শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৬৯৮৮
মৃত ব্যক্তির জন্য কান্নাকাটি করা
৬৯৮৮। ইউনুস (রাহঃ) …… জাবির ইবন আতিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একবার অসুস্থ আব্দুল্লাহ্ ইবন সাবিত (রাযিঃ)-কে দেখতে গেলেন। তিনি তাঁকে অসুস্থতার কারণে অচেতন অবস্থায় পেলেন। তিনি তাঁকে ডাকলেন । তিনি কোন জবাব দিলেন না। এতে তিনি “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন" পড়েন এবং বললেন, হে আবুর রবী! তোমার ব্যাপারে আমরা পরাজিত হয়ে গেলাম। নারীগণ বিলাপ এবং কান্না শুরু করে দিয়েছে । ইবন আতীক (রাযিঃ) তাদেরকে চুপ করাতে লাগলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তাদেরকে ছেড়ে দাও। যখন ওয়াজিব হয়ে যাবে তখন কোন ক্রন্দনকারিণী ক্রন্দন করবে না। তারা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! কি বস্তু ওয়াজিব হবে? তিনি বললেন, যখন সে মৃত্যুবরণ করবে।
পর্যালোচনা : আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম মৃতের উপর কান্নাকাটিকে মাকরূহ সাব্যস্ত করেছেন। তারা এ বিষয়ে এই হাদীস দ্বারা এবং রাসূল (ﷺ) থেকে বর্ণিত অপর একটি হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন যে, মৃত ব্যক্তির জন্য পরিবারের লোকদের কান্নাকাটি করার কারণে তাকে আযাব দেয়া হয়।
পর্যালোচনা : আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম মৃতের উপর কান্নাকাটিকে মাকরূহ সাব্যস্ত করেছেন। তারা এ বিষয়ে এই হাদীস দ্বারা এবং রাসূল (ﷺ) থেকে বর্ণিত অপর একটি হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন যে, মৃত ব্যক্তির জন্য পরিবারের লোকদের কান্নাকাটি করার কারণে তাকে আযাব দেয়া হয়।
بَابُ الْبُكَاءِ عَلَى الْمَيِّتِ
6988 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ جَابِرِ بْنِ عَتِيكٍ أَنَّ عَتِيكَ بْنَ الْحَارِثِ بْنِ عَتِيكٍ , وَهُوَ جَدُّ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَبُو أُمِّهِ , أَخْبَرَهُ أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَتِيكٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَ يَعُودُ عَبْدَ اللهِ بْنَ ثَابِتٍ , فَوَجَدَهُ قَدْ غُلِبَ , فَصَاحَ بِهِ فَلَمْ يُجِبْهُ. فَاسْتَرْجَعَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: «غَلَبَنَا عَلَيْكَ يَا أَبَا الرَّبِيعِ» فَصَاحَ النِّسْوَةُ وَبَكَيْنَ , فَجَعَلَ ابْنُ عَتِيكٍ يُسْكِتُهُنَّ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «دَعْهُنَّ فَإِذَا وَجَبَ فَلَا تَبْكِيَنَّ بَاكِيَةٌ» . قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ , وَمَا الْوُجُوبُ قَالَ: «إِذَا مَاتَ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى كَرَاهَةِ الْبُكَاءِ عَلَى الْمَيِّتِ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ , وَبِمَا قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الْمَيِّتَ , لَيُعَذَّبُ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৯৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬৯৯০
মৃত ব্যক্তির জন্য কান্নাকাটি করা
৬৯৮৯-৬৯৯০। রাবী ইবন সুলায়মান আল-জীযী (রাহঃ) …… আব্দুল জাব্বার ইবনুল ওয়ারাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবন আবী মুলায়কা (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, যখন উসমান ইবন আফ্ফান (রাযিঃ)-এর কন্যা উম্মু আবান মৃত্যুবরণ করলেন, তখন আমিও লোকদের সঙ্গে উপস্থিত হলাম এবং আমি আব্দুল্লাহ্ ইবন উমর (রাযিঃ) ও আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর সামনে বসে গেলাম। নারীগণ কান্নাকাটি করতে লাগল। এতে ইবন উমর (রাযিঃ) বললেন, তোমরা কি ঐ সমস্ত নারীকে কান্নাকাটি করা থেকে বারণ করছ না? আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন : মৃত ব্যক্তির জন্য পরিবারের কতিপয় লোকের কান্নাকাটি করার কারণে তাকে আযাব দেওয়া হয়। ইবন আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, উমর ইবন খাত্তাব (রাযিঃ) এই কথাটি বলতেন। আমি উমর (রাযিঃ)-এর সঙ্গে বের হলাম। আমরা যখন 'বায়দা' নামক স্থানে পৌঁছলাম তখন হঠাৎ একটি কাফেলা এসে পড়ল । উমর (রাযিঃ) বললেন, হে ইবন আব্বাস (রাযিঃ)! এটা কোন কাফেলা? আমি গিয়ে দেখলাম সুহায়ব (রাযিঃ) ও তাঁর পরিবার-পরিজন । আমি ফিরে এলাম এবং আরয করলাম, হে আমীরুল মু'মিনীন! ইনি হচ্ছেন সুহায়ব (রাযিঃ) ও তাঁর পরিবার-পরিজন। যখন আমরা মদীনায় পৌঁছলাম এবং উমর (রাযিঃ) আততায়ী কর্তৃক আহত হলেন, সুহায়ব (রাযিঃ) বসে পড়লেন এবং তাঁর জন্য ক্রন্দন শুরু করলেন। তিনি বলতে লাগলেন, হায় বন্ধু! হায় সাথী! উমর (রাযিঃ) বললেন, কান্নাকাটি কর না। আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন : মৃত ব্যক্তির জন্য পরিবারের কতক লোকের কান্নাকাটি করার কারণে তাকে আযাব দেওয়া হয়। বলেন, এ বিষয়টি তিনি আয়েশা (রাযিঃ)-এর সামনে উল্লেখ করলে তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! তোমরা এ হাদীসটি মিথ্যাবাদীদের থেকে রিওয়ায়াত করছ না। কিন্তু শোনার ব্যাপারে বিভ্রান্তি রয়েছে। তোমাদের জন্য কুরআন শরীফে সঠিক বর্ণনা রয়েছে। আল্লাহ্ বলেছেন :
أَلَّا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى
অর্থাৎ এবং কেউ অন্য কারো ভার বহন করবে না। (৬: ১৬৪)
কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, অবশ্যই আল্লাহ তা'আলা কাফিরের জন্য পরিবারের কতিপয় লোকের কান্নাকাটি করার কারণে তার আযাব বৃদ্ধি করেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) …… ইবন আবী মুলায়কা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। অতঃপর তিনি অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি সুহায়ব (রাযিঃ)-এর ঘটনাটি উল্লেখ করেন নাই ।
এঁরা বলেছেন, যখন মৃত ব্যক্তির জন্য পরিবারের লোকদের কান্নাকাটি করার কারণে তাকে আযাব দেওয়া হয়, তাই তার জন্য তাদের কান্নাকাটি করা মাকরূহ।
পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করেছেন। তারা বলেন, মৃতের জন্য কান্নাকাটি করাতে কোন অসুবিধা নেই। যখন এই ক্রন্দনের সঙ্গে অশ্লীল বাক্য এবং বিলাপ করে কাঁদা ইত্যাদি গুনাহের সংমিশ্রণ না ঘটে। তারা এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন :
أَلَّا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى
অর্থাৎ এবং কেউ অন্য কারো ভার বহন করবে না। (৬: ১৬৪)
কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, অবশ্যই আল্লাহ তা'আলা কাফিরের জন্য পরিবারের কতিপয় লোকের কান্নাকাটি করার কারণে তার আযাব বৃদ্ধি করেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) …… ইবন আবী মুলায়কা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। অতঃপর তিনি অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি সুহায়ব (রাযিঃ)-এর ঘটনাটি উল্লেখ করেন নাই ।
এঁরা বলেছেন, যখন মৃত ব্যক্তির জন্য পরিবারের লোকদের কান্নাকাটি করার কারণে তাকে আযাব দেওয়া হয়, তাই তার জন্য তাদের কান্নাকাটি করা মাকরূহ।
পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করেছেন। তারা বলেন, মৃতের জন্য কান্নাকাটি করাতে কোন অসুবিধা নেই। যখন এই ক্রন্দনের সঙ্গে অশ্লীল বাক্য এবং বিলাপ করে কাঁদা ইত্যাদি গুনাহের সংমিশ্রণ না ঘটে। তারা এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন :
6989 - حَدَّثَنَا رَبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْجِيزِيُّ قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْأَزْرَقِيُّ قَالَ: ثنا عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ الْوَرْدِ قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي مُلَيْكَةَ يَقُولُ: لَمَّا مَاتَتْ أُمُّ أَبَانَ بِنْتُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ , حَضَرْتُ مَعَ النَّاسِ , فَجَلَسْتُ بَيْنَ يَدَيْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَعَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ , فَبَكَى النِّسَاءُ. فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: أَلَا تَنْهَى هَؤُلَاءِ عَنِ الْبُكَاءِ؟ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ» . فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: قَدْ كَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَقُولُ ذَلِكَ , فَخَرَجْتُ مَعَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْبَيْدَاءِ , إِذَا رَكْبٌ. فَقَالَ: يَا ابْنَ عَبَّاسٍ , مَنِ الرَّكْبُ؟ فَذَهَبْتُ , فَإِذَا هُوَ صُهَيْبٌ وَأَهْلُهُ. فَرَجَعْتُ فَقُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ , هَذَا صُهَيْبٌ وَأَهْلُهُ. فَلَمَّا دَخَلْنَا الْمَدِينَةَ , وَأُصِيبَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , جَلَسَ صُهَيْبٌ يَبْكِي عَلَيْهِ وَهُوَ يَقُولُ: وَاحُبَّاهُ , وَاصَاحِبَاهُ، فَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: لَا تَبْكِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ الْمَيِّتَ , لَيُعَذَّبُ بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ» . قَالَ: فَذَكَرَ ذَلِكَ لِعَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فَقَالَتْ: أَمَّ وَاللهِ , مَا تُحَدِّثُونَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الْكَاذِبِينَ , وَلَكِنَّ السَّمْعَ يُخْطِئُ , وَإِنَّ لَكُمْ فِي الْقُرْآنِ لِمَا يَشْفِيكُمْ {أَلَّا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى} [النجم: 38] وَلَكِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ لِيَزِيدَ الْكَافِرَ عَذَابًا , بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ»
6990 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ , لَمْ يَذْكُرْ قَضِيَّةَ صُهَيْبٍ قَالُوا: فَلَمَّا كَانَ الْمَيِّتُ يُعَذَّبُ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ , كَانَ بُكَاؤُهُمْ عَلَيْهِ مَكْرُوهًا لَهُمْ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا بَأْسَ بِالْبُكَاءِ عَلَى الْمَيِّتِ إِذَا كَانَ بُكَاءً لَا مَعْصِيَةَ مَعَهُ , مِنْ قَوْلٍ فَاحِشٍ , وَلَا نِيَاحَةٍ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
6990 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ , لَمْ يَذْكُرْ قَضِيَّةَ صُهَيْبٍ قَالُوا: فَلَمَّا كَانَ الْمَيِّتُ يُعَذَّبُ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ , كَانَ بُكَاؤُهُمْ عَلَيْهِ مَكْرُوهًا لَهُمْ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا بَأْسَ بِالْبُكَاءِ عَلَى الْمَيِّتِ إِذَا كَانَ بُكَاءً لَا مَعْصِيَةَ مَعَهُ , مِنْ قَوْلٍ فَاحِشٍ , وَلَا نِيَاحَةٍ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৯৯০
empty
৬৯৯০।
6990 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৯৯১
মৃত ব্যক্তির জন্য কান্নাকাটি করা
৬৯৯১। ইউনুস (রাহঃ) ……. আব্দুল্লাহ্ ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সা'দ ইবন উবাদা (রাযিঃ) অসুস্থ হলে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আব্দুর রহমান ইবন আওফ (রাযিঃ), সা'দ ইবন আবী ওয়াক্কাস (রাযিঃ) ও আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর সঙ্গে তাঁর শুশ্রূষার জন্য এলেন। যখন তাঁর নিকট পৌঁছান তখন তাঁকে অচেতন অবস্থায় পেলেন। তিনি বললেন, ইন্তেকাল হয়ে গেছে? তাঁরা বললেন, না ইয়া রাসূলাল্লাহ্! অনন্তর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কেঁদে ফেলেন। যখন লোকেরা তাঁর ক্রন্দন দেখল, তারাও কাঁদল। তিনি বললেন, তোমরা কি শোন নাই যে, আল্লাহ্ তা'আলা চোখের অশ্রু এবং অন্তরের বিষন্নতার উপর আযাব দেন না; বরং আল্লাহ্ তা'আলা এর উপর আযাব প্রদান করেন কিংবা অনুগ্রহ করেন। এই বলে তিনি নিজের মুখের দিকে ইশারা করলেন।
6991 - بِمَا حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْحَارِثِ الْأَنْصَارِيِّ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: اشْتَكَى سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ شَكْوَى لَهُ , فَأَتَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُهُ , مَعَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ , وَسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ , وَعَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ. فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ , وَجَدَهُ فِي غَشْيَتِهِ فَقَالَ: «قَدْ قَضَى» , فَقَالُوا: لَا , وَاللهِ يَا رَسُولَ اللهِ , فَبَكَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَلَمَّا رَأَى الْقَوْمُ بُكَاءَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَكَوْا فَقَالَ: «أَلَا تَسْمَعُونَ أَنَّ اللهَ تَعَالَى لَا يُعَذِّبُ بِدَمْعِ الْعَيْنِ , وَلَا بِحُزْنِ الْقَلْبِ , وَلَكِنْ يُعَذِّبُ بِهَذَا، وَأَشَارَ إِلَى لِسَانِهِ، أَوْ يُرْحَمُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৯৯২
মৃত ব্যক্তির জন্য কান্নাকাটি করা
৬৯৯২। আহমদ ইবনুল হাসান (রাহঃ) …… আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, উমর (রাযিঃ) এক মহিলাকে দেখলেন, মৃতের জন্য কাঁদছে। তিনি তাকে নিষেধ করলেন। এতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, হে আবু হাফস! একে ছেড়ে দাও। অবশ্যই আত্মা মুসীবতগ্রস্ত হয়, চোখ ক্রন্দনকারী এবং যামানা বা সময় নিকটবর্তী।
6992 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ قَالَ: سَمِعْتُ سُفْيَانَ يَقُولُ: حَدَّثَنَا ابْنُ عَجْلَانَ , عَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَبْصَرَ امْرَأَةً تَبْكِي عَلَى مَيِّتٍ , فَنَهَاهَا. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «دَعْهَا , يَا أَبَا حَفْصٍ , فَإِنَّ النَّفْسَ مُصَابَةٌ وَالْعَيْنَ بَاكِيَةٌ , وَالْعَهْدَ قَرِيبٌ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৯৯৩
মৃত ব্যক্তির জন্য কান্নাকাটি করা
৬৯৯৩। ইউনুস (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ্ ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একবার বনী আশহাল (বনু আব্দুল আশহাল) গোত্রের নারীদের কাছ দিয়ে অতিক্রম করেছেন। যারা নিজ গোত্রের সেই সমস্ত লোকের (শহীদদের) জন্য ক্রন্দন করছিল যারা উহুদ যুদ্ধে মারা গিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, কিন্তু হামযা (রাযিঃ)-এর উপর কোন ক্রন্দন কারী নেই। অনন্তর আনসারদের নারীগণ এল এবং তারা হামযা (রাযিঃ)-এর জন্য কান্নাকাটি শুরু করে দিল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) জাগলেন এবং বললেন, তাদের জন্য আফসোস! চলে যাওয়ার পরে ফিরে আসবে না। সুতরাং তারা ফিরে যাওয়া বাঞ্ছনীয় এবং আজকের পরে যেন আর কোন মৃতের জন্য ক্রন্দন না করে।
6993 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ اللَّيْثِيُّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ بِنِسَاءِ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ يَبْكِينَ هَلْكَاهُنَّ يَوْمَ أُحُدٍ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَلَكِنَّ حَمْزَةَ لَا بَوَاكِيَ لَهُ» ، فَجَاءَ نِسَاءُ الْأَنْصَارِ يَبْكِينَ حَمْزَةَ. فَاسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «وَيْحَهُنَّ , مَا انْقَلَبْنَ بَعْدَ مُرُورِهِنَّ , فَلْيَنْقَلِبْنَ وَلَا يَبْكِينَ عَلَى هَالِكٍ بَعْدَ الْيَوْمِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৯৯৪
মৃত ব্যক্তির জন্য কান্নাকাটি করা
৬৯৯৪। আলী ইবন মা'বাদ (রাহঃ) ..... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে দেখেছি, তিনি উসমান ইবন মাযউন (রাযিঃ)-এর ইন্তেকালের পরে তাঁকে চুমু দিচ্ছেন এবং তাঁর অশ্রু দাঁড়ি মুবারক গড়িয়ে পড়ছে।
বস্তুত এই সমস্ত রিওয়ায়াতে যা আমরা উল্লেখ করেছি, এতে মৃতদের জন্য কান্নাকাটি করার বৈধতা ব্যক্ত হয়েছে। অধিকন্তু এর দ্বারা তাদের কোন কষ্ট হয় না এবং এটা তাদের আযাবের কারণও নয়। যদি এমনটি না হতো তাহলে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কাঁদতেন না এবং না কান্নাকে জায়েয সাব্যস্ত করতেন, বরং তা থেকে নিষেধ করতেন। যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, তোমরা ইবন উমর (রাযিঃ)-এর যে হাদীস নকল করেছ তাতে তো ঐ বৈধতার রহিতকরণ প্রতীয়মান হয় । আর তা হচ্ছে তাঁর বাণী “আজকের পরে কোন মৃতের জন্য কাঁদবে না।"
তাকে (উত্তরে) বলা হবে যে, তাতে তোমার এ কথার সপক্ষে কোন প্রমাণ নেই যা তুমি উল্লেখ করেছ। সম্ভবত তাঁর বাণী যে, “আজকের পরে কোন মৃতের জন্য কাঁদবে না”-এর মর্মার্থ হচ্ছে যে, যারা এখন পর্যন্ত মরে গিয়েছে এবং তোমরা তাদের জন্য কান্নাকাটি করে ফেলেছ এখন আর তাদের জন্য কাঁদবে না। কেননা এ কাঁদার দ্বারা তাদের বিষন্নতা দূরীভূত হয়ে যায়। আর স্বয়ং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে মৃতদের জন্য কাঁদার নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিশ্লেষণ বর্ণিত আছে, যা নিম্নরূপ
বস্তুত এই সমস্ত রিওয়ায়াতে যা আমরা উল্লেখ করেছি, এতে মৃতদের জন্য কান্নাকাটি করার বৈধতা ব্যক্ত হয়েছে। অধিকন্তু এর দ্বারা তাদের কোন কষ্ট হয় না এবং এটা তাদের আযাবের কারণও নয়। যদি এমনটি না হতো তাহলে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কাঁদতেন না এবং না কান্নাকে জায়েয সাব্যস্ত করতেন, বরং তা থেকে নিষেধ করতেন। যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, তোমরা ইবন উমর (রাযিঃ)-এর যে হাদীস নকল করেছ তাতে তো ঐ বৈধতার রহিতকরণ প্রতীয়মান হয় । আর তা হচ্ছে তাঁর বাণী “আজকের পরে কোন মৃতের জন্য কাঁদবে না।"
তাকে (উত্তরে) বলা হবে যে, তাতে তোমার এ কথার সপক্ষে কোন প্রমাণ নেই যা তুমি উল্লেখ করেছ। সম্ভবত তাঁর বাণী যে, “আজকের পরে কোন মৃতের জন্য কাঁদবে না”-এর মর্মার্থ হচ্ছে যে, যারা এখন পর্যন্ত মরে গিয়েছে এবং তোমরা তাদের জন্য কান্নাকাটি করে ফেলেছ এখন আর তাদের জন্য কাঁদবে না। কেননা এ কাঁদার দ্বারা তাদের বিষন্নতা দূরীভূত হয়ে যায়। আর স্বয়ং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে মৃতদের জন্য কাঁদার নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিশ্লেষণ বর্ণিত আছে, যা নিম্নরূপ
6994 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَبِّلُ عُثْمَانَ بْنَ مَظْعُونٍ بَعْدَ مَوْتِهِ , وَدُمُوعُهُ تَسِيلُ عَلَى لِحْيَتِهِ» فَفِي هَذِهِ الْآثَارِ الَّتِي ذَكَرْنَا , إِبَاحَةُ الْبُكَاءِ عَلَى الْمَوْتَى , وَذَلِكَ أَنَّ ذَلِكَ غَيْرُ ضَارٍّ لَهُمْ , وَلَا سَبَبَ لِعَذَابِهِمْ. وَلَوْلَا ذَلِكَ , لَمَا بَكَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا أَبَاحَ الْبُكَاءَ , وَلَمَنَعَ مِنْ ذَلِكَ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَإِنَّ فِي حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ الَّذِي ذَكَرْتُ , مَا يَدُلُّ عَلَى نَسْخِ مَا كَانَ أَبَاحَ مِنْ ذَلِكَ , وَهُوَ قَوْلُهُ وَلَا يَبْكِينَ عَلَى هَالِكٍ بَعْدَ الْيَوْمِ. قِيلَ لَهُ: مَا فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى مَا ذَكَرْتُ , قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ قَوْلُهُ: وَلَا يَبْكِينَ عَلَى هَالِكٍ بَعْدَ الْيَوْمِ أَيْ مِنْ هَلْكَاهُنَّ الَّذِينَ قَدْ بَكَيْنَ عَلَيْهِمْ مُنْذُ هَلَكُوا إِلَى هَذَا الْوَقْتِ , لِأَنَّ فِي ذَلِكَ الْبُكَاءِ مَا قَدْ أَتَيْنَ بِهِ عَلَى مَا جَلَا عَنْهُنَّ حُزْنَهُنَّ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي تَفْسِيرِ الْبُكَاءِ , الَّذِي قَصَدَ إِلَى النَّهْيِ فِي نَهْيِهِ عَنِ الْبُكَاءِ عَلَى الْمَوْتَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৯৯৫
মৃত ব্যক্তির জন্য কান্নাকাটি করা
৬৯৯৫। ইবন আবী দাউদ (রাযিঃ) ……. আব্দুর রহমান ইবন আওফ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার হাত ধরলেন। আমি তাঁর সঙ্গে তাঁর (অসুস্থ) পুত্র ইবরাহীম (রাযিঃ)-এর নিকট গেলাম। তখন তাঁর মরণাপন্ন অবস্থা। নবী (ﷺ) তাকে ধরে নিজের কোলে রাখলেন। তারপর তার ইন্তেকাল হয়ে গেল। আর তিনি তাকে রেখে দিলেন এবং তিনি কেঁদে উঠলেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি কাঁদছেন? অথচ আপনি কান্না থেকে নিষেধ করেছেন? তিনি বললেন, আমি কান্না থেকে নিষেধ করি নাই; বরং আমি নিষেধ করেছি দুই ধরনের আহাম্মুকী ও অন্যায় চিৎকারকে। তা হলো, খেলাধূলা ও শয়তানী বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ। বিপদের সময় চিৎকার করা যাতে মুখে প্রহার করা এবং গলার কাপড় ছিঁড়ে ফেলা পাওয়া যায়। আর এটা (কাঁদা) তো রহমত। যে ব্যক্তি দয়া করে না, তাকেও দয়া করা হয় না। হে ইবরাহীম! যদি এমনটি না হতো যে, আল্লাহ্ তা'আলার ওয়াদা (অঙ্গীকার) সত্য এবং কথা হক, আর আমাদের পরবর্তীরা পূর্ববর্তীদের সঙ্গে অতিসত্তর মিলিত হবে, তাহলে আমরা তোমার জন্য এর চেয়েও অধিক দুঃখ করতাম। আমরা তোমার কারণে বিষন্ন। যে কাঁদে এবং হৃদয় বিষন্ন হয়। আমরা এরূপ কথা বলব না যাতে প্রতিপালক (আল্লাহ্ তা'আলা) অসন্তুষ্ট হন।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এই হাদীসে বলেছেন যে, প্রথমোক্ত রিওয়ায়াতসমূহে যে কান্না থেকে নিষেধ করেছেন তা কি? অর্থাৎ এটা হচ্ছে সেই কান্নার সঙ্গে বিকট চিৎকার (বিলাপ করা), চেহারা থাপড়ানো এবং গলার কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হবে। এবং তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, এছাড়া দয়ামায়ার ভিত্তিতে কান্না নিষিদ্ধ কান্নার পরিপন্থি। পক্ষান্তরে ঐ হাদীস যা আমরা উমর (রাযিঃ) ও ইবন উমর (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছি যে, “মৃত ব্যক্তির জন্য তার পরিবারের লোকদের কান্নাকাটি করার কারণে তাকে আযাব দেওয়া হয়"- আমরা আয়েশা (রাযিঃ) থেকে এর প্রতি স্বীকৃতিও উল্লেখ করেছি। কেননা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন যে, আল্লাহ্ তা'আলা কাফির ব্যক্তির পরিবারের কতক লোকের কান্নাকাটি করার কারণে তার কবরে আযাবকে বৃদ্ধি করেন । সম্ভবত যে কান্নাকাটি করার কারণে কাফিরের কবরের আযাব বৃদ্ধি করা হয়, তা দ্বারা সেই কান্নাকাটি উদ্দেশ্য যার ওসীয়ত সে তার জীবদ্দশায় করেছিল, কেননা জাহিলী যুগের লোকেরা স্বীয় পরিজনকে ওসীয়ত করত যে, তাদের মৃত্যুর পর তারা যেন এরূপ করে। তাই আল্লাহ্ তা'আলা তাকে কবরে ঐ কারণে আযাব প্রদান করেন যা তার জীবদ্দশায় পাওয়া গিয়েছে এবং মৃত্যুর পর এর উপর আমল হয়েছে। আয়েশা (রাযিঃ) থেকে এই হাদীসটি ভিন্ন শব্দেও বর্ণিত আছে:
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এই হাদীসে বলেছেন যে, প্রথমোক্ত রিওয়ায়াতসমূহে যে কান্না থেকে নিষেধ করেছেন তা কি? অর্থাৎ এটা হচ্ছে সেই কান্নার সঙ্গে বিকট চিৎকার (বিলাপ করা), চেহারা থাপড়ানো এবং গলার কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হবে। এবং তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, এছাড়া দয়ামায়ার ভিত্তিতে কান্না নিষিদ্ধ কান্নার পরিপন্থি। পক্ষান্তরে ঐ হাদীস যা আমরা উমর (রাযিঃ) ও ইবন উমর (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছি যে, “মৃত ব্যক্তির জন্য তার পরিবারের লোকদের কান্নাকাটি করার কারণে তাকে আযাব দেওয়া হয়"- আমরা আয়েশা (রাযিঃ) থেকে এর প্রতি স্বীকৃতিও উল্লেখ করেছি। কেননা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন যে, আল্লাহ্ তা'আলা কাফির ব্যক্তির পরিবারের কতক লোকের কান্নাকাটি করার কারণে তার কবরে আযাবকে বৃদ্ধি করেন । সম্ভবত যে কান্নাকাটি করার কারণে কাফিরের কবরের আযাব বৃদ্ধি করা হয়, তা দ্বারা সেই কান্নাকাটি উদ্দেশ্য যার ওসীয়ত সে তার জীবদ্দশায় করেছিল, কেননা জাহিলী যুগের লোকেরা স্বীয় পরিজনকে ওসীয়ত করত যে, তাদের মৃত্যুর পর তারা যেন এরূপ করে। তাই আল্লাহ্ তা'আলা তাকে কবরে ঐ কারণে আযাব প্রদান করেন যা তার জীবদ্দশায় পাওয়া গিয়েছে এবং মৃত্যুর পর এর উপর আমল হয়েছে। আয়েশা (রাযিঃ) থেকে এই হাদীসটি ভিন্ন শব্দেও বর্ণিত আছে:
6995 - مَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ يُونُسَ , قَالَ: ثنا إِسْرَائِيلُ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ عَطَاءٍ , عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ قَالَ: أَخَذَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدَيَّ , فَانْطَلَقْتُ مَعَهُ إِلَى ابْنِهِ إِبْرَاهِيمَ وَهُوَ يَجُودُ بِنَفْسِهِ. فَأَخَذَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَضَعَهُ فِي حِجْرِهِ , حَتَّى خَرَجَتْ نَفْسُهُ , فَوَضَعَهُ , ثُمَّ بَكَى. فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ , أَتَبْكِي وَأَنْتَ تَنْهَى عَنِ الْبُكَاءِ؟ . فَقَالَ: «إِنِّي لَمْ أَنْهَ عَنِ الْبُكَاءِ , وَلَكِنْ نَهَيْتُ عَنْ صَوْتَيْنِ أَحْمَقَيْنِ فَاجِرَيْنِ , صَوْتٍ عِنْدَ نَغْمَةِ لَهْوٍ وَلَعِبٍ وَمَزَامِيرِ شَيْطَانٍ , وَصَوْتٍ عِنْدَ مُصِيبَةٍ , لَطْمِ وُجُوهٍ , وَشَقِّ جُيُوبٍ , وَهَذَا رَحْمَةٌ , مَنْ لَا يَرْحَمُ , لَا يُرْحَمُ , يَا إِبْرَاهِيمُ , لَوْلَا إِنَّهُ وَعْدٌ صَادِقٌ , وَقَوْلٌ حَقٌّ وَإِنَّ آخِرَنَا سَيَلْحَقُ أَوَّلَنَا , لَحَزِنَّا عَلَيْكَ حُزْنًا هُوَ أَشَدُّ مِنْ هَذَا , وَإِنَّا بِكَ لَمَحْزُونُونَ , تَبْكِي الْعَيْنُ , وَيَحْزَنُ الْقَلْبُ , وَلَا نَقُولُ مَا يُسْخِطُ الرَّبَّ» [ص:294] فَأَخْبَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , بِالْبُكَاءِ الَّذِي نَهَى عَنْهُ فِي الْأَحَادِيثِ الْأُوَلِ , وَأَنَّهُ الْبُكَاءُ الَّذِي مَعَهُ الصَّوْتُ الشَّدِيدُ , وَلَطْمُ الْوُجُوهِ , وَشَقُّ الْجُيُوبِ. وَبَيَّنَ أَنَّ مَا سِوَى ذَلِكَ مِنَ الْبُكَاءِ , فَمَا فُعِلَ مِنْ جِهَةِ الرَّحْمَةِ , أَنَّهُ بِخِلَافِ ذَلِكَ الْبُكَاءِ الَّذِي نُهِيَ عَنْهُ. وَأَمَّا مَا ذَكَرْنَاهُ عَنْ عَمْرٍو ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الْمَيِّتَ يُعَذَّبُ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ» فَقَدْ ذَكَرْنَا عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا إِنْكَارَ ذَلِكَ فَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ لِيَزِيدَ الْكَافِرَ عَذَابًا فِي قَبْرِهِ , بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ» . وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ الْبُكَاءُ الَّذِي يُعَذَّبُ بِهِ الْكَافِرُ فِي قَبْرِهِ , يَزْدَادُ بِهِ عَذَابًا عَلَى عَذَابِهِ , بُكَاءً قَدْ كَانَ أَوْصَى لَهُ فِي حَيَاتِهِ. فَإِنَّ أَهْلَ الْجَاهِلِيَّةِ , قَدْ كَانُوا يُوصُونَ بِذَلِكَ , أَهْلِيهِمْ أَنْ يَفْعَلُوهُ بَعْدَ وَفَاتِهِمْ. فَيَكُونُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ يُعَذِّبُهُ فِي قَبْرِهِ بِسَبَبٍ , قَدْ كَانَ سَبَبُهُ فِي حَيَاتِهِ , فُعِلَ بَعْدَ مَوْتِهِ. وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا بِغَيْرِ هَذَا اللَّفْظِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৯৯৬
মৃত ব্যক্তির জন্য কান্নাকাটি করা
৬৯৯৬। রাবী' আল-মুয়াযযিন (রাযিঃ) ….. উন্মুল মু'মিনীন আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা আবু আব্দুর রহমান ইবন উমর (রাযিঃ)-কে রহম করুন। তিনি বলেন, মৃত ব্যক্তির জন্য জীবিতদের কান্নাকাটি করার কারণে তাকে আযাব দেওয়া হয়। আল্লাহর কসম, এটা আব্দুল্লাহ্ ইবন উমর (রাযিঃ)-এর ধারণা। আল্লাহ্ তা'আলা তাঁকে রহম করুন। আল্লাহ তা'আলা বলেন : وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى অর্থাৎ এবং কেউ অন্য কারো ভার বহন করবে না। (৬ : ১৬৪)
আসল ব্যাপার হচ্ছে যে, একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) জনৈক ইয়াহুদীর কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বললেন, তোমরা তার উপর কাঁদছ, অথচ কবরে তার আযাব হচ্ছে। অর্থাৎ তার নিজের আমলের কারণে (আযাব হচ্ছে)। বস্তুত এই হাদীসে আয়েশা (রাযিঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খবর দিয়েছেন যে, ঐ কাফিরের কবরে তার নিজের আমলের কারণে আযাব হচ্ছে। অথচ তার পরিবার-পরিজন তার জন্য কাঁদছে। আল্লাহ্ তা'আলা এটাকে নিষেধ করেছেন যে, “কেউ অন্য কারো ভার বহন করবে না।"
এতে প্রতীয়মান হয় যে, মৃতকে কবরে জীবিত লোকদের কান্নাকাটির কারণে আযাব দেয়া হয় না। যখন সে তার জীবদ্দশায় এর হুকুম দিয়ে মৃত্যুবরণ করে না থাকে। কেননা আব্দুর রহমান ইবন আওফ (রাযিঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত জাবির (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত দ্বারা মাকরূহ তথা নিষিদ্ধ কান্নার বিশ্লেষণ হচ্ছে যে, সেটি কি এবং এটা সেই কান্না যার সঙ্গে চেহারা খামচানো এবং গলার কাপড় ছিঁড়ে ফেলা পাওয়া যায়। আমরা যা কিছু উল্লেখ করেছি এতে সাব্যস্ত হলো যে, মৃতের জন্য কাঁদার বৈধতা ঐ অবস্থায় প্রযোজ্য হবে যখন এর সঙ্গে কোন মাকরূহ কারণ এসে সন্নিবেশীত না হবে। অর্থাৎ কাপড় ছিড়ে ফেলা, চেহারা থাপড়ানো ও বিলাপ ইত্যাদি করা।
আসল ব্যাপার হচ্ছে যে, একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) জনৈক ইয়াহুদীর কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বললেন, তোমরা তার উপর কাঁদছ, অথচ কবরে তার আযাব হচ্ছে। অর্থাৎ তার নিজের আমলের কারণে (আযাব হচ্ছে)। বস্তুত এই হাদীসে আয়েশা (রাযিঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খবর দিয়েছেন যে, ঐ কাফিরের কবরে তার নিজের আমলের কারণে আযাব হচ্ছে। অথচ তার পরিবার-পরিজন তার জন্য কাঁদছে। আল্লাহ্ তা'আলা এটাকে নিষেধ করেছেন যে, “কেউ অন্য কারো ভার বহন করবে না।"
এতে প্রতীয়মান হয় যে, মৃতকে কবরে জীবিত লোকদের কান্নাকাটির কারণে আযাব দেয়া হয় না। যখন সে তার জীবদ্দশায় এর হুকুম দিয়ে মৃত্যুবরণ করে না থাকে। কেননা আব্দুর রহমান ইবন আওফ (রাযিঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত জাবির (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত দ্বারা মাকরূহ তথা নিষিদ্ধ কান্নার বিশ্লেষণ হচ্ছে যে, সেটি কি এবং এটা সেই কান্না যার সঙ্গে চেহারা খামচানো এবং গলার কাপড় ছিঁড়ে ফেলা পাওয়া যায়। আমরা যা কিছু উল্লেখ করেছি এতে সাব্যস্ত হলো যে, মৃতের জন্য কাঁদার বৈধতা ঐ অবস্থায় প্রযোজ্য হবে যখন এর সঙ্গে কোন মাকরূহ কারণ এসে সন্নিবেশীত না হবে। অর্থাৎ কাপড় ছিড়ে ফেলা, চেহারা থাপড়ানো ও বিলাপ ইত্যাদি করা।
6996 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ: يَغْفِرُ اللهُ لِأَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , يَقُولُ: إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبُكَاءِ الْحَيِّ. وَاللهِ مَا ذَاكَ إِلَّا إِيهَامًا مِنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَغْفِرُ اللهُ لَهُ , إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقُولُ: {وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى} . وَمَا ذَاكَ إِلَّا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ عَلَى قَبْرِ يَهُودِيٍّ , فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنْتُمْ تَبْكُونَ عَلَيْهِ , وَإِنَّهُ لَيُعَذَّبُ فِي قَبْرِهِ» يَقُولُ: بِعَمَلِهِ فَأَخْبَرَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا أَخْبَرَ أَنَّ ذَلِكَ الْكَافِرَ يُعَذَّبُ فِي قَبْرِهِ بِعَمَلِهِ , وَأَهْلُهُ يَبْكُونَ عَلَيْهِ , وَقَدْ مَنَعَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ , أَنْ تَزِرَ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى. فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ مَيِّتًا لَا يُعَذَّبُ فِي قَبْرِهِ بِبُكَاءِ حَيٍّ لَمْ يَأْمُرْ بِهِ فِي حَيَاتِهِ , وَمَاتَ , لِحَدِيثِ جَابِرٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ الْبُكَاءُ الْمَكْرُوهُ مَا هُوَ , وَأَنَّهُ هُوَ الَّذِي مَعَهُ اللَّطْمُ وَالشَّقُّ. فَقَدْ ثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا إِبَاحَةُ الْبُكَاءِ عَلَى الْمَيِّتِ , إِذَا لَمْ يَكُنْ مَعَهُ سَبَبٌ مَكْرُوهٌ , مِنْ شَقِّ ثَوْبٍ , وَلَطْمِ وَجْهٍ , وَنِيَاحَةٍ , وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৯৯৭
মৃত ব্যক্তির জন্য কান্নাকাটি করা
৬৯৯৭। ফাহদ (রাযিঃ) …… আমের ইবন সা'দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একবার কুরযা ইবন কা'ব (রাযিঃ), আবু মাসউদ আনসারী (রাযিঃ) ও সাবিত ইবন কায়স (রাযিঃ)-এর নিকটে গেলাম। তাঁদের কাছে কতিপয় বালিকা গাইছিল । আমি বললাম, তোমরা এটা করছ? অথচ তোমরা মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর সাহাবী! তারা বললেন, যদি শুনতে চাও ভাল কথা, অন্যথায় চলে যাও। কেননা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বিয়ে-শাদী উপলক্ষে ক্রীড়া-কৌতুক এবং মৃতের জন্য কান্নাকাটি করার অনুমতি দিয়েছেন।
যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন উত্থাপন করে বলে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে, মৃতের জন্য তার পরিবারের লোকদের বিলাপ করে কান্নাকাটি করার কারণে তার কবরে আযাব হয় এবং সে নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত পেশ করে :
যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন উত্থাপন করে বলে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে, মৃতের জন্য তার পরিবারের লোকদের বিলাপ করে কান্নাকাটি করার কারণে তার কবরে আযাব হয় এবং সে নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত পেশ করে :
6997 - وَقَدْ حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ الْحِمَّانِيُّ قَالَ: ثنا شَرِيكٌ , عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ , عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ: دَخَلَ عَلَيَّ قَرَظَةُ بْنُ كَعْبٍ , وَعَلَى أَبِي مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيِّ , وَثَابِتِ بْنِ قَيْسٍ وَعِنْدَهُمْ جَوَارٍ يُغَنِّينَ. فَقُلْتُ: أَتَفْعَلُونَ هَذَا , وَأَنْتُمْ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالُوا: «إِنْ كُنْتَ تَسْمَعُ , وَإِلَّا فَامْضِ , فَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَخَّصَ فِي اللهْوِ عِنْدَ الْعُرْسِ , وَفِي الْبُكَاءِ عَلَى الْمَيِّتِ» [ص:295] فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِنَّ الْمَيِّتَ يُعَذَّبُ فِي قَبْرِهِ , بِنِيَاحَةِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৯৯৮
মৃত ব্যক্তির জন্য কান্নাকাটি করা
৬৯৯৮। আলী ইবন মা'বাদ (রাযিঃ) ..... আলী ইবন রাবীআ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কুরযা ইবন কা'ব (রাযিঃ) মারা গেলে তাঁর জন্য বিলাপ করে কান্নাকাটি শুরু হয়। তখন মুগীরা ইবন শু'বা (রাযিঃ) খুতবা (ভাষণ) প্রদান করেন। তিনি বললেন, এই উম্মতের মাঝে এ ধরনের বিলাপের অবকাশ কোথায়? আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আমার উপর মিথ্যা আরোপ করা অন্য কারো উপর মিথ্যারোপ করার ন্যায় নয়। যে ব্যক্তি জেনে শুনে আমার উপর মিথ্যারোপ করবে, সে যেন স্বীয় ঠিকানা জাহান্নামকে বানিয়ে নেয়। যার সম্পর্কে বিলাপ করে কাঁদা হয় তাকে বিলাপ অনুসারে আযাব দেওয়া হয়।
তাকে উত্তরে বলা হবে, আল্লাহ্ তা'আলা সর্বাধিক জ্ঞাত, আমাদের নিকট এটা হলো সেই বিলাপ যার সম্পর্কে তারা নিজ পরিবার-পরিজনকে ওসীয়ত করত, তাদের (ইন্তেকালের) পরে এর উপর আমল হতো, যা তারা নিজ জীবদ্দশায় ওসীয়ত করত। সুতরাং এর উপর তাদের আযাব হতো।
তাকে উত্তরে বলা হবে, আল্লাহ্ তা'আলা সর্বাধিক জ্ঞাত, আমাদের নিকট এটা হলো সেই বিলাপ যার সম্পর্কে তারা নিজ পরিবার-পরিজনকে ওসীয়ত করত, তাদের (ইন্তেকালের) পরে এর উপর আমল হতো, যা তারা নিজ জীবদ্দশায় ওসীয়ত করত। সুতরাং এর উপর তাদের আযাব হতো।
6998 - وَذَكَرَ مَا حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدٍ أَبُو الْهُذَيْلِ الطَّائِيُّ , عَنْ عَلِيِّ بْنِ رَبِيعَةَ قَالَ: نِيحَ عَلَى قَرَظَةَ بْنِ كَعْبٍ , فَخَطَبَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ فَقَالَ: مَا بَالُ النِّيَاحَةِ فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ؟ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ كَذِبًا عَلَيَّ لَيْسَ كَكَذِبٍ عَلَى أَحَدٍ , مَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ، وَمَنْ يُنَحْ عَلَيْهِ عُذِّبَ بِمَا نِيحَ عَلَيْهِ , أَوْ لِمَا نِيحَ عَلَيْهِ» قِيلَ لَهُ: هَذَا , عِنْدَنَا , وَاللهُ أَعْلَمُ عَلَى النِّيَاحَةِ الَّتِي كَانُوا يُوصُونَ بِهَا أَهْلِيهِمْ , فَتَكُونُ مَفْعُولَةً بَعْدَهُمْ بِوَصِيَّتِهِمْ بِهَا فِي حَيَاتِهِمْ , فَيُعَذَّبُونَ عَلَى ذَلِكَ , وَاللهُ أَعْلَمُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান