আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১৮- দুগ্ধপান সংক্রান্ত আহকাম
হাদীস নং: ৩৫১১
৮. কুমারী বিবাহ করা মুস্তাহাব
৩৫১১। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল আ’লা (রাহঃ) ......... আবু নযরা (রাহঃ) জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমরা কোন এক সফরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে ছিলাম। আমি ছিলাম আমার একটি (পানিবাহী) উটের পিঠে। ওটি ছিল কাফিলার পশ্চাদ্বর্তীদের মাঝে। জাবির (রাযিঃ) বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে পিটুনী দিলেন কিংবা (বর্ণনা দ্বিধা) তিনি বলেছেন যে, তাকে খোচা দিলেন- আমার (আবু নযর) ধারণা, তিনি (জাবির) বলেছেন যে, কোন কিছু দিয়ে যা তার সঙ্গে ছিল।
জাবির (রাযিঃ) বলেন, এরপরে সে (উট) কাফিলার লোকদের আগে আগে চলে যেতে লাগল এবং আমাকে (আমার ধরে রাখা লাগামসহ) টেনে নিয়ে যেতে লাগল। এমনকি আমি তাকে ঠেকিয়ে রাখছিলাম। জাবির (রাযিঃ) বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এত এত-র বিনিময় এটি তুমি আমার কাছে বেচবে কি? এবং আল্লাহ তোমাকে মাফ করুন। জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি বললামঃ এটি আপনার জন্য ইয়া নবীইয়্যাল্লাহ! তিনি বললেন, এত এত-তে সেটি তুমি আমার কাছে বেচবে কি? এবং আল্লাহ তোমাকে মাফ করুন। জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, এটি আপনার ইয়া নবীইয়্যাল্লাহ!
জাবির (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) আমাকে আরও বললেন, তোমার পিতার (মৃত্যুর) পরে তুমি কি বিয়ে করেছ? আমি বললাম, জি হ্যাঁ। তিনি বললেন, বিধবাকে না কুমারীকে? জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, বিধবাকে। তিনি বললেন, তবে তুমি কোন কুমারীকে বিয়ে করলে না কেন- যে তোমার সাথে আমোদ করত আর তুমিও তার সাথে আমোদ করতে। আর সে তোমার সাথে ক্রীড়া করত এবং তুমিও তার সাথে ক্রীড়া করতে।
আবু নযরা (রাহঃ) বলেন, এ কথাটি (অর্থাৎ আল্লাহ তোমার মাগফিরাত করুন) ছিল একটি বাক্যারূপ যা মুসলামনগণ তাদের কথাবার্তায় (কথার মাত্রা ও বাচনভঙ্গীরূপে) উচ্চারণ করতেন। তারা বলতেন এরূপ ও এমন কর ...... আল্লাহ তোমার মাগফিরাত করুন।
জাবির (রাযিঃ) বলেন, এরপরে সে (উট) কাফিলার লোকদের আগে আগে চলে যেতে লাগল এবং আমাকে (আমার ধরে রাখা লাগামসহ) টেনে নিয়ে যেতে লাগল। এমনকি আমি তাকে ঠেকিয়ে রাখছিলাম। জাবির (রাযিঃ) বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এত এত-র বিনিময় এটি তুমি আমার কাছে বেচবে কি? এবং আল্লাহ তোমাকে মাফ করুন। জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি বললামঃ এটি আপনার জন্য ইয়া নবীইয়্যাল্লাহ! তিনি বললেন, এত এত-তে সেটি তুমি আমার কাছে বেচবে কি? এবং আল্লাহ তোমাকে মাফ করুন। জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, এটি আপনার ইয়া নবীইয়্যাল্লাহ!
জাবির (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) আমাকে আরও বললেন, তোমার পিতার (মৃত্যুর) পরে তুমি কি বিয়ে করেছ? আমি বললাম, জি হ্যাঁ। তিনি বললেন, বিধবাকে না কুমারীকে? জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, বিধবাকে। তিনি বললেন, তবে তুমি কোন কুমারীকে বিয়ে করলে না কেন- যে তোমার সাথে আমোদ করত আর তুমিও তার সাথে আমোদ করতে। আর সে তোমার সাথে ক্রীড়া করত এবং তুমিও তার সাথে ক্রীড়া করতে।
আবু নযরা (রাহঃ) বলেন, এ কথাটি (অর্থাৎ আল্লাহ তোমার মাগফিরাত করুন) ছিল একটি বাক্যারূপ যা মুসলামনগণ তাদের কথাবার্তায় (কথার মাত্রা ও বাচনভঙ্গীরূপে) উচ্চারণ করতেন। তারা বলতেন এরূপ ও এমন কর ...... আল্লাহ তোমার মাগফিরাত করুন।
باب اسْتِحْبَابِ نِكَاحِ الْبِكْرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي، حَدَّثَنَا أَبُو نَضْرَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا فِي مَسِيرٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا عَلَى نَاضِحٍ إِنَّمَا هُوَ فِي أُخْرَيَاتِ النَّاسِ - قَالَ - فَضَرَبَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوْ قَالَ نَخَسَهُ - أُرَاهُ قَالَ - بِشَىْءٍ كَانَ مَعَهُ قَالَ فَجَعَلَ بَعْدَ ذَلِكَ يَتَقَدَّمُ النَّاسَ يُنَازِعُنِي حَتَّى إِنِّي لأَكُفُّهُ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَتَبِيعُنِيهِ بِكَذَا وَكَذَا وَاللَّهُ يَغْفِرُ لَكَ " . قَالَ قُلْتُ هُوَ لَكَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ . قَالَ " أَتَبِيعُنِيهِ بِكَذَا وَكَذَا وَاللَّهُ يَغْفِرُ لَكَ " . قَالَ قُلْتُ هُوَ لَكَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ . قَالَ وَقَالَ لِي " أَتَزَوَّجْتَ بَعْدَ أَبِيكَ " . قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ " ثَيِّبًا أَمْ بِكْرًا " . قَالَ قُلْتُ ثَيِّبًا . قَالَ " فَهَلاَّ تَزَوَّجْتَ بِكْرًا تُضَاحِكُكَ وَتُضَاحِكُهَا وَتُلاَعِبُكَ وَتُلاَعِبُهَا " . قَالَ أَبُو نَضْرَةَ فَكَانَتْ كَلِمَةً يَقُولُهَا الْمُسْلِمُونَ . افْعَلْ كَذَا وَكَذَا وَاللَّهُ يَغْفِرُ لَكَ .
