আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

৩৪- ইসলামী রাষ্ট্রনীতির অধ্যায়

হাদীস নং: ৪৭৬২
৪১. শহীদদের জন্য জান্নাত অবধারিত হওয়ার প্রমাণ
৪৭৬২। আবু বকর ইবনে নযর ইবনে আবু নযর, হারুন ইবনে আব্দুল্লাহ, মুহাম্মাদ ইবনে রাফি ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বুসায়সা (রাযিঃ) কে আবু সুফিয়ানের বাণিজ্যিক কাফিলার গতিবিধি লক্ষ্য করার জন্যে প্রেরণ করেন। তারপর তিনি ফিরে আসলেন। তখন আমি ও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ছাড়া ঘরে আর কেউই ছিল না। রাবী বলেন, আমি স্মরণ করতে পারছি না, তিনি (আনাস) নবী (ﷺ) এর কোন সহধর্মিনীর (না থাকার) কথাও বলছেন কিনা। এরপর সে তার সঙ্গে কথা বলল। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বের হলেন এবং লেকাজনকে লক্ষ্য করে তিনি বললেনঃ আমার গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় কাজ আছে। যার সওয়ারী মওজুদ আছে সে যেন আমাদের সঙ্গে সওয়ার হতে পারে।

তখন কিছুলোক মদীনার উঁচু অনুকুল থেকে তাদের সওয়ারী নিয়ে আসার অনুমতি চাইলেন। তখন তিনি বললেনঃ না, কেবল যাদের সওয়ারী প্রস্তুত আছে তারাই যাবে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং তার সাহাবীগণ রওয়ানা করলেন এবং মুশরিকদের পূর্বেই বদরে গিয়ে উপনীত হলেন। এর পরপরই মুশরিকরা এসে পৌছাল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমাদের কেউ যেন কোন ব্যাপারে আমার অগ্রবর্তী না হয়, যতক্ষণ না আমি তার সামনে থাকি।

এরপর মুশরিকরা নিকটবর্তী হলো। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা জান্নাতের দিকে অগ্রসর হও, যার প্রশস্ততা আসমান ও যমীনের প্রশস্ততার মত। রাবী বলেন, উমায়র ইবনে হুমাম আনসারী (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! জান্নাতের প্রশস্ততা কি আসমান ও যমীনের প্রশস্ততার ন্যায়? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। উমায়র বলে উঠলেন, বাহ, বাহ, (কি চমৎকার)! তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ বাহ, বাহ বলতে তোমাকে কিসে উদ্বুদ্ধ করলো হে?

তিনি বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! কিছু না! তবে আল্লাহর কসম! আমি তার অধিবাসী হওয়ার আশায়ই এরূপ বলছি। তখন তিনি বললেনঃ তুমি নিশ্চয়ই তার অধিবাসী (হবে)। রাবী বলেন, তারপর তিনি তাঁর তীরদান থেকে কয়েকটি খেজুর বের করলেন এবং তা খেতে লাগলেন। তারপর বললেন, আমি যদি এ খেজুরগুলো খেয়ে শেষ করা পর্যন্ত বেঁচে যাই তবে তাও হবে এক দীর্ঘ জীবন। রাবী বলেন, তারপর তাঁর কাছে রক্ষিত খেজুরগুলো তিনি ফেলে দিলেন তারপর যুদ্ধে নেমে পড়লেন, এমন কি শেষ পর্যন্ত শহীদ হলেন।
باب ثُبُوتِ الْجَنَّةِ لِلشَّهِيدِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ النَّضْرِ بْنِ أَبِي النَّضْرِ، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ - وَأَلْفَاظُهُمْ مُتَقَارِبَةٌ - قَالُوا حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - وَهُوَ ابْنُ الْمُغِيرَةِ - عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بُسَيْسَةَ عَيْنًا يَنْظُرُ مَا صَنَعَتْ عِيرُ أَبِي سُفْيَانَ فَجَاءَ وَمَا فِي الْبَيْتِ أَحَدٌ غَيْرِي وَغَيْرُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ أَدْرِي مَا اسْتَثْنَى بَعْضَ نِسَائِهِ قَالَ فَحَدَّثَهُ الْحَدِيثَ قَالَ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَتَكَلَّمَ فَقَالَ " إِنَّ لَنَا طَلِبَةً فَمَنْ كَانَ ظَهْرُهُ حَاضِرًا فَلْيَرْكَبْ مَعَنَا " . فَجَعَلَ رِجَالٌ يَسْتَأْذِنُونَهُ فِي ظُهْرَانِهِمْ فِي عُلْوِ الْمَدِينَةِ فَقَالَ " لاَ إِلاَّ مَنْ كَانَ ظَهْرُهُ حَاضِرًا " . فَانْطَلَقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ حَتَّى سَبَقُوا الْمُشْرِكِينَ إِلَى بَدْرٍ وَجَاءَ الْمُشْرِكُونَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يُقَدِّمَنَّ أَحَدٌ مِنْكُمْ إِلَى شَىْءٍ حَتَّى أَكُونَ أَنَا دُونَهُ " . فَدَنَا الْمُشْرِكُونَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قُومُوا إِلَى جَنَّةٍ عَرْضُهَا السَّمَوَاتُ وَالأَرْضُ " . قَالَ يَقُولُ عُمَيْرُ بْنُ الْحُمَامِ الأَنْصَارِيُّ يَا رَسُولَ اللَّهِ جَنَّةٌ عَرْضُهَا السَّمَوَاتُ وَالأَرْضُ قَالَ " نَعَمْ " . قَالَ بَخٍ بَخٍ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا يَحْمِلُكَ عَلَى قَوْلِكَ بَخٍ بَخٍ " . قَالَ لاَ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِلاَّ رَجَاءَةَ أَنْ أَكُونَ مِنْ أَهْلِهَا . قَالَ " فَإِنَّكَ مِنْ أَهْلِهَا " . فَأَخْرَجَ تَمَرَاتٍ مِنْ قَرْنِهِ فَجَعَلَ يَأْكُلُ مِنْهُنَّ ثُمَّ قَالَ لَئِنْ أَنَا حَيِيتُ حَتَّى آكُلَ تَمَرَاتِي هَذِهِ إِنَّهَا لَحَيَاةٌ طَوِيلَةٌ - قَالَ - فَرَمَى بِمَا كَانَ مَعَهُ مِنَ التَّمْرِ . ثُمَّ قَاتَلَهُمْ حَتَّى قُتِلَ .
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
সহীহ মুসলিম - হাদীস নং ৪৭৬২ | মুসলিম বাংলা