আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৪৭- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল
হাদীস নং: ৬১৭০
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৯০
৩৪. হাসসান ইবনে সাবিত (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৭০। আব্দুল মালিক ইনব শু’আয়ব ইবনে লাইস (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কুরাইশদের বিরুদ্ধে তোমরা ব্যাঙ্গাত্মক কবিতা রচনা কর। কেননা, তা তাদের বিরুদ্ধে তীর নিক্ষেপের চাইতে অধিকতর শক্তিশালী। এরপর তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহ (রাযিঃ) এর কাছে এক ব্যক্তিকে প্রেরণ করলেন। তিনি তাকে বললেন, ওদের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্গাত্মক কবিতা রচনা কর। তিনি ব্যাঙ্গ কবিতা আবৃতি করলেন, কিন্তু তিনি তাতে খুশী হলেন না। তখন তিনি কা’ব ইবনে মালিককে ডেকে পাঠালেন। এরপর তিনি হাসসান ইবনে সাবিতের কাছে লোক পাঠালেন। সে যখন তাঁর কাছে গেল তখন হাসসান (রাযিঃ) বললেন, তোমাদের জন্য সঠিক সময় এসেছে যে, তোমরা সেই পশুরাজ সিংহকে ডেকে পাঠিয়েছ, যে তাঁর লেজ দ্বারা সাবাড় করে দেয়। এরপর তিনি তাঁর জিহবা বের করে নাড়াতে লাগলেন।
এরপর বললেন, সেই মহান সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছনে, আমি আমার জিহবা দ্বারা ওদেরকে ফেড়ে টুকরো টুকরো করে দেব, যেমনিভাবে হিংস্র বাঘ তার থাবা দিয়ে চামড়া খসিয়ে ফেলে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে হাসসান! তুমি তড়িঘড়ি করো না। কেননা, আবু বকর (রাযিঃ) কুরাইশদের বংশলতিকা সম্পর্কে সর্বাধিক জ্ঞাত আছেন। কারণ, তাদের মধ্যে আমারও আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। সুতরাং তিনি এসে আমার বংশ তোমাকে পৃথক করে বাতলে দিবেন।
এরপর হাসসান (রাযিঃ) তাঁর (আবু বকর (রাযিঃ) এর কাছে গেলেন এবং (বংশলতিকা সম্পর্কে ওয়াকিফহাল হয়ে) ফিরে এলেন। এরপর তিনি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি আপনার বংশপঞ্জী সম্পর্কে আমাকে অবহিত করেছেন। সেই মহান সত্তার কসম! যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, আমি আপনাকে তাদের মধ্য থেকে এমন সুকৌশলে বের করে আনব, যেমনিভাবে অটার মণ্ড থেকে সূক্ষ্ম কেশাগ্র বের করা হয়।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, এরপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে হাসসান সম্পর্কে বলতে শুনেছি যে, যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের পক্ষ থেকে কাফিরদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত ’রুহুল কুদ্স’ অর্থাৎ জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) সারাক্ষণ তোমাকে সাহায্য করতে থাকবেন। আর তিনি [আয়িশা (রাযিঃ)] বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, হাসসান তাদের (বিরুদ্ধে) নিন্দাবাদ করলেন। তিনি মুমিনদের অন্তরে প্রশান্তি এনে দিলেন এবং আত্মতৃপ্তি লাভ করলেন। হাসসান (রাযিঃ) বললেনঃ
তুমি মুহাম্মাদ (ﷺ) এর নিন্দাবাদ করছ, আর আমি তার পক্ষ থেকে জবাব দিচ্ছি এতে আছে আল্লাহর কাছে পুরষ্কার ও প্রতিদান।
তুমি ব্যাঙ্গ করেছ এমন মুহাম্মাদকে, যিনি পুন্যবান, একনিষ্ঠ ও সর্বশ্রেষ্ঠ পরহেযগার,
তিনি হচ্ছে আল্লাহর রাসুল, যার চরিত্র মাধুর্য অনুপম।
আমার পিতা ও তাঁর পিতা, আমার ইজ্জত আবরু
মুহাম্মাদের সম্মানের জন্য রক্ষাকবচ (অতন্দ্র প্রহরী)।
আমি কসম করে বলছি, কাদা (পার্বত্য ঘাঁটি)-র দুই প্রান্তে (মুসলিম মুজাহিদ বাহিনীর) বিজয় ধুলি উড়বে
তা তোমরা দেখতে পাবে, নতুবা আমার জন্য মতম করা হবে (আমি ধ্বংস হয়ে যাব)
যুদ্ধাভিযানকালে সে অশ্বারোহী বাহিনীর লাগামের সাথে দৌড় পাল্লা দেয়
(অথবা বললাম নিয়ে ঠোকাঠুকি করে)
(আর) তাদের কাঁধের উপরে রয়েছে রক্তের তৃষ্ণার্ত বর্শা (অথবা ক্ষুধার্ত সিংহ)
আমাদের অশ্বারোহীরা ছুটে চলে দ্রুতবেগে দুরন্ত।
আর মহিলারা আদর ও সম্মান করে নিজেদের ওড়না দিয়ে তাদের (ঘোড়াদের) মুছে দেয়।
তোমরা যদি আমাদের (ইসলামের) বিমুখ হও, (জনশূন্যকর)
তাহলেও আমরা উমরা পালন করবই এবং ইসলামের বিজয় নিশান উড়বে
আর আবরণ উন্মুক্ত হয়ে যাবে (অন্ধকার চিরদিনের জন্য বিদূরিত হয়ে যাবে)।
নতুবা তোমরা প্রতিক্ষায় থাক ঐ সময়ের, যে দিন (মুসলমানদের সাথে কাফিরদের) মুকাবিলা হবে;
আর সেদিন আল্লাহ যাকে চান বিজয় মাল্য পরিয়ে দেবেন।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, আমি আমার বান্দাকে রাসুল হিসাবে পাঠিয়েছি;
যিনি সত্য বলেন (সর্বদা লোকদের সত্যের দিকে আহবান জানান) যার মধ্যে নেই কোন কপটতা, অস্পষ্টতা।
আল্লাহ তাআলা আরও ইরশাদ করেন,
আমি এমন এক বাহিনী তৈরী করেছি যারা আনসার।
যাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে শত্রু মুকাবিলা করা
(প্রত্যহ তারা শত্রু মুকাবিলায় থাকে সতত প্রস্তুত)
প্রতিদিন আমাদের ভাগ্যে জুটে মা’আদ (কুরাইশ গোষ্ঠী) এর পক্ষ থেকে
কখনো বা গাল মন্দ, যুদ্ধ বিগ্রহ অথবা নিন্দাবাদ।
তোমাদের মধ্যে যে, আল্লাহর রাসূলের নিন্দাবাদ করে;
অথবা তাঁর, প্রশংসা ও সাহায্য সহায়তা করে এ দুইই সমান।
(কেননা) জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) আমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্বাচিত সম্মানিত বাণীবাহক (দূত)
এবং তিনি রুহুল কুদ্স (পবিত্র আত্মা) যার সমকক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই।
এরপর বললেন, সেই মহান সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছনে, আমি আমার জিহবা দ্বারা ওদেরকে ফেড়ে টুকরো টুকরো করে দেব, যেমনিভাবে হিংস্র বাঘ তার থাবা দিয়ে চামড়া খসিয়ে ফেলে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে হাসসান! তুমি তড়িঘড়ি করো না। কেননা, আবু বকর (রাযিঃ) কুরাইশদের বংশলতিকা সম্পর্কে সর্বাধিক জ্ঞাত আছেন। কারণ, তাদের মধ্যে আমারও আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। সুতরাং তিনি এসে আমার বংশ তোমাকে পৃথক করে বাতলে দিবেন।
এরপর হাসসান (রাযিঃ) তাঁর (আবু বকর (রাযিঃ) এর কাছে গেলেন এবং (বংশলতিকা সম্পর্কে ওয়াকিফহাল হয়ে) ফিরে এলেন। এরপর তিনি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি আপনার বংশপঞ্জী সম্পর্কে আমাকে অবহিত করেছেন। সেই মহান সত্তার কসম! যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, আমি আপনাকে তাদের মধ্য থেকে এমন সুকৌশলে বের করে আনব, যেমনিভাবে অটার মণ্ড থেকে সূক্ষ্ম কেশাগ্র বের করা হয়।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, এরপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে হাসসান সম্পর্কে বলতে শুনেছি যে, যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের পক্ষ থেকে কাফিরদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত ’রুহুল কুদ্স’ অর্থাৎ জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) সারাক্ষণ তোমাকে সাহায্য করতে থাকবেন। আর তিনি [আয়িশা (রাযিঃ)] বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, হাসসান তাদের (বিরুদ্ধে) নিন্দাবাদ করলেন। তিনি মুমিনদের অন্তরে প্রশান্তি এনে দিলেন এবং আত্মতৃপ্তি লাভ করলেন। হাসসান (রাযিঃ) বললেনঃ
তুমি মুহাম্মাদ (ﷺ) এর নিন্দাবাদ করছ, আর আমি তার পক্ষ থেকে জবাব দিচ্ছি এতে আছে আল্লাহর কাছে পুরষ্কার ও প্রতিদান।
তুমি ব্যাঙ্গ করেছ এমন মুহাম্মাদকে, যিনি পুন্যবান, একনিষ্ঠ ও সর্বশ্রেষ্ঠ পরহেযগার,
তিনি হচ্ছে আল্লাহর রাসুল, যার চরিত্র মাধুর্য অনুপম।
আমার পিতা ও তাঁর পিতা, আমার ইজ্জত আবরু
মুহাম্মাদের সম্মানের জন্য রক্ষাকবচ (অতন্দ্র প্রহরী)।
আমি কসম করে বলছি, কাদা (পার্বত্য ঘাঁটি)-র দুই প্রান্তে (মুসলিম মুজাহিদ বাহিনীর) বিজয় ধুলি উড়বে
তা তোমরা দেখতে পাবে, নতুবা আমার জন্য মতম করা হবে (আমি ধ্বংস হয়ে যাব)
যুদ্ধাভিযানকালে সে অশ্বারোহী বাহিনীর লাগামের সাথে দৌড় পাল্লা দেয়
(অথবা বললাম নিয়ে ঠোকাঠুকি করে)
(আর) তাদের কাঁধের উপরে রয়েছে রক্তের তৃষ্ণার্ত বর্শা (অথবা ক্ষুধার্ত সিংহ)
আমাদের অশ্বারোহীরা ছুটে চলে দ্রুতবেগে দুরন্ত।
আর মহিলারা আদর ও সম্মান করে নিজেদের ওড়না দিয়ে তাদের (ঘোড়াদের) মুছে দেয়।
তোমরা যদি আমাদের (ইসলামের) বিমুখ হও, (জনশূন্যকর)
তাহলেও আমরা উমরা পালন করবই এবং ইসলামের বিজয় নিশান উড়বে
আর আবরণ উন্মুক্ত হয়ে যাবে (অন্ধকার চিরদিনের জন্য বিদূরিত হয়ে যাবে)।
নতুবা তোমরা প্রতিক্ষায় থাক ঐ সময়ের, যে দিন (মুসলমানদের সাথে কাফিরদের) মুকাবিলা হবে;
আর সেদিন আল্লাহ যাকে চান বিজয় মাল্য পরিয়ে দেবেন।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, আমি আমার বান্দাকে রাসুল হিসাবে পাঠিয়েছি;
যিনি সত্য বলেন (সর্বদা লোকদের সত্যের দিকে আহবান জানান) যার মধ্যে নেই কোন কপটতা, অস্পষ্টতা।
আল্লাহ তাআলা আরও ইরশাদ করেন,
আমি এমন এক বাহিনী তৈরী করেছি যারা আনসার।
যাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে শত্রু মুকাবিলা করা
(প্রত্যহ তারা শত্রু মুকাবিলায় থাকে সতত প্রস্তুত)
প্রতিদিন আমাদের ভাগ্যে জুটে মা’আদ (কুরাইশ গোষ্ঠী) এর পক্ষ থেকে
কখনো বা গাল মন্দ, যুদ্ধ বিগ্রহ অথবা নিন্দাবাদ।
তোমাদের মধ্যে যে, আল্লাহর রাসূলের নিন্দাবাদ করে;
অথবা তাঁর, প্রশংসা ও সাহায্য সহায়তা করে এ দুইই সমান।
(কেননা) জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) আমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্বাচিত সম্মানিত বাণীবাহক (দূত)
এবং তিনি রুহুল কুদ্স (পবিত্র আত্মা) যার সমকক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই।
باب فَضَائِلِ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ رضى الله عنه
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، حَدَّثَنِي خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " اهْجُوا قُرَيْشًا فَإِنَّهُ أَشَدُّ عَلَيْهَا مِنْ رَشْقٍ بِالنَّبْلِ " . فَأَرْسَلَ إِلَى ابْنِ رَوَاحَةَ فَقَالَ " اهْجُهُمْ " . فَهَجَاهُمْ فَلَمْ يُرْضِ فَأَرْسَلَ إِلَى كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَى حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ قَالَ حَسَّانُ قَدْ آنَ لَكُمْ أَنْ تُرْسِلُوا إِلَى هَذَا الأَسَدِ الضَّارِبِ بِذَنَبِهِ ثُمَّ أَدْلَعَ لِسَانَهُ فَجَعَلَ يُحَرِّكُهُ فَقَالَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لأَفْرِيَنَّهُمْ بِلِسَانِي فَرْىَ الأَدِيمِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَعْجَلْ فَإِنَّ أَبَا بَكْرٍ أَعْلَمُ قُرَيْشٍ بِأَنْسَابِهَا - وَإِنَّ لِي فِيهِمْ نَسَبًا - حَتَّى يُلَخِّصَ لَكَ نَسَبِي " . فَأَتَاهُ حَسَّانُ ثُمَّ رَجَعَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ لَخَّصَ لِي نَسَبَكَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لأَسُلَّنَّكَ مِنْهُمْ كَمَا تُسَلُّ الشَّعَرَةُ مِنَ الْعَجِينِ . قَالَتْ عَائِشَةُ فَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لِحَسَّانَ " إِنَّ رُوحَ الْقُدُسِ لاَ يَزَالُ يُؤَيِّدُكَ مَا نَافَحْتَ عَنِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ " . وَقَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " هَجَاهُمْ حَسَّانُ فَشَفَى وَاشْتَفَى " . قَالَ حَسَّانُ هَجَوْتَ مُحَمَّدًا فَأَجَبْتُ عَنْهُ وَعِنْدَ اللَّهِ فِي ذَاكَ الْجَزَاءُ هَجَوْتَ مُحَمَّدًا بَرًّا تَقِيًّا رَسُولَ اللَّهِ شِيمَتُهُ الْوَفَاءُ فَإِنَّ أَبِي وَوَالِدَهُ وَعِرْضِي لِعِرْضِ مُحَمَّدٍ مِنْكُمْ وِقَاءُ ثَكِلْتُ بُنَيَّتِي إِنْ لَمْ تَرَوْهَا تُثِيرُ النَّقْعَ مِنْ كَنَفَىْ كَدَاءِ يُبَارِينَ الأَعِنَّةَ مُصْعِدَاتٍ عَلَى أَكْتَافِهَا الأَسَلُ الظِّمَاءُ تَظَلُّ جِيَادُنَا مُتَمَطِّرَاتٍ تُلَطِّمُهُنَّ بِالْخُمُرِ النِّسَاءُ فَإِنْ أَعْرَضْتُمُو عَنَّا اعْتَمَرْنَا وَكَانَ الْفَتْحُ وَانْكَشَفَ الْغِطَاءُ وَإِلاَّ فَاصْبِرُوا لِضِرَابِ يَوْمٍ يُعِزُّ اللَّهُ فِيهِ مَنْ يَشَاءُ وَقَالَ اللَّهُ قَدْ أَرْسَلْتُ عَبْدًا يَقُولُ الْحَقَّ لَيْسَ بِهِ خَفَاءُ وَقَالَ اللَّهُ قَدْ يَسَّرْتُ جُنْدًا هُمُ الأَنْصَارُ عُرْضَتُهَا اللِّقَاءُ لَنَا فِي كُلِّ يَوْمٍ مِنْ مَعَدٍّ سِبَابٌ أَوْ قِتَالٌ أَوْ هِجَاءُ فَمَنْ يَهْجُو رَسُولَ اللَّهِ مِنْكُمْ وَيَمْدَحُهُ وَيَنْصُرُهُ سَوَاءُ وَجِبْرِيلٌ رَسُولُ اللَّهِ فِينَا وَرُوحُ الْقُدْسِ لَيْسَ لَهُ كِفَاءُ
