আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১৮- দুগ্ধপান সংক্রান্ত আহকাম
হাদীস নং: ৩৫১০
৮. কুমারী বিবাহ করা মুস্তাহাব
৩৫১০। মুহাম্মাদ ইবনে মুনান্না (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে একটি গাযওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলাম। আমার উটটি আমাকে নিয়ে ধীরে ধীরে চলল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন আমার কাছে এসে আমাকে বললেন, হে জাবির! আমি বললাম, জ্বী! তিনি বললেন, তোমার ব্যাপার কি? আমি বললাম, আমার উট আমাকে নিয়ে ধীরে চলছে এবং পরিশ্রান্ত হয়ে পড়েছে। ফলে আমি পিছনে পড়ে গিয়েছি। তখন নবী (ﷺ) নেমে পড়ে তার (বাঁকামাথা) লাঠি দিয়ে উটকে গুতো দিলেন। এরপর বললেন, অরোহণ কর, আমি তখন আরোহী করলাম। আমি (উটটিকে তার অতি দ্রুত গামীতার কারণে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে অতিক্রম করে যেতে দেখে ঠেকাতে লাগলাম।
তখন নবী (ﷺ) বললেন, তুমি কি বিয়ে করেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, কুমারী না বিধবা? আমি বললামঃ বিধবা। তিনি বললেন, তবে কোন কুমারীকে কেন বিয়ে করলে না, যার সঙ্গে তুমি ক্রীড়া-কৌতুক করতে, সেও তোমার সঙ্গে রীড়া-কৌতুক করত?
আমি বললাম, আমার বেশ ক’টি বোন (অবিবাহিতা) রয়েছে। তাই আমি এমন নারীকে বিয়ে করা পছন্দ করলাম যে তাদের গুছিয়ে রাখবে, তাদের মাথা আঁচড়ে দিবে এবং তাদের দেখাশোনা করবে। নবী (ﷺ) বললেন, তুমি তো (মদীনায়) উপনীত হতে যাচ্ছ। যখন পৌছে যাবে তখন (সন্তান অনেষায়) স বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিবে।
পরে তিনি বললেন, তোমার উটটি বেচবে কি? আমি বললাম, জ্বী, হ্যাঁ। তিনি তখন আমার নিকট হতে এক উকিয়ার (চল্লিশ দিরহাম সমমূল্যের) বিনিময়ে কিনে নিলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যথাসময়ে মদীনায় পৌঁছলেন। আমিও সকালে আগমন করে মসজিদে (নববীতে) পৌছলাম এবং তাঁকে মসজিদের দরজায় পেয়ে গেলাম। তিনি বলেন, আমি যখন এলাম তুমি কি তখন এসেছ? আমি বললাম, জ্বী হ্যাঁ। তিনি বললেন, তবে তোমার উটটি রেখে দাও এবং (মসজিদে) প্রবেশ করে দু’রাকআত নামায আদায় করে নাও।
জাবির বলেন, আমি প্রবেশ করে নামায আদায় করলাম। পরে ফিরে এলে নবী (ﷺ) আমাকে এক উকিয়া ওজন করে দেওয়ার জন্য বিলাল (রাযিঃ) কে হুকুম করলেন। বিলাল (রাযিঃ) তখন আমাকে ওজন করে দিলেন এবং ওজনে পাল্লা ঝুকিয়ে দিলেন। জাবির (রাযিঃ) বলেন, তখন আমি চলে যেতে লাগলাম। আমি কিছু দূর গেলে নবী (ﷺ) বললেন, জাবিরকে আমার কাছে ডেকে আন। তখন আমাকে ডাকা হল। আমি (মনে মনে) বললাম, এখন উটটি আমাকে ফিরিয়ে দিবেন অথচ আমার কছে ওর চেয়ে অধিক অপছন্দনীয় আর কিছু ছিল না। তিনি বললেন, ″তোমার উট তুমি নিয়ে যাও আর তোমার মূল্য তোমারই রইল।″
তখন নবী (ﷺ) বললেন, তুমি কি বিয়ে করেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, কুমারী না বিধবা? আমি বললামঃ বিধবা। তিনি বললেন, তবে কোন কুমারীকে কেন বিয়ে করলে না, যার সঙ্গে তুমি ক্রীড়া-কৌতুক করতে, সেও তোমার সঙ্গে রীড়া-কৌতুক করত?
আমি বললাম, আমার বেশ ক’টি বোন (অবিবাহিতা) রয়েছে। তাই আমি এমন নারীকে বিয়ে করা পছন্দ করলাম যে তাদের গুছিয়ে রাখবে, তাদের মাথা আঁচড়ে দিবে এবং তাদের দেখাশোনা করবে। নবী (ﷺ) বললেন, তুমি তো (মদীনায়) উপনীত হতে যাচ্ছ। যখন পৌছে যাবে তখন (সন্তান অনেষায়) স বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিবে।
পরে তিনি বললেন, তোমার উটটি বেচবে কি? আমি বললাম, জ্বী, হ্যাঁ। তিনি তখন আমার নিকট হতে এক উকিয়ার (চল্লিশ দিরহাম সমমূল্যের) বিনিময়ে কিনে নিলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যথাসময়ে মদীনায় পৌঁছলেন। আমিও সকালে আগমন করে মসজিদে (নববীতে) পৌছলাম এবং তাঁকে মসজিদের দরজায় পেয়ে গেলাম। তিনি বলেন, আমি যখন এলাম তুমি কি তখন এসেছ? আমি বললাম, জ্বী হ্যাঁ। তিনি বললেন, তবে তোমার উটটি রেখে দাও এবং (মসজিদে) প্রবেশ করে দু’রাকআত নামায আদায় করে নাও।
জাবির বলেন, আমি প্রবেশ করে নামায আদায় করলাম। পরে ফিরে এলে নবী (ﷺ) আমাকে এক উকিয়া ওজন করে দেওয়ার জন্য বিলাল (রাযিঃ) কে হুকুম করলেন। বিলাল (রাযিঃ) তখন আমাকে ওজন করে দিলেন এবং ওজনে পাল্লা ঝুকিয়ে দিলেন। জাবির (রাযিঃ) বলেন, তখন আমি চলে যেতে লাগলাম। আমি কিছু দূর গেলে নবী (ﷺ) বললেন, জাবিরকে আমার কাছে ডেকে আন। তখন আমাকে ডাকা হল। আমি (মনে মনে) বললাম, এখন উটটি আমাকে ফিরিয়ে দিবেন অথচ আমার কছে ওর চেয়ে অধিক অপছন্দনীয় আর কিছু ছিল না। তিনি বললেন, ″তোমার উট তুমি নিয়ে যাও আর তোমার মূল্য তোমারই রইল।″
باب اسْتِحْبَابِ نِكَاحِ الْبِكْرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، - يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الْمَجِيدِ الثَّقَفِيَّ - حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ خَرَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزَاةٍ فَأَبْطَأَ بِي جَمَلِي فَأَتَى عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي " يَا جَابِرُ " . قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ " مَا شَأْنُكَ " . قُلْتُ أَبْطَأَ بِي جَمَلِي وَأَعْيَا فَتَخَلَّفْتُ . فَنَزَلَ فَحَجَنَهُ بِمِحْجَنِهِ ثُمَّ قَالَ " ارْكَبْ " . فَرَكِبْتُ فَلَقَدْ رَأَيْتُنِي أَكُفُّهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " أَتَزَوَّجْتَ " . فَقُلْتُ نَعَمْ . فَقَالَ " أَبِكْرًا أَمْ ثَيِّبًا " . فَقُلْتُ بَلْ ثَيِّبٌ . قَالَ " فَهَلاَّ جَارِيَةً تُلاَعِبُهَا وَتُلاَعِبُكَ " . قُلْتُ إِنَّ لِي أَخَوَاتٍ فَأَحْبَبْتُ أَنْ أَتَزَوَّجَ امْرَأَةً تَجْمَعُهُنَّ وَتَمْشُطُهُنَّ وَتَقُومُ عَلَيْهِنَّ . قَالَ " أَمَا إِنَّكَ قَادِمٌ فَإِذَا قَدِمْتَ فَالْكَيْسَ الْكَيْسَ " . ثُمَّ قَالَ " أَتَبِيعُ جَمَلَكَ " . قُلْتُ نَعَمْ . فَاشْتَرَاهُ مِنِّي بِأُوقِيَّةٍ ثُمَّ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدِمْتُ بِالْغَدَاةِ فَجِئْتُ الْمَسْجِدَ فَوَجَدْتُهُ عَلَى بَابِ الْمَسْجِدِ فَقَالَ " الآنَ حِينَ قَدِمْتَ " . قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ " فَدَعْ جَمَلَكَ وَادْخُلْ فَصَلِّ رَكْعَتَيْنِ " . قَالَ فَدَخَلْتُ فَصَلَّيْتُ ثُمَّ رَجَعْتُ فَأَمَرَ بِلاَلاً أَنْ يَزِنَ لِي أُوقِيَّةً فَوَزَنَ لِي بِلاَلٌ فَأَرْجَحَ فِي الْمِيزَانِ - قَالَ - فَانْطَلَقْتُ فَلَمَّا وَلَّيْتُ قَالَ " ادْعُ لِي جَابِرًا " . فَدُعِيتُ فَقُلْتُ الآنَ يَرُدُّ عَلَىَّ الْجَمَلَ . وَلَمْ يَكُنْ شَىْءٌ أَبْغَضَ إِلَىَّ مِنْهُ فَقَالَ " خُذْ جَمَلَكَ وَلَكَ ثَمَنُهُ " .
