আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

২০- যাকাতের অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭৮
৯৩৫. মহান আল্লাহর বাণীঃ তারা মানুষের কাছে নাছোড় হয়ে ভিক্ষা করেনা। (২:২৭৩)
১৩৯২। মুহাম্মাদ ইবনে গুরাইর যুহরী (রাহঃ) ......... সা‘দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদল লোককে কিছু দান করলেন। আমি তাদের মধ্যে বসা ছিলাম। নবী (ﷺ) তাদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তিকে কিছুই দিলেন না। অথচ সে ছিল আমার বিবেচনায় তাদের মধ্যে সব চাইতে উত্তম। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে গিয়ে চুপে চুপে বললাম, অমুক সম্পর্কে আপনার কি হল? আমিতো তাকে অবশ্যই মু’মিন বলে মনে করি। তিনি বললেনঃ বরং মুসলিম (বল)। সা’দ (রাযিঃ) বলেন, এরপর আমি কিছুক্ষণ চুপ থাকলাম। আবার তার সম্পর্কে আমার ধারণা প্রবল হয়ে উঠলে আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অমুক সম্পর্কে আপনার কি হল? আল্লাহর কসম! আমিতো তাকে মু’মিন বলে মনে করি। তিনি বললেনঃ বরং মুসলিম। এবারও কিছুক্ষণ নীরব রইলাম। আবার তার সম্পর্কে আমার ধারণা প্রবল হয়ে উঠলে আমি বললাম, অমুক সম্পর্কে আপনার কি হল? কসম! আমিতো তাকে মু’মিন বলে মনে করি। নবী (ﷺ) বললেনঃ অথবা মুসলিম! এভাবে তিনবার বললেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আমি একজনকে দিয়ে থাকি অথচ অন্য ব্যক্তি আমার কাছে অধিক প্রিয় এই আশঙ্কায় যে, তাকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
অপর সনদে ইসমা‘ঈল ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে এভাবে বলতে শুনেছি, তিনি হাদীসটি বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেছেন, তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার কাঁধে হাত রাখলেন, এরপর বললেন, হে সা‘দ! অগ্রসর হও। আমিতো এক ব্যক্তিকে দিয়ে থাকি...।
আবু আব্দুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, فَكُبْكِبُوا অর্থ উল্টিয়ে দেওয়া হয়েছে। مُكِبًّا আরবী বাগধারা অনুসারে أَكَبَّ الرَّجُلُ থেকে গৃহীত হয়েছে অর্থাৎ কর্তার কর্ম যখন কারো প্রতি না বর্তায় তখনই এরূপ বলা হয়ে থাকে। আর যদি কর্ম কারো উপর বর্তায়, তখন বলা হয় كَبَّهُ اللَّهُ لِوَجْهِهِ ও كَبَبْتُهُ أَنَا।
আবু আব্দুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, সালিহ ইবনে কাইসান (রাহঃ) যুহরী (রাহঃ) থেকে বয়সে বড় ছিলেন আর তিনি ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর সাক্ষাত পেয়েছেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন