কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৪
২. নামাযের ওয়াক্তসমূহ সম্পর্কে
৩৯৪. মুহাম্মাদ ইবনে সালামা ..... উসামা ইবনে যায়দ আল-লায়ছী হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনে শিহাব তাকে জানিয়েছেন যে, একদা উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) মিম্বরে বসে (রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকায়) আসরের নামাযে (নামায আদায়ে) কিছু বিলম্ব করেন। তখন উরওয়া ইবনুস যুবায়ের (রাহঃ) তাকে বলেন, জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) মুহাম্মাদ (ﷺ)কে নামাযের সময় সম্পর্কে অবহিত করেছেন।
তখন উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) বলেন, তুমি যা বলছ তা আমি জানি। তখন উরওয়া বলেন, আমি বশীর ইবনে আবু মাসউদকে বলতে শুনেছি, আমি আবু মাসউদ আনসারী (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলতে শুনেছিঃ জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) এসে আমাকে নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে অবগত করেছেন। তিনি তাঁর অঙ্গুলী গণনা করে বলেন, আমি তাঁর (জিবরাঈল) সাথে একে একে পাঁচ ওয়াক্তে নামায আদায় করেছি।
রাবী বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে যোহরের নামায সূর্য একটু পশ্চিম দিকে হেলে যাওয়ার পর পড়তে দেখেছি এবং প্রখর গরমের দিনে তিনি কখনও একই বিলম্ব করেও পড়েছেন। আমি তাকে আসরের নামায সূর্য উপরে উজ্জ্বল বর্ণ থাকা অবস্থায় আদায় করতে দেখেছি- সূর্যের কিরণে হলুদ রং প্রকাশিত হওয়ার পূর্বে। কোন ব্যক্তি অসেরের নামায আদায় করে সূর্যাস্তের পূর্বেই ‘যুল হুলাইফা’* নামক স্থানে পৌছে যেত।
অতঃপর তিনি সূর্যাস্তের পরপরই মাগরিবের নামায আদায় করতেন। পরে তিনি এশার নামায ঐ সময় আদায় করতেন যখন পশ্চিমাকাশে কালোবর্ণে আচ্ছাদিত হত এবং কখনও কখনও মানুষের একত্রিত হওয়ার জন্য বিলম্ব করতেন। তিনি একবার ফজরের নামায অন্ধকার থাকতেই আদায় করেন এবং পরের বার দিগন্ত উজ্জ্বল হওয়ার পর সূর্যোদয়ের পূর্বক্ষণে আদায় করেন। তিনি তাঁর ইন্তিকালের পূর্ব পর্যন্ত পুনরায় আর কখনও অপেক্ষা করেন নাই।
*মদিনা হতে 'যুল হুলাইফা' নামক স্থানের দূরত্ব ৬ মাইল। - অনুবাদক
তখন উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) বলেন, তুমি যা বলছ তা আমি জানি। তখন উরওয়া বলেন, আমি বশীর ইবনে আবু মাসউদকে বলতে শুনেছি, আমি আবু মাসউদ আনসারী (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলতে শুনেছিঃ জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) এসে আমাকে নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে অবগত করেছেন। তিনি তাঁর অঙ্গুলী গণনা করে বলেন, আমি তাঁর (জিবরাঈল) সাথে একে একে পাঁচ ওয়াক্তে নামায আদায় করেছি।
রাবী বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে যোহরের নামায সূর্য একটু পশ্চিম দিকে হেলে যাওয়ার পর পড়তে দেখেছি এবং প্রখর গরমের দিনে তিনি কখনও একই বিলম্ব করেও পড়েছেন। আমি তাকে আসরের নামায সূর্য উপরে উজ্জ্বল বর্ণ থাকা অবস্থায় আদায় করতে দেখেছি- সূর্যের কিরণে হলুদ রং প্রকাশিত হওয়ার পূর্বে। কোন ব্যক্তি অসেরের নামায আদায় করে সূর্যাস্তের পূর্বেই ‘যুল হুলাইফা’* নামক স্থানে পৌছে যেত।
অতঃপর তিনি সূর্যাস্তের পরপরই মাগরিবের নামায আদায় করতেন। পরে তিনি এশার নামায ঐ সময় আদায় করতেন যখন পশ্চিমাকাশে কালোবর্ণে আচ্ছাদিত হত এবং কখনও কখনও মানুষের একত্রিত হওয়ার জন্য বিলম্ব করতেন। তিনি একবার ফজরের নামায অন্ধকার থাকতেই আদায় করেন এবং পরের বার দিগন্ত উজ্জ্বল হওয়ার পর সূর্যোদয়ের পূর্বক্ষণে আদায় করেন। তিনি তাঁর ইন্তিকালের পূর্ব পর্যন্ত পুনরায় আর কখনও অপেক্ষা করেন নাই।
*মদিনা হতে 'যুল হুলাইফা' নামক স্থানের দূরত্ব ৬ মাইল। - অনুবাদক
باب الْمَوَاقِيتِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ اللَّيْثِيِّ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَانَ قَاعِدًا عَلَى الْمِنْبَرِ فَأَخَّرَ الْعَصْرَ شَيْئًا فَقَالَ لَهُ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَمَا إِنَّ جِبْرِيلَ صلى الله عليه وسلم قَدْ أَخْبَرَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم بِوَقْتِ الصَّلاَةِ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ اعْلَمْ مَا تَقُولُ . فَقَالَ عُرْوَةُ سَمِعْتُ بَشِيرَ بْنَ أَبِي مَسْعُودٍ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيَّ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " نَزَلَ جِبْرِيلُ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَنِي بِوَقْتِ الصَّلاَةِ فَصَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ " . يَحْسُبُ بِأَصَابِعِهِ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الظُّهْرَ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسُ وَرُبَّمَا أَخَّرَهَا حِينَ يَشْتَدُّ الْحَرُّ وَرَأَيْتُهُ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ بَيْضَاءُ قَبْلَ أَنْ تَدْخُلَهَا الصُّفْرَةُ فَيَنْصَرِفُ الرَّجُلُ مِنَ الصَّلاَةِ فَيَأْتِي ذَا الْحُلَيْفَةِ قَبْلَ غُرُوبِ الشَّمْسِ وَيُصَلِّي الْمَغْرِبَ حِينَ تَسْقُطُ الشَّمْسُ وَيُصَلِّي الْعِشَاءَ حِينَ يَسْوَدُّ الأُفُقُ وَرُبَّمَا أَخَّرَهَا حَتَّى يَجْتَمِعَ النَّاسُ وَصَلَّى الصُّبْحَ مَرَّةً بِغَلَسٍ ثُمَّ صَلَّى مَرَّةً أُخْرَى فَأَسْفَرَ بِهَا ثُمَّ كَانَتْ صَلاَتُهُ بَعْدَ ذَلِكَ التَّغْلِيسَ حَتَّى مَاتَ وَلَمْ يَعُدْ إِلَى أَنْ يُسْفِرَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الزُّهْرِيِّ مَعْمَرٌ وَمَالِكٌ وَابْنُ عُيَيْنَةَ وَشُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ وَاللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ وَغَيْرُهُمْ لَمْ يَذْكُرُوا الْوَقْتَ الَّذِي صَلَّى فِيهِ وَلَمْ يُفَسِّرُوهُ وَكَذَلِكَ أَيْضًا رَوَاهُ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ وَحَبِيبُ بْنُ أَبِي مَرْزُوقٍ عَنْ عُرْوَةَ نَحْوَ رِوَايَةِ مَعْمَرٍ وَأَصْحَابِهِ إِلاَّ أَنَّ حَبِيبًا لَمْ يَذْكُرْ بَشِيرًا وَرَوَى وَهْبُ بْنُ كَيْسَانَ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقْتَ الْمَغْرِبِ قَالَ ثُمَّ جَاءَهُ لِلْمَغْرِبِ حِينَ غَابَتِ الشَّمْسُ - يَعْنِي مِنَ الْغَدِ - وَقْتًا وَاحِدًا . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ثُمَّ صَلَّى بِيَ الْمَغْرِبَ يَعْنِي مِنَ الْغَدِ وَقْتًا وَاحِدًا وَكَذَلِكَ رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ مِنْ حَدِيثِ حَسَّانَ بْنِ عَطِيَّةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .


বর্ণনাকারী: