কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ৫০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৭
৩২. আযানের নিয়ম সম্পর্কে।
৫০৭. ইবনুল মুসান্না .... মুআয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নামাযের ব্যাপারে কিবলার পরিবর্তন তিনবার সাধিত হয়েছে এবং রোযার ব্যাপারে নিয়ম পদ্ধতিও তিনবার পরিবর্তিত হয়েছে। রাবী নসর এ সম্পর্কে একটি বিস্তারিত হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইবনুল মুছান্না তা সংক্ষিপ্তাকারে নামাযের ব্যাপারে এরূপ বর্ণনা করেছেন, মুসলমানদের কিব্লা ছিল বায়তুল মুকাদ্দাস। রাবী বলেন, তৃতীয় অবস্থা এই যে, নবী (ﷺ) মদীনায় আসার পর দীর্ঘ তের মাস বায়তুল মুকাদ্দেসের দিকে মুখ ফিরিয়ে নামায আদায় করেন। অতঃপর আল্লাহ্ তাআলা এই আয়াত নামিল করেনঃ “আমি তোমাকে তোমার চেহারা সব সময় আকাশের প্রতি ফিরান অবস্থায় অবলোকন করছি। এমতাবস্থায় আমি তোমাকে এমন কিবলার দিকে ফিরিয়ে দিব যা তুমি পছন্দ কর। এখন তুমি তোমার চেহারা মসজিদুল হারামের দিকে ফিরাও এবং অতঃপর তোমরা যেখানেই অবস্থান কর- তোমাদের চেহারা ঐ স্থানের দিকে ফিরাও।” অতএব আল্লাহ্ পাক তাকে কাবার দিকে ফিরিয়ে দেন। এভাবে তাঁর বর্ণনা শেষ হয়েছে।

অতঃপর আনসার গোত্রীয় সাহাবী আব্দুল্লাহ্ ইবনে যায়দ (রাযিঃ) আগমন করেন। তিনি কিবলামুখী হয়ে বলেনঃ “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (২ বার), আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্ (২ বার), হাইয়া আলাস্-সালাহ্ (২ বার), হাইয়া আলাল-ফালাহ্ (২ বার), আল্লাহু আকবার (২ বার), লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ (১ বার), অতঃপর তিনি কিছুক্ষণ পরে আযানের শব্দগুলির পুনরাবৃত্তি করেন এবং তন্মধ্যে হাইয়া আলাল-ফালাহ্ শব্দটির পরে দুইবার - কাদ্ কামাতিস-সালাহ” ঝক্যটি উচ্চারণ করেন। রাবী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আব্দুল্লাহ্ ইবনে যায়দ (রাযিঃ) -কে বলেন তুমি বিলালকে এর তালকীন (শিক্ষা) দাও।

অতঃপর বিলাল (রাযিঃ) উক্ত শব্দ দ্বারা আযান দেন। অতঃপর রাবী রোযা সম্পর্কে বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) প্রতি মাসে তিনদিন করে এবং আশূরার রোযা রাখতেন। অতঃপর এই আয়াত নাযিল হয়ঃ “তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর ফরয করা হয়েছিল- যেন তোমরা খোদাভীরু হও। নির্দিষ্ট কয়েক দিনের জন্য। তোমাদের মধ্যে কেউ যদি সফরে থাকে বা রোগগ্রস্ত হয়ে পড়ে- তবে পরবর্তী সময়ে তাকে এর কাযা আদায় করতে হবে। এবং যারা রোযা রাখতে অক্ষম তারা প্রত্যেক রোযার পরিবর্তে ফিদ্য়া হিসেবে একজন মিস্কীনকে খাদ্য দান করবে”-(সূরা বাকারাঃ ১৮৪)।”

অতঃপর যারা ইচছা করত রোযা রাখত এবং যারা ইচ্ছা করত রোযার পরিবর্তে প্রত্যহ একজন মিসকিনকে খাদ্য প্রদান করলেই চলত। অতঃপর এই হুকুম পরিবর্তিত হয় এবং আল্লাহ্ তাআলার তরফ হতে এই আয়াত নাযিল হয়ঃ “রমযান মাসেই কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে যা মানুষের দিশারী এবং হিদায়াতের নিদর্শন এবং হক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী। অতএব তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি রমযান মাস পাবে সে যেন অবশ্যই ঐ মাসে রোষা রাখে। আর যারা সফরে থাকবে বা রোগগ্রস্ত হবে তারা পরবর্তী সময়ে তার কাযা আদায় করবে”- (সূরা বাকারাঃ ১৮৫)।

এই আয়াত দ্বারা রোযার মাস প্রাপ্ত ব্যক্তির উপর রোযা রাখা ফরয করা হয়েছে। মুসাফিরকে পরে রোযার কাযা আদায় করতে হবে। অক্ষম ব্যক্তি- যারা রোযা রাখতে অক্ষম তারা রোযার পরিবর্তে মিসকিনকে প্রত্যহ খাদ্যদান করবে।
باب كَيْفَ الأَذَانُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، عَنْ أَبِي دَاوُدَ، ح وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنِ الْمَسْعُودِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ أُحِيلَتِ الصَّلاَةُ ثَلاَثَةَ أَحْوَالٍ وَأُحِيلَ الصِّيَامُ ثَلاَثَةَ أَحْوَالٍ وَسَاقَ نَصْرٌ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ وَاقْتَصَّ ابْنُ الْمُثَنَّى مِنْهُ قِصَّةَ صَلاَتِهِمْ نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ قَطُّ قَالَ الْحَالُ الثَّالِثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَصَلَّى - يَعْنِي نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ - ثَلاَثَةَ عَشَرَ شَهْرًا فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى هَذِهِ الآيَةَ ( قَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَحَيْثُ مَا كُنْتُمْ فَوَلُّوا وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ ) فَوَجَّهَهُ اللَّهُ تَعَالَى إِلَى الْكَعْبَةِ . وَتَمَّ حَدِيثُهُ وَسَمَّى نَصْرٌ صَاحِبَ الرُّؤْيَا قَالَ فَجَاءَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ وَقَالَ فِيهِ فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ مَرَّتَيْنِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ مَرَّتَيْنِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ثُمَّ أَمْهَلَ هُنَيَّةً ثُمَّ قَامَ فَقَالَ مِثْلَهَا إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ زَادَ بَعْدَ مَا قَالَ " حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ " . قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ . قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَقِّنْهَا بِلاَلاً " . فَأَذَّنَ بِهَا بِلاَلٌ وَقَالَ فِي الصَّوْمِ قَالَ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَصُومُ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ وَيَصُومُ يَوْمَ عَاشُورَاءَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ( كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنَ قَبْلِكُمْ ) إِلَى قَوْلِهِ ( طَعَامُ مِسْكِينٍ ) فَكَانَ مَنْ شَاءَ أَنْ يَصُومَ صَامَ وَمَنْ شَاءَ أَنْ يُفْطِرَ وَيُطْعِمَ كُلَّ يَوْمٍ مِسْكِينًا أَجْزَأَهُ ذَلِكَ وَهَذَا حَوْلٌ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ( شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ ) إِلَى ( أَيَّامٍ أُخَرَ ) فَثَبَتَ الصِّيَامُ عَلَى مَنْ شَهِدَ الشَّهْرَ وَعَلَى الْمُسَافِرِ أَنْ يَقْضِيَ وَثَبَتَ الطَّعَامُ لِلشَّيْخِ الْكَبِيرِ وَالْعَجُوزِ اللَّذَيْنِ لاَ يَسْتَطِيعَانِ الصَّوْمَ وَجَاءَ صِرْمَةُ وَقَدْ عَمِلَ يَوْمَهُ وَسَاقَ الْحَدِيثَ .
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
সুনানে আবু দাউদ - হাদীস নং ৫০৭ | মুসলিম বাংলা