কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৮৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৮৫৭
১৫৪. যে ব্যক্তি রুকু ও সিজদা হতে উঠে পিঠ সোজা করে না।
৮৫৭. মুসা ইবনে ইসমাঈল ..... আলী ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) থেকে তার চাচার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে। অতঃপর তিনি পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেনঃ নবী (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ উযুর অঙ্গসমূহ উত্তমরূপে ধৌত না করলে নামায পূর্ণ হবে না। উযুর পর তাকবীরে তাহরীমা বলে হামদ ও ছানা পাঠ করতঃ কুরআন মজীদ হতে যা সম্ভব পাঠ করবে। অতঃপর “আল্লাহু আকবার” বলে রুকূতে যাবে এমতাবস্থায় যে, তার শরীরের জোড়াসমূহ স্ব-স্ব স্থানে যথারীতি অবস্থান করবে। অতঃপর “সামিআাল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলে স্থিরভাবে সোজা হয়ে দাঁড়াবে। অতঃপর “আল্লাহু আকবার” বলে এমনভাবে সিজদা করবে যাতে শরীরের জোড়াসমূহ স্ব-স্ব স্থানে যথারীতি অবস্থান করে। পরে “আল্লাহু আকবার” বলে মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে বসবে। এরপর পুনরায় “আল্লাহু আকবার” বলে পূর্ববৎ সিজদা করবে। অতঃপর “আল্লাহু আকবার” বলে সিজদা হতে মস্তক উত্তোলন করবে। যখন কোন ব্যক্তি এভাবে নামায আদায় করবে, তখনই তার নামায পরিপূর্ণ হবে।
باب صَلاَةِ مَنْ لاَ يُقِيمُ صُلْبَهُ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَحْيَى بْنِ خَلاَّدٍ، عَنْ عَمِّهِ، أَنَّ رَجُلاً، دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَذَكَرَ نَحْوَهُ قَالَ فِيهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّهُ لاَ تَتِمُّ صَلاَةٌ لأَحَدٍ مِنَ النَّاسِ حَتَّى يَتَوَضَّأَ فَيَضَعَ الْوُضُوءَ " . يَعْنِي مَوَاضِعَهُ " ثُمَّ يُكَبِّرُ وَيَحْمَدُ اللَّهَ جَلَّ وَعَزَّ وَيُثْنِي عَلَيْهِ وَيَقْرَأُ بِمَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِ ثُمَّ يَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ ثُمَّ يَرْكَعُ حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ ثُمَّ يَقُولُ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَائِمًا ثُمَّ يَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ ثُمَّ يَسْجُدُ حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ ثُمَّ يَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَيَرْفَعُ رَأْسَهُ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَاعِدًا ثُمَّ يَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ ثُمَّ يَسْجُدُ حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ ثُمَّ يَرْفَعُ رَأْسَهُ فَيُكَبِّرُ فَإِذَا فَعَلَ ذَلِكَ فَقَدْ تَمَّتْ صَلاَتُهُ " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
৮৫৬ নং হাদীসের ব্যাখ্যা দেখুন।


বর্ণনাকারী: