আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
২০- যাকাতের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৩৫
৯০৫. সাদ্কা গুনাহ মিটিয়ে দেয়।
১৩৫২। কুতায়বা (রাহঃ) ......... হুযাইফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বললেন, তোমাদের মধ্যে কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে ফিতনা সম্পর্কিত হাদীস স্মরণ রেখেছ? হুযাইফা (রাযিঃ) বলেন, আমি আরয করলাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যেভাবে বলেছেন, আমি ঠিক সেভাবেই তা স্মরণ রেখেছি। উমর (রাযিঃ) বললেন, তুমি [রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে] বড় দুঃসাহসী ছিলে, তিনি কীভাবে বলেছেন (বলত)? তিনি বলেন, আমি বললাম, (হাদীসটি হলঃ) মানুষ পরিবার-পরিজন, সন্তান-সন্ততি ও প্রতিবেশী নিয়ে ফিতনায় পতিত হবে আর নামায, সাদ্কা ও নেক কাজ সেই ফিতনা মিটিয়ে দেবে। সুলাইমান [অর্থাৎ আমাশ (রাহঃ)] বলেন, আবু ওয়াইল কোন কোন সময় صلاة (নামায) صدقة (সাদ্কা) এরপর معروف (সৎকাজ শব্দের স্থলে) الامر بالمعروف والنهى عن المنكر (সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ) বলতেন।
উমর (রাযিঃ) বলেন, আমি এধরনের ফিতনার কথা জানতে চাইনি, বরং যে ফিতনা সাগরের ঢেউয়ের ন্যায় প্রবল বেগে ছুটে আসবে। হুযাইফা (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, আমীরুল মু’মিনীন! আপনার জীবনকালে ঐ ফিতনার কোন আশঙ্কা নেই। সেই ফিতনা ও আপনার মাঝে বন্ধ দরজা রয়েছে। উমর (রাযিঃ) প্রশ্ন করলেন, দরজা কি ভেঙ্গে দেওয়া হবে নাকি খুলে দেওয়া হবে? হুযাইফা (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, না, বরং ভেঙ্গে দেওয়া হবে। উমর (রাযিঃ) বললেন, দরজা ভেঙ্গে দেওয়া হলে কোন দিন তা আর বন্ধ করা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, আমি বললাম, সত্যই বলেছেন।
আবু ওয়াইল (রাহঃ) বলেন, দরজা বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? এ কথা হুযাইফা (রাযিঃ) এর নিকট প্রশ্ন করে জানতে আমরা কেউ সাহসী হলাম না। তাই প্রশ্ন করতে মাসরূককে অনুরোধ করলাম। মাসরূক (রাহঃ) হুযাইফা (রাযিঃ) কে প্রশ্ন করায় তিনি উত্তর দিলেনঃ দরজা হলেন উমর (রাযিঃ)। আমরা বললাম, আপনি দরজা বলে যাকে উদ্দেশ্য করেছেন, উমর (রাযিঃ) কি তা উপলব্ধি করতে পেরেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আগামীকালের পূর্বে রাতের আগমন যেমন সুনিশ্চিত (তেমনি নিঃসন্দেহে তিনি তা উপলব্ধি করতে পেরেছেন)। এর কারণ হল, আমি তাঁকে এমন হাদীস বর্ণনা করেছি, যাতে কোন ভুল ছিল না।
উমর (রাযিঃ) বলেন, আমি এধরনের ফিতনার কথা জানতে চাইনি, বরং যে ফিতনা সাগরের ঢেউয়ের ন্যায় প্রবল বেগে ছুটে আসবে। হুযাইফা (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, আমীরুল মু’মিনীন! আপনার জীবনকালে ঐ ফিতনার কোন আশঙ্কা নেই। সেই ফিতনা ও আপনার মাঝে বন্ধ দরজা রয়েছে। উমর (রাযিঃ) প্রশ্ন করলেন, দরজা কি ভেঙ্গে দেওয়া হবে নাকি খুলে দেওয়া হবে? হুযাইফা (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, না, বরং ভেঙ্গে দেওয়া হবে। উমর (রাযিঃ) বললেন, দরজা ভেঙ্গে দেওয়া হলে কোন দিন তা আর বন্ধ করা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, আমি বললাম, সত্যই বলেছেন।
আবু ওয়াইল (রাহঃ) বলেন, দরজা বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? এ কথা হুযাইফা (রাযিঃ) এর নিকট প্রশ্ন করে জানতে আমরা কেউ সাহসী হলাম না। তাই প্রশ্ন করতে মাসরূককে অনুরোধ করলাম। মাসরূক (রাহঃ) হুযাইফা (রাযিঃ) কে প্রশ্ন করায় তিনি উত্তর দিলেনঃ দরজা হলেন উমর (রাযিঃ)। আমরা বললাম, আপনি দরজা বলে যাকে উদ্দেশ্য করেছেন, উমর (রাযিঃ) কি তা উপলব্ধি করতে পেরেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আগামীকালের পূর্বে রাতের আগমন যেমন সুনিশ্চিত (তেমনি নিঃসন্দেহে তিনি তা উপলব্ধি করতে পেরেছেন)। এর কারণ হল, আমি তাঁকে এমন হাদীস বর্ণনা করেছি, যাতে কোন ভুল ছিল না।


বর্ণনাকারী: