শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৬৯৬৮
(আস্তাগ ফিরুল্লাহা ওয়া আতবু ইলাইহি) শব্দাবলী বলা প্রসঙ্গ
৬৯৬৮। আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, আমি আবু জা'ফর ইবন আবী ইমরান (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি, কেউ أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ বলাকে তিনি অপসন্দ করতেন। বরং তিনি أَسْتَغْفِرُ اللهَ , وَأَسْأَلُهُ التَّوْبَةَ বলতেন। তিনি বলেন, আমি আমার সাথীদেরকে দেখেছি তারা এটাকে মাকরূহ মনে করেন এবং তারা বলেন, গুনাহ থেকে তাওবা করার মর্ম হচ্ছে তা ছেড়ে দেয়া, পুনঃ তা না করা। এ ব্যাপারে কারো থেকে সংশয় নেই যে, যখন সে বলে أَتُوبُ إِلَيْهِ, তখন আল্লাহ্ তা'আলার সঙ্গে ওয়াদা বা অঙ্গীকার করে যে, সে ঐ গুনাহের দিকে প্রত্যাবর্তন করবে না। পরবর্তীতে যখন এর দিকে ফিরে যায় তখন সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় হয়ে যায়। যে আল্লাহ তা'আলার সঙ্গে ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করল। তবে এই শব্দগুলো বলা বা পাঠ করা অত্যন্ত চমৎকার أَسْأَلُ اللهَ التَّوْبَةَ তাওবা প্রার্থনা করছি। অর্থাৎ আমি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করছি তিনি যেন আমাকে এই গুনাহ থেকে বের করে দেন এবং আমাকে কখনো এর দিকে ফিরিয়ে না নেন।
সংশ্লিস্ট বিষয়ে রাবী ইবন সুলায়ম (রাহঃ) থেকেও বর্ণিত আছে, তা নিম্নরূপ:
মুসা ইবনুল মুবারক (রাহঃ) রাবী ইবন খুসায়ম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদের থেকে কেউ যেন أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ এ শব্দগুলো না বলে। অতঃপর সে ফিরে যাবে। সুতরাং তার এটা বলা মিথ্যায় পর্যবসিত হয়ে যাবে এবং গুনাহ হবে। বরং সে এরূপ বলবে اللهُمَّ اغْفِرْ لِي , وَتُبْ عَلَيَّ অর্থাৎ "হে আল্লাহ! আমার গুনাহ ক্ষমা করে দাও এবং আমার তাওবা কবুল কর।"
এ বিষয়ে তাদের প্রমাণ হচ্ছে নিম্নরূপ :
সংশ্লিস্ট বিষয়ে রাবী ইবন সুলায়ম (রাহঃ) থেকেও বর্ণিত আছে, তা নিম্নরূপ:
মুসা ইবনুল মুবারক (রাহঃ) রাবী ইবন খুসায়ম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদের থেকে কেউ যেন أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ এ শব্দগুলো না বলে। অতঃপর সে ফিরে যাবে। সুতরাং তার এটা বলা মিথ্যায় পর্যবসিত হয়ে যাবে এবং গুনাহ হবে। বরং সে এরূপ বলবে اللهُمَّ اغْفِرْ لِي , وَتُبْ عَلَيَّ অর্থাৎ "হে আল্লাহ! আমার গুনাহ ক্ষমা করে দাও এবং আমার তাওবা কবুল কর।"
এ বিষয়ে তাদের প্রমাণ হচ্ছে নিম্নরূপ :
بَابُ الرَّجُلِ يَقُولُ أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: سَمِعْتُ أَبَا جَعْفَرِ بْنَ أَبِي عِمْرَانَ , يَكْرَهُ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ وَلَكِنَّهُ يَقُولُ أَسْتَغْفِرُ اللهَ , وَأَسْأَلُهُ التَّوْبَةَ. وَقَالَ: رَأَيْتُ أَصْحَابَنَا يَكْرَهُونَ ذَلِكَ , وَيَقُولُونَ: التَّوْبَةُ مِنَ الذَّنْبِ هِيَ تَرْكُهُ , وَتَرْكُ الْعَوْدُ عَلَيْهِ , وَذَلِكَ غَيْرُ مَوْهُومٍ مِنْ أَحَدٍ. فَإِذَا قَالَ أَتُوبُ إِلَيْهِ فَقَدْ وَعَدَ اللهَ أَنْ لَا يَعُودَ إِلَى ذَلِكَ الذَّنْبِ , فَإِذَا عَادَ إِلَيْهِ بَعْدَ ذَلِكَ , كَانَ كَمَنْ وَعَدَ اللهَ ثُمَّ أَخْلَفَهُ. وَلَكِنْ أَحْسَنُ ذَلِكَ أَنْ يَقُولَ أَسْأَلُ اللهَ التَّوْبَةَ أَيْ: أَسْأَلُ اللهَ أَنْ يَنْزِعَنِي عَنْ هَذَا الذَّنْبِ , وَلَا يُعِيدَنِي إِلَيْهِ أَبَدًا. وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ أَيْضًا عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ خُثَيْمٍ
6968 - حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ الْمُبَارَكِ , قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ , قَالَ: ثنا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْجُعْفِيُّ , عَنْ زَائِدَةَ , عَنْ مُنْذِرٍ , عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ خُثَيْمٍ , قَالَ: «لَا يَقُولُ أَحَدُكُمْ إِنِّي أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ ثُمَّ يَعُودُ فَيَكُونُ كَذِبُهُ , وَيَكُونُ ذَنْبًا , وَلَكِنْ لِيَقُلِ اللهُمَّ اغْفِرْ لِي , وَتُبْ عَلَيَّ» وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ
6968 - حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ الْمُبَارَكِ , قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ , قَالَ: ثنا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْجُعْفِيُّ , عَنْ زَائِدَةَ , عَنْ مُنْذِرٍ , عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ خُثَيْمٍ , قَالَ: «لَا يَقُولُ أَحَدُكُمْ إِنِّي أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ ثُمَّ يَعُودُ فَيَكُونُ كَذِبُهُ , وَيَكُونُ ذَنْبًا , وَلَكِنْ لِيَقُلِ اللهُمَّ اغْفِرْ لِي , وَتُبْ عَلَيَّ» وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৯৬৯
(আস্তাগ ফিরুল্লাহা ওয়া আতবু ইলাইহি) শব্দাবলী বলা প্রসঙ্গ
৬৯৬৯। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ)..... আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: গুনাহ থেকে তাওবা করার (মর্ম) হচ্ছে, মানুষ গুনাহ থেকে তাওবা করার পর তার দিকে কখনো ফিরে যাবে না।
বস্তুত এটা হচ্ছে তাওবার বৈশিষ্ট্য এবং এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ব্যতীত কেউ নিরাপদ যা আশংকামুক্ত নয়। কেননা তিনি হচ্ছেন মাসূম (নিষ্পাপ) (পক্ষান্তরে অবশিষ্ট লোক মাসূম নয়)। এজন্যই তিনি বলতেন,
যা নিম্নরূপ :
বস্তুত এটা হচ্ছে তাওবার বৈশিষ্ট্য এবং এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ব্যতীত কেউ নিরাপদ যা আশংকামুক্ত নয়। কেননা তিনি হচ্ছেন মাসূম (নিষ্পাপ) (পক্ষান্তরে অবশিষ্ট লোক মাসূম নয়)। এজন্যই তিনি বলতেন,
যা নিম্নরূপ :
6969 - مَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ الْحَوْضِيُّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: ثنا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْوَاسِطِيُّ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ الْهَجَرِيِّ , عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ , عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «التَّوْبَةُ مِنَ الذَّنْبِ , أَنْ يَتُوبَ الرَّجُلُ مِنَ الذَّنْبِ , ثُمَّ لَا يَعُودُ إِلَيْهِ» فَهَذِهِ صِفَةُ التَّوْبَةِ , وَهَذَا غَيْرُ مَأْمُونٍ عَلَى أَحَدٍ , غَيْرِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِنَّهُ مَعْصُومٌ , وَلِذَلِكَ كَانَ يَقُولُ , فِيمَا قَدْ رُوِيَ عَنْهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৯৭০
(আস্তাগ ফিরুল্লাহা ওয়া আতবু ইলাইহি) শব্দাবলী বলা প্রসঙ্গ
৬৯৭০। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শুনেছি, তিনি বলতেন: আমি দিনে একশতবার তওবা করি। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তিনি সত্তরবারের উল্লেখ করেছেন।
6970 - مَا قَدْ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا خَطَّابُ بْنُ عُثْمَانَ , وَحَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ , قَالَا: ثنا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ , عَنِ الزُّبَيْدِيِّ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنِّي لَأَتُوبُ فِي الْيَوْمِ مِائَةَ مَرَّةٍ» وَقَالَ أَنَسٌ إِنَّمَا قَالَ سَبْعِينَ مَرَّةً

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৯৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৬৯৭৩
(আস্তাগ ফিরুল্লাহা ওয়া আতবু ইলাইহি) শব্দাবলী বলা প্রসঙ্গ
৬৯৭১-৭৩। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) …… আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে শুনেছি, তিনি বলতেন: আমি দিনে সত্তরবারের অধিক আল্লাহ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তাঁর দরবারে তওবা করি।
ইউনুস (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, অতঃপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন ।
ইউনুস (রাহঃ) …… আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইউনুস (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, অতঃপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন ।
ইউনুস (রাহঃ) …… আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
6971 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَيُّوبُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي عَتِيقٍ، وَمُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، [ص:289] عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنِّي لَأَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ فِي الْيَوْمِ , أَكْثَرَ مِنْ سَبْعِينَ مَرَّةً»
6972 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا سَلَامَةُ بْنُ رَوْحٍ، قَالَ: ثنا عُقَيْلٌ، قَالَ: ثنا الزُّهْرِيُّ، أَنَّ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، أَخْبَرَهُ , أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ
6973 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
6972 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا سَلَامَةُ بْنُ رَوْحٍ، قَالَ: ثنا عُقَيْلٌ، قَالَ: ثنا الزُّهْرِيُّ، أَنَّ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، أَخْبَرَهُ , أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ
6973 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৯৭২
empty
৬৯৭২।
6972 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৯৭৩
empty
৬৯৭৩।
6973 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৯৭৪
(আস্তাগ ফিরুল্লাহা ওয়া আতবু ইলাইহি) শব্দাবলী বলা প্রসঙ্গ
৬৯৭৪। হুসায়ন ইবন নসর (রাহঃ) …… আবু বুরদা ইবন আবী মুসা তার পিতা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, আমি দিনে একশতবার আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তাঁর দরগাহে তাওবা করি।
6974 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، حَدَّثَهُ , عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنِّي لَأَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ فِي الْيَوْمِ , مِائَةَ مَرَّةٍ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৯৭৫
(আস্তাগ ফিরুল্লাহা ওয়া আতবু ইলাইহি) শব্দাবলী বলা প্রসঙ্গ
৬৯৭৫। রাবী' আল-মুয়াযযিন (রাহঃ) ..... আগরুল মুযানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দু'হাত উত্তোলন করে আমাদের নিকট বেরিয়ে এলেন। তিনি বলছিলেন, হে লোকেরা! তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর । অতঃপর তাঁর দিকে তাওবা কর। আল্লাহর কসম; আমি দিনে একশতবার আল্লাহ্ নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তাঁর দরবারে তাওবা করি।
এঁরা বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এই শব্দগুলো বলতেন। কেননা তিনি গুনাহ থেকে মা'সূম (নিষ্পাপ) ছিলেন। পক্ষান্তরে অন্য লোকদের এরূপ বলা সমীচীন নয়। কেননা তারা যে গুনাহ থেকে তাওবা করেছে, তার দিকে প্রত্যাবর্তন করা থেকে মা'সুম বা সংরক্ষিত নয়।
পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাদের বিরোধিতা করেছেন। তারা এতে কোন অসুবিধা মনে করেন না। যে, কারো এরূপ বলা, আমি আল্লাহ্ তা'আলার দরবারে তাওবা করছি। এ বিষয়ে তাদের প্রমাণ হচ্ছে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত হাদীস। যা নিম্নরূপ:
এঁরা বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এই শব্দগুলো বলতেন। কেননা তিনি গুনাহ থেকে মা'সূম (নিষ্পাপ) ছিলেন। পক্ষান্তরে অন্য লোকদের এরূপ বলা সমীচীন নয়। কেননা তারা যে গুনাহ থেকে তাওবা করেছে, তার দিকে প্রত্যাবর্তন করা থেকে মা'সুম বা সংরক্ষিত নয়।
পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাদের বিরোধিতা করেছেন। তারা এতে কোন অসুবিধা মনে করেন না। যে, কারো এরূপ বলা, আমি আল্লাহ্ তা'আলার দরবারে তাওবা করছি। এ বিষয়ে তাদের প্রমাণ হচ্ছে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত হাদীস। যা নিম্নরূপ:
6975 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، قَالَ: ثنا زِيَادُ بْنُ الْمُنْذِرِ، قَالَ: ثنا أَبُو بُرْدَةَ بْنُ أَبِي مُوسَى، قَالَ: ثنا الْأَغَرُّ الْمُزَنِيُّ، قَالَ: خَرَجَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَافِعًا يَدَيْهِ وَهُوَ يَقُولُ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ , اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ , ثُمَّ تُوبُوا إِلَيْهِ , فَوَاللهِ إِنِّي لَأَسْتَغْفِرُ اللهَ , وَأَتُوبُ إِلَيْهِ فِي الْيَوْمِ , مِائَةَ مَرَّةٍ» قَالُوا: فَهَذَا كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُهُ , لِأَنَّهُ مَعْصُومٌ مِنَ الذُّنُوبِ , وَأَمَّا غَيْرُهُ فَلَا يَنْبَغِي أَنْ يَقُولَ ذَلِكَ , لِأَنَّهُ. غَيْرُ مَعْصُومٍ مِنَ الْعَوْدِ , فِيمَا تَابَ مِنْهُ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَلَمْ يَرَوْا بِهِ بَأْسًا , أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ أَتُوبُ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ , مَا قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৯৭৬
(আস্তাগ ফিরুল্লাহা ওয়া আতবু ইলাইহি) শব্দাবলী বলা প্রসঙ্গ
৬৯৭৬। আবু বিশর রক্কী (রাহঃ) …… আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন : যে ব্যক্তি এরূপ মজলিসে বসবে যাতে অধিক কথাবার্তা হয়েছে। অতঃপর উঠার পূর্বে বলবে : سُبْحَانَكَ رَبَّنَا , لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ , أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ তবে ওই মজলিসে যা কিছু (ভুল ভ্রান্তি) সংঘটিত হবে তা ক্ষমা করে দেওয়া হবে।
6976 - حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ، قَالَ: ثنا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «مَنْ جَلَسَ مَجْلِسًا , كَثُرَ فِيهِ لَغَطُهُ , ثُمَّ قَالَ قَبْلَ أَنْ يَقُومَ سُبْحَانَكَ رَبَّنَا , لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ , أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ غُفِرَ لَهُ مَا كَانَ فِي مَجْلِسِهِ ذَلِكَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৯৭৭
(আস্তাগ ফিরুল্লাহা ওয়া আতবু ইলাইহি) শব্দাবলী বলা প্রসঙ্গ
৬৯৭৭। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) …… আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেন: মজলিসের কাফ্ফারা হচ্ছে এ শব্দগুলো : سُبْحَانَكَ اللهُمَّ وَبِحَمْدِكَ , أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ
6977 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْوَاسِطِيُّ، قَالَ: ثنا عُثْمَانُ بْنُ مَطَرٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كَفَّارَةُ الْمَجْلِسِ , سُبْحَانَكَ اللهُمَّ وَبِحَمْدِكَ , أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৯৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬৯৭৯
(আস্তাগ ফিরুল্লাহা ওয়া আতবু ইলাইহি) শব্দাবলী বলা প্রসঙ্গ
৬৯৭৮-৭৯। মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাযিঃ) ও ফাহদ ইবন সুলায়মান (রাহঃ) ..... ইসমাঈল ইবন আব্দুল্লাহ্ ইবন জা'ফর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমার কাছে খবর পৌঁছেছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: যে কোন মানুষ কোন মজলিসে অবস্থান করবে। অতঃপর যখন উঠার ইচ্ছা করবে তখন বলবে :
سُبْحَانَكَ اللهُمَّ وَبِحَمْدِكَ , لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ
তাহলে যা কিছু মজলিসে সংঘটিত হয়েছে ক্ষমা করে দেয়া হবে। বলেন, আমাকে এই হাদীসটি ইয়াযীদ ইবন খুসায়ফা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমাকে সায়িব ইবন ইয়াযীদ (রাহঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
سُبْحَانَكَ اللهُمَّ وَبِحَمْدِكَ , لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ
তাহলে যা কিছু মজলিসে সংঘটিত হয়েছে ক্ষমা করে দেয়া হবে। বলেন, আমাকে এই হাদীসটি ইয়াযীদ ইবন খুসায়ফা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমাকে সায়িব ইবন ইয়াযীদ (রাহঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
6978 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، وَفَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ جَعْفَرٍ، قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " مَا مِنْ إِنْسَانٍ يَكُونُ فِي مَجْلِسٍ فَيَقُولُ حِينَ يُرِيدُ أَنْ يَقُومَ: سُبْحَانَكَ اللهُمَّ وَبِحَمْدِكَ , لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ إِلَّا غُفِرَ لَهُ مَا كَانَ فِي ذَلِكَ الْمَجْلِسِ "
6979 - قَالَ فَحَدَّثَنَا بِهَذَا الْحَدِيثِ يَزِيدُ بْنُ خُصَيْفَةَ فَقَالَ: هَكَذَا حَدَّثَنِي السَّائِبُ بْنُ يَزِيدَ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
6979 - قَالَ فَحَدَّثَنَا بِهَذَا الْحَدِيثِ يَزِيدُ بْنُ خُصَيْفَةَ فَقَالَ: هَكَذَا حَدَّثَنِي السَّائِبُ بْنُ يَزِيدَ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৯৭৯
empty
৬৯৭৯।
6979 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৯৮০
(আস্তাগ ফিরুল্লাহা ওয়া আতবু ইলাইহি) শব্দাবলী বলা প্রসঙ্গ
৬৯৮০। মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ) ও ফাহদ (রাহঃ) ..... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কোন মজলিস থেকে উঠার প্রাক্কালে বলতেন: سُبْحَانَكَ اللهُمَّ رَبِّي وَبِحَمْدِكَ , لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ , أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ আমি বললাম ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি যখন মজলিস থেকে উঠেন তখন কত বেশী করেই না এই বাক্যগুলো পাঠ করেন? তিনি বললেন, যখনই কোন ব্যক্তি মজলিস থেকে উঠার প্রাক্কালে এই বাক্যগুলো পাঠ করবে, আল্লাহ্ তা'আলা তার মজলিসে কৃত গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন।
বস্তুত যা কিছু আমরা উল্লেখ করেছি, এটাও রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত। আমাদের নিকট দুই অভিমত থেকে এটাই অধিকতর উত্তম। কেননা আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর কিতাব কুরআনেও এর নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ্ তা'আলা বলেন : فَتُوبُوا إِلَى بَارِئِكُمْ অর্থাৎ “সুতরাং তোমরা তোমাদের স্রষ্টার পানে ফিরে যাও।" (২: ৫৪) আল্লাহ্ তা'আলা আরো বলেন : تُوبُوا إِلَى اللهِ تَوْبَةً نَصُوحًا অর্থাৎ : (হে মু'মিনগণ!) তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবা কর, বিশুদ্ধ তাওবা। (৬৬ : ৮)
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এ উল্লেখিত রিওয়ায়াতসমূহে এর নির্দেশ প্রদান করেছেন যা আমরা উল্লেখ করেছি। এজন্যই আমরা তা জায়েয সাব্যস্ত করেছি এবং আবু জা'ফর [ইবন আবী ইমরান (রাহঃ)]-এর মাযহাবের বিরোধিতা করেছি। যা আমরা এই অনুচ্ছেদের শুরুতে বর্ণনা করেছি।
যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর কিতাবে তাদেরকে তাওবার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তাওবার মর্ম হচ্ছে গুনাহ পরিত্যাগ করা, গুনাহের দিকে প্রত্যাবর্তনকেও পরিত্যাগ করা। আর এটা তাদের উক্তি قَدْ تُبْنَا (আমরা তাওবা করলাম) শব্দ দ্বারা অর্জিত হবে না; বরং গুনাহ থেকে বের হওয়া এবং এরদিকে প্রত্যাবর্তন করার দ্বারা তাওবা অর্জিত হবে। সে (প্রশ্নকারী) বলে যে, আল্লাহ তা'আলার ইরশাদ : تُوبُوا إِلَى اللهِ تَوْبَةً نَصُوحًا -এর ব্যাপারে অনুরূপভাবে বর্ণিত আছে, যা নিম্নরূপ :
বস্তুত যা কিছু আমরা উল্লেখ করেছি, এটাও রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত। আমাদের নিকট দুই অভিমত থেকে এটাই অধিকতর উত্তম। কেননা আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর কিতাব কুরআনেও এর নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ্ তা'আলা বলেন : فَتُوبُوا إِلَى بَارِئِكُمْ অর্থাৎ “সুতরাং তোমরা তোমাদের স্রষ্টার পানে ফিরে যাও।" (২: ৫৪) আল্লাহ্ তা'আলা আরো বলেন : تُوبُوا إِلَى اللهِ تَوْبَةً نَصُوحًا অর্থাৎ : (হে মু'মিনগণ!) তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবা কর, বিশুদ্ধ তাওবা। (৬৬ : ৮)
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এ উল্লেখিত রিওয়ায়াতসমূহে এর নির্দেশ প্রদান করেছেন যা আমরা উল্লেখ করেছি। এজন্যই আমরা তা জায়েয সাব্যস্ত করেছি এবং আবু জা'ফর [ইবন আবী ইমরান (রাহঃ)]-এর মাযহাবের বিরোধিতা করেছি। যা আমরা এই অনুচ্ছেদের শুরুতে বর্ণনা করেছি।
যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর কিতাবে তাদেরকে তাওবার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তাওবার মর্ম হচ্ছে গুনাহ পরিত্যাগ করা, গুনাহের দিকে প্রত্যাবর্তনকেও পরিত্যাগ করা। আর এটা তাদের উক্তি قَدْ تُبْنَا (আমরা তাওবা করলাম) শব্দ দ্বারা অর্জিত হবে না; বরং গুনাহ থেকে বের হওয়া এবং এরদিকে প্রত্যাবর্তন করার দ্বারা তাওবা অর্জিত হবে। সে (প্রশ্নকারী) বলে যে, আল্লাহ তা'আলার ইরশাদ : تُوبُوا إِلَى اللهِ تَوْبَةً نَصُوحًا -এর ব্যাপারে অনুরূপভাবে বর্ণিত আছে, যা নিম্নরূপ :
6980 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ وَفَهْدٌ , قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ , عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ زُرَارَةَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: مَا كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُومُ مِنَ الْمَجْلِسِ إِلَّا قَالَ: «سُبْحَانَكَ اللهُمَّ رَبِّي وَبِحَمْدِكَ , لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ , أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ» فَقُلْتُ لَهُ: يَا رَسُولَ اللهِ , مَا أَكْثَرُ مَا تَقُولُ هَؤُلَاءِ الْكَلِمَاتِ , إِذَا قُمْتُ؟ فَقَالَ: «إِنَّهُ لَا يَقُولُهُنَّ أَحَدٌ حِينَ يَقُومُ مِنْ مَجْلِسِهِ إِلَّا غُفِرَ لَهُ , مَا كَانَ فِي ذَلِكَ الْمَجْلِسِ» فَهَذَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ رُوِيَ عَنْهُ أَيْضًا مَا ذَكَرْنَا , وَهُوَ أَوْلَى الْقَوْلَيْنِ عِنْدَنَا , لِأَنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ , قَدْ أَمَرَ بِذَلِكَ فِي كِتَابِهِ فَقَالَ: {فَتُوبُوا إِلَى بَارِئِكُمْ} [البقرة: 54] وَقَالَ: {تُوبُوا إِلَى اللهِ تَوْبَةً نَصُوحًا} [التحريم: 8] . وَأَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ , فِي الْآثَارِ الَّتِي ذَكَرْنَا , فَلِهَذَا أَبَحْنَا ذَلِكَ , وَخَالَفْنَا أَبَا جَعْفَرٍ , فِيمَا ذَهَبَ إِلَيْهِ عَلَى مَا ذَكَرْنَا فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَإِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ , إِنَّمَا أَمَرَهُمْ فِي كِتَابِهِ أَنْ يَتُوبُوا , وَالتَّوْبَةُ هِيَ تَرْكُ الذُّنُوبِ , وَتَرْكُ الْعَوْدِ إِلَيْهَا , وَلَيْسَ ذَلِكَ بِقَوْلِهِمْ قَدْ تُبْنَا إِنَّمَا ذَلِكَ , الْخُرُوجُ عَنِ الذُّنُوبِ , وَتَرْكُ الْعَوْدِ إِلَيْهَا قَالَ: وَكَذَلِكَ رُوِيَ فِي قَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ {تُوبُوا إِلَى اللهِ تَوْبَةً نَصُوحًا} [التحريم: 8]

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৯৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৬৯৮২
(আস্তাগ ফিরুল্লাহা ওয়া আতবু ইলাইহি) শব্দাবলী বলা প্রসঙ্গ
৬৯৮১-৮২। আবু বাকরা (রাহঃ) …… নু'মান ইবন বশীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উমর (রাযিঃ)-কে শুনেছি তিনি বলতেন, 'তাওবা নাসূহ' তথা বিশুদ্ধ তাওবা হচ্ছে মানুষের প্রত্যেক ঐ কাজ থেকে বিরত থাকা যা সে করে। অতঃপর আল্লাহ্ তা'আলার দিকে তাওবা করে এবং কখনো সেই (আমল)-এর দিকে ফিরে যায় না।
আবু বাকরা (রাহঃ) .....নুমান (রাযিঃ) সূত্রে উমর (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
সুতরাং আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর কিতাব কুরআনে তাদেরকে যে তাওবার নির্দেশ দিয়েছেন, এর পদ্ধতি হচ্ছে (উল্লেখিত) এটাই। পক্ষান্তরে তাদের এই কথা বলা যে, "আমরা আল্লাহ্ তা'আলার দিকে তাওবা করছি"। এটা কিছু না।
তাদেরকে উত্তরে বলা হবে যে, এই বিষয়টি যদিও অনুরূপ যেরূপ তোমরা বলছ কিন্তু আমরা এটাকে তাদের জন্য এই শব্দাবলী যে, “আমরা আল্লাহ্ তা'আলার নিকট তাওবা করছি" অনুরূপভাবে জায়েয সাব্যস্ত করিনি যে, তারা যে বস্তু থেকে তাওবা করেছে তার দিকে ফিরে যাওয়ার বিশ্বাস পোষণ করে। বরং আমরা তাদের জন্য এই শব্দাবলী জায়েয সাব্যস্ত করেছি যে, তারা এর দ্বারা ঐ গুনাহকে পরিত্যাগ করার ইচ্ছা পোষণ করছে যা তাদের থেকে সংঘটিত হয়েছে। তারা তার দিকে প্রত্যাবর্তনের ইচ্ছা করে না। সুতরাং যখন তারা এই শব্দাবলী বলবে এবং অন্তরিকভাবে এর বিশ্বাসও পোষণ করবে, তাহলে এতে তারা প্রতিদানে সাওয়াবপ্রাপ্ত হবে। বস্তুত এরপরে তাদের থেকে যে ব্যক্তি ঐ গুনাহের দিকে প্রত্যাবর্তন করবে, তবে সে এটা নূতন গুনাহ করবে এবং এ দ্বারা ঐ সাওয়াব যা তার পূর্ববর্তী বাক্য ও আকীদার (বিশ্বাস) কারণে লিখিত হয়েছে, বিনষ্ট হবে না।
আর ঐ ব্যক্তি যে মুখে বলে যে, আমি আল্লাহ্ তা'আলার দরবারে তাওবা করছি। অথচ তার আকীদা বা বিশ্বাস হচ্ছে যে, সে ঐ গুনাহের দিকে ফিরে যাবে যা থেকে সে তাওবা করেছে, সুতরাং সে এ বাক্য বা কথার দ্বারা ফাসিক বিবেচিত হবে এবং এর উপর সে শাস্তিপ্রাপ্ত হবে। কেননা সে এ কথার দ্বারা আল্লাহ্ তা'আলার উপর মিথ্যারোপ করেছে। পক্ষান্তরে যদি সে ঐ কৃত গুনাহ পরিত্যাগ করার আকীদা পোষণ করে এই বাক্য বলে এবং তার সুদৃঢ় সংকল্প রয়েছে যে, সে কখনো এর দিকে ফিরে যাবে না, তবে সে তার কথায় সত্যবাদী হবে এবং সে এই সত্যবাদিতার উপর ইনশাআল্লাহ্ সাওয়াবপ্রাপ্ত হবে।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন : অনুতপ্ত হওয়া হচ্ছে তাওবা।
আবু বাকরা (রাহঃ) .....নুমান (রাযিঃ) সূত্রে উমর (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
সুতরাং আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর কিতাব কুরআনে তাদেরকে যে তাওবার নির্দেশ দিয়েছেন, এর পদ্ধতি হচ্ছে (উল্লেখিত) এটাই। পক্ষান্তরে তাদের এই কথা বলা যে, "আমরা আল্লাহ্ তা'আলার দিকে তাওবা করছি"। এটা কিছু না।
তাদেরকে উত্তরে বলা হবে যে, এই বিষয়টি যদিও অনুরূপ যেরূপ তোমরা বলছ কিন্তু আমরা এটাকে তাদের জন্য এই শব্দাবলী যে, “আমরা আল্লাহ্ তা'আলার নিকট তাওবা করছি" অনুরূপভাবে জায়েয সাব্যস্ত করিনি যে, তারা যে বস্তু থেকে তাওবা করেছে তার দিকে ফিরে যাওয়ার বিশ্বাস পোষণ করে। বরং আমরা তাদের জন্য এই শব্দাবলী জায়েয সাব্যস্ত করেছি যে, তারা এর দ্বারা ঐ গুনাহকে পরিত্যাগ করার ইচ্ছা পোষণ করছে যা তাদের থেকে সংঘটিত হয়েছে। তারা তার দিকে প্রত্যাবর্তনের ইচ্ছা করে না। সুতরাং যখন তারা এই শব্দাবলী বলবে এবং অন্তরিকভাবে এর বিশ্বাসও পোষণ করবে, তাহলে এতে তারা প্রতিদানে সাওয়াবপ্রাপ্ত হবে। বস্তুত এরপরে তাদের থেকে যে ব্যক্তি ঐ গুনাহের দিকে প্রত্যাবর্তন করবে, তবে সে এটা নূতন গুনাহ করবে এবং এ দ্বারা ঐ সাওয়াব যা তার পূর্ববর্তী বাক্য ও আকীদার (বিশ্বাস) কারণে লিখিত হয়েছে, বিনষ্ট হবে না।
আর ঐ ব্যক্তি যে মুখে বলে যে, আমি আল্লাহ্ তা'আলার দরবারে তাওবা করছি। অথচ তার আকীদা বা বিশ্বাস হচ্ছে যে, সে ঐ গুনাহের দিকে ফিরে যাবে যা থেকে সে তাওবা করেছে, সুতরাং সে এ বাক্য বা কথার দ্বারা ফাসিক বিবেচিত হবে এবং এর উপর সে শাস্তিপ্রাপ্ত হবে। কেননা সে এ কথার দ্বারা আল্লাহ্ তা'আলার উপর মিথ্যারোপ করেছে। পক্ষান্তরে যদি সে ঐ কৃত গুনাহ পরিত্যাগ করার আকীদা পোষণ করে এই বাক্য বলে এবং তার সুদৃঢ় সংকল্প রয়েছে যে, সে কখনো এর দিকে ফিরে যাবে না, তবে সে তার কথায় সত্যবাদী হবে এবং সে এই সত্যবাদিতার উপর ইনশাআল্লাহ্ সাওয়াবপ্রাপ্ত হবে।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন : অনুতপ্ত হওয়া হচ্ছে তাওবা।
6981 - فَذَكَرَ مَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا مُوسَى بْنُ زِيَادٍ الْمَخْزُومِيُّ , قَالَ: ثنا إِسْرَائِيلُ , قَالَ: ثنا سِمَاكٌ , عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ , قَالَ: سَمِعْتُ عُمَرَ يَقُولُ: «التَّوْبَةُ النَّصُوحُ , أَنْ يَجْتَنِبَ الرَّجُلُ أَيَّ شَيْءٍ كَانَ يَعْمَلُهُ , فَيَتُوبُ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ مِنْهُ , ثُمَّ لَا يَعُودُ إِلَيْهِ أَبَدًا»
6982 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنِ النُّعْمَانِ، عَنْ عُمَرَ، مِثْلَهُ فَهَذِهِ صِفَةُ التَّوْبَةِ الَّتِي أَمَرَهُمُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ بِهَا فِي كِتَابِهِ. فَأَمَّا قَوْلُهُمْ نَتُوبُ إِلَى اللهِ لَيْسَ مِنْ هَذَا فِي شَيْءٍ. قِيلَ لَهُمْ: إِنَّ ذَلِكَ وَإِنْ كَانَ كَمَا ذَكَرْتُمْ , فَإِنَّا لَمْ نُبِحْ لَهُمْ أَنْ يَقُولُوا نَتُوبُ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى أَنَّهُمْ مُعْتَقِدُونَ لِلرُّجُوعِ إِلَى مَا تَابُوا مِنْهُ. وَلَكِنَّا أَبَحْنَا لَهُمْ ذَلِكَ , عَلَى أَنَّهُمْ يُرِيدُونَ بِهِ تَرْكَ مَا وَقَعُوا فِيهِ مِنَ الذَّنْبِ , وَلَا يُرِيدُونَ الْعَوْدَةَ فِي شَيْءٍ مِنْهُ. فَإِذَا قَالُوا ذَلِكَ , وَاعْتَقَدُوا هَذَا بِقُلُوبِهِمْ , كَانُوا فِي ذَلِكَ مَأْجُورِينَ مُثَابِينَ. فَمَنْ عَادَ مِنْهُمْ بَعْدَ ذَلِكَ فِي شَيْءٍ مِنْ تِلْكَ الذُّنُوبِ , كَانَ ذَلِكَ ذَنْبًا أَصَابَهُ , وَلَمْ يُحْبِطْ ذَلِكَ أَجْرَهُ الْمَكْتُوبَ لَهُ , بِقَوْلِهِ الَّذِي تَقَدَّمَ مِنْهُ , وَاعْتِقَادِهِ مَعَهُ , مَا اعْتَقَدَ. فَأَمَّا مَنْ قَالَ أَتُوبُ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَهُوَ مُعْتَقِدٌ أَنَّهُ يَعُودُ إِلَى مَا تَابَ مِنْهُ , فَهُوَ بِذَلِكَ الْقَوْلِ , فَاسِقٌ مُعَاقَبٌ عَلَيْهِ , لِأَنَّهُ كَذَلِكَ عَلَى اللهِ فِيمَا قَالَ: [ص:291] وَأَمَّا إِذَا قَالَ , وَهُوَ مُعْتَقِدٌ لِتَرْكِ الذَّنْبِ , الَّذِي كَانَ وَقَعَ فِيهِ , وَعَازِمٌ أَنْ لَا يَعُودَ إِلَيْهِ أَبَدًا , فَهُوَ صَادِقٌ فِي قَوْلِهِ , مُثَابٌ عَلَى صِدْقِهِ , إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «النَّدَمُ تَوْبَةٌ»
6982 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنِ النُّعْمَانِ، عَنْ عُمَرَ، مِثْلَهُ فَهَذِهِ صِفَةُ التَّوْبَةِ الَّتِي أَمَرَهُمُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ بِهَا فِي كِتَابِهِ. فَأَمَّا قَوْلُهُمْ نَتُوبُ إِلَى اللهِ لَيْسَ مِنْ هَذَا فِي شَيْءٍ. قِيلَ لَهُمْ: إِنَّ ذَلِكَ وَإِنْ كَانَ كَمَا ذَكَرْتُمْ , فَإِنَّا لَمْ نُبِحْ لَهُمْ أَنْ يَقُولُوا نَتُوبُ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى أَنَّهُمْ مُعْتَقِدُونَ لِلرُّجُوعِ إِلَى مَا تَابُوا مِنْهُ. وَلَكِنَّا أَبَحْنَا لَهُمْ ذَلِكَ , عَلَى أَنَّهُمْ يُرِيدُونَ بِهِ تَرْكَ مَا وَقَعُوا فِيهِ مِنَ الذَّنْبِ , وَلَا يُرِيدُونَ الْعَوْدَةَ فِي شَيْءٍ مِنْهُ. فَإِذَا قَالُوا ذَلِكَ , وَاعْتَقَدُوا هَذَا بِقُلُوبِهِمْ , كَانُوا فِي ذَلِكَ مَأْجُورِينَ مُثَابِينَ. فَمَنْ عَادَ مِنْهُمْ بَعْدَ ذَلِكَ فِي شَيْءٍ مِنْ تِلْكَ الذُّنُوبِ , كَانَ ذَلِكَ ذَنْبًا أَصَابَهُ , وَلَمْ يُحْبِطْ ذَلِكَ أَجْرَهُ الْمَكْتُوبَ لَهُ , بِقَوْلِهِ الَّذِي تَقَدَّمَ مِنْهُ , وَاعْتِقَادِهِ مَعَهُ , مَا اعْتَقَدَ. فَأَمَّا مَنْ قَالَ أَتُوبُ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَهُوَ مُعْتَقِدٌ أَنَّهُ يَعُودُ إِلَى مَا تَابَ مِنْهُ , فَهُوَ بِذَلِكَ الْقَوْلِ , فَاسِقٌ مُعَاقَبٌ عَلَيْهِ , لِأَنَّهُ كَذَلِكَ عَلَى اللهِ فِيمَا قَالَ: [ص:291] وَأَمَّا إِذَا قَالَ , وَهُوَ مُعْتَقِدٌ لِتَرْكِ الذَّنْبِ , الَّذِي كَانَ وَقَعَ فِيهِ , وَعَازِمٌ أَنْ لَا يَعُودَ إِلَيْهِ أَبَدًا , فَهُوَ صَادِقٌ فِي قَوْلِهِ , مُثَابٌ عَلَى صِدْقِهِ , إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «النَّدَمُ تَوْبَةٌ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৯৮২
empty
৬৯৮২।
6982 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৯৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬৯৮৪
(আস্তাগ ফিরুল্লাহা ওয়া আতবু ইলাইহি) শব্দাবলী বলা প্রসঙ্গ
৬৯৮৩-৮৪। ইউনুস (রাহঃ) …… আব্দুল্লাহ্ ইবন মা'কিল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার পিতার সঙ্গে আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর নিকট গেলাম। আমার পিতা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি নবী (ﷺ) -কে বলতে শুনেছেন যে, তিনি বলেছেন, অনুতপ্ত হওয়াই তাওবা? তিনি বললেন, হ্যাঁ (শুনেছি)।
ইউনুস (রাহঃ) ….. ইবন মাসউদ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইউনুস (রাহঃ) ….. ইবন মাসউদ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
6983 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ الْجَزَرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي زِيَادُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَعْقِلٍ، قَالَ: دَخَلْتُ مَعَ أَبِي عَلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ فَقَالَ لَهُ أَبِي: أَنْتَ سَمِعْتَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «النَّدَمُ تَوْبَةٌ» فَقَالَ: «نَعَمْ»
6984 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ شُرَحْبِيلَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
6984 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ شُرَحْبِيلَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৯৮৪
empty
৬৯৮৪।
6984 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৯৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬৯৮৭
(আস্তাগ ফিরুল্লাহা ওয়া আতবু ইলাইহি) শব্দাবলী বলা প্রসঙ্গ
৬৯৮৫-৮৭। হুসায়ন ইবন নসর (রাহঃ) …… আব্দুল্লাহ্ ইবন মুগাফ্ফাল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, অতঃপর তিনি নিজস্ব সনদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
হুসায়ন ইবন নসর (রাহঃ) …… যিয়াদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত- যিনি ইবন আবী মারয়াম নন- অতঃপর তিনি স্বীয় ইসনাদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
সুলায়মান ইবন শুআয়ব (রাহঃ) …… আব্দুল্লাহ্ ইবন মা'কিল (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছে। বস্তুত এই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অনুতাপকে তাওবা সাব্যস্ত করেছেন। এতে প্রতীয়মান হয় যে, যে ব্যক্তি এই বাক্য বলে যে, আমি অমুক অমুক গুনাহ থেকে আল্লাহর দরবারে তাওবা করছি এবং সে এই কৃত গুনাহের উপর অনুতপ্তও, তবে সে নেকী সম্পাদনকারী এবং স্বীয় এই কথার উপর সাওয়াবপ্রাপ্ত হবে।
হুসায়ন ইবন নসর (রাহঃ) …… যিয়াদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত- যিনি ইবন আবী মারয়াম নন- অতঃপর তিনি স্বীয় ইসনাদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
সুলায়মান ইবন শুআয়ব (রাহঃ) …… আব্দুল্লাহ্ ইবন মা'কিল (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছে। বস্তুত এই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অনুতাপকে তাওবা সাব্যস্ত করেছেন। এতে প্রতীয়মান হয় যে, যে ব্যক্তি এই বাক্য বলে যে, আমি অমুক অমুক গুনাহ থেকে আল্লাহর দরবারে তাওবা করছি এবং সে এই কৃত গুনাহের উপর অনুতপ্তও, তবে সে নেকী সম্পাদনকারী এবং স্বীয় এই কথার উপর সাওয়াবপ্রাপ্ত হবে।
6985 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ، قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ الْجَزَرِيِّ، عَنْ زِيَادِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، وَابْنِ الْجَرَّاحِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
6986 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا الْهَيْثَمُ بْنُ جَمِيلٍ، قَالَ: ثنا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ زِيَادٍ، وَلَيْسَ بِابْنِ أَبِي مَرْيَمَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
6987 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ: ثنا زُهَيْرٌ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْكَرِيمِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، نَحْوَهُ فَهَذَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ جَعَلَ النَّدَمَ تَوْبَةً. فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ مَنْ قَالَ أَتُوبُ إِلَى اللهِ مِنْ ذَنْبِ كَذَا وَكَذَا وَهُوَ نَادِمٌ عَلَى مَا أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ الذَّنْبِ , أَنَّهُ مُحْسِنٌ , مَأْجُورٌ عَلَى قَوْلِهِ ذَلِكَ
6986 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا الْهَيْثَمُ بْنُ جَمِيلٍ، قَالَ: ثنا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ زِيَادٍ، وَلَيْسَ بِابْنِ أَبِي مَرْيَمَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
6987 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ: ثنا زُهَيْرٌ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْكَرِيمِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، نَحْوَهُ فَهَذَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ جَعَلَ النَّدَمَ تَوْبَةً. فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ مَنْ قَالَ أَتُوبُ إِلَى اللهِ مِنْ ذَنْبِ كَذَا وَكَذَا وَهُوَ نَادِمٌ عَلَى مَا أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ الذَّنْبِ , أَنَّهُ مُحْسِنٌ , مَأْجُورٌ عَلَى قَوْلِهِ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৯৮৬
empty
৬৯৮৬।
6986 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৯৮৭
empty
৬৯৮৭।
6987 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান