আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
২১- হজ্জ্বের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৬০৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৭১৫
১০৮০. উট দাঁড় করিয়ে কুরবানী করা।
১৬০৭। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) মদীনাতে যোহর চার রাক’আত এবং যুল হুলাইফাতে আসর দু’রাক’আত আদায় করেন। আইয়ুব (রাহঃ) এক ব্যক্তির মাধ্যমে আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, এরপর তিনি সেখানে রাত যাপন করেন। ভোর হলে তিনি ফজরের নামায আদায় করার পর সওয়ারীতে আরোহণ করেন। সওয়ারী বায়দায় পৌঁছে সোজা হয়ে দাঁড়ালে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হজ্জ ও উমরা উভয়ের জন্য তালবিয়া পাঠ করেন।
باب نَحْرِ الْبُدْنِ قَائِمَةً
1715 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: «صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الظُّهْرَ بِالْمَدِينَةِ أَرْبَعًا، وَالعَصْرَ بِذِي الحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ» ، وَعَنْ أَيُّوبَ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ أَنَسٍ [ص:172] رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: ثُمَّ «بَاتَ حَتَّى أَصْبَحَ، فَصَلَّى الصُّبْحَ، ثُمَّ رَكِبَ رَاحِلَتَهُ حَتَّى إِذَا اسْتَوَتْ بِهِ البَيْدَاءَ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
মদীনা শহরের বাইরেই জুল হুলাইফা অবস্থিত। রসূল স. হজ্বের সফরে রওনা হয়ে মদীনা শহরের বাইরে গিয়ে কসর নামায পড়তে শুরু করলেন। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, সফরের নিয়তে নিজ শহরের সীমানা পার হলেই কসর শুরু হবে। এটাই হানাফী মাহাবের মত। (শামী: ২/১২১)
কারো আবাসন শহরের বাইরে হলে যে সীমানার মধ্যে তার সামাজিক যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ থাকে বা দৈনন্দিন প্রয়োজন পূরণে যতটুকু এলাকা জুড়ে সে সচরাচর চলাফেরা করে থাকে সেটা তার নিজ এলাকা হিসেবে গণ্য হবে। সফরের নিয়তে এ এলাকা ছেড়ে বাইরে গেলে তার কসরের বিধান শুরু হবে। এমনিভাবে সফর থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় ঐ এলাকায় ঢুকে পড়লে সে নামায পুরা পড়া শুরম্ন করবে।
কারো আবাসন শহরের বাইরে হলে যে সীমানার মধ্যে তার সামাজিক যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ থাকে বা দৈনন্দিন প্রয়োজন পূরণে যতটুকু এলাকা জুড়ে সে সচরাচর চলাফেরা করে থাকে সেটা তার নিজ এলাকা হিসেবে গণ্য হবে। সফরের নিয়তে এ এলাকা ছেড়ে বাইরে গেলে তার কসরের বিধান শুরু হবে। এমনিভাবে সফর থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় ঐ এলাকায় ঢুকে পড়লে সে নামায পুরা পড়া শুরম্ন করবে।
