আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
১৮- তাহাজ্জুদ - নফল নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১১৯৮
৭৫৭. নামাযের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজ নামাযের মধ্যে হাতের সাহায্যে করা।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেন, কোন ব্যক্তি তার নামাযের মধ্যে শরীরের অঙ্গ-প্রতঙ্গ দ্বারা (প্রয়োজনে নামায সংশ্লিষ্ট কাজে) সাহায্য নিতে পারে।
আবু ইসহাক (রাহঃ) নামাযরত অবস্থায় তাঁর টুপী নামিয়ে রেখেছিলেন এবং তা তুলে মাথায় দিয়েছিলেন।
আলী (রাযিঃ) (নামাযে) সাধারণত তাঁর (ডান হাতের) তালু বাম হাতের কব্জির উপর রাখতেন, তবে কখনো শরীর চুলকাতে হলে বা কাপড় ঠিক করে নিতে হলে তা করে নিতেন।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেন, কোন ব্যক্তি তার নামাযের মধ্যে শরীরের অঙ্গ-প্রতঙ্গ দ্বারা (প্রয়োজনে নামায সংশ্লিষ্ট কাজে) সাহায্য নিতে পারে।
আবু ইসহাক (রাহঃ) নামাযরত অবস্থায় তাঁর টুপী নামিয়ে রেখেছিলেন এবং তা তুলে মাথায় দিয়েছিলেন।
আলী (রাযিঃ) (নামাযে) সাধারণত তাঁর (ডান হাতের) তালু বাম হাতের কব্জির উপর রাখতেন, তবে কখনো শরীর চুলকাতে হলে বা কাপড় ঠিক করে নিতে হলে তা করে নিতেন।
১১২৪। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তিনি তাঁর খালা উম্মুল মু’মিনীন মাইমুনা (রাযিঃ) এর ঘরে রাত কাটালেন। তিনি বলেন, আমি বালিশের প্রস্থের দিকে শুয়ে পড়লাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং তাঁর সহধর্মিণী বালিশের দৈর্ঘ্যে শয়ন করলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মধ্যরাত তার কিছু আগে বা পর পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জেগে উঠে বসলেন এবং দু’হাতে মুখমণ্ডল মুছে ঘুমের আমেজ দূর করলেন। এরপর তিনি সূরা আলে ইমরানের শেষ দশ আয়াত তিলাওয়াত করলেন। পরে একটি ঝুলন্ত মশকের দিকে এগিয়ে গেলেন এবং এর পানি দ্বারা উত্তমরূপে উযু করে নামাযে দাঁড়িয়ে গেলেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমিও উঠে পড়লাম এবং তিনি যেরূপ করেছিলেন, আমিও সেরূপ করলাম। এরপর আমি তাঁর (বাম) পাশে দাঁড়ালাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর ডান হাত আমার মাথার উপরে রেখে আমার ডান কান মোচড়াতে লাগলেন (এবং আমাকে তাঁর পিছন থেকে ঘুরিয়ে এনে তাঁর ডানপাশে দাঁড় করিয়ে দিলেন)। তিনি তখন দু রাকআত নামায আদায় করলেন, তারপর দু’রাকআত, তারপর দু’রাকআত, তারপর দু’রাকআত, তারপর দু’রাকআত, তারপর (শেষ দু’রাকআতের সাথে আর এক রাকআত দ্বারা বেজোড় করে) বিতর আদায় করে শুয়ে পড়লেন। অবশেষে (ফজরের জামাআতের জন্য) মুয়াযযিন এলেন। তিনি দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত (কিরাআতে) দু’রাকআত (ফজরের সুন্নত) আদায় করলেন। এরপর (মসজিদের দিকে) বেরিয়ে যান এবং ফজরের নামায আদায় করলেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমিও উঠে পড়লাম এবং তিনি যেরূপ করেছিলেন, আমিও সেরূপ করলাম। এরপর আমি তাঁর (বাম) পাশে দাঁড়ালাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর ডান হাত আমার মাথার উপরে রেখে আমার ডান কান মোচড়াতে লাগলেন (এবং আমাকে তাঁর পিছন থেকে ঘুরিয়ে এনে তাঁর ডানপাশে দাঁড় করিয়ে দিলেন)। তিনি তখন দু রাকআত নামায আদায় করলেন, তারপর দু’রাকআত, তারপর দু’রাকআত, তারপর দু’রাকআত, তারপর দু’রাকআত, তারপর (শেষ দু’রাকআতের সাথে আর এক রাকআত দ্বারা বেজোড় করে) বিতর আদায় করে শুয়ে পড়লেন। অবশেষে (ফজরের জামাআতের জন্য) মুয়াযযিন এলেন। তিনি দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত (কিরাআতে) দু’রাকআত (ফজরের সুন্নত) আদায় করলেন। এরপর (মসজিদের দিকে) বেরিয়ে যান এবং ফজরের নামায আদায় করলেন।
