কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ৮৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ৮৪৭
১৫০. রুকু থেকে মাথা উত্তোলনের সময় যা বলবে।
৮৪৭. মুআম্মাল ইবনুল ফাদল আল-হাররানী ..... আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলতেন, তখন এর সাথে “আল্লাহুম্মা রবানা লাকাল-হামদ মিলউস-সামায়ে” (রাবী মুআম্মালের বর্ণনানুযায়ী) “মিলউস-সামাওয়াতে ওয়া মিলউল আরদে ওয়া মিলউ মা শি’তা মিন শায়ইন বা’দু, আহলুছ-ছানায়ে ওয়াল-মাজদে আহাক্কু মা-কালাল আব্দু, ওয়া কুল্লুনা লাকা আব্দুন লা মানিআ লিমা আতাইতা” বলতেন।

রাবী মাহমুদ এর সাথে আরো অতিরিক্ত “ওয়ালা মুতিয়া লিমা মানাতা” শব্দটি বলেছেন। অতঃপর সকল রাবী এ ব্যাপারে একমত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আরো বলেনঃ “ওয়ালা ইয়ানফাউ যাল-জাদ্দে মিনকাল জাদ্দু”।

রাবী বিশর বর্ণনা করেছেন যে, নবী (ﷺ) শুধুমাত্র “রাব্বানা লাকাল হামদ” বলতেন। রাবী মাহমুদের বর্ণনানুযায়ী “আল্লাহুম্মা” শব্দটির উল্লেখ নাই, বরং তাঁর বর্ণনায় নবী (ﷺ) “রবানা লাকাল-হামদ” বলতেন বলে উল্লেখ আছে।
باب مَا يَقُولُ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، ح وَحَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُسْهِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، كُلُّهُمْ عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ عَطِيَّةَ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ قَزَعَةَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ حِينَ يَقُولُ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَاءِ " . قَالَ مُؤَمَّلٌ مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَمِلْءَ الأَرْضِ وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَىْءٍ بَعْدُ أَهْلَ الثَّنَاءِ وَالْمَجْدِ أَحَقُّ مَا قَالَ الْعَبْدُ وَكُلُّنَا لَكَ عَبْدٌ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ " . زَادَ مَحْمُودٌ " وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ " . ثُمَّ اتَّفَقُوا - " وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ " . قَالَ بِشْرٌ " رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ " . لَمْ يَقُلْ مَحْمُودٌ " اللَّهُمَّ " . قَالَ " رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ " .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, একাকী নামাযী রুকু থেকে উঠার সময় سَمِعَ الله لِمَنْ حَمِدَهُ এবং রুকু থেকে দাঁড়িয়ে رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলবে। ইমামও অনুরূপ বলবে। অবশ্য বুখারী শরীফের ৭৬০ নাম্বার হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, ইমাম শুধু سَمِعَ الله لِمَنْ حَمِدَهُ বলবেন। আর মুক্তাদীরা শুধু رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলবে। উভয় হাদীসের উপরই আমল করা যেতে পারে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৯৭) বুখারী শরীফের ৭৬৩ নাম্বার হাদীসে বর্ণিত আছে যে, জনৈক সাহাবা রসূল স.-এর পেছনে নামায পড়ছিলেন। রসূল স. سَمِعَ الله لِمَنْ حَمِدَهُ বলে রুকু থেকে উঠলে তিনি বললেন, رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ নামায শেষে রসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করলেন, আমি ত্রিশজনেরও বেশী ফেরেশ্তাকে দেখলাম কে আগে এর সওয়াব লিখবে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা করছে। এটাকেও আমরা ছুন্নাত আমল বলে বিশ্বাস করি। রসূল স. নিজে কখনো এ আমল করেছেন বলে আমার জানা নেই। অবশ্য, তাঁর প্রশংসাই আমলের জন্য যথেষ্ট।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান