আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
২- ইলমের অধ্যায়
হাদীস নং: ১১২
আন্তর্জাতিক নং: ১১২
৮১। ইলম লিপিবদ্ধ করা
১১২। আবু নুআয়ম ফযল ইবনে দুকায়ন (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, মক্কা বিজয়ের কালে খুযাআ গোত্র লায়স গোত্রের এক ব্যক্তিকে হত্যা করল। এ হত্যা ছিল তাদের এক নিহত ব্যক্তির প্রতিশোধ স্বরূপ, যাকে ইতিপূর্বে লায়স গোত্রের লোক হত্যা করেছিল। তারপর এ খবর নবী (ﷺ) এর কাছে পোঁছল। তিনি তাঁর উটের উপর আরোহণ করে খুতবা দিলেন, তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা মক্কা থেকে ‘হত্যা’- কে (অথবা বর্ণনাকারী বললেন) ‘হাতী’-কে রোধ করেছেন। ইমাম বুখারী (রাহঃ) বলেন, রাসূল (ﷺ) ‘হত্যা’ বলেছেন না ‘হাতী’ বলেছেন এ ব্যাপারে বর্ণনাকারী আবু নুআয়ম সন্দেহ পোষণ করেন। অন্যেরা শুধু ‘হাতী’ শব্দ উল্লেখ করেছেন। অবশ্য মক্কাবাসীদের উপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং মু’মিনগণকে (যুদ্ধের মাধ্যমে) বিজয়ী করা হয়েছে। জেনে রাখ, আমার পূর্বে কারো জন্য মক্কা (নগরীতে লড়াই করা) হালাল করা হয়নি এবং আমার পরও কারো জন্য হালাল হবে না।
জেনে রাখ, তাও আমার জন্য দিনের কিছু সময় মাত্র হালাল করা হয়েছিল। আরো জেনে রাখ, আমার এই কথা বলার মুহূর্তে আবার তা হারাম হয়ে গেছে। সেখানকার কোন কাঁটা ও কোন গাছপালা কাটা যাবে না এবং সেখানে পড়ে থাকে কোন বস্তু কুড়িয়ে নেয়া যাবে না। তবে ঘোষণা করার জন্য নিতে পারবে। আর যদি কেউ নিহত হয়, তবে তার আপনজনের জন্য দুটি ব্যবস্থার যে কোন একটির অধিকার রয়েছে। হয় তার দিয়াত নিবে নয় ‘কিসাস’ গ্রহণ করবে। এরপর ইয়ামানবাসী এক ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! (এ কথাগুলো) আমাকে লিখে দিন। তিনি (সাহাবীদের) বললেনঃ তোমরা তাকে (আবু শাহকে) লিখে দাও। তারপর একজন কুরাইশী [আব্বাস (রাযিঃ)] বললেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! গাছপালা কাটার নিষেধাজ্ঞা হতে ইযখির** বাদ রাখুন। কারণ তা আমরা আমাদের ঘরে ও কবরে ব্যবহার করি। নবী (ﷺ) বললেন, ‘ইযখির ছাড়া, ইযখির ছাড়া।
**ইযখির শন জাতীয় এক প্রকার ঘাস।
জেনে রাখ, তাও আমার জন্য দিনের কিছু সময় মাত্র হালাল করা হয়েছিল। আরো জেনে রাখ, আমার এই কথা বলার মুহূর্তে আবার তা হারাম হয়ে গেছে। সেখানকার কোন কাঁটা ও কোন গাছপালা কাটা যাবে না এবং সেখানে পড়ে থাকে কোন বস্তু কুড়িয়ে নেয়া যাবে না। তবে ঘোষণা করার জন্য নিতে পারবে। আর যদি কেউ নিহত হয়, তবে তার আপনজনের জন্য দুটি ব্যবস্থার যে কোন একটির অধিকার রয়েছে। হয় তার দিয়াত নিবে নয় ‘কিসাস’ গ্রহণ করবে। এরপর ইয়ামানবাসী এক ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! (এ কথাগুলো) আমাকে লিখে দিন। তিনি (সাহাবীদের) বললেনঃ তোমরা তাকে (আবু শাহকে) লিখে দাও। তারপর একজন কুরাইশী [আব্বাস (রাযিঃ)] বললেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! গাছপালা কাটার নিষেধাজ্ঞা হতে ইযখির** বাদ রাখুন। কারণ তা আমরা আমাদের ঘরে ও কবরে ব্যবহার করি। নবী (ﷺ) বললেন, ‘ইযখির ছাড়া, ইযখির ছাড়া।
**ইযখির শন জাতীয় এক প্রকার ঘাস।
باب كِتَابَةِ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ خُزَاعَةَ، قَتَلُوا رَجُلاً مِنْ بَنِي لَيْثٍ عَامَ فَتْحِ مَكَّةَ بِقَتِيلٍ مِنْهُمْ قَتَلُوهُ، فَأُخْبِرَ بِذَلِكَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَرَكِبَ رَاحِلَتَهُ، فَخَطَبَ فَقَالَ " إِنَّ اللَّهَ حَبَسَ عَنْ مَكَّةَ الْقَتْلَ ـ أَوِ الْفِيلَ شَكَّ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ ـ وَسَلَّطَ عَلَيْهِمْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالْمُؤْمِنِينَ، أَلاَ وَإِنَّهَا لَمْ تَحِلَّ لأَحَدٍ قَبْلِي، وَلاَ تَحِلُّ لأَحَدٍ بَعْدِي أَلاَ وَإِنَّهَا حَلَّتْ لِي سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ، أَلاَ وَإِنَّهَا سَاعَتِي هَذِهِ حَرَامٌ، لاَ يُخْتَلَى شَوْكُهَا، وَلاَ يُعْضَدُ شَجَرُهَا، وَلاَ تُلْتَقَطُ سَاقِطَتُهَا إِلاَّ لِمُنْشِدٍ، فَمَنْ قُتِلَ فَهُوَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ إِمَّا أَنْ يُعْقَلَ، وَإِمَّا أَنْ يُقَادَ أَهْلُ الْقَتِيلِ ". فَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ فَقَالَ اكْتُبْ لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَالَ " اكْتُبُوا لأَبِي فُلاَنٍ ". فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ إِلاَّ الإِذْخِرَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَإِنَّا نَجْعَلُهُ فِي بُيُوتِنَا وَقُبُورِنَا. فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِلاَّ الإِذْخِرَ، إِلاَّ الإِذْخِرَ ".
قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: يُقَالُ: يُقَادُ بِالقَافِ فَقِيلَ لِأَبِي عَبْدِ اللَّهِ أَيُّ شَيْءٍ كَتَبَ لَهُ؟ قَالَ: كَتَبَ لَهُ هَذِهِ الخُطْبَةَ
قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: يُقَالُ: يُقَادُ بِالقَافِ فَقِيلَ لِأَبِي عَبْدِ اللَّهِ أَيُّ شَيْءٍ كَتَبَ لَهُ؟ قَالَ: كَتَبَ لَهُ هَذِهِ الخُطْبَةَ
