আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৩৭- পানাহার ও পানীয় দ্রব্যাদীর বিবরণ
হাদীস নং: ৫১৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ২০৫৭-২
৩১. মেহমানের সমাদর করা ও তাকে প্রাধন্য দেওয়ার ফযীলত
৫১৯৩। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা কিছু মেহমান আমাদের বাড়িতে এলেন। (রাবী বলেন)। আমার পিতা রাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে আলাপ আলোচনা করতেন। তাই তিনি যাওয়ার সময় বললেন, হে আব্দুর রহমান! মেহমানদারীর সব কাজ সম্পন্ন করবে। আব্দুর রহমান বলেন, সন্ধ্যা হলে আমি মেহমানদের খাবার নিয়ে এলাম। কিন্তু তারা খেতে রাযী হলেন না। তারা বললেন, বাড়ির মালিক যতক্ষণ পর্যন্ত এসে আমাদের সাথে আহার না করবেন, (ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আহার করবো না)। আমি তাঁদের বললাম, তিনি কড়া মেজাজের (রাগী) মানুষ। আপনারা যদি আহার না করেন তাহলে আমার ভয় হচ্ছে, আমাকে তাঁর বকাবকি শুনতে হবে। তিনি বলেন, তাঁরা রাযী হলেনই না।
আমার পিতা এসে প্রথমেই তাঁদের সংবাদ নিলেন। তিনি বললেন, তোমরা কি মেহমানদারীর কাজ সম্পন্ন করেছ? তাঁরা বললেন, না, আল্লাহর কসম! আমরা সম্পন্ন করতে পারি নি। তিনি বললেন, আমি কি আব্দুর রহমানকে নির্দেশ দেইনি? আব্দুর রহমান বলেন, আমি তাঁর দৃষ্টি থেকে সরে গিয়েছিলাম। তিনি বললেন, হে আব্দুর রহমান! আমি আরও সরে গেলাম। তিনি পুনরায় বললেন, নির্বোধ! আমি কসম করে তোমাকে বলছি তুমি যদি আমার আওয়ায শুনে থাক, তাহলে হাযির হও। তিনি বলেন, তখন আমি হাযির হয়ে বললাম, আল্লাহর কসম! আমার কোন অপরাধ নেই। আপনার মেহমানদের জিজ্ঞাসা করে দেখুন আমি তাঁদের খাবার নিয়ে এসেছিলাম কিন্তু আপনি না আসা পর্যন্ত তাঁরা খেতে সম্মত হলেন না।
তখন তিনি (মেহমানদের) বললেন, আপনাদের কি হয়েছে? আপনারা কেন আমাদের আপ্যায়ন গ্রহণ করেননি? আব্দুর রহমান বলেন, তখন আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমি আজ আর খাব না। বর্ণনাকারী বলেন, তারা বললেন, আল্লাহর কসম! আপনি না খাওয়া পর্যন্ত আমরাও খাব না। তিনি বললেন, তখন আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, আজকের রাতের মত এত খারাপ রাত আমি আর দেখিনি। সর্বনাশ, আপনারা কেন আমাদের মেহমানদারী গ্রহণ করবেন না?
রাবী বলেন, তিনি বললেন, প্রথমে যা হয়েছে (না খাওয়ার কসম) তা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়েছে। তোমরা খাবার নিয়ে আস। তিনি বলেন, এরপর খাবার আনা হলে তিনি ‘বিসমিল্লাহ’ পড়ে খেতে লাগলেন। তাঁরাও খাওয়া শুরু করল। আব্দুর রহমান (রাযিঃ) বলেন, পরদিন সকালে তিনি নবী (ﷺ) এর নিকট গিয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তারা তো ভাল কাজই করেছেন কিন্তু আমি কসম ভেঙ্গে ফেলেছি। তিনি (বর্ণনাকারী) বললেন, অতঃপর তিনি তাকে (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে) ঘটনাটি খুলে বললেন। পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ বরং তুমি সবচেয়ে বেশী সৎকর্মশীল এবং সবচেয়ে ভাল। রাবী বলেন, কাফফারার কথা আমার কাছে পৌছেনি।
আমার পিতা এসে প্রথমেই তাঁদের সংবাদ নিলেন। তিনি বললেন, তোমরা কি মেহমানদারীর কাজ সম্পন্ন করেছ? তাঁরা বললেন, না, আল্লাহর কসম! আমরা সম্পন্ন করতে পারি নি। তিনি বললেন, আমি কি আব্দুর রহমানকে নির্দেশ দেইনি? আব্দুর রহমান বলেন, আমি তাঁর দৃষ্টি থেকে সরে গিয়েছিলাম। তিনি বললেন, হে আব্দুর রহমান! আমি আরও সরে গেলাম। তিনি পুনরায় বললেন, নির্বোধ! আমি কসম করে তোমাকে বলছি তুমি যদি আমার আওয়ায শুনে থাক, তাহলে হাযির হও। তিনি বলেন, তখন আমি হাযির হয়ে বললাম, আল্লাহর কসম! আমার কোন অপরাধ নেই। আপনার মেহমানদের জিজ্ঞাসা করে দেখুন আমি তাঁদের খাবার নিয়ে এসেছিলাম কিন্তু আপনি না আসা পর্যন্ত তাঁরা খেতে সম্মত হলেন না।
তখন তিনি (মেহমানদের) বললেন, আপনাদের কি হয়েছে? আপনারা কেন আমাদের আপ্যায়ন গ্রহণ করেননি? আব্দুর রহমান বলেন, তখন আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমি আজ আর খাব না। বর্ণনাকারী বলেন, তারা বললেন, আল্লাহর কসম! আপনি না খাওয়া পর্যন্ত আমরাও খাব না। তিনি বললেন, তখন আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, আজকের রাতের মত এত খারাপ রাত আমি আর দেখিনি। সর্বনাশ, আপনারা কেন আমাদের মেহমানদারী গ্রহণ করবেন না?
রাবী বলেন, তিনি বললেন, প্রথমে যা হয়েছে (না খাওয়ার কসম) তা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়েছে। তোমরা খাবার নিয়ে আস। তিনি বলেন, এরপর খাবার আনা হলে তিনি ‘বিসমিল্লাহ’ পড়ে খেতে লাগলেন। তাঁরাও খাওয়া শুরু করল। আব্দুর রহমান (রাযিঃ) বলেন, পরদিন সকালে তিনি নবী (ﷺ) এর নিকট গিয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তারা তো ভাল কাজই করেছেন কিন্তু আমি কসম ভেঙ্গে ফেলেছি। তিনি (বর্ণনাকারী) বললেন, অতঃপর তিনি তাকে (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে) ঘটনাটি খুলে বললেন। পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ বরং তুমি সবচেয়ে বেশী সৎকর্মশীল এবং সবচেয়ে ভাল। রাবী বলেন, কাফফারার কথা আমার কাছে পৌছেনি।
باب إِكْرَامِ الضَّيْفِ وَفَضْلِ إِيثَارِهِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا سَالِمُ بْنُ نُوحٍ الْعَطَّارُ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ نَزَلَ عَلَيْنَا أَضْيَافٌ لَنَا - قَالَ - وَكَانَ أَبِي يَتَحَدَّثُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ اللَّيْلِ - قَالَ - فَانْطَلَقَ وَقَالَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ افْرُغْ مِنْ أَضْيَافِكَ . قَالَ فَلَمَّا أَمْسَيْتُ جِئْنَا بِقِرَاهُمْ - قَالَ - فَأَبَوْا فَقَالُوا حَتَّى يَجِيءَ أَبُو مَنْزِلِنَا فَيَطْعَمَ مَعَنَا - قَالَ - فَقُلْتُ لَهُمْ إِنَّهُ رَجُلٌ حَدِيدٌ وَإِنَّكُمْ إِنْ لَمْ تَفْعَلُوا خِفْتُ أَنْ يُصِيبَنِي مِنْهُ أَذًى - قَالَ - فَأَبَوْا فَلَمَّا جَاءَ لَمْ يَبْدَأْ بِشَىْءٍ أَوَّلَ مِنْهُمْ فَقَالَ أَفَرَغْتُمْ مِنْ أَضْيَافِكُمْ قَالَ قَالُوا لاَ وَاللَّهِ مَا فَرَغْنَا . قَالَ أَلَمْ آمُرْ عَبْدَ الرَّحْمَنِ قَالَ وَتَنَحَّيْتُ عَنْهُ فَقَالَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ . قَالَ فَتَنَحَّيْتُ - قَالَ - فَقَالَ يَا غُنْثَرُ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ إِنْ كُنْتَ تَسْمَعُ صَوْتِي إِلاَّ جِئْتَ - قَالَ - فَجِئْتُ فَقُلْتُ وَاللَّهِ مَا لِي ذَنْبٌ هَؤُلاَءِ أَضْيَافُكَ فَسَلْهُمْ قَدْ أَتَيْتُهُمْ بِقِرَاهُمْ فَأَبَوْا أَنْ يَطْعَمُوا حَتَّى تَجِيءَ - قَالَ - فَقَالَ مَا لَكُمْ أَلاَ تَقْبَلُوا عَنَّا قِرَاكُمْ - قَالَ - فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ فَوَاللَّهِ لاَ أَطْعَمُهُ اللَّيْلَةَ - قَالَ - فَقَالُوا فَوَاللَّهِ لاَ نَطْعَمُهُ حَتَّى تَطْعَمَهُ . قَالَ فَمَا رَأَيْتُ كَالشَّرِّ كَاللَّيْلَةِ قَطُّ وَيْلَكُمْ مَا لَكُمْ أَنْ لاَ تَقْبَلُوا عَنَّا قِرَاكُمْ قَالَ ثُمَّ قَالَ أَمَّا الأُولَى فَمِنَ الشَّيْطَانِ هَلُمُّوا قِرَاكُمْ - قَالَ - فَجِيءَ بِالطَّعَامِ فَسَمَّى فَأَكَلَ وَأَكَلُوا - قَالَ - فَلَمَّا أَصْبَحَ غَدَا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ بَرُّوا وَحَنِثْتُ - قَالَ - فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ " بَلْ أَنْتَ أَبَرُّهُمْ وَأَخْيَرُهُمْ " . قَالَ وَلَمْ تَبْلُغْنِي كَفَّارَةٌ .


বর্ণনাকারী: