কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৮৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৮৪৬
১৫০. রুকু থেকে মাথা উত্তোলনের সময় যা বলবে।
৮৪৬. মুহাম্মাদ ইবনে ঈসা ..... আব্দুল্লাহ ইবনে আবু আওফা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) রুকূ হতে সোজা হওয়ার পর “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ আল্লাহুম্মা রবানা লাকাল হামদ, মিলউস-সামাওয়াতে ওয়া মিলউল-আরদে ওয়া মিলউ মা শি’তা মিন শায়ইন বা’দু বলতেন।
باب مَا يَقُولُ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ وَوَكِيعٌ وَمُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ كُلُّهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ الْحَسَنِ، سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي أَوْفَى، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ يَقُولُ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَمِلْءَ الأَرْضِ وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَىْءٍ بَعْدُ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَشُعْبَةُ بْنُ الْحَجَّاجِ عَنْ عُبَيْدٍ أَبِي الْحَسَنِ بِهَذَا الْحَدِيثِ لَيْسَ فِيهِ بَعْدَ الرُّكُوعِ . قَالَ سُفْيَانُ لَقِينَا الشَّيْخَ عُبَيْدًا أَبَا الْحَسَنِ بَعْدُ فَلَمْ يَقُلْ فِيهِ بَعْدَ الرُّكُوعِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ أَبِي عِصْمَةَ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ عُبَيْدٍ قَالَ " بَعْدَ الرُّكُوعِ " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, একাকী নামাযী রুকু থেকে উঠার সময় سَمِعَ الله لِمَنْ حَمِدَهُ এবং রুকু থেকে দাঁড়িয়ে رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলবে। ইমামও অনুরূপ বলবে। অবশ্য বুখারী শরীফের ৭৬০ নাম্বার হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, ইমাম শুধু سَمِعَ الله لِمَنْ حَمِدَهُ বলবেন। আর মুক্তাদীরা শুধু رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলবে। উভয় হাদীসের উপরই আমল করা যেতে পারে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৯৭) বুখারী শরীফের ৭৬৩ নাম্বার হাদীসে বর্ণিত আছে যে, জনৈক সাহাবা রসূল স.-এর পেছনে নামায পড়ছিলেন। রসূল স. سَمِعَ الله لِمَنْ حَمِدَهُ বলে রুকু থেকে উঠলে তিনি বললেন, رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ নামায শেষে রসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করলেন, আমি ত্রিশজনেরও বেশী ফেরেশ্তাকে দেখলাম কে আগে এর সওয়াব লিখবে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা করছে। এটাকেও আমরা ছুন্নাত আমল বলে বিশ্বাস করি। রসূল স. নিজে কখনো এ আমল করেছেন বলে আমার জানা নেই। অবশ্য, তাঁর প্রশংসাই আমলের জন্য যথেষ্ট।
