আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৫৪- জান্নাতের নিআমত ও জান্নাতীদের বর্ণনা
হাদীস নং: ৬৯৪১
১৫. কিয়ামতের দিবসের বিবরণ। (এদিনের ভয়ংকর বিষয়সমূহের ব্যাপারে আল্লাহ আমাদেরকে সাহায্য করুন)
৬৯৪১। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ কিয়ামতের দিন ঘাম সত্তর বাঁ' (উভয় হাতের প্রশস্ততা) পরিমিত ভূমিতে ছড়িয়ে পড়বে এবং তা মানুষের মুখমণ্ডল পর্যন্ত বা কান পর্যন্ত পৌছে যাবে। [আবুল গায়স (রাহঃ)] ’মুখ’ ও ’কান’ কোনটির কথা বলেছেন, এ বিষয়ে (বর্ণনাকারী) সাওর সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
باب فِي صِفَةِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ أَعَانَنَا اللَّهُ عَلَى أَهْوَالِهَا
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ - عَنْ ثَوْرٍ، عَنْ أَبِي الْغَيْثِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ الْعَرَقَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لَيَذْهَبُ فِي الأَرْضِ سَبْعِينَ بَاعًا وَإِنَّهُ لَيَبْلُغُ إِلَى أَفْوَاهِ النَّاسِ أَوْ إِلَى آذَانِهِمْ " . يَشُكُّ ثَوْرٌ أَيَّهُمَا قَالَ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাশরের ময়দানে মানুষের শরীরের ঘাম এতবেশি পরিমাণে জমা হয়ে যাবে যে, তার মধ্যে আমল অনুপাতে একেকজনের শরীর একেক পরিমাণ ডুবে যাবে।
এ বিষয়টি জানানোর উদ্দেশ্য সেদিনের বিভীষিকা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া, যাতে উম্মত এখনই সাবধান হয়ে যায় এবং সেদিন যাতে আল্লাহ তাআলার রহমতের ছায়া পাওয়া যায়, সে উদ্দেশ্যে আল্লাহ তাআলার আদেশ-নিষেধ পালনের মধ্য দিয়ে ইহজীবন কাটায়।
উল্লেখ্য, ঘামের মধ্যে ডোবার বিষয়টি সকলের জন্য নয়। নবী-রাসূলদের জন্য তো নয়ই। তাছাড়া এমন অনেক লোকও থাকবে, যাদেরকে আল্লাহ তাআলা তাঁর আরশের ছায়ায় জায়গা দেবেন। তাদেরও ঘামের মধ্যে থাকার প্রশ্ন আসে না। ঘামের মধ্যে ডুববে এক তো কাফেরগণ, দ্বিতীয়ত ওই সকল মুমিন, যারা বিভিন্ন পাপকর্মে লিপ্ত থেকে তাওবা ছাড়াই মারা যাবে। কাজেই যারা বিভিন্ন পাপাচারে লিপ্ত, তাদের হুঁশিয়ার হওয়া দরকার। তাদের উচিত অবিলম্বে যথাযথ শর্তপূরণের সঙ্গে খালেস তাওবা করে নেওয়া, যাতে হাশরের ময়দানে আল্লাহ তাআলা নিজ দয়ায় তাঁর রহমতের ছায়ায় আশ্রয় দান করেন।
প্রকাশ থাকে যে, হাশরের ময়দান অদৃশ্য জগতের অংশ। সে জগৎ সম্পর্কে পুরোপুরি জানা যাবে তখনই, যখন সে জগতে যাওয়া হবে। তার আগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যতটুকু জানিয়েছেন অতটুকুতে ক্ষান্ত থাকাই কর্তব্য। তার বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করতে যাওয়া সমীচীন নয়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
হাশর-ময়দানের পরিস্থিতি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। সে ভয়ে ভীত থেকে শরীআত মোতাবেক জীবনযাপন করা কর্তব্য, যাতে সেদিন আল্লাহর রহমতের ছায়ায় আশ্রয় পাওয়া যায়।
এ বিষয়টি জানানোর উদ্দেশ্য সেদিনের বিভীষিকা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া, যাতে উম্মত এখনই সাবধান হয়ে যায় এবং সেদিন যাতে আল্লাহ তাআলার রহমতের ছায়া পাওয়া যায়, সে উদ্দেশ্যে আল্লাহ তাআলার আদেশ-নিষেধ পালনের মধ্য দিয়ে ইহজীবন কাটায়।
উল্লেখ্য, ঘামের মধ্যে ডোবার বিষয়টি সকলের জন্য নয়। নবী-রাসূলদের জন্য তো নয়ই। তাছাড়া এমন অনেক লোকও থাকবে, যাদেরকে আল্লাহ তাআলা তাঁর আরশের ছায়ায় জায়গা দেবেন। তাদেরও ঘামের মধ্যে থাকার প্রশ্ন আসে না। ঘামের মধ্যে ডুববে এক তো কাফেরগণ, দ্বিতীয়ত ওই সকল মুমিন, যারা বিভিন্ন পাপকর্মে লিপ্ত থেকে তাওবা ছাড়াই মারা যাবে। কাজেই যারা বিভিন্ন পাপাচারে লিপ্ত, তাদের হুঁশিয়ার হওয়া দরকার। তাদের উচিত অবিলম্বে যথাযথ শর্তপূরণের সঙ্গে খালেস তাওবা করে নেওয়া, যাতে হাশরের ময়দানে আল্লাহ তাআলা নিজ দয়ায় তাঁর রহমতের ছায়ায় আশ্রয় দান করেন।
প্রকাশ থাকে যে, হাশরের ময়দান অদৃশ্য জগতের অংশ। সে জগৎ সম্পর্কে পুরোপুরি জানা যাবে তখনই, যখন সে জগতে যাওয়া হবে। তার আগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যতটুকু জানিয়েছেন অতটুকুতে ক্ষান্ত থাকাই কর্তব্য। তার বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করতে যাওয়া সমীচীন নয়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
হাশর-ময়দানের পরিস্থিতি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। সে ভয়ে ভীত থেকে শরীআত মোতাবেক জীবনযাপন করা কর্তব্য, যাতে সেদিন আল্লাহর রহমতের ছায়ায় আশ্রয় পাওয়া যায়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
