কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৫০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৬
৩২. আযানের নিয়ম সম্পর্কে।
৫০৬. আমর ইবনে মারযূক .... ইবনে আবু লায়লা (রাহঃ) বলেন, নামাযের ব্যাপারে (কিবলার) পরিবর্তন তিনবার সাধিত হয়েছে। রাবী বলেন, আমাদের সাথীরা বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ মুসলমানগণ একত্রিত হয়ে জামাআতে নামায আদায় করায় আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি। আমি প্রথমাবস্থায় এরূপ চিন্তা করি যে, লোকদের নামাযের আহবানের জন্য বাড়ীতে বাড়ীতে কিছু লোক প্রেরণ করি আমি এরূপও ইরাদা করি যে, লোকদেরকে জামাআতে আনার জন্য কিছু সংখ্যক লোককে (মহল্লার) উঁচু স্থানে উঠিয়ে দিব, যারা তাদেরকে নামাযের জন্য আহবান করবে, অথবা তারা শিংগা ধ্বনির মাধ্যমে লোকদেরকে জামাআতে আহবান করার চিন্তাও করেছিল।
রাবী বলেন, এমতাবস্থায় আনসারদের মধ্য হতে একজন এসে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! লোকদেরকে জামাআতে-হাযির করার ব্যাপারে আপনাকে উৎকণ্ঠিত দেখার পর রাতে আমি স্বপ্নে দেখি যে এক ব্যক্তি দুটি হলুদ বর্ণের কাপড় পরিধাণ করে মসজিদের সম্মুখে আযান দিচ্ছেন। আযান শেযে কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর তিনি ইকামত দেন এবং এখানে তিনি আযানের শব্দের সাথে “কাদ কামাতিস-সালাহ” শব্দটি যোগ করেন। অতঃপর তিনি বলেন- মানুষের মিথ্যা অপবাদের ভয় যদি আমার না থাকত তবে নিশ্চয়ই আমি বলতাম, আমি তা জাগ্রত অবস্থায় দেখেছি- স্বপ্নে নয়।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ আল্লাহ্ তাআলা তোমাকে উত্তম স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তুমি বিলালকে নির্দেশ দাও যেন সে আযান দেয়। তখন উমর (রাযিঃ) বলেন, আমিও ইতিপূর্বে তার অনুরূপ স্বপ্ন দেখেছি। কিন্তু আমার আগেই অনুরূপ স্বপ্নের কথা ব্যক্ত হওয়ার কারণে আমি তা প্রকাশ করতে সংকোচ বোধ করি। রাবী বলেন, ইসলামের প্রারম্ভিক যুগে যখন নামাযের হুকুম-আহকাম পরির্ণভাবে নাযিল হয় নাই তখন সাহাবায়ে কিরামদের মধ্য হতে যারা নামায আরম্ভের পরে আসতেন তারা জিজ্ঞাসা করতেন- নামাযের কতটুকু আদায় করা হয়েছে। অতঃপর তাদের অবহিত করা হত। যারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে প্রথম হতে নামাযে শরীক হতেন তারা এক অবস্থায় থাকতেন এবং যারা পরে আসতেন তাদের কেউ দাঁড়ান, বসা বা রুকুর অবস্থায় থাকতেন।
ইবনুল মুছান্না, আমর, হুসায়েন, ইবনে আবু লায়লা হতে বর্ণনা করেছেন যে, একদা মুআয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) জামাআত শুরু হওয়ার পর মসজিদে আসেন। শোবা- হুসায়েন হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমি তাকে এক অবস্হায় দেখতে পাই নাই- হতে, অনুরূপভাবে তোমরা কর ......... পর্যন্ত বর্ণনা করেন। ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেন, অতঃপর আমি আমরের হাদীস বর্ণনা করি রাবী বলেন, মুআয (রাযিঃ) মসজিদে আগমনের পর উপস্থিত সাহাবীগণ তাকে ইশরা করে বলেন ...।
শোবা বলেন, আমি হুসায়েনের নিকট শুনেছি, মুআয (রাযিঃ) বলেন, আমি তাকে নামাযের মধ্যে যে অবস্থায় পাই সে অবস্থায় তাঁর সাথে নামায আরম্ভ করব। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন বলেনঃ মুআয তোমাদের জন্য একটি উত্তম সুন্নত সৃষ্টি করেছে (অর্থাৎ সর্বপ্রথম ইমামের সাথে কিরূপে নামায আদায় করতে হয়, তা ভালভাবে দেখিয়েছেন। তিনি নবী (ﷺ) এর সাথে প্রাপ্ত নামায জামাআতে আদায়ের পর অবশিষ্ট নামায পরে আদায় করেন)। অতঃপর নবী (ﷺ) বলেনঃ তোমরাও এরূপ করবে। রাবী বলেন, আমাদের সাথীরা বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর মদীনায় আসার পর তাদেরকে প্রতি মাসে তিনটি রোযা রাখার নির্দেশ দেন। অতঃপর রমযানের রোযার আয়াত নাযিল হয় সাহাবীদের ইতিপূর্বে রোযা রাখার অভ্যাস না থাকায় তা তাঁদের জন্য খুবই কষ্টকর হয়।
অতঃপর যারা রোযা রাখতে অক্ষম তাঁরা মিসকীনদের আহার করাতেন। অতঃপর এই আয়াত নাযিল হয়ঃ(فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ) “তোমাদের মধ্যে যারা রমযান মাস পাবে তারা যেন অবশ্যই রোযা রাখে।” মুসাফির ও রোগগ্রস্ত ব্যক্তির জন্যই কেবলমাত্র রমযান মাসের রোযা না রাখার অনুমতি ছিল (কিন্তু অন্য সময়ে এর কাযা আদায় করতে হত)। এভাবে তাদেরকে রমযানের রোযা রাখার নির্দেশ দেয়া হয় ইসলামের প্রথম যুগে রোযার নিয়ম এইরূপ ছিল যে, ইফতারের পর খাওয়ার পূর্বে কোন ব্যক্তি যদি কোন কারণ বশত ঘুমিয়ে পড়ত তবে তার জন্য পরের দিন সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত কোনরূপ খাদ্য গ্রহণ নাজায়েয ছিল।
এক রাতে উমর (রাযিঃ) তাঁর স্ত্রীর নিকট সহবাসের ইচ্ছা প্রকাশ করলে তিনি বলেন, আমি তো ঘুমিয়ে ছিলাম। তখন উমর (রাযিঃ) এরূপ ধারণা করেন যে, তাঁর স্ত্রী মিথ্যা বাহানা করে তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। অতঃপর তিনি তাঁর সাথে সঙ্গম করেন। অপরপক্ষে একজন আনসার সাহাবী ঘরে ফিরে খাদ্য চাইলে তাঁর পরিবারের লোকেরা বলেন, ধৈর্য ধরুন, আমরা খাবার প্রস্তুত করে আনছি। ইত্যবসরে তিনি না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন পরের দিন ভোরে এই আয়াত নাযিল হয়ঃ (أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ) “রমযান মাসের রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের বিবিদের সাথে সঙ্গম হালাল করা হয়ছে।”
রাবী বলেন, এমতাবস্থায় আনসারদের মধ্য হতে একজন এসে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! লোকদেরকে জামাআতে-হাযির করার ব্যাপারে আপনাকে উৎকণ্ঠিত দেখার পর রাতে আমি স্বপ্নে দেখি যে এক ব্যক্তি দুটি হলুদ বর্ণের কাপড় পরিধাণ করে মসজিদের সম্মুখে আযান দিচ্ছেন। আযান শেযে কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর তিনি ইকামত দেন এবং এখানে তিনি আযানের শব্দের সাথে “কাদ কামাতিস-সালাহ” শব্দটি যোগ করেন। অতঃপর তিনি বলেন- মানুষের মিথ্যা অপবাদের ভয় যদি আমার না থাকত তবে নিশ্চয়ই আমি বলতাম, আমি তা জাগ্রত অবস্থায় দেখেছি- স্বপ্নে নয়।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ আল্লাহ্ তাআলা তোমাকে উত্তম স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তুমি বিলালকে নির্দেশ দাও যেন সে আযান দেয়। তখন উমর (রাযিঃ) বলেন, আমিও ইতিপূর্বে তার অনুরূপ স্বপ্ন দেখেছি। কিন্তু আমার আগেই অনুরূপ স্বপ্নের কথা ব্যক্ত হওয়ার কারণে আমি তা প্রকাশ করতে সংকোচ বোধ করি। রাবী বলেন, ইসলামের প্রারম্ভিক যুগে যখন নামাযের হুকুম-আহকাম পরির্ণভাবে নাযিল হয় নাই তখন সাহাবায়ে কিরামদের মধ্য হতে যারা নামায আরম্ভের পরে আসতেন তারা জিজ্ঞাসা করতেন- নামাযের কতটুকু আদায় করা হয়েছে। অতঃপর তাদের অবহিত করা হত। যারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে প্রথম হতে নামাযে শরীক হতেন তারা এক অবস্থায় থাকতেন এবং যারা পরে আসতেন তাদের কেউ দাঁড়ান, বসা বা রুকুর অবস্থায় থাকতেন।
ইবনুল মুছান্না, আমর, হুসায়েন, ইবনে আবু লায়লা হতে বর্ণনা করেছেন যে, একদা মুআয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) জামাআত শুরু হওয়ার পর মসজিদে আসেন। শোবা- হুসায়েন হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমি তাকে এক অবস্হায় দেখতে পাই নাই- হতে, অনুরূপভাবে তোমরা কর ......... পর্যন্ত বর্ণনা করেন। ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেন, অতঃপর আমি আমরের হাদীস বর্ণনা করি রাবী বলেন, মুআয (রাযিঃ) মসজিদে আগমনের পর উপস্থিত সাহাবীগণ তাকে ইশরা করে বলেন ...।
শোবা বলেন, আমি হুসায়েনের নিকট শুনেছি, মুআয (রাযিঃ) বলেন, আমি তাকে নামাযের মধ্যে যে অবস্থায় পাই সে অবস্থায় তাঁর সাথে নামায আরম্ভ করব। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন বলেনঃ মুআয তোমাদের জন্য একটি উত্তম সুন্নত সৃষ্টি করেছে (অর্থাৎ সর্বপ্রথম ইমামের সাথে কিরূপে নামায আদায় করতে হয়, তা ভালভাবে দেখিয়েছেন। তিনি নবী (ﷺ) এর সাথে প্রাপ্ত নামায জামাআতে আদায়ের পর অবশিষ্ট নামায পরে আদায় করেন)। অতঃপর নবী (ﷺ) বলেনঃ তোমরাও এরূপ করবে। রাবী বলেন, আমাদের সাথীরা বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর মদীনায় আসার পর তাদেরকে প্রতি মাসে তিনটি রোযা রাখার নির্দেশ দেন। অতঃপর রমযানের রোযার আয়াত নাযিল হয় সাহাবীদের ইতিপূর্বে রোযা রাখার অভ্যাস না থাকায় তা তাঁদের জন্য খুবই কষ্টকর হয়।
অতঃপর যারা রোযা রাখতে অক্ষম তাঁরা মিসকীনদের আহার করাতেন। অতঃপর এই আয়াত নাযিল হয়ঃ(فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ) “তোমাদের মধ্যে যারা রমযান মাস পাবে তারা যেন অবশ্যই রোযা রাখে।” মুসাফির ও রোগগ্রস্ত ব্যক্তির জন্যই কেবলমাত্র রমযান মাসের রোযা না রাখার অনুমতি ছিল (কিন্তু অন্য সময়ে এর কাযা আদায় করতে হত)। এভাবে তাদেরকে রমযানের রোযা রাখার নির্দেশ দেয়া হয় ইসলামের প্রথম যুগে রোযার নিয়ম এইরূপ ছিল যে, ইফতারের পর খাওয়ার পূর্বে কোন ব্যক্তি যদি কোন কারণ বশত ঘুমিয়ে পড়ত তবে তার জন্য পরের দিন সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত কোনরূপ খাদ্য গ্রহণ নাজায়েয ছিল।
এক রাতে উমর (রাযিঃ) তাঁর স্ত্রীর নিকট সহবাসের ইচ্ছা প্রকাশ করলে তিনি বলেন, আমি তো ঘুমিয়ে ছিলাম। তখন উমর (রাযিঃ) এরূপ ধারণা করেন যে, তাঁর স্ত্রী মিথ্যা বাহানা করে তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। অতঃপর তিনি তাঁর সাথে সঙ্গম করেন। অপরপক্ষে একজন আনসার সাহাবী ঘরে ফিরে খাদ্য চাইলে তাঁর পরিবারের লোকেরা বলেন, ধৈর্য ধরুন, আমরা খাবার প্রস্তুত করে আনছি। ইত্যবসরে তিনি না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন পরের দিন ভোরে এই আয়াত নাযিল হয়ঃ (أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ) “রমযান মাসের রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের বিবিদের সাথে সঙ্গম হালাল করা হয়ছে।”
باب كَيْفَ الأَذَانُ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي لَيْلَى، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي لَيْلَى، قَالَ أُحِيلَتِ الصَّلاَةُ ثَلاَثَةَ أَحْوَالٍ - قَالَ - وَحَدَّثَنَا أَصْحَابُنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَقَدْ أَعْجَبَنِي أَنْ تَكُونَ صَلاَةُ الْمُسْلِمِينَ - أَوْ قَالَ الْمُؤْمِنِينَ - وَاحِدَةً حَتَّى لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أَبُثَّ رِجَالاً فِي الدُّورِ يُنَادُونَ النَّاسَ بِحِينِ الصَّلاَةِ وَحَتَّى هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ رِجَالاً يَقُومُونَ عَلَى الآطَامِ يُنَادُونَ الْمُسْلِمِينَ بِحِينِ الصَّلاَةِ حَتَّى نَقَسُوا أَوْ كَادُوا أَنْ يَنْقُسُوا " . قَالَ فَجَاءَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي لَمَّا رَجَعْتُ - لِمَا رَأَيْتُ مِنَ اهْتِمَامِكَ - رَأَيْتُ رَجُلاً كَأَنَّ عَلَيْهِ ثَوْبَيْنِ أَخْضَرَيْنِ فَقَامَ عَلَى الْمَسْجِدِ فَأَذَّنَ ثُمَّ قَعَدَ قَعْدَةً ثُمَّ قَامَ فَقَالَ مِثْلَهَا إِلاَّ أَنَّهُ يَقُولُ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ وَلَوْلاَ أَنْ يَقُولَ النَّاسُ - قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى أَنْ تَقُولُوا - لَقُلْتُ إِنِّي كُنْتُ يَقْظَانًا غَيْرَ نَائِمٍ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى " لَقَدْ أَرَاكَ اللَّهُ خَيْرًا " . وَلَمْ يَقُلْ عَمْرٌو " لَقَدْ أَرَاكَ اللَّهُ خَيْرًا فَمُرْ بِلاَلاً فَلْيُؤَذِّنْ " . قَالَ فَقَالَ عُمَرُ أَمَا إِنِّي قَدْ رَأَيْتُ مِثْلَ الَّذِي رَأَى وَلَكِنِّي لَمَّا سُبِقْتُ اسْتَحْيَيْتُ . قَالَ وَحَدَّثَنَا أَصْحَابُنَا قَالَ وَكَانَ الرَّجُلُ إِذَا جَاءَ يَسْأَلُ فَيُخْبَرُ بِمَا سُبِقَ مِنْ صَلاَتِهِ وَإِنَّهُمْ قَامُوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ بَيْنِ قَائِمٍ وَرَاكِعٍ وَقَاعِدٍ وَمُصَلٍّ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى قَالَ عَمْرٌو وَحَدَّثَنِي بِهَا حُصَيْنٌ عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى حَتَّى جَاءَ مُعَاذٌ . قَالَ شُعْبَةُ وَقَدْ سَمِعْتُهَا مِنْ حُصَيْنٍ فَقَالَ لاَ أَرَاهُ عَلَى حَالٍ إِلَى قَوْلِهِ كَذَلِكَ فَافْعَلُوا . قَالَ أَبُو دَاوُدَ ثُمَّ رَجَعْتُ إِلَى حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ مَرْزُوقٍ قَالَ فَجَاءَ مُعَاذٌ فَأَشَارُوا إِلَيْهِ - قَالَ شُعْبَةُ وَهَذِهِ سَمِعْتُهَا مِنْ حُصَيْنٍ - قَالَ فَقَالَ مُعَاذٌ لاَ أَرَاهُ عَلَى حَالٍ إِلاَّ كُنْتُ عَلَيْهَا . قَالَ فَقَالَ إِنَّ مُعَاذًا قَدْ سَنَّ لَكُمْ سُنَّةً كَذَلِكَ فَافْعَلُوا . قَالَ وَحَدَّثَنَا أَصْحَابُنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا قَدِمَ الْمَدِينَةَ أَمَرَهُمْ بِصِيَامِ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ثُمَّ أُنْزِلَ رَمَضَانُ وَكَانُوا قَوْمًا لَمْ يَتَعَوَّدُوا الصِّيَامَ وَكَانَ الصِّيَامُ عَلَيْهِمْ شَدِيدًا فَكَانَ مَنْ لَمْ يَصُمْ أَطْعَمَ مِسْكِينًا فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ( فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ ) فَكَانَتِ الرُّخْصَةُ لِلْمَرِيضِ وَالْمُسَافِرِ فَأُمِرُوا بِالصِّيَامِ . قَالَ وَحَدَّثَنَا أَصْحَابُنَا قَالَ وَكَانَ الرَّجُلُ إِذَا أَفْطَرَ فَنَامَ قَبْلَ أَنْ يَأْكُلَ لَمْ يَأْكُلْ حَتَّى يُصْبِحَ . قَالَ فَجَاءَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَأَرَادَ امْرَأَتَهُ فَقَالَتْ إِنِّي قَدْ نِمْتُ فَظَنَّ أَنَّهَا تَعْتَلُّ فَأَتَاهَا فَجَاءَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَأَرَادَ الطَّعَامَ فَقَالُوا حَتَّى نُسَخِّنَ لَكَ شَيْئًا فَنَامَ فَلَمَّا أَصْبَحُوا أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ هَذِهِ الآيَةُ ( أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ ) .


বর্ণনাকারী: