শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৬৭৬১
নড়া দাঁত স্বর্ণ দ্বারা বাঁধান যাবে কি না
৬৭৬১। আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, ফকীহদের ঐ ব্যক্তির ব্যাপারে মতবিরোধ রয়েছে যার দাঁত নড়ে, সে চাচ্ছে স্বর্ণ দ্বারা বাঁধাই করতে। ইমাম আবু হানীফ (রাহঃ) বলেন, তার জন্য এমনটি করা জায়েয নেই। সে তা রূপা দ্বারা বাঁধাই করতে পারবে।

মুহাম্মাদ ইবন আব্বাস (রাহঃ) …… আবু হানীফা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। 'আসহাবে ইমলা' তথা লিখকদল যাদের মাঝে বশীর ইবন ওলীদ (রাহঃ)-ও রয়েছেন। ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ)-এর সূত্রে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) থেকে নকল করেছেন। তিনি বলেছেন, স্বর্ণ দ্বারা দাঁত বাঁধাতে কোন অসুবধা নেই। ইমাম মুহাম্মাদ ইবন হাসান (রাহঃ)-ও অনুরূপভাবে বলেন যে, তা স্বর্ণ দ্বারা বাঁধাই করতে কোন অসুবিধা নেই।
ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর যে অভিমত ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ)-এর সূত্রে নকল করেছেন এর দলীল হলো যে, তিনি সোনা এবং রেশম থেকে নিষেধ করেছেন। সুতরাং এর ব্যবহার থেকেও নিষেধ করেছেন। অতএব রেশমের নিষিদ্ধতায় এর পোশাক এবং এরদ্বারা যখমের ব্যাণ্ডেজও অন্তর্ভুক্ত। অনুরূপভাবে সোনা থেকে নিষিদ্ধতা রয়েছে। এ দ্বারা দাঁত বাধানোর নিষিদ্ধতাও অন্তর্ভুক্ত। ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) যা কিছু ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) থেকে নকল করেছেন এর বিপরীতে ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর দলীল হলো যে, রেশমের সঙ্গে যখমের ব্যাণ্ডেজের যে উল্লেখ করা হয়েছে, যদি তা চিকিৎসার উদ্দেশ্যে করা হয়, তবে তাতে কোন অসুবিধা নেই । কেননা তা হচ্ছে ঔষধ। যেমন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যুবায়র ইবন আওয়াম (রাযিঃ) ও আব্দুর রহমান ইবন আওফ (রাযিঃ)-এর জন্য পাঁচড়ার কারণে রেশম পরিধান করা জায়েয করেছেন। যা দ্বারা তাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন। অনুরূপভাবে রেশমের ব্যাণ্ডেজসমূহ যখমের চিকিৎসার জন্য হলে জায়েয হবে। কেননা এ দ্বারা যখমের সময়কাল হ্রাস পেয়ে যায়। যেমন রেশমী কাপড় পাচড়ার চিকিৎসা, এজন্য এতে কোন অসুবিধা নেই। পক্ষান্তরে যদি তা যখমের চিকিৎসা হিসাবে না হয় তাহলে এ ব্যাপারে এটা এবং অপরাপর ব্যাণ্ডেজসমূহ অভিন্ন । সুতরাং এটা মাকরূহ। অনুরূপভাবে সোনা সম্পর্কে যা কিছু আমরা উল্লেখ করেছি, যদি উদ্দেশ্য হয় যে, এটা দুর্গন্ধযুক্ত না হয় যেমন রূপা দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে থাকে, তবে এতে অসুবিধা নেই। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আরফাজা ইবন আসআদ (রাযিঃ)-কে স্বর্ণের নাক বাঁধাই করার অনুমতি দিয়েছিলেন।
بَابُ الرَّجُلِ يَتَحَرَّكَ سِنُّهُ , هَلْ يَشُدُّهَا بِالذَّهَبِ أَمْ لَا؟
قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ قَدِ اخْتَلَفَ النَّاسُ فِي الرَّجُلِ يَتَحَرَّكُ سِنُّهُ , فَيُرِيدُ أَنْ يَشُدَّهَا بِالذَّهَبِ. فَقَالَ أَبُو حَنِيفَةَ: لَيْسَ لَهُ ذَلِكَ , وَأَنْ يَشُدَّهَا بِالْفِضَّةِ كَذَلِكَ
6761 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَبَّاسِ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي يُوسُفَ، عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ،. وَقَالَ أَصْحَابُ الْإِمْلَاءِ , مِنْهُمْ بِشْرُ بْنُ وَلِيدٍ , عَنْ أَبِي يُوسُفَ، عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ: «أَنَّهُ لَا بَأْسَ أَنْ يَشُدَّهَا، بِالذَّهَبِ» وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ: لَا بَأْسَ أَنْ يَشُدَّهَا بِالذَّهَبِ , كَذَلِكَ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لِأَبِي حَنِيفَةَ , فِي قَوْلِهِ الَّذِي رَوَاهُ مُحَمَّدٌ , عَنْ أَبِي يُوسُفَ , عَنْهُ , أَنَّهُ قَدْ نُهِيَ عَنِ الذَّهَبِ وَالْحَرِيرِ , فَنُهِيَ عَنِ اسْتِعْمَالِهِمَا وَكَانَ مَا نُهِيَ عَنْهُ مِنَ الْحَرِيرِ , قَدْ دَخَلَ فِيهِ لِبَاسُهُ , وَعَصَبُ الْجِرَاحِ بِهِ. فَكَذَلِكَ مَا نُهِيَ عَنْهُ مِنَ اسْتِعْمَالِ الذَّهَبِ , يَدْخُلُ فِيهِ شَدُّ السِّنِّ بِهِ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لِمُحَمَّدٍ فِيمَا ذَهَبَ إِلَيْهِ مِنْ ذَلِكَ , عَلَى أَبِي حَنِيفَةَ فِي رِوَايَتِهِ عَنْ أَبِي يُوسُفَ عَنْهُ , أَنَّ مَا ذُكِرَ مِنْ تَعْصِيبِ الْجِرَاحِ بِالْحَرِيرِ , إِنْ كَانَ مَا فَعَلَ ; لِأَنَّهُ عِلَاجٌ لِلْجِرَاحِ , فَلَا بَأْسَ بِهِ , ; لِأَنَّ ذَلِكَ دَوَاءٌ , كَمَا أَبَاحَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ , وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ , لُبْسَ الْحَرِيرِ مِنَ الْحَكَّةِ الَّتِي كَانَتْ بِهِمَا , كَذَلِكَ عَصَائِبُ الْحَرِيرِ , إِنْ كَانَتْ عِلَاجًا لِلْجُرْحِ لِتَقِلَّ مِدَّتُهُ , كَمَا أَنَّ الثَّوْبَ الْحَرِيرَ عِلَاجٌ , لِلْحَكَّةِ , فَلَا بَأْسَ بِهَا , وَإِنْ يَكُنْ عِلَاجًا لِلْجُرْحِ , فَكَانَتْ هِيَ وَسَائِرُ الْعَصَائِبِ فِي ذَلِكَ سَوَاءً , فَهِيَ مَكْرُوهَةٌ. فَكَذَلِكَ مَا ذَكَرْنَا مِنَ الذَّهَبِ , إِنْ كَانَ يُرَادُ مِنْهُ أَنَّهُ لَا يُنْتِنُ كَمَا تُنْتِنُ الْفِضَّةُ , فَلَا بَأْسَ بِهِ , وَقَدْ أَبَاحَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَرْفَجَةَ بْنِ أَسْعَدَ , أَنْ يَتَّخِذَ أَنْفًا مِنْ ذَهَبٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৭৬২
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭৬৫
নড়া দাঁত স্বর্ণ দ্বারা বাঁধান যাবে কি না
৬৭৬২-৬৫। মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ), আবু বিশর রক্কী (রাহঃ) ও ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) ....... আব্দুর রহমান ইবন তরফা (রাহঃ) তার দাদা আরফাজা ইবন আসআদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, জাহিলী যুগে কিলাব যুদ্ধের সময় তাঁর নাকে আঘাত লাগে। তখন তিনি রূপার একটি নাক বাঁধিয়ে নেন। কিন্তু তা দুর্গন্ধময় হয়ে পড়ে। তিনি এ ব্যাপারে নবী (ﷺ)-এর নিকট অভিযোগ করলে তিনি তাঁকে একটি স্বর্ণের নাক বানানোর আদেশ দেন। অনন্তর তিনি তাই করেন।

সুলায়মান ইবন শুআয়ব (রাহঃ) …… আরফাজা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
বস্তুত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আরফাজা ইবন আসআদ (রাযিঃ)-কে স্বর্ণের নাক বানানোর অনুমতি দিয়েছেন যখন রূপার নাক দুর্গন্ধময় হয়ে পড়ে। বলা বাহুল্য যে, নাকের এই বিধান হলে দাঁতেরও এই বিধান হবে। তা স্বর্ণ দ্বারা বাঁধতে কোন অসুবিধা নেই যখন তা দুর্গন্ধময় হয়ে পড়ে। সুতরাং রূপার কারণে সৃষ্ট দুর্গন্ধ স্বর্ণের ব্যবহারকে বৈধ করে দিবে। যেমন রূপার কারণে নাকে সৃষ্ট দুর্গন্ধ-এর স্থানে স্বর্ণের ব্যবহারকে বৈধ করে দেয়। বস্তুত এটাই হলো দলীল।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপর একটি প্রমাণ নিম্নরণ : আমরা লক্ষ্য করেছি যে, স্বর্ণের ব্যবহারের ন্যায় রূপার ব্যবহারও মাকরূহ। তাই যখন মাকরূহ হওয়ার ব্যাপারে দুটোই অভিন্ন এবং নিষিদ্ধতায় উভয়টিকে অন্তর্ভুক্তি করেছে। রূপা দিয়ে দাঁত বাঁধানো মাকরূহ হওয়া থেকে বহির্ভূত। অনুরূপভাবে হর্ণ দ্বারা বাঁধাই করাও মাকরূহ ব্যবহার থেকে বহির্ভূত হবে ।
যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, আমরা লক্ষ্য করছি, পুরুষের জন্য রূপার আংটি (ব্যবহার করা) জায়েয, পক্ষান্তরে তাদেরকে স্বর্ণের আংটি (ব্যবহার) থেকে নিষেধ করা হয়েছে। সুতরাং তাদের জন্য রূপা থেকে সেই বস্তু জায়েয হবে যা স্বর্ণ থেকে তাদের জন্য নিষিদ্ধ।
তাকে (উত্তরে) বলা হবে যে, যুক্তি তো সেটাই যা আমরা নকল করেছি। অর্থাৎ পুরুষদের জন্যও রূপার আংটির ন্যায় স্বর্ণের আংটি ব্যবহারও জায়ের হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু আমাদেরকে এ থেকে নিষেধ করা হয়েছে। আর স্বর্ণের আংটি থেকে নিষিদ্ধতার ব্যাপারে স্পষ্ট বিধান এসেছে। তাই আমরা এই অভিমত পোষণ করেছি এবং এর জন্য যুক্তিকে পরিত্যাগ করেছি। যদি তা না হতো তাহলে আমরা রূপার আংটির ন্যায় একে জায়েয সাব্যস্ত করতাম। অনুরূপভাবে যখন দাঁতকে রূপার ছারা বাধান জায়েয তাহলে সাব্যস্ত হলো যে, তা স্বর্ণ দ্বারা বাঁধানও এমনিভাবে জায়েয হবে । যতক্ষণ না উভয়ের মাঝে পার্থক্য সুন্নত দ্বারা সূচিত হয়। যার জন্য যুক্তি পরিত্যাগ করা অপরিহার্য হয়। যেমনিভবে স্বর্ণের আংটির ব্যাপারে হাদীস এসেছে যে, তা থেকে নিষেধ করা হয়েছে। সুতরাং এ দ্বারা প্রমাণ পূর্ণতা লাভ করেছে এবং এর জন্য যুক্তি পরিত্যাগ করা অপরিহার্য হবে। যা কিছু আমরা উল্লেখ করেছি এতে ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত সাব্যস্ত হলো।
যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, স্বর্ণের আংটি সম্পর্কে নিষিদ্ধতার রিওয়ায়াত কোনটি? তাকে উত্তরে বলা হবে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে এ বিষয়ে মুতাওয়াতির বিশুদ্ধ রিওয়ায়াতসমূহ বর্ণিত আছে। আমরা ইনশাআল্লাহ তা'আলা সেগুলো “স্বর্ণের আংটি থেকে নিষিদ্ধতা" শীর্ষক অনুচ্ছেদে বর্ণনা করব।
মুতাকাদ্দিমীন তথা পূর্ববর্তী মনীষীদের এক দল থেকে স্বর্ণের দাঁত বাঁধানোর বৈধতা বর্ণিত আছে। তা থেকে কিছু নিম্নরূপ :
65 - 6762 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا الْحَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَشْهَبِ ح

وَحَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ، قَالَ: ثنا غَسَّانُ بْنُ عُبَيْدٍ الْمُصَلِّي، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَشْهَبِ ح

وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَشْهَبِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ طَرَفَةَ، [ص:258] عَنْ جَدِّهِ عَرْفَجَةَ بْنِ أَسْعَدَ «أَنَّهُ أُصِيبَ أَنْفُهُ يَوْمَ الْكُلَابِ فِي الْجَاهِلِيَّةِ , فَاتَّخَذَ أَنْفًا مِنْ وَرِقٍ , فَأَنْتَنَ عَلَيْهِ , فَشَكَا ذَلِكَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَرَهُ أَنْ يَتَّخِذَ أَنْفًا مِنْ ذَهَبٍ , فَفَعَلَ»

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، وَالْخَصِيبُ بْنُ نَاصِحٍ , وَأَسَدُ بْنُ مُوسَى , قَالُوا: ثنا أَبُو الْأَشْهَبِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنُ طَرَفَةَ، عَنْ عَرْفَجَةَ، مِثْلَهُ فَقَدْ أَبَاحَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَرْفَجَةَ بْنِ أَسْعَدَ , أَنْ يَتَّخِذَ أَنْفًا مِنْ ذَهَبٍ , إِذَا كَانَ تُنْتِنُ الْفِضَّةُ. فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ فِي الْأَنْفِ , كَانَ كَذَلِكَ , السِّنُّ , لَا يَشُدُّهَا بِالذَّهَبِ إِذَا كَانَ - أَيْ غَيْرُهُ - لَا يُنْتِنُ , فَيَكُونُ النَّتْنُ الَّذِي مِنَ الْفِضَّةِ مُبِيحًا لِاسْتِعْمَالِ الذَّهَبِ , كَمَا كَانَ النَّتِنُ الَّذِي يَكُونُ مِنْهَا فِي الْأَنْفِ مُبِيحًا لِاسْتِعْمَالِ الذَّهَبِ مَكَانَهَا , فَهَذِهِ حُجَّةٌ. وَفِي ذَلِكَ حُجَّةٌ أُخْرَى , أَنَّا رَأَيْنَا اسْتِعْمَالَ الْفِضَّةِ مَكْرُوهًا كَمَا اسْتِعْمَالَ الذَّهَبِ مَكْرُوهًا. فَلَمَّا كَانَا مُسْتَوِيَيْنِ فِي الْكَرَاهَةِ , وَقَدْ عَمَّهُمَا النَّهْيُ جَمِيعًا , وَكَانَ شَدُّ السِّنِّ بِالْفِضَّةِ خَارِجًا مِنَ الِاسْتِعْمَالِ الْمَكْرُوهِ , كَانَ كَذَلِكَ شَدُّهَا بِالذَّهَبِ أَيْضًا , خَارِجًا مِنَ الِاسْتِعْمَالِ الْمَكْرُوهِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَقَدْ رَأَيْنَا خَاتَمَ الْفِضَّةِ أُبِيحَ لِلرِّجَالِ , وَمُنِعُوا مِنْ خَاتَمِ الذَّهَبِ , فَقَدْ أُبِيحَ لَهُمْ مِنَ الْفِضَّةِ , مَا لَمْ يُبَحْ لَهُمْ مِنَ الذَّهَبِ. قِيلَ لَهُ: قَدْ كَانَ النَّظَرُ مَا حَكَيْنَا وَهُوَ إِبَاحَةُ خَاتَمِ الذَّهَبِ لِلرِّجَالِ , كَخَاتَمِ الْفِضَّةِ. وَلَكِنَّا مُنِعْنَا مِنْ ذَلِكَ , وَجَاءَ النَّهْيُ عَنْ خَاتَمِ الذَّهَبِ نَصًّا , فَقُلْنَا بِهِ , وَتَرَكْنَا لَهُ النَّظَرَ , وَلَوْلَا ذَلِكَ , لَجَعَلْنَاهُ فِي الْإِبَاحَةِ كَخَاتَمِ الْفِضَّةِ. فَكَذَلِكَ شَدُّ السِّنِّ , لَمَّا أُبِيحَ بِالْفِضَّةِ , ثَبَتَ أَنَّ شَدَّهَا بِالذَّهَبِ كَذَلِكَ , حَتَّى يَأْتِيَ بِالتَّفْرِقَةِ بَيْنَ ذَلِكَ , سُنَّةٌ يَجِبُ بِهَا تَرْكُ النَّظَرِ , كَمَا جَاءَ فِي خَاتَمِ الذَّهَبِ سُنَّةٌ , نَهَتْ عَنْهُ فَتَمَّتْ بِهَا الْحُجَّةُ , وَوَجَبَ لَهَا تَرْكُ النَّظَرِ , فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا , مَا قَالَ مُحَمَّدٌ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: وَمَا الَّذِي رُوِيَ فِي النَّهْيِ مِنْ خَاتَمِ الذَّهَبِ؟ . قِيلَ لَهُ: قَدْ رُوِيَتْ عَنْهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ , آثَارٌ مُتَوَاتِرَةٌ , جَاءَتْ مَجِيئًا صَحِيحًا , وَسَنَذْكُرُهَا فِي بَابِ النَّهْيِ عَنْ خَاتَمِ الذَّهَبِ إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الْمُتَقَدِّمِينَ إِبَاحَةُ شَدِّ الْأَسْنَانِ بِالذَّهَبِ فَمِنْ ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৭৬৩
empty
৬৭৬৩।
6763 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৭৬৪
empty
৬৭৬৪।
6764 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৭৬৫
empty
৬৭৬৫।
6765 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৭৬৬
নড়া দাঁত স্বর্ণ দ্বারা বাঁধান যাবে কি না
৬৭৬৬। ফাহদ (রাহঃ) …… তু’মা ইবন আমর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মুসা ইবন তালহা (রাহঃ)-এর সম্মুখস্থ দুই দাঁতের মাঝে স্বর্ণের হরিদ্রতা দেখেছি ।
6766 - مَا حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ , وَمُوسَى بْنُ دَاوُدَ , قَالَا: ثنا طُعْمَةُ بْنُ عَمْرٍو , قَالَ: «رَأَيْتُ صُفْرَةَ الذَّهَبِ بَيْنَ ثَنَايَا , أَوْ قَالَ , بَيْنَ ثَنِيَّتِي مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৭৬৭
নড়া দাঁত স্বর্ণ দ্বারা বাঁধান যাবে কি না
৬৭৬৭। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) ....... হামীদ তাবীল (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হাসান (রাযিঃ)-কে দেখেছি তিনি তাঁর দাঁত স্বর্ণ দ্বারা বাঁধাই করেছিলেন ।
6767 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ , قَالَ: «رَأَيْتُ الْحَسَنَ شَدَّ أَسْنَانَهُ بِالذَّهَبِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৭৬৮
নড়া দাঁত স্বর্ণ দ্বারা বাঁধান যাবে কি না
৬৭৬৮। সুলায়মান ইবন শুআয়ব (রাহঃ) ..... হাম্মাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি কূফার আমীর মুগীরা ইবন আব্দুল্লাহকে দেখেছি, তিনি স্বীয় দাঁতকে স্বর্ণ দ্বারা বাঁধাই করেছিলেন। আমি তা ইবরাহীম (রাহঃ)-এর কাছে উল্লেখ করলে তিনি বললেন, এতে অসুবিধা নেই।
6768 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَشْهَبِ، عَنْ حَمَّادٍ، قَالَ: " رَأَيْتُ الْمُغِيرَةَ بْنَ عَبْدِ اللهِ , أَمِيرَ الْكُوفَةِ , قَدْ ضَبَّبَ أَسْنَانَهُ بِالذَّهَبِ. فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِإِبْرَاهِيمَ , فَقَالَ: لَا بَأْسَ بِهِ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৭৬৯
নড়া দাঁত স্বর্ণ দ্বারা বাঁধান যাবে কি না
৬৭৬৯। সুলায়মান ইবন শুআয়ব (রাহঃ) ..... শু'বা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবুত-তায়্যাহ (রাহঃ), আবু হামযা (রাহঃ) ও আবু নাওফল ইবন আবু আকরাব (রাহঃ)-কে দেখেছি, তারা তাদের দাঁত স্বর্ণ দ্বারা বাঁধিয়েছেন।
6769 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، قَالَ: «رَأَيْتُ أَبَا التَّيَّاحِ , وَأَبَا حَمْزَةَ , وَأَبَا نَوْفَلِ بْنَ أَبِي عَقْرَبٍ , قَدْ ضَبَّبُوا أَسْنَانَهُمْ بِالذَّهَبِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৭৭০
নড়া দাঁত স্বর্ণ দ্বারা বাঁধান যাবে কি না
৬৭৭০। সুলায়মান (রাহঃ) খাসীর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি বসরার কাযী উবায়দুল্লাহ্ ইবনুল হাসান (রাহঃ)-কে দেখেছি, তিনি স্বীয় দাঁতকে স্বর্ণ দ্বারা বাঁধিয়েছেন। সুতরাং যা কিছু আমরা এ সম্পর্কে তাঁদের থেকে রিওয়ায়াত করেছি, তা ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ) এর মাযহাবের অনুকূলে, আর আমরা এটাই গ্রহণ করি।
6770 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ، قَالَ: «رَأَيْتُ عُبَيْدَ اللهِ بْنَ الْحَسَنِ قَاضِيَ الْبَصْرَةِ , قَدْ شَدَّ أَسْنَانَهُ بِالذَّهَبِ» فَقَدْ وَافَقَ مَا رَوَيْنَا عَنْهُمْ مِنْ هَذَا , مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ فِيهِ نَأْخُذُهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান