আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৪৭- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল
হাদীস নং: ৬১৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৮৪-৩
৩৩. আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৫৯। কুতায়বা ইবনে সাঈদ ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... খারাশা ইবনে হুরর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মদীনার মসজিদে একটি মজলিসে বসা ছিলাম। তিনি বলেন, সে মজলিসে উপস্থিত ছিলেন সুন্দর অবয়ব বিশিষ্ট একজন প্রবীণ ব্যক্তি। তিনিই আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ)। তিনি (রাবী) বলেন, তিনি তাদের সামনে সুন্দর সুন্দর কথা বলছিলেন। তিনি (রাবী) বলেন, যখন তিনি মজলিস থেকে উঠে দাঁড়ালেন তখন লোকেরা বলল, যে ব্যক্তি কোন জান্নাতিকে দেখে আনন্দিত হতে চায় সে যেন এই লোকটিকে দেখে। তিনি (খারাশা) বলেন, আমি বললাম, আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই আমি তাঁর অনুসরণ করব, যেন আমি তাঁর আবাসস্থল জেনে নিতে পারি।
তিনি (রাবী) বললেন, তারপর আমি তাকে অনুসরণ করলাম। তিনি রওয়ানা হলেন এবং মদীনা থেকে প্রায় বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি তাঁর ঘরে প্রবেশ করলেন। তিনি (রাবী) বলেন, আমিও তাঁর কাছে প্রবেশের অনুমতি চাইলাম। তিনি আমাকে অনুমতি দিলেন। তারপর বললেন হে ভ্রাতুষ্পুত্র! তোমার কি প্রয়োজন? রাবী বলেন, আমি তাকে বললাম, যখন আপনি মজলিস থেকে উঠে আসছিলেন তখন আমি আপনার সম্পর্কে লোকদের বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কোন জান্নাতিকে দেখে খুশী হতে চায়, সে যেন এই ব্যক্তির প্রতি দৃষ্টিপাত করে। তখন আমার মনে আপনার সাহচর্য লাভের আগ্রহ জাগে। তিনি বললেন, জান্নাতিদের সম্পর্কে আল্লাহই সম্যক জ্ঞাত আছেন। তবে লোকদের এই কথা বলার কারণ আমি তোমার কাছে বর্ণনা করছি।
একবার আমি নিদ্রামগ্ন ছিলাম, স্বপ্নে দেখলাম যে, এক ব্যক্তি আমার কাছে এসেছে। সে আমাকে বলল, উঠ। তারপর সে আমার হাত ধরল। আমি তাঁর সঙ্গে রওয়ানা করলাম। আমি আমার বাম দিকে কয়েকটি রাস্তা দেখতে পেলাম এবং আমি সে পথ ধরে চলতে চাইলাম। সে আমাকে বলল, ও পথে চলবে না। কেননা, এটা হচ্ছে বামপন্থিদের (জাহান্নামীদের) রাস্তা। তিনি বলেন, তারপর আমি আমার ডানদিকে কয়েকটি উজ্জ্বল সরল পথ দেখতে পেলাম। তারপর সে বলল, এই পথে চল। তিনি বলেন, তারপর সে আমাকে একটি পাহাড়ের কাছে নিয়ে এল। এরপর আমাকে পাহাড়ে উঠতে বলল। আমি যখনই উঠতে চেষ্টা করছিলাম তখন (হোঁচট খেয়ে) পড়ে যাচ্ছিলাম। তিনি বলেন, আমি বেশ কয়বার এরূপ চেষ্টা করলাম। তিনি বলেন, তারপর সে আমাকে নিয়ে রওয়ানা হল এবং একটি স্তম্ভের কাছে পৌঁছল, যার মাথা ছিল আকাশে এবং নিম্নভাগ ভূপৃষ্ঠে নীচে। স্তম্ভটির চূড়ায় একটি কড়া ছিল, সে বলল, এর উপরে আরোহণ কর।
তিনি বলেন, আমি বললাম, কিভাবে এতে আরোহণ করব? এর মাথা তো আকাশের উপরে। তিনি বলেন, তারপর সে আমার হাত ধরল এবং আমাকে উপরে নিক্ষেপ করল। হঠাৎ আমি দেখলাম যে, আমি কড়ার সাথে ঝুলন্ত আছি। তিনি বলেন তারপর সে স্তম্ভের উপর আঘাত হানল এবং তা পড়ে গেল। তিনি বলেন, আর আমি কড়ার সাথে ঝুলন্ত রয়ে গেলাম। এভাবে আমার প্রভাত হল।
তিনি বলেন, এরপর আমি নবী (ﷺ) এর কাছে এসে স্বপ্নের কথা বর্ণনা করলাম। তিনি বললেন, তুমি তোমার বাম দিকে যে রাস্তাগুলি দেখছ, তা হচ্ছে বামপন্থীদের (কাফিরদের) পথ এবং তোমার ডানদিকে যে সব রাস্তা দেখেছ, তো হচ্ছে আসহাবুল ইয়ামীন (বা জান্নাতিগণের) রাস্তা। তুমি যে পাহাড়টি দেখেছিলে তা হচ্ছে শহীদগণের বাসস্থান, তা তুমি পাবে না। তুমি যে স্তম্ভটি দেখেছিলে সেটা হচ্ছে ইসলামের স্তম্ভ। যে কড়াটি তুমি দেখেছিলে সেটা হচ্ছে ইসলামের কড়া। আর তুমি মৃত্যু পর্যন্ত ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।
তিনি (রাবী) বললেন, তারপর আমি তাকে অনুসরণ করলাম। তিনি রওয়ানা হলেন এবং মদীনা থেকে প্রায় বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি তাঁর ঘরে প্রবেশ করলেন। তিনি (রাবী) বলেন, আমিও তাঁর কাছে প্রবেশের অনুমতি চাইলাম। তিনি আমাকে অনুমতি দিলেন। তারপর বললেন হে ভ্রাতুষ্পুত্র! তোমার কি প্রয়োজন? রাবী বলেন, আমি তাকে বললাম, যখন আপনি মজলিস থেকে উঠে আসছিলেন তখন আমি আপনার সম্পর্কে লোকদের বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কোন জান্নাতিকে দেখে খুশী হতে চায়, সে যেন এই ব্যক্তির প্রতি দৃষ্টিপাত করে। তখন আমার মনে আপনার সাহচর্য লাভের আগ্রহ জাগে। তিনি বললেন, জান্নাতিদের সম্পর্কে আল্লাহই সম্যক জ্ঞাত আছেন। তবে লোকদের এই কথা বলার কারণ আমি তোমার কাছে বর্ণনা করছি।
একবার আমি নিদ্রামগ্ন ছিলাম, স্বপ্নে দেখলাম যে, এক ব্যক্তি আমার কাছে এসেছে। সে আমাকে বলল, উঠ। তারপর সে আমার হাত ধরল। আমি তাঁর সঙ্গে রওয়ানা করলাম। আমি আমার বাম দিকে কয়েকটি রাস্তা দেখতে পেলাম এবং আমি সে পথ ধরে চলতে চাইলাম। সে আমাকে বলল, ও পথে চলবে না। কেননা, এটা হচ্ছে বামপন্থিদের (জাহান্নামীদের) রাস্তা। তিনি বলেন, তারপর আমি আমার ডানদিকে কয়েকটি উজ্জ্বল সরল পথ দেখতে পেলাম। তারপর সে বলল, এই পথে চল। তিনি বলেন, তারপর সে আমাকে একটি পাহাড়ের কাছে নিয়ে এল। এরপর আমাকে পাহাড়ে উঠতে বলল। আমি যখনই উঠতে চেষ্টা করছিলাম তখন (হোঁচট খেয়ে) পড়ে যাচ্ছিলাম। তিনি বলেন, আমি বেশ কয়বার এরূপ চেষ্টা করলাম। তিনি বলেন, তারপর সে আমাকে নিয়ে রওয়ানা হল এবং একটি স্তম্ভের কাছে পৌঁছল, যার মাথা ছিল আকাশে এবং নিম্নভাগ ভূপৃষ্ঠে নীচে। স্তম্ভটির চূড়ায় একটি কড়া ছিল, সে বলল, এর উপরে আরোহণ কর।
তিনি বলেন, আমি বললাম, কিভাবে এতে আরোহণ করব? এর মাথা তো আকাশের উপরে। তিনি বলেন, তারপর সে আমার হাত ধরল এবং আমাকে উপরে নিক্ষেপ করল। হঠাৎ আমি দেখলাম যে, আমি কড়ার সাথে ঝুলন্ত আছি। তিনি বলেন তারপর সে স্তম্ভের উপর আঘাত হানল এবং তা পড়ে গেল। তিনি বলেন, আর আমি কড়ার সাথে ঝুলন্ত রয়ে গেলাম। এভাবে আমার প্রভাত হল।
তিনি বলেন, এরপর আমি নবী (ﷺ) এর কাছে এসে স্বপ্নের কথা বর্ণনা করলাম। তিনি বললেন, তুমি তোমার বাম দিকে যে রাস্তাগুলি দেখছ, তা হচ্ছে বামপন্থীদের (কাফিরদের) পথ এবং তোমার ডানদিকে যে সব রাস্তা দেখেছ, তো হচ্ছে আসহাবুল ইয়ামীন (বা জান্নাতিগণের) রাস্তা। তুমি যে পাহাড়টি দেখেছিলে তা হচ্ছে শহীদগণের বাসস্থান, তা তুমি পাবে না। তুমি যে স্তম্ভটি দেখেছিলে সেটা হচ্ছে ইসলামের স্তম্ভ। যে কড়াটি তুমি দেখেছিলে সেটা হচ্ছে ইসলামের কড়া। আর তুমি মৃত্যু পর্যন্ত ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।
باب مِنْ فَضَائِلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ رضى الله عنه
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - وَاللَّفْظُ لِقُتَيْبَةَ - حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُسْهِرٍ، عَنْ خَرَشَةَ بْنِ الْحُرِّ، قَالَ كُنْتُ جَالِسًا فِي حَلْقَةٍ فِي مَسْجِدِ الْمَدِينَةِ - قَالَ - وَفِيهَا شَيْخٌ حَسَنُ الْهَيْئَةِ وَهُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ - قَالَ - فَجَعَلَ يُحَدِّثُهُمْ حَدِيثًا حَسَنًا - قَالَ - فَلَمَّا قَامَ قَالَ الْقَوْمُ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى هَذَا . قَالَ فَقُلْتُ وَاللَّهِ لأَتْبَعَنَّهُ فَلأَعْلَمَنَّ مَكَانَ بَيْتِهِ . قَالَ فَتَبِعْتُهُ فَانْطَلَقَ حَتَّى كَادَ أَنْ يَخْرُجَ مِنَ الْمَدِينَةِ ثُمَّ دَخَلَ مَنْزِلَهُ - قَالَ - فَاسْتَأْذَنْتُ عَلَيْهِ فَأَذِنَ لِي فَقَالَ مَا حَاجَتُكَ يَا ابْنَ أَخِي قَالَ فَقُلْتُ لَهُ سَمِعْتُ الْقَوْمَ يَقُولُونَ لَكَ لَمَّا قُمْتَ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى هَذَا . فَأَعْجَبَنِي أَنْ أَكُونَ مَعَكَ قَالَ اللَّهُ أَعْلَمُ بِأَهْلِ الْجَنَّةِ وَسَأُحَدِّثُكَ مِمَّ قَالُوا ذَاكَ إِنِّي بَيْنَمَا أَنَا نَائِمٌ إِذْ أَتَانِي رَجُلٌ فَقَالَ لِي قُمْ . فَأَخَذَ بِيَدِي فَانْطَلَقْتُ مَعَهُ - قَالَ - فَإِذَا أَنَا بِجَوَادَّ عَنْ شِمَالِي - قَالَ - فَأَخَذْتُ لآخُذَ فِيهَا فَقَالَ لِي لاَ تَأْخُذْ فِيهَا فَإِنَّهَا طُرُقُ أَصْحَابِ الشِّمَالِ - قَالَ - فَإِذَا جَوَادُّ مَنْهَجٌ عَلَى يَمِيِنِي فَقَالَ لِي خُذْ هَا هُنَا . فَأَتَى بِي جَبَلاً فَقَالَ لِي اصْعَدْ - قَالَ - فَجَعَلْتُ إِذَا أَرَدْتُ أَنْ أَصْعَدَ خَرَرْتُ عَلَى اسْتِي - قَالَ - حَتَّى فَعَلْتُ ذَلِكَ مِرَارًا - قَالَ - ثُمَّ انْطَلَقَ بِي حَتَّى أَتَى بِي عَمُودًا رَأْسُهُ فِي السَّمَاءِ وَأَسْفَلُهُ فِي الأَرْضِ فِي أَعْلاَهُ حَلْقَةٌ فَقَالَ لِيَ . اصْعَدْ فَوْقَ هَذَا . قَالَ قُلْتُ كَيْفَ أَصْعَدُ هَذَا وَرَأْسُهُ فِي السَّمَاءِ - قَالَ - فَأَخَذَ بِيَدِي فَزَجَلَ بِي - قَالَ - فَإِذَا أَنَا مُتَعَلِّقٌ بِالْحَلْقَةِ - قَالَ - ثُمَّ ضَرَبَ الْعَمُودَ فَخَرَّ - قَالَ - وَبَقِيتُ مُتَعَلِّقًا بِالْحَلْقَةِ حَتَّى أَصْبَحْتُ - قَالَ - فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَصَصْتُهَا عَلَيْهِ فَقَالَ " أَمَّا الطُّرُقُ الَّتِي رَأَيْتَ عَنْ يَسَارِكَ فَهِيَ طُرُقُ أَصْحَابِ الشِّمَالِ - قَالَ - وَأَمَّا الطُّرُقُ الَّتِي رَأَيْتَ عَنْ يَمِينِكَ فَهِيَ طُرُقُ أَصْحَابِ الْيَمِينِ وَأَمَّا الْجَبَلُ فَهُوَ مَنْزِلُ الشُّهَدَاءِ وَلَنْ تَنَالَهُ وَأَمَّا الْعَمُودُ فَهُوَ عَمُودُ الإِسْلاَمِ وَأَمَّا الْعُرْوَةُ فَهِيَ عُرْوَةُ الإِسْلاَمِ وَلَنْ تَزَالَ مُتَمَسِّكًا بِهَا حَتَّى تَمُوتَ " .


বর্ণনাকারী: