আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
২১- হজ্জ্বের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১৭১৪
১০৮০. উট দাঁড় করিয়ে কুরবানী করা।
ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, তা-ই মুহাম্মাদ (ﷺ) এর সুন্নত।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, (কুরআনের শব্দ) صَوَافَّ এর অর্থ দাঁড় করিয়ে (কুরবানী করা)।
ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, তা-ই মুহাম্মাদ (ﷺ) এর সুন্নত।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, (কুরআনের শব্দ) صَوَافَّ এর অর্থ দাঁড় করিয়ে (কুরবানী করা)।
১৬০৬। সাহল ইবনে বাক্কার (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) মদীনাতে যোহর চার রাক’আত এবং যুল হুলাইফাতে আসর দু’রাক’আত আদায় করলেন এবং এখানেই রাত যাপন করলেন। ভোর হলে তিনি সওয়ারীতে আরোহণ করে তাহলীল ও তাসবীহ পাঠ করতে লাগলেন। এরপর বায়দায় যাওয়ার পর তিনি হজ্জ ও উমরা উভয়ের জন্য তালবিয়া পাঠ করেন এবং মক্কায় প্রবেশ করে তিনি সাহাবাদের ইহরাম খুলে ফেলার নির্দেশ দেন। আর (সে হজ্জে) নবী (ﷺ) সাতটি উট দাঁড় করিয়ে নিজ হাতে কুরবানী করেন আর মদীনাতে হৃষ্টপুষ্ট শিং বিশিষ্ট সুন্দর দু’টি মেষ কুরবানী দেন।
হাদীসের ব্যাখ্যা:
মদীনা শহরের বাইরেই জুল হুলাইফা অবস্থিত। রসূল স. হজ্বের সফরে রওনা হয়ে মদীনা শহরের বাইরে গিয়ে কসর নামায পড়তে শুরু করলেন। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, সফরের নিয়তে নিজ শহরের সীমানা পার হলেই কসর শুরু হবে। এটাই হানাফী মাহাবের মত। (শামী: ২/১২১)
কারো আবাসন শহরের বাইরে হলে যে সীমানার মধ্যে তার সামাজিক যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ থাকে বা দৈনন্দিন প্রয়োজন পূরণে যতটুকু এলাকা জুড়ে সে সচরাচর চলাফেরা করে থাকে সেটা তার নিজ এলাকা হিসেবে গণ্য হবে। সফরের নিয়তে এ এলাকা ছেড়ে বাইরে গেলে তার কসরের বিধান শুরু হবে। এমনিভাবে সফর থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় ঐ এলাকায় ঢুকে পড়লে সে নামায পুরা পড়া শুরম্ন করবে।
কারো আবাসন শহরের বাইরে হলে যে সীমানার মধ্যে তার সামাজিক যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ থাকে বা দৈনন্দিন প্রয়োজন পূরণে যতটুকু এলাকা জুড়ে সে সচরাচর চলাফেরা করে থাকে সেটা তার নিজ এলাকা হিসেবে গণ্য হবে। সফরের নিয়তে এ এলাকা ছেড়ে বাইরে গেলে তার কসরের বিধান শুরু হবে। এমনিভাবে সফর থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় ঐ এলাকায় ঢুকে পড়লে সে নামায পুরা পড়া শুরম্ন করবে।
