথায় তার কোন দোষ নেই। যে ব্যক্তি ইস্তিঞ্জা করবে সে যেন বেজোড় সংখ্যায় ইস্তিঞ্জা করে। যে এরূপ করল সে ভাল করল অন্যথায় তার কোন দোষ নেই। যে ব্যক্তি মুখে খাদ্য গ্রহণ করে খিলাল দ্বারা দাঁতের ফাঁক থেকে কিছু বের করে তবে সে বাইরে ফেলে দিবে। আর যে খাদ্য কণা সে তার জিহ্বায় দ্বারা সঞ্চালণ করে তা গিলে ফেলবে। যে এরূপ সে ভাল করল। অন্যথায় তার কোন দোষ নেই। যে ব্যক্তি ইস্তিঞ্জাখানায় পৌঁছবে সে যেন নিজকে যথাসাধ্য আড়াল করে নেয়। আর যদি আড়াল করার মত কিছু না পায় তাহলে সে বালুর স্তূপ জমা করে সেদিকে পিঠ দিয়ে বসবে। শয়তান (বেপর্দার সুযোগে) বণী আদমের নিতম্ব নিয়ে খেলা করে। আদেশটি যে পালন করবে ভাল, অন্যথায় কোন আপত্তি নেই।

উল্লেখিত হাদীস প্রমাণ করে যে, ইস্তিঞ্জায় ব্যবহৃত ঢেলার সংখ্যা তিন, পাঁচ যাই হোক বেজোড় হওয়া ভাল। এ সংখ্যার ঠিক রাখা ইখতিয়ারী বিষয়। ওয়াজিব-আবশ্যকীয় বিষয় নয়।" ওয়াজিব নয় বিধায় প্রিয়নবী (সা) বাক্যের শেষাংশে স্পষ্ট বলে দেন যে, বেজোড় সংখ্যা রক্ষা করা না গেলে কোন দোষে নেই। উল্লেখ্য যে, কোন ওয়াজিব বিধানের ক্ষেত্রে এ ধরনের অবকাশ দেওয়া হয় না। এটিই ইমাম আযম আবূ হানীফা (র) ও হানাফী ফকীহগণের অভিমত।

এ ব্যাপারে আরো কয়েকখানা হাদীস লক্ষ্য করা যেতে পারে। যেমন :

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ قَالَ إِذَا ذَهَبَ أحَدُكُمُ الْغَائِط فليذهب مَعَهُ بِثَلثة أحجار التَّطيِّبُ بِهِنَّ فَإِنَّهَا تَجْرَى عَنْهُ

হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কেউ যখন ইস্তিঞ্জাখানায় যাবে তখন সে যেন নিজের সঙ্গে তিনটি ঢেলা নিয়ে যায়।
এগুলোর দ্বারা সে পরিচ্ছন্নতা অর্জন করবে। এ সংখ্যক ঢেলা তার প্রয়োজন পূরণের জন্য যথেষ্ট হবে।”

عن أبي أيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ عنه إِذَا تَغَوَّطُ أَحَدَكُمْ فَلْيَمْسَحُ بِثَلُثَةِ أَحْجَارٍ فَإِنْ ذَالِكَ كَافِيَةٌ ، رواه الطبراني في الكبير والأوسط ورجاله موثقون الا ان ابا شعيب صاحب أبي أيوب لم ارفيه تعديلاً ولا جرحاً . (مجمع الزوائد (۱ : (٨٦) قال العثماني ومثله يحتج به عندنا وعند الكل، اعلاء السنن . ج : ۱ ، ص : ۳۰۹


হযরত আবু আইউব আনসারী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কেউ যখন ইস্তিঞ্জার জন্য যাবে তখন সে যেন তিন ঢেলার সাহায্যে মলদ্বার মুছে নেয় । এই তিন ঢেলাই তার কাজের জন্য যথেষ্ট বিবেচিত হবে।

উপরোক্ত হাদীসখানাও প্রমাণ করে যে, ঢেলার সংখ্যা তিনটি হওয়া ওয়াজিব নয় বরং যথেষ্ট বিবেচিত হওয়ার সংখ্যা।

وعن عبد الله بن مسعود رضى اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ يَقُولُ أَتَى النَّبِي الغائط فأمرني أن ايته بثلثة أحجار فوجدت حجرين والتمست الثالث
فلم أجدهُ فَأَخَذت رَوْثَةً فاتيتُه بِهَا ، فَأَخَذَ الحَجْرَينِ وَالْقَى الرَّوْثَةُ وَقَالَ هذا ركس . رواه البخاري

হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসঊদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা মহানবী (সা) ইস্তিঞ্জার জন্য আসলেন। নবীজী (সা) তখন আমাকে তিনটি ঢেলা এনে দিতে আদেশ করলেন । আমি (খুঁজে) দু'টি ঢেলা পেলাম। আরেকটি (তৃতীয়টি) অনেক খুঁজেও সংগ্রহ করতে পারলাম না। ফলে অবশেষে একখানা গোবর এনে তাঁকে দিলাম। অতঃপর তিনি ঢেলা দু'টি গ্রহণ করলেন আর গোবরের টুকরাটি ফেলে দিয়ে বললেন, এটি নাপাক

সহীহ বুখারীতে বর্ণিত উপরোক্ত হাদীস প্রমাণ করছে যে, প্রিয়নবী (সা) তখন মাত্র দু'টি ফেলা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করেছেন। তাঁর এ আমল থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ইস্তিঞ্জায় ঢেলার সংখ্যা তিনটি হওয়া ওয়াজিব নয় এবং তিনি যে, তিনটি ঢেলা আনার আদেশ দিয়ে ছিলেন সেটিও ওয়াজিব পর্যায়ের নির্দেশ ছিল না।

ইমাম আবূ জা'ফর তাহাভী (মৃ. ৩২১ হি.) বলেন, ইস্তিঞ্জায় ঢেলার সংখ্যা তিনটি হওয়া শর্ত নয়। যদি শর্ত হত তাহলে প্রিয়নবী (সা) গোবরটি ফেলে দেওয়ার পর তৃতীয় অপর একটি ঢেলা এনে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিতেন। মুসনাদে ইমাম আহমাদ গ্রন্থে বর্ণিত একখানা হাদীসে (ائتني بحجر) (আমাকে আরেকটি ঢেলা এনে দাও) মর্মে বর্ণনা পাওয়া গেলেও এই বর্ণনার সনদ গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়া এ বর্ণনা গ্রহণ করা হলেও হযরত ইবনে মাসউদ (রা) নবীজীকে তৃতীয় একটি ঢেলা এনে দিয়েছেন মর্মে কোন বর্ণনাই পাওয়া যায় না। কাজেই বুঝা যাচ্ছে যে, নবীজী (সা) দু'টি ঢেলা দ্বারাই পরিচ্ছন্নতা অর্জন করেছিলেন।

হানাফী ফকীহগণ আরো বলেন, যে, কেউ যদি একাধিক কোণ বিশিষ্ট একটি বড় ঢেলায় তিনটি কোণ দ্বারা ইস্তিঞ্জা করে তাহলে ফুকাহায়ে কিরামের সকলের মতেই ইস্তিঞ্জা দুরস্ত হয়ে যাবে।” যদি তাই হয়, তাহলে ঢেলাকে তিন এর সাথে আবশ্যকীয় ঘোষণার কোনই অর্থ থাকে না।

ইমাম তাহাভী (র) আরো যুক্তি প্রদর্শণ করে বলেন, পায়খানা বা পেশাব পানি দ্বারা ধৌত করার পরেও যদি এর রং কিংবা গন্ধ বিদূরিত না হয় তাহলে পুনর্বার ধুইতে হয়। যদি তাতেও বিদূরিত না হয় তাহলে আবারো ধুইতে হয় যতক্ষণ পর্যন্ত পেশাব পায়খানার চিহ্ন, রং কিংবা দূর্গন্ধ বিদূরিত না হয়। বুঝা গেল যে, এখানে বিশেষ কোন সংখ্যা উদ্দেশ্য নয়। উদ্দেশ্য হল পরিচ্ছন্ন করা। ঢেলা গ্রহণের বিষয়টিও তদ্রুপই। বিশেষ কোন সংখ্যা উদ্দেশ্য নয়। উদ্দেশ্য হল পরিচ্ছন্নতা অর্জন। আর এ কারণে বিশেষ কোন সংখ্যাকে ওয়াজিব বলার সুযোগ নেই।”

হানাফী ফকীহগণ বলেন, তবে ঢেলার সংখ্যা স্বাভাবিক অবস্থায় তিনটি হওয়া সুন্নাত। কোন কারণে বেশী ঢেলা ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বেজোড় সংখ্যাক হওয়া

এ ব্যাপারে নিম্নোক্ত হাদীসটি লক্ষণীয় :

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم قَالَ إِذَا اسْتَجْمَرُ أَحَدُكُمْ فَلْيُوتِرُ فَإِنَّ الله وتر يحب الوتر أما ترى السموتِ سَبْعًا وَالْأَرْضِينَ سَبْعًا وذكر اشياء . رواه البزار والطبراني في الاوسط ورجاله رجال
الصحيح ، مجمع الزوائد ۱ : ٨٥

হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহানবী (সা) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কেউ যখন ঢেলা ব্যবহার করে তখন সে যেন বেজোড় সংখ্যক ঢেলা ব্যবহার করে। কারণ মহান আল্লাহ বেজোড় তিনি যেজোড় সংখ্যাকে পছন্দ করেন। তুমি কি লক্ষ্য করনি যে, আসমান সাতটি। অনুরূপে যমীনও সাতটি। নবীজী (সা) এ ধারায় আরো কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করেছেন।

عن طارق بن عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلي الله عليه وسلم لكَ إِذَا اسْتَجَمَرَ ثُمَّ فَأَوْتِرُوا وَإِذَا تَوضأتُم فاستنثروا ، رواه الطبراني الكبير ورجاله موثقون كما في مجمع الزوائد ١ : ٨٦

হযরত তারিক ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন, তোমরা যখন ঢেলা ব্যবহার করবে, তখন বেজোড় সংখ্যক ব্যবহার কর। আর যখন অযূ করবে তখন নাকে পানি দিবে।

وعَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلي الله عليه وسلم لَكَ سُئِلَ عَن الاستطابة فقال أولا يجد أحدكم ثلثة أحجار ، حجران للصفتين وحجر للمسربة رواه الطبراني في الكبير وفيه عتيق بن يعقوب الزبيري قال أبو زرعة انه حفظ الموطاء في حياة مالك ، كما في مجمع الزوائد . ووثقه الدار قطني وذكره ابن حبان في الثقات كذا في لسان الميزان٤ : ۱۳۰) فالحديث حسن وحسنه الدار قطني في سنته

হযরত সাহল ইবন সা'দ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (সা)-কে পরিচ্ছন্নতা অর্জনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তখন তিনি ইরশাদ করেন, তোমরা কি তিনটি ঢেলা জোগাড় করতে পার না? দু'টি ঢেলা দুই দিকের জন্য, আর একটি মলদ্বারের জন্য।

উপরোক্ত হাদীসসমূহ থেকে প্রমাণিত হয় যে, ঢেলা তিনটি হওয়া সুন্নাত, এটিই হানাফী ফকীহগণের অভিমত। আল্লামা আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী (মৃ. ১৩৫২ হি.) বলেন, ইমাম আযম আবু হানীফা (র) এ প্রসঙ্গে বর্ণিত সকল হাদীস গবেষণা করেন এবং তানকীহে মানাত ( تنقيح المناط ) ইল্লাত কারণ নির্ণয় করণ করে দেখলেন যে, এখানে প্রধান বিষয় হল নাপাকী দূর করা ও নাপাকীর মলদ্বার পরিচ্ছন্ন করা। এ জন্য এটিকে ওয়াজিব নির্ধারণ করেছেন। আর এ পরিচ্ছন্নতা স্বাভাবিক অবস্থায় তিনটি ঢেলার দ্বারা সম্পন্ন হয়ে যায় বিধায়-নবীজী (সা) তিনটির কথা উল্লেখ করেছেন। কাজেই এটি সুন্নাত পর্যায়ের আমল।”
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন