শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২০. (হালাল-হারাম) পানীয়ের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৬ টি
হাদীস নং: ৬৪১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪১৯
(হালাল-হারাম) পানীয়ের অধ্যায়
১- মদের সংজ্ঞা ও আহকাম।
كتاب الأشربة
كِتَابُ الْأَشْرِبَةِ بَابُ الْخَمْرِ الْمُحَرَّمَةِ: مَا هِيَ؟
6419 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ بَكَّارُ بْنُ قُتَيْبَةَ قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ , قَالَ: ثنا هِشَامٌ , عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي كَثِيرٍ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْخَمْرُ مِنْ هَاتَيْنِ الشَّجَرَتَيْنِ , النَّخْلَةِ , وَالْعِنَبَةِ»
6420 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، وَعِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ , عَنْ أَبِي كَثِيرٍ، وَهِشَامٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
6420 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، وَعِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ , عَنْ أَبِي كَثِيرٍ، وَهِشَامٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৪৩৩
(হালাল-হারাম) পানীয়ের অধ্যায়
মদের সংজ্ঞা ও আহকাম।
كتاب الأشربة
6433 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ ثنا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ قَالَ: أنا هُشَيْمٌ , عَنِ ابْنِ شُبْرُمَةَ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ أَنَّهُ قَالَ فِي ذَلِكَ: «هِيَ الْخَمْرُ فَاجْتَنِبْهَا»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৪৩৪
(হালাল-হারাম) পানীয়ের অধ্যায়
empty
৬৪৩৪।
كتاب الأشربة
6434 -
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৪৩৫
(হালাল-হারাম) পানীয়ের অধ্যায়
হারাম মদ কি
৬৪৩৫। আবু বাকরা.... আবু কাসীর আল- ইয়ামানী বলেন, যখন নাবীয সম্পর্কে মানুষের মতবিরোধ বৃদ্ধি পেল তখন আমি আবু হুরায়রা (রাহঃ) কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার উদ্দেশ্যে আমি ইয়ামানা হতে মদীনার দিকে রওনা হলাম। অতঃপর আমি তার সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে বললাম, হে আবু হুরায়রা! আমি ইয়ামামা হতে আপনার নিকট নাবীয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্য এসেছি। অতএব আপনি নবী (ﷺ) হতে আমাকে হাদীস বর্ণনা করুন। অন্য কারো কথা বর্ণনা করবেন না। তখন তিনি বললেন, আমি নবী (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, মদ তৈরী হয় আঙুর ও খেজুর হতে।
আবু জা'ফর বলেন, অতএব উলামা-ই কিরামের একটি দল এমত পোষণ করেন যে, মদ খেজুর ও আঙুর উভয়টি হতে তৈরী হয় এবং তারা এ হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন। অপরপক্ষে উলামা-ই কিরামের অন্য একটি জামাত এর বিপরীত মত পোষণ করন। তারা বলেন, কুরআন মজীদে যে মদ হারাম করা হয়েছে তাহলো আঙুরের রস দ্বারা তৈরী মদ, যখন তা উথলিয়ে পড়ে এবং ফেনা নিক্ষেপ করে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এমতই পোষণ করেন। আবু ইউসুফ (রাযিঃ) বলেন, রস যখন উথলিয়ে পড়ে, তখন ফেনা নিক্ষেপ না করলেও তা মদে পরিণত হয়। আর হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর মাধ্যমে নবী (ﷺ) হতে এ পরিচ্ছেদের শুরুতে যে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তা আমাদের মতের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। কারণ, الخمر من هاتين الشجرتين "মদ এ দু’গাছের ফল হতে তৈরী হয়" রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর এ বক্তব্য দ্বারা তিনি একটি গাছের ফলই উদ্দেশ্য করেছেন। সম্বোধনকালে যদিও তিনি দুটির কথাই বলেছেন কিন্তু উদ্দেশ্য করেছেন একটি, অন্যটি নয়। যেমন আল্লাহ্ তা'আলা ইরশাদ করেছেন : يَخْرُجُ مِنْهُمَا اللُّؤْلُؤُ وَالْمَرْجَانُ "দুটি নদী হতে মুক্তা ও মারজান নির্গত হয়" অথচ, নির্গত হয় মাত্র একটি হতে। অনুরূপ আরো ইরশাদ হয়েছে : يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ أَلَمْ يَأْتِكُمْ رُسُلٌ مِنْكُمْ “হে জিন্ন ও মানব জাতি! তোমাদের নিকট কি তোমাদের মধ্য হতে রাসূলগণের আগমন ঘটেনি।” অথচ রাসূলগণের আগমন ঘটেছে কেবল মানবজাতি হতে, জিন্ন জাতি হতে নয়। হযরত উবাদা ইবন সামিত (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত রয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন পুরুষ সাহাবী হতে ঠিক তদ্রূপ বায়আত গ্রহণ করেন, যেমন তিনি মহিলা সাহাবিয়া হতে বায়আত গ্রহণ করেছিলেন, তখন তিনি বলেছিলেন :أَنْ لَا تُشْرِكُوا , وَلَا تَسْرِقُوا , وَلَا تَزْنُوا "তোমরা শিরক কর না, চুরি কর না এবং ব্যভিচার কর না"। অতঃপর তিনি বলেন: مَنْ أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَعُوقِبَ بِهِ , فَهُوَ كَفَّارَةٌ لَهُ "যে ব্যক্তি এর কোন একটি কাজেও জড়িত হবে, অতঃপর তাকে শাস্তি দেয়া হবে, তার জন্য সেটা কাফফারা হবে।”
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা হিজায ও মদীনার ফুক্বাহা-ই কিরাম উদ্দেশ্য। তবে তাঁদের পরস্পরেও বিরোধ রয়েছে। তাদের একদল বলেন, যে বস্তু মাতাল করে তা পান করা, তার মালিক হওয়া ও ক্রয়-বিক্রয় করা ও সর্বাবস্থায় তা ব্যবহার করা হারাম। চাই তা আঙুর কিংবা খেজুর অথবা তীন, গম, যব, কিংবা অনুরূপ অন্য কিছু দ্বারা তৈরী হোক না কেন। এবং চাই তা জ্বাল দেয়া হোক কিংবা না হোক। আর এটাই ইমাম শাফিঈ, মালিক ও আহমদ (রাহঃ)-এর মত। আহলে যাহিরও এ মত পোষণ করেন।
অন্য একদল উলামা-ই কিরাম বলেন, রুতাব ও বুসর যখন মিশ্রিত হয়, তখন তার শারাবও মদে পরিণত হয় যা হারাম। অনুরূপভাবে তামার ও বুসর মিশ্রিত হয়ে যে শারাব হয়, তার হুকুমও অনুরূপ।
আল্লামা আইনী (রাযিঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম হলেন, ইবরাহীম নাখঈ, আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)। অতঃপর ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও আবু ইউসুফ (রাহঃ) এ ব্যাপারে মতবিরোধ করেন, উথলিয়ে পড়ার পর তার জন্য ফেনা নিক্ষেপ করা মদ হবার জন্য শর্ত কি শর্ত নয়। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মতে তা শর্ত কিন্তু ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) বলেন, শর্ত নয়। হিদায়া গ্রন্থকার ও অন্যান্য উলামা-ই কিরাম বলেন, মুহাম্মাদ (রাহঃ) এ ব্যাপার আবু ইউসুফ (রাহঃ)-এর অনুগামী। কারণ ফেনা নিক্ষেপ করার পূর্বেই তাকে মদ বলে নামকরণ করা হয়েছে। ইমাম মালিক, শাফিঈ এবং ইমাম আহমদ (রাহঃ)-ও এমত পোষণ করেন। তবে উথলিয়ে পড়া ও গাঢ় হওয়া সকলের মতেও শর্ত।
আবু জা'ফর বলেন, অতএব উলামা-ই কিরামের একটি দল এমত পোষণ করেন যে, মদ খেজুর ও আঙুর উভয়টি হতে তৈরী হয় এবং তারা এ হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন। অপরপক্ষে উলামা-ই কিরামের অন্য একটি জামাত এর বিপরীত মত পোষণ করন। তারা বলেন, কুরআন মজীদে যে মদ হারাম করা হয়েছে তাহলো আঙুরের রস দ্বারা তৈরী মদ, যখন তা উথলিয়ে পড়ে এবং ফেনা নিক্ষেপ করে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এমতই পোষণ করেন। আবু ইউসুফ (রাযিঃ) বলেন, রস যখন উথলিয়ে পড়ে, তখন ফেনা নিক্ষেপ না করলেও তা মদে পরিণত হয়। আর হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর মাধ্যমে নবী (ﷺ) হতে এ পরিচ্ছেদের শুরুতে যে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তা আমাদের মতের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। কারণ, الخمر من هاتين الشجرتين "মদ এ দু’গাছের ফল হতে তৈরী হয়" রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর এ বক্তব্য দ্বারা তিনি একটি গাছের ফলই উদ্দেশ্য করেছেন। সম্বোধনকালে যদিও তিনি দুটির কথাই বলেছেন কিন্তু উদ্দেশ্য করেছেন একটি, অন্যটি নয়। যেমন আল্লাহ্ তা'আলা ইরশাদ করেছেন : يَخْرُجُ مِنْهُمَا اللُّؤْلُؤُ وَالْمَرْجَانُ "দুটি নদী হতে মুক্তা ও মারজান নির্গত হয়" অথচ, নির্গত হয় মাত্র একটি হতে। অনুরূপ আরো ইরশাদ হয়েছে : يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ أَلَمْ يَأْتِكُمْ رُسُلٌ مِنْكُمْ “হে জিন্ন ও মানব জাতি! তোমাদের নিকট কি তোমাদের মধ্য হতে রাসূলগণের আগমন ঘটেনি।” অথচ রাসূলগণের আগমন ঘটেছে কেবল মানবজাতি হতে, জিন্ন জাতি হতে নয়। হযরত উবাদা ইবন সামিত (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত রয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন পুরুষ সাহাবী হতে ঠিক তদ্রূপ বায়আত গ্রহণ করেন, যেমন তিনি মহিলা সাহাবিয়া হতে বায়আত গ্রহণ করেছিলেন, তখন তিনি বলেছিলেন :أَنْ لَا تُشْرِكُوا , وَلَا تَسْرِقُوا , وَلَا تَزْنُوا "তোমরা শিরক কর না, চুরি কর না এবং ব্যভিচার কর না"। অতঃপর তিনি বলেন: مَنْ أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَعُوقِبَ بِهِ , فَهُوَ كَفَّارَةٌ لَهُ "যে ব্যক্তি এর কোন একটি কাজেও জড়িত হবে, অতঃপর তাকে শাস্তি দেয়া হবে, তার জন্য সেটা কাফফারা হবে।”
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা হিজায ও মদীনার ফুক্বাহা-ই কিরাম উদ্দেশ্য। তবে তাঁদের পরস্পরেও বিরোধ রয়েছে। তাদের একদল বলেন, যে বস্তু মাতাল করে তা পান করা, তার মালিক হওয়া ও ক্রয়-বিক্রয় করা ও সর্বাবস্থায় তা ব্যবহার করা হারাম। চাই তা আঙুর কিংবা খেজুর অথবা তীন, গম, যব, কিংবা অনুরূপ অন্য কিছু দ্বারা তৈরী হোক না কেন। এবং চাই তা জ্বাল দেয়া হোক কিংবা না হোক। আর এটাই ইমাম শাফিঈ, মালিক ও আহমদ (রাহঃ)-এর মত। আহলে যাহিরও এ মত পোষণ করেন।
অন্য একদল উলামা-ই কিরাম বলেন, রুতাব ও বুসর যখন মিশ্রিত হয়, তখন তার শারাবও মদে পরিণত হয় যা হারাম। অনুরূপভাবে তামার ও বুসর মিশ্রিত হয়ে যে শারাব হয়, তার হুকুমও অনুরূপ।
আল্লামা আইনী (রাযিঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম হলেন, ইবরাহীম নাখঈ, আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)। অতঃপর ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও আবু ইউসুফ (রাহঃ) এ ব্যাপারে মতবিরোধ করেন, উথলিয়ে পড়ার পর তার জন্য ফেনা নিক্ষেপ করা মদ হবার জন্য শর্ত কি শর্ত নয়। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মতে তা শর্ত কিন্তু ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) বলেন, শর্ত নয়। হিদায়া গ্রন্থকার ও অন্যান্য উলামা-ই কিরাম বলেন, মুহাম্মাদ (রাহঃ) এ ব্যাপার আবু ইউসুফ (রাহঃ)-এর অনুগামী। কারণ ফেনা নিক্ষেপ করার পূর্বেই তাকে মদ বলে নামকরণ করা হয়েছে। ইমাম মালিক, শাফিঈ এবং ইমাম আহমদ (রাহঃ)-ও এমত পোষণ করেন। তবে উথলিয়ে পড়া ও গাঢ় হওয়া সকলের মতেও শর্ত।
كتاب الأشربة
6435 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ حُمْرَانَ، قَالَ: ثنا عُقْبَةُ بْنُ التَّوْءَمِ الرَّقَاشِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو كَثِيرٍ الْيَمَامِيُّ، قَالَ: دَخَلْتُ مِنَ الْيَمَامَةِ إِلَى الْمَدِينَةِ , لَمَّا أَكْثَرَ النَّاسُ الِاخْتِلَافَ فِي النَّبِيذِ , لِأَلْقَى أَبَا هُرَيْرَةَ , فَأَسْأَلَهُ عَنْ ذَلِكَ , فَلَقِيتُهُ فَقُلْتُ: يَا أَبَا هُرَيْرَةَ , إِنِّي أَتَيْتُكَ مِنَ الْيَمَامَةِ أَسْأَلُكَ عَنِ النَّبِيذِ , فَحَدِّثْنِي عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تُحَدِّثْنِي عَنْ غَيْرِهِ. فَقَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «الْخَمْرُ مِنَ الْكَرْمَةِ وَالنَّخْلَةِ» [ص:212] قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْخَمْرَ مِنَ التَّمْرِ وَالْعِنَبِ جَمِيعًا , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا الْخَمْرُ الْمُحَرَّمَةُ فِي كِتَابِ اللهِ تَعَالَى , هِيَ الْخَمْرُ الَّتِي مِنْ عَصِيرِ الْعِنَبِ إِذَا نَشَّ الْعَصِيرُ وَأَلْقَى بِالزَّبَدِ , هَكَذَا كَانَ أَبُو حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ يَقُولُ. وَقَالَ أَبُو يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ: إِذَا نَشَّ , وَإِنْ لَمْ يَلْقَ بِالزَّبَدِ , فَقَدْ صَارَ خَمْرًا. وَلَيْسَ الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَيْنَاهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ , بِخِلَافِ ذَلِكَ عِنْدَنَا , لِأَنَّهُ يَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ بِقَوْلِهِ الْخَمْرُ مِنْ هَاتَيْنِ الشَّجَرَتَيْنِ إِحْدَاهُمَا , فَعَمَّهُمَا بِالْخِطَابِ وَأَرَادَ إِحْدَاهُمَا دُونَ الْأُخْرَى كَمَا قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {يَخْرُجُ مِنْهُمَا اللُّؤْلُؤُ وَالْمَرْجَانُ} [الرحمن: 22] وَإِنَّمَا يَخْرُجُ مِنْ أَحَدِهِمَا. وَكَمَا قَالَ: {يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ أَلَمْ يَأْتِكُمْ رُسُلٌ مِنْكُمْ} [الأنعام: 130] وَالرُّسُلُ مِنَ الْإِنْسِ لَا مِنَ الْجِنِّ وَكَمَا قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَدِيثِ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ إِذْ أَخَذَ عَلَى أَصْحَابِهِ فِي الْبَيْعَةِ كَمَا أَخَذَ عَلَى النِّسَاءِ: «أَنْ لَا تُشْرِكُوا , وَلَا تَسْرِقُوا , وَلَا تَزْنُوا» ثُمَّ قَالَ: «مَنْ أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَعُوقِبَ بِهِ , فَهُوَ كَفَّارَةٌ لَهُ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৪৩৬
(হালাল-হারাম) পানীয়ের অধ্যায়
হারাম মদ কি
৬৪৩৬। ইউনুস তার সূত্রে .... হযরত উবাদাহ ইব্ন সামিত (রাযিঃ)-এর মাধ্যমে নবী (ﷺ) হতে এ কথা বর্ণনা করেন।
অথচ আমরা এ কথা জানি যে, যে ব্যক্তি শিরক করল অতঃপর তাকে তার শিরকের শাস্তি দেয়া হলো, তবে ঐ শাস্তি তার জন্য কাফ্ফারা হবে না। অতএব আমরা যা উল্লেখ করেছি তা এটাই প্রমাণ করে, এ হাদীস দ্বারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) শিরক ব্যতীত অন্য সব অপরাধকেই বুঝিয়েছেন। আর যখন (কুরআন ও হাদীসে উল্লেখিত) এসব বস্তুর প্রকাশ্য ও যাহরীভাবে সবটাই বুঝায় কিন্তু বাতিনীভাবে বিশেষ একটিকে বুঝায়, সেক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর বক্তব্য الخمر من هاتين الشجرتين এর যাহির তো খেজুর ও আঙুর উভয়টাকে বুঝায়। কিন্তু এ দ্বারা উদ্দেশ্য মাত্র একটি। অতএব উদ্দিষ্ট মদ কেবল আঙুর হতে হবে, খেজুর হতে নয়। অবশ্য الخمر من هاتين الشجرتين রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর এ বক্তব্য দ্বারা উভয় প্রকার গাছও উদ্দেশ্য হতে পারে এবং যে গাছের ফল দ্বারা মদ তৈরী করা হবে, সেটাই মদ হবে। যেমন ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ) কিশমিশ ও শুকনো খেজুরের নাকী-কে তারা খামর (মদ) বিবেচনা করেন। এছাড়া الخمر من هاتين الشجرتين এর এক অর্থ এটাও হতে পারে যে, মদ উভয় প্রকার গাছের ফল হতেই তৈরী হয়। যদিও উভয়ের মধ্যে এ হিসেবে পার্থক্য হবে যে, আঙ্গুর দ্বারা যে মদ হয়, তা তো আমরা জেনেছি। আর শুকনো খেজুর দ্বারা মদ হবে ঐ পরিমাণ যা مسكر (মাতলকারী) হবে। অতএব আঙুরের মদ তো হলো আঙুরের রস যখন গাঢ় হবে এবং খেজুরের মদ হলো, ঐ পরিমাণ নাবীয যা مسكر ও মাতালকারী হবে।
আর হাদীসের অর্থে যখন এসব সম্ভাবনা রয়েছে যা যা আমরা উল্লেখ করলাম, এ সবের মধ্যে কোন একটি ব্যাখ্যা অবশিষ্ট ব্যাখ্যাসমূহ অপেক্ষা উত্তম নয়। আর যখনই কোন বিশেষ ব্যাখ্যা প্রদানকারী তার ব্যাখ্যা পেশ করবেন, তখনই তার বিরোধী তার ভিন্ন ব্যাখ্যা পেশ করবেন। যদি কেউ বলেন, হযরত উমর (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত এ হাদীসের অর্থ কি, যা-
অথচ আমরা এ কথা জানি যে, যে ব্যক্তি শিরক করল অতঃপর তাকে তার শিরকের শাস্তি দেয়া হলো, তবে ঐ শাস্তি তার জন্য কাফ্ফারা হবে না। অতএব আমরা যা উল্লেখ করেছি তা এটাই প্রমাণ করে, এ হাদীস দ্বারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) শিরক ব্যতীত অন্য সব অপরাধকেই বুঝিয়েছেন। আর যখন (কুরআন ও হাদীসে উল্লেখিত) এসব বস্তুর প্রকাশ্য ও যাহরীভাবে সবটাই বুঝায় কিন্তু বাতিনীভাবে বিশেষ একটিকে বুঝায়, সেক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর বক্তব্য الخمر من هاتين الشجرتين এর যাহির তো খেজুর ও আঙুর উভয়টাকে বুঝায়। কিন্তু এ দ্বারা উদ্দেশ্য মাত্র একটি। অতএব উদ্দিষ্ট মদ কেবল আঙুর হতে হবে, খেজুর হতে নয়। অবশ্য الخمر من هاتين الشجرتين রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর এ বক্তব্য দ্বারা উভয় প্রকার গাছও উদ্দেশ্য হতে পারে এবং যে গাছের ফল দ্বারা মদ তৈরী করা হবে, সেটাই মদ হবে। যেমন ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ) কিশমিশ ও শুকনো খেজুরের নাকী-কে তারা খামর (মদ) বিবেচনা করেন। এছাড়া الخمر من هاتين الشجرتين এর এক অর্থ এটাও হতে পারে যে, মদ উভয় প্রকার গাছের ফল হতেই তৈরী হয়। যদিও উভয়ের মধ্যে এ হিসেবে পার্থক্য হবে যে, আঙ্গুর দ্বারা যে মদ হয়, তা তো আমরা জেনেছি। আর শুকনো খেজুর দ্বারা মদ হবে ঐ পরিমাণ যা مسكر (মাতলকারী) হবে। অতএব আঙুরের মদ তো হলো আঙুরের রস যখন গাঢ় হবে এবং খেজুরের মদ হলো, ঐ পরিমাণ নাবীয যা مسكر ও মাতালকারী হবে।
আর হাদীসের অর্থে যখন এসব সম্ভাবনা রয়েছে যা যা আমরা উল্লেখ করলাম, এ সবের মধ্যে কোন একটি ব্যাখ্যা অবশিষ্ট ব্যাখ্যাসমূহ অপেক্ষা উত্তম নয়। আর যখনই কোন বিশেষ ব্যাখ্যা প্রদানকারী তার ব্যাখ্যা পেশ করবেন, তখনই তার বিরোধী তার ভিন্ন ব্যাখ্যা পেশ করবেন। যদি কেউ বলেন, হযরত উমর (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত এ হাদীসের অর্থ কি, যা-
كتاب الأشربة
6436 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ يُونُسُ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ عَلِمْنَا مَنْ أَشْرَكَ , فَعُوقِبَ بِشِرْكِهِ فَلَيْسَ ذَلِكَ بِكَفَّارَةٍ. فَدَلَّ مَا ذَكَرْنَا أَنَّهُ إِنَّمَا أَرَادَ , مَا سِوَى الشِّرْكِ , مِمَّا ذَكَرَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ. فَلَمَّا كَانَتْ هَذِهِ الْأَشْيَاءُ , قَدْ جَاءَتْ ظَاهِرُهَا عَلَى الْجَمْعِ , وَبَاطِنُهَا عَلَى خَاصٍّ مِنْ ذَلِكَ , احْتَمَلَ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ قَوْلُهُ الْخَمْرُ مِنْ هَاتَيْنِ الشَّجَرَتَيْنِ , النَّخْلَةِ , وَالْعِنَبَةِ ظَاهِرَ ذَلِكَ عَلَيْهِمَا , وَبَاطِنَهُ عَلَى أَحَدِهِمَا , فَيَكُونُ الْخَمْرُ الْمَقْصُودُ فِي ذَلِكَ مِنَ الْعِنَبَةِ , لَا مِنَ النَّخْلَةِ. وَيَحْتَمِلُ أَيْضًا قَوْلُهُ الْخَمْرُ مِنْ هَاتَيْنِ الشَّجَرَتَيْنِ أَنْ يَكُونَ عَنَى بِهِ الشَّجَرَتَيْنِ جَمِيعًا وَيَكُونُ مَا خَمَرَ مِنْ ثَمَرِهِمَا خَمْرًا , كَمَا ذَهَبَ إِلَيْهِ أَبُو حَنِيفَةَ , وَأَبُو يُوسُفَ وَمُحَمَّدٌ فِيمَا يُنْقَعُ مِنَ الزَّبِيبِ وَالتَّمْرِ , فَجَعَلُوهُ خَمْرًا. وَيَحْتَمِلُ قَوْلُهُ الْخَمْرُ مِنْ هَاتَيْنِ الشَّجَرَتَيْنِ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ: الْخَمْرَ مِنْهُمَا , وَإِنْ كَانَتْ مُخْتَلِفَةً , عَلَى أَنَّهَا مِنَ الْعِنَبِ , مَا قَدْ عَلِمْنَاهُ مِنَ الْخَمْرِ , وَعَلَى أَنَّهَا مِنَ التَّمْرِ , مَا يُسْكِرُ , فَيَكُونُ خَمْرُ الْعِنَبِ هِيَ عَيْنُ الْعَصِيرِ , إِذَا اشْتَدَّ وَخَمْرُ التَّمْرِ , هُوَ الْمِقْدَارُ مِنْ نَبِيذِ التَّمْرِ الَّذِي يُسْكِرُ. فَلَمَّا احْتَمَلَ هَذَا الْحَدِيثُ هَذِهِ الْوُجُوهَ الَّتِي ذَكَرْنَا , لَمْ يَكُنْ أَحَدُهَا بِأَوْلَى مِنْ بَقِيَّتِهَا , وَلَمْ يَكُنْ لِمُتَأَوِّلٍ أَنْ يَتَأَوَّلَهُ عَلَى أَحَدِهَا إِلَّا كَانَ لِخَصْمِهِ أَنْ يَتَأَوَّلَهُ عَلَى ذَلِكَ. [ص:213] فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَمَا مَعْنَى حَدِيثِ عُمَرَ؟ يُرِيدُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৪৩৭
(হালাল-হারাম) পানীয়ের অধ্যায়
হারাম মদ কি
৬৪৩৭। ইব্ন আবু দাউদ..... হযরত ইবন উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি হযরত উমর (রাযিঃ)-কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর মিম্বরের ওপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছি, أما بعد হে লোক সকল! খামর (মদ) হারাম হবার নির্দেশ নাযিল হয়েছে। আর আজকাল তা পাঁচ প্রকার বস্তু হতে তা তৈরী হয়, খেজুর, আঙুর, মধু, গম, ও যব। আর খামর (মদ) হলো ঐ বস্তু যা জ্ঞান বিকৃত করে দেয়। হযরত ইবন উমর (রাযিঃ) ও হযরত নুমান (রাযিঃ)-এর মাধ্যমেও রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে :
كتاب الأشربة
6437 - مَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ نُمَيْرٍ قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ إِدْرِيسَ , قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا حَيَّانَ التَّيْمِيَّ , عَنِ الشَّعْبِيِّ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: سَمِعْتُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَلَى مِنْبَرِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " أَمَّا بَعْدُ أَيُّهَا النَّاسُ , إِنَّهُ نَزَلَ تَحْرِيمُ الْخَمْرِ , وَهِيَ يَوْمَئِذٍ مِنْ خَمْسَةٍ: التَّمْرِ , وَالْعِنَبِ , وَالْعَسَلِ , وَالْحِنْطَةِ , وَالشَّعِيرِ , وَالْخَمْرُ: مَا خَامَرَ الْعَقْلَ " وَقَدْ رُوِيَ مِثْلُ ذَلِكَ أَيْضًا عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَالنُّعْمَانِ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৪৩৮
(হালাল-হারাম) পানীয়ের অধ্যায়
হারাম মদ কি
৬৪৩৮। রাবী ইবন সুলায়মান আল-জীবী.... সালেম ইবন আব্দুল্লাহ্ তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেন, আঙ্গুর হতে মদ তৈরী হয় এবং আমি তোমাদেরকে সর্বপ্রকার মুসকির (মাতালকারী পানীয়) হতে নিষেধ করছি।
كتاب الأشربة
6438 - حَدَّثَنَا رَبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْجِيزِيُّ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَسْوَدِ، قَالَ: ثنا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ مِنَ الْعِنَبِ خَمْرًا , وَأَنْهَاكُمْ عَنْ كُلِّ مُسْكِرٍ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৪৩৯
(হালাল-হারাম) পানীয়ের অধ্যায়
হারাম মদ কি
৬৪৩৯। ফাহদ ..... নু'মান ইব্ন বশীর নবী (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন। অবশ্য তিনি 'আমি তোমাদেরকে সর্বপ্রকার মুসকির হতে নিষেধ করছি' উল্লেখ করেননি।
প্রশ্নকারীর এ প্রশ্নের জবাবে বলা হবে, উল্লেখিত দু'টি হাদীসেরও ঐসব অর্থ হবার সম্ভাবনা আছে যা প্রথম হাদীসের ছিল। অবশ্য একটি অর্থের সম্ভাবনা এ দুটি হাদীসে নেই, যা প্রথম হাদীসের মধ্যে রয়েছে। আর তাহলো, যে অর্থের ওপর نقيع التمر والزبيب (খেজুর ও কিশমিশ-এর নকী) মাকরূহ বলে মন্তব্যকারী উলামা-ই কিরাম প্রথম হাদীসকে প্রয়োগ করেছেন। এ হাদীসে উল্লেখিত অর্থের সম্ভাবনা নেই। কারণ এর সাথে গম ও যব দ্বারা তৈরী خمر (মদ)-কেও যুক্ত করা হয়েছে। অথচ তারা এ কথা বলেন না। কারণ তারা نقيع الحنطة ও نقيع الشعير পান করায় কোন ক্ষতি আছে বলে মনে করেন না। বস্তুত তারা نقيع الحنطة (গমের নকী) ও نقيع الشعير (যবের নকী) এবং نقيع التمر والزبيب এর মধ্যে পার্থক্য করেন। অতএব এ হাদীসে ঐ ব্যাখ্যার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু অন্য সব ব্যাখ্যার সম্ভাবনা যা প্রথম হাদীসে আছে, এ হাদীসেও তা রয়েছে।
যদি এ বিষয়ে হযরত আনাস (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত এ হাদীস দলীল হিসেবে পেশ করেন যা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
প্রশ্নকারীর এ প্রশ্নের জবাবে বলা হবে, উল্লেখিত দু'টি হাদীসেরও ঐসব অর্থ হবার সম্ভাবনা আছে যা প্রথম হাদীসের ছিল। অবশ্য একটি অর্থের সম্ভাবনা এ দুটি হাদীসে নেই, যা প্রথম হাদীসের মধ্যে রয়েছে। আর তাহলো, যে অর্থের ওপর نقيع التمر والزبيب (খেজুর ও কিশমিশ-এর নকী) মাকরূহ বলে মন্তব্যকারী উলামা-ই কিরাম প্রথম হাদীসকে প্রয়োগ করেছেন। এ হাদীসে উল্লেখিত অর্থের সম্ভাবনা নেই। কারণ এর সাথে গম ও যব দ্বারা তৈরী خمر (মদ)-কেও যুক্ত করা হয়েছে। অথচ তারা এ কথা বলেন না। কারণ তারা نقيع الحنطة ও نقيع الشعير পান করায় কোন ক্ষতি আছে বলে মনে করেন না। বস্তুত তারা نقيع الحنطة (গমের নকী) ও نقيع الشعير (যবের নকী) এবং نقيع التمر والزبيب এর মধ্যে পার্থক্য করেন। অতএব এ হাদীসে ঐ ব্যাখ্যার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু অন্য সব ব্যাখ্যার সম্ভাবনা যা প্রথম হাদীসে আছে, এ হাদীসেও তা রয়েছে।
যদি এ বিষয়ে হযরত আনাস (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত এ হাদীস দলীল হিসেবে পেশ করেন যা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
كتاب الأشربة
6439 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْمُهَاجِرِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ قَوْلَهُ وَأَنْهَاكُمْ عَنْ كُلِّ مُسْكِرٍ قِيلَ لَهُ: يَحْتَمِلُ هَذَانِ الْحَدِيثَانِ , جَمِيعَ الْمَعَانِي الَّتِي يَحْتَمِلُهَا الْحَدِيثُ الْأَوَّلُ , غَيْرَ مَعْنًى وَاحِدٍ , وَهُوَ مَا احْتَمَلَهُ الْحَدِيثُ الْأَوَّلُ مِمَّا حَمَلَهُ عَلَيْهِ مَنْ ذَهَبَ إِلَى كَرَاهَةِ نَقِيعِ التَّمْرِ وَالزَّبِيبِ , فَإِنَّهُ لَا يَحْتَمِلُهُ هَذَا الْحَدِيثُ , لِأَنَّهُ قَرَنَ مَعَ ذَلِكَ خَمْرَ الْحِنْطَةِ وَخَمْرَ الشَّعِيرِ , وَهُمْ لَا يَقُولُونَ ذَلِكَ , لِأَنَّهُمْ لَا يَرَوْنَ بِنَقِيعِ الْحِنْطَةِ وَالشَّعِيرِ بَأْسًا , وَيُفَرِّقُونَ بَيْنَهُمَا وَبَيْنَ نَقِيعِ التَّمْرِ وَالزَّبِيبِ , فَذَلِكَ التَّأْوِيلُ , لَا يَحْتَمِلُهُ هَذَا الْحَدِيثُ وَلَكِنَّهُ يَحْتَمِلُ التَّأْوِيلَاتِ الْأُخَرَ كَمَا يَحْتَمِلُهُ الْحَدِيثُ الْأَوَّلُ. فَإِنِ احْتَجَّ فِي ذَلِكَ بِمَا رُوِيَ عَنْ أَنَسٍ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৪৪০
(হালাল-হারাম) পানীয়ের অধ্যায়
হারাম মদ কি
৬৪৪০। ইব্ন আবু দাউদ..... ইয়াযীদ ইবন আবু মারয়াম হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর যুগে রুতাব ও বুসর খেজুরের নাবীয তৈরী করতাম। যখন মদ হারাম করা হলো, তখন আমরা তা পাত্রসমূহ হতে নিক্ষেপ করে দিলাম এবং তা ত্যাগ করলাম।
كتاب الأشربة
6440 - قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ قَالَ: ثنا أَبُو إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ , عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ , عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «كُنَّا فِي عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَنْبِذُ الرُّطَبَ وَالْبُسْرَ , فَلَمَّا نَزَلَ تَحْرِيمُ الْخَمْرِ أَهْرَقْنَاهُمَا مِنَ الْأَوْعِيَةِ , ثُمَّ تَرَكْنَاهُمَا»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৪৪১
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৪২
(হালাল-হারাম) পানীয়ের অধ্যায়
হারাম মদ কি
৬৪৪১-৪২। নসর ইবন মারযূক ...... হযরত আনাস (রাযিঃ) বলেন, আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ, সুহায়ল ইবনুল বায়যা ও উবাই ইবনুল কা'ব হযরত আবু তালহা (রাযিঃ)-এর নিকট ছিলেন আর আমি তাদেরকে শরাব পরিবেশন করছিলাম। এমনকি তারা তা গ্রহণ করার উপক্রম হয়েছিলেন। তিনি (আনাস রা) বলেন, এমন সময় একজন মুসলমান অতিক্রম করলেন এবং তিনি ঘোষণা করলেন, “তোমরা কি জানতে পেরেছ যে, মদ হারাম করা হয়েছে?" আল্লাহর কসম, তাঁরা আর একটুও অপেক্ষা করলেন না, তাঁরা আমাকে পাত্রের মদ নিক্ষেপ করার জন্য নির্দেশ দিলেন। তখন আমি তাদের নির্দেশ পালন করলাম। তারপর আর তারা পুনরায় তা পান করেননি। এমনকি তারা ইন্তেকাল করে আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করেন। আর সে মদ ছিল বুসর ও তামার-এর তৈরী। তখন আমাদের মদ ছিল সেটাই।
আলী ইব্ন শায়বা....... হুমায়দ হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আলী ইব্ন শায়বা....... হুমায়দ হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
كتاب الأشربة
6441 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ: ثنا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: " كَانَ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ وَسُهَيْلُ بْنُ الْبَيْضَاءِ , وَأُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ عِنْدَ أَبِي طَلْحَةَ وَأَنَا أَسْقِيهِمْ، مِنْ شَرَابٍ , حَتَّى كَادَ أَنْ يَأْخُذَ فِيهِمْ. قَالَ: فَمَرَّ بِنَا مَارٌّ مِنَ الْمُسْلِمِينَ , فَنَادَى: أَلَا هَلْ شَعَرْتُمْ؟ إِنَّ الْخَمْرَ قَدْ حُرِّمَتْ، فَوَاللهِ مَا انْتَظَرَ أَنْ أَمَرُونِي أَنْ أُلْقِيَ مَا فِي الْآنِيَةِ , فَفَعَلْتُ فَمَا عَادُوا فِي شَيْءٍ مِنْهَا , حَتَّى لَقُوا اللهَ , وَإِنَّهَا لَلْبُسْرُ وَالتَّمْرُ وَإِنَّهَا لَخَمْرُنَا يَوْمَئِذٍ "
6442 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ بَكْرٍ، قَالَ: ثنا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ، مِثْلَهُ
6442 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ بَكْرٍ، قَالَ: ثنا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ، مِثْلَهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৪৪২
(হালাল-হারাম) পানীয়ের অধ্যায়
empty
৬৪৪২।
كتاب الأشربة
6442 -
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৪৪৩
(হালাল-হারাম) পানীয়ের অধ্যায়
হারাম মদ কি
৬৪৪৩। ইবরাহীম ইব্ন মারযূক ...... সাবিত ও হুমায়দ হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একবার আমি, আবু তালহা, সুহায়ল ইবন বারযা, আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ ও আবু দুজানা-কে বুসর ও তামার-এর মিশ্রিত মদ পরিবেশনে নিযুক্ত হলাম। এমনকি আমি তাদের মধ্যে তা পরিবেশন করতে শুরু করলাম। তখন এক ব্যক্তি ঘোষণা করল, সাবধান! মদ হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লাহর কসম, তাঁরা আর এ কথা জানবার অপেক্ষা করলেন না যে, তার এ ঘোষণা কি সত্য, না কি অসত্য। তাঁরা বললেন, আনাস! তুমি তোমার মদের পাত্র উপুড় করে ফেলে দাও। অতঃপর আমি তা উপুড় করে ফেলে দিলাম। তারপর আর কখনও মৃত্যু পর্যন্ত তাঁদের মুখের কাছে মদ ফিরে আসে নি। আর সেখানে তাদের মদ ছিল বুসর ও তামার হতে তৈরী।
كتاب الأشربة
6443 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ ثنا عَفَّانَ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: أنا ثَابِتٌ، وَحُمَيْدٌ , عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: " كُنْتُ أَسْقِي أَبَا طَلْحَةَ , وَسُهَيْلَ بْنَ بَيْضَاءَ , وَأَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ , وَأَبَا دُجَانَةَ , خَلِيطَ الْبُسْرِ وَالتَّمْرِ , حَتَّى أَشْرَعَتْ فِيهِمْ , فَنَادَى رَجُلٌ أَلَا إِنَّ الْخَمْرَ قَدْ حُرِّمَتْ فَوَاللهِ مَا انْتَظَرُوا حَتَّى يَعْلَمُوا أَحَقًّا مَا قَالَ أَمْ بَاطِلًا , [ص:214] فَقَالُوا: أَكْفِئْ إِنَاءَكَ يَا أَنَسُ , فَكَفَأْتُهَا , فَلَمْ يَرْجِعْ إِلَى رُءُوسِهِمْ حَتَّى لَقُوا اللهَ عَزَّ وَجَلَّ , وَكَانَ خَمْرُهُمْ يَوْمَئِذٍ , الْبُسْرَ وَالتَّمْرَ "
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৪৪৪
(হালাল-হারাম) পানীয়ের অধ্যায়
হারাম মদ কি
৬৪৪৪। আব্দুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মাদ ইবন খুশায়শ .......কাতাদা হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি আবু তালহা আবু দুজানা ও সুহায়ল ইবন বায়যা (রাযিঃ)-কে বুসর ও তামার মিশ্রিত মদ পরিবেশন করছিলাম। অতঃপর আমি তা (পেয়ালায়) ঢাললাম। সে দিন আমিই তাদেরকে পান করাচ্ছিলাম। আর আমিই তাদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ছিলাম। আমরা একে সেকালে মদ বলে বিবেচনা করতাম।
তারা বলেন, এসব রিওয়ায়াত প্রমাণ করে যে, এসবও خمر (মদ) ছিল।
জবাব : প্রশ্নকারীদেরকে তখন বলা হবে, এখানে আপনাদের সমর্থনে কোন দলীল নেই। কারণ এখানে এ সম্ভাবনা রয়েছে যে, ঐ পানীয় বস্তুটি মাতালকারী نقيع التمر (খেজুর ভেজান রস) ছিল। অতএব এ দ্বারাنقيع التمر কে যারা মাকরূহ বলে মন্তব্য করেন, তাদের মত প্রমাণিত হয়। আর তার জ্বাল দেয়া রস হারাম হবার কোন প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয় না। তবে এ সম্ভাবনা আছে যে, ঐ সাহাবা-ই কিরাম এমনটা এজন্য করেছিলেন যে, তাঁরা এ কথা জানতেন যে, তাঁদের ঐ পানীয় سكر (মাতালকারী) ছিল এবং তাঁরা তা পান করার ব্যাপারে নিজেদের নিরাপদ মনে করতে পারেননি। কারণ তাঁদের মদ পান করার সময়টি ছিল খুবই নিকটবর্তী। অতএব তাঁরা মদের পাত্র ভেঙ্গে ফেললেন। তবে হযরত আনাস (রাযিঃ)-এর বক্তব্য ; وإنها لخمرنا يومئذ 'সে যুগে আমাদের মদ ছিল এটাই' সম্ভবত এ কথা দ্বারা তিনি এটাই বুঝাতে চেয়েছেন যে, এটাকেই আমরা তখন মদ হিসেবে বিবেচনা করতাম। আর এ কথার প্রমাণ হলো :
তারা বলেন, এসব রিওয়ায়াত প্রমাণ করে যে, এসবও خمر (মদ) ছিল।
জবাব : প্রশ্নকারীদেরকে তখন বলা হবে, এখানে আপনাদের সমর্থনে কোন দলীল নেই। কারণ এখানে এ সম্ভাবনা রয়েছে যে, ঐ পানীয় বস্তুটি মাতালকারী نقيع التمر (খেজুর ভেজান রস) ছিল। অতএব এ দ্বারাنقيع التمر কে যারা মাকরূহ বলে মন্তব্য করেন, তাদের মত প্রমাণিত হয়। আর তার জ্বাল দেয়া রস হারাম হবার কোন প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয় না। তবে এ সম্ভাবনা আছে যে, ঐ সাহাবা-ই কিরাম এমনটা এজন্য করেছিলেন যে, তাঁরা এ কথা জানতেন যে, তাঁদের ঐ পানীয় سكر (মাতালকারী) ছিল এবং তাঁরা তা পান করার ব্যাপারে নিজেদের নিরাপদ মনে করতে পারেননি। কারণ তাঁদের মদ পান করার সময়টি ছিল খুবই নিকটবর্তী। অতএব তাঁরা মদের পাত্র ভেঙ্গে ফেললেন। তবে হযরত আনাস (রাযিঃ)-এর বক্তব্য ; وإنها لخمرنا يومئذ 'সে যুগে আমাদের মদ ছিল এটাই' সম্ভবত এ কথা দ্বারা তিনি এটাই বুঝাতে চেয়েছেন যে, এটাকেই আমরা তখন মদ হিসেবে বিবেচনা করতাম। আর এ কথার প্রমাণ হলো :
كتاب الأشربة
6444 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ خُشَيْشٍ، قَالَ: ثنا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: ثنا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: «إِنِّي لَأَسْقِي أَبَا طَلْحَةَ , وَأَبَا دُجَانَةَ , وَسُهَيْلَ بْنَ بَيْضَاءَ , خَلِيطَ بُسْرٍ وَتَمْرٍ , إِذْ حُرِّمَتِ الْخَمْرُ , فَأَرَقْتُهَا وَأَنَا سَاقِيهِمْ يَوْمَئِذٍ وَأَصْغَرُهُمْ , وَإِنَّا نَعُدُّهَا يَوْمَئِذٍ خَمْرًا» قَالُوا: هَذَا مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ ذَلِكَ كَانَ خَمْرًا أَيْضًا. قِيلَ لَهُمْ: لَيْسَ فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى مَا ذَكَرْتُ , لِأَنَّهُ قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ الشَّرَابُ نَقِيعَ تَمْرٍ مُخَمَّرٍ , فَثَبَتَ بِذَلِكَ قَوْلُ مَنْ كَرِهَ نَقِيعَ التَّمْرِ , وَلَا يَجِبُ بِذَلِكَ حُجَّةُ حُرْمَةِ طَبِيخِهِ. وَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونُوا فَعَلُوا ذَلِكَ , لِعِلْمِهِمْ أَنَّ كَثِيرَ ذَلِكَ مُسْكِرٌ , فَلَمْ يَأْمَنُوا عَلَى أَنْفُسِهِمِ الْوُقُوعَ فِيهِ , لِقُرْبِ عَهْدِهِمْ بِهِ , فَكَسَّرُوهُ لِذَلِكَ. وَأَمَّا قَوْلُ أَنَسٍ وَإِنَّهَا لَخَمْرُنَا يَوْمَئِذٍ فَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ بِذَلِكَ: مَا كُنَّا نُخَمِّرُ. وَالدَّلِيلُ عَلَى ذَلِكَ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৪৪৫
(হালাল-হারাম) পানীয়ের অধ্যায়
হারাম মদ কি
৬৪৪৫। ফাহদ ..... ঈসা হতে বর্ণনা করেন, তার পিতা একবার তাকে হযরত আনাস (রাযিঃ)-এর নিকট বিশেষ এক প্রয়োজনে পাঠালেন, তিনি তার নিকট কঠিন طلاء (আঙুরের রস, যা জ্বাল দেয়ার পর দু-তৃতীয়াংশ হ্রাস পায়) দেখতে পেলেন। আর طلاء হলো ঐ রস যার অধিক পরিমাণ মাতাল করে দেয়। হযরত আনাস (রাযিঃ)-এর মতে এটা خمر (মদ) ছিল না। অথচ তা অধিক পরিমাণ মাতাল করে।
অতএব আমরা যে আলোচনা করলাম তা প্রমাণ করে যে, হযরত আনাস (রাযিঃ)-এর মতে সর্বপ্রকার পানীয় خمر নয়, বরং বিশেষ এক প্রকার পানীয় তাঁর মতে মদ। আর হযরত আনাস (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসসমূহের যে ব্যাখ্যা আমরা প্রদান করেছি, সে ব্যাখ্যা প্রমাণ করে এমন কতিায় হাদীসও আমরা পেয়েছি।
অতএব আমরা যে আলোচনা করলাম তা প্রমাণ করে যে, হযরত আনাস (রাযিঃ)-এর মতে সর্বপ্রকার পানীয় خمر নয়, বরং বিশেষ এক প্রকার পানীয় তাঁর মতে মদ। আর হযরত আনাস (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসসমূহের যে ব্যাখ্যা আমরা প্রদান করেছি, সে ব্যাখ্যা প্রমাণ করে এমন কতিায় হাদীসও আমরা পেয়েছি।
كتاب الأشربة
6445 - مَا حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ قَالَ: ثنا ابْنُ شِهَابٍ , عَنْ أَبِي لَيْلَى , عَنْ عِيسَى , «أَنَّ أَبَاهُ بَعَثَهُ إِلَى أَنَسٍ فِي حَاجَةٍ , فَأَبْصَرَ عِنْدَهُ طِلَاءً شَدِيدًا» وَالطِّلَاءُ: مَا يُسْكِرُ كَثِيرُهُ , فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ عِنْدَ أَنَسٍ خَمْرًا , وَإِنَّ كَثِيرَهُ يُسْكِرُ. وَثَبَتَ بِمَا وَصَفْنَا أَنَّ الْخَمْرَ عِنْدَ أَنَسٍ , لَمْ يَكُنْ مِنْ كُلِّ شَرَابٍ وَلَكِنَّهَا مِنْ خَاصٍّ مِنَ الْأَشْرِبَةِ. وَقَدْ وَجَدْنَا مِنَ الْآثَارِ , مَا يَدُلُّ عَلَى مَا ذَكَرْنَا أَيْضًا , مِمَّا تَأَوَّلْنَا عَلَيْهِ أَحَادِيثَ أَنَسٍ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৪৪৬
(হালাল-হারাম) পানীয়ের অধ্যায়
হারাম মদ কি
৬৪৪৬। ফাহদ ....... আব্দুল্লাহ্ ইবন শাদ্দাদ ইবনুল হাদ হযরত ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, স্বয়ং মদ হারাম করা হয়েছে এবং সব প্রকার পানীয় হতে, যা مسكر (মাতালকারী) তা হারাম করা হয়েছে।
হযরত ইবন আব্বাস (রাযিঃ) এ খবর প্রদান করলেন যে, হুরমাতের হুকুম তো স্বয়ং মদ-এর ওপর পতিত হয়েছে এবং خمر (মদ) ব্যতীত অন্য সমস্ত পানীয়-এর মধ্যে যা مسكر কেবল তার ওপর হুরমাতের হুকুম পতিত হয়েছে। এ দ্বারা এ কথা প্রমাণিত হয় যে, خمر ব্যতীত অন্য যে সমস্ত পানীয় বস্তুর অধিক পরিমাণ পানকারীকে মাতাল করে, তার অল্প পরিমাণ পান করা মুবাহ। যা পানকারীকে মাতাল করে না, যা خمر হারাম করার পূর্বেও পান করা মুবাহ ছিল। বস্তুত নতুনভাবে যা হারাম করা হয়েছে, তা হলো স্বয়ং মদ এবংخمر ব্যতীত অন্য যে সমস্ত পানীয় বস্তু مسكر ও মাতালকারী। এ দ্বারা এ সম্ভাবনা বের হয়ে আসে যে, যে خمر কে হারাম করা হয়েছে তা হলো শুধু عصير العنب (আঙুরের রস) আর এ সম্ভাবনাও আছে যে,عصير العنب ও অন্যান্য পানীয় যা মাতাল করে, তাও হারাম।
যখন এ সম্ভাবনা রয়েছে, অথচ উল্লেখিত সকল পানীয় পূর্বে হালাল ছিল। পরবর্তীতে কোন কোনটি হারাম করা হয়েছে; সেক্ষেত্রে ঐসব পানীয় যা সর্বসম্মতভাবেই হালাল ছিল, তার কোন একটিকেও হারাম হবার ব্যাপারে ইজমা অনুষ্ঠিত না হলে হারাম বলা যাবে না। আর আমরা এ ব্যাপারে আল্লাহর নামে সাক্ষ্য প্রদান করছি যে,عصير العنب (আঙ্গুরের রস)-এর মধ্যে যখন خمر এর বৈশিষ্ট্যসমূহের সৃষ্টি হয়, তখন তিনি তা হারাম করেন। আমরা আল্লাহর নামে এ সাক্ষ্য প্রদান করি না যে, তিনি عصير العنب ব্যতীত অন্য সব পানীয় বস্তুর মধ্যে ঐসব বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি হলে তাও তিনি হারাম করেন। অতএব আমরা আল্লাহর প্রতি এ সাক্ষ্য প্রদান করি যে, তিনি যে পানীয়কে হারাম করেছেন, তা হলো সেই خمر যার تاويل ও ব্যাখ্যায় আমরা ঠিক তদ্রূপ ঈমান ও বিশ্বাস রাখি যেমন তার تنزيل (নাযিলকরণ)-এ আমরা ঈমান রাখি। আর যে পানীয় বস্তু হারাম করেছেন বলে আমরা আল্লাহর ওপর সাক্ষ্য প্রদান করি না, তা হলো ঐ شراب ও পানীয়, যা خمر নয়। অতএব যে বস্তু خمر
বলে বিবেচিত, তার কম ও বেশী সবই হারাম এবং خمر ব্যতীত অন্য যেসব পানীয় রয়েছে, তার মধ্য হতে কেবল مسكر ও মাতলকারী পরিমাণ হারাম। আর যা মাতালকারী নয়, তা মুবাহ। আমাদের মতে এটাই নযর ও যুক্তির দাবি। ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাযিঃ)-এর মাযহাব এটাই। অবশ্য শুধু ,نقيع الزبيب এর ব্যাপারে তারা ভিন্নমত পোষণ করেন। তারা এ দু'প্রকার পানীয়কে মাকরূহ বলে মন্তব্য করেন। তবে আমাদের নযর ও যুক্তির দাবি এটা নয় যেমন তারা বলেন। কারণ সর্বসম্মত যে নীতি আমাদের কাছে রয়েছে তা হলো, আঙুরের কাঁচা রস ও জ্বাল দেয়া রস সমান। বস্তুত عصير (কাঁচা রস) যদি জ্বাল দেয়ার পূর্বে হালাল না হয়, তবে জ্বাল দেয়ার কারণে তা হালাল হয় না। হ্যাঁ, যদি এমনভাবে জ্বাল দেয়া হয় যে عصير এর সীমা হতে عسل (মধু)-এর সীমায় উপনীত হয় (অর্থাৎ মধুর মত ঘন হয়) তবে সে ক্ষেত্রে তার হুকুম মধুর হুকুমই হবে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি যে, زبيب (কিশমিশ) ও تمر (শুকনো খেজুর) জ্বাল দেয়া রস সর্বসম্মতভাবে মুবাহ। অতএব নযর ও যুক্তির দাবি হলো, যেমন عصير العنب (আঙুরের কাঁচা রস) ও জ্বাল দেয়া রসের হুকুম এক ও অভিন্ন, অনুরূপভাবে শুকনো খেজুর ও কিশমিশ এর কাঁচা রস ও জ্বাল দেয়া রসের হুকুমও এক ও অভিন্ন হবে। কিন্তু আমাদের ফুক্বাহা-ই কিরাম এ মতের বিরোধিতা করে। আর এ বিরোধিতা তারা করেন, হযরত আবু হুরায়রা ও হযরত আনাস (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের ঐ ব্যাখ্যার প্রেক্ষিতে যা আমরা উল্লেখ করেছি।এছাড়া আরো একটি বিষয় রয়েছে যা তারা হযরত সাঈদ ইবন জুবায়র (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন।
হযরত ইবন আব্বাস (রাযিঃ) এ খবর প্রদান করলেন যে, হুরমাতের হুকুম তো স্বয়ং মদ-এর ওপর পতিত হয়েছে এবং خمر (মদ) ব্যতীত অন্য সমস্ত পানীয়-এর মধ্যে যা مسكر কেবল তার ওপর হুরমাতের হুকুম পতিত হয়েছে। এ দ্বারা এ কথা প্রমাণিত হয় যে, خمر ব্যতীত অন্য যে সমস্ত পানীয় বস্তুর অধিক পরিমাণ পানকারীকে মাতাল করে, তার অল্প পরিমাণ পান করা মুবাহ। যা পানকারীকে মাতাল করে না, যা خمر হারাম করার পূর্বেও পান করা মুবাহ ছিল। বস্তুত নতুনভাবে যা হারাম করা হয়েছে, তা হলো স্বয়ং মদ এবংخمر ব্যতীত অন্য যে সমস্ত পানীয় বস্তু مسكر ও মাতালকারী। এ দ্বারা এ সম্ভাবনা বের হয়ে আসে যে, যে خمر কে হারাম করা হয়েছে তা হলো শুধু عصير العنب (আঙুরের রস) আর এ সম্ভাবনাও আছে যে,عصير العنب ও অন্যান্য পানীয় যা মাতাল করে, তাও হারাম।
যখন এ সম্ভাবনা রয়েছে, অথচ উল্লেখিত সকল পানীয় পূর্বে হালাল ছিল। পরবর্তীতে কোন কোনটি হারাম করা হয়েছে; সেক্ষেত্রে ঐসব পানীয় যা সর্বসম্মতভাবেই হালাল ছিল, তার কোন একটিকেও হারাম হবার ব্যাপারে ইজমা অনুষ্ঠিত না হলে হারাম বলা যাবে না। আর আমরা এ ব্যাপারে আল্লাহর নামে সাক্ষ্য প্রদান করছি যে,عصير العنب (আঙ্গুরের রস)-এর মধ্যে যখন خمر এর বৈশিষ্ট্যসমূহের সৃষ্টি হয়, তখন তিনি তা হারাম করেন। আমরা আল্লাহর নামে এ সাক্ষ্য প্রদান করি না যে, তিনি عصير العنب ব্যতীত অন্য সব পানীয় বস্তুর মধ্যে ঐসব বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি হলে তাও তিনি হারাম করেন। অতএব আমরা আল্লাহর প্রতি এ সাক্ষ্য প্রদান করি যে, তিনি যে পানীয়কে হারাম করেছেন, তা হলো সেই خمر যার تاويل ও ব্যাখ্যায় আমরা ঠিক তদ্রূপ ঈমান ও বিশ্বাস রাখি যেমন তার تنزيل (নাযিলকরণ)-এ আমরা ঈমান রাখি। আর যে পানীয় বস্তু হারাম করেছেন বলে আমরা আল্লাহর ওপর সাক্ষ্য প্রদান করি না, তা হলো ঐ شراب ও পানীয়, যা خمر নয়। অতএব যে বস্তু خمر
বলে বিবেচিত, তার কম ও বেশী সবই হারাম এবং خمر ব্যতীত অন্য যেসব পানীয় রয়েছে, তার মধ্য হতে কেবল مسكر ও মাতলকারী পরিমাণ হারাম। আর যা মাতালকারী নয়, তা মুবাহ। আমাদের মতে এটাই নযর ও যুক্তির দাবি। ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাযিঃ)-এর মাযহাব এটাই। অবশ্য শুধু ,نقيع الزبيب এর ব্যাপারে তারা ভিন্নমত পোষণ করেন। তারা এ দু'প্রকার পানীয়কে মাকরূহ বলে মন্তব্য করেন। তবে আমাদের নযর ও যুক্তির দাবি এটা নয় যেমন তারা বলেন। কারণ সর্বসম্মত যে নীতি আমাদের কাছে রয়েছে তা হলো, আঙুরের কাঁচা রস ও জ্বাল দেয়া রস সমান। বস্তুত عصير (কাঁচা রস) যদি জ্বাল দেয়ার পূর্বে হালাল না হয়, তবে জ্বাল দেয়ার কারণে তা হালাল হয় না। হ্যাঁ, যদি এমনভাবে জ্বাল দেয়া হয় যে عصير এর সীমা হতে عسل (মধু)-এর সীমায় উপনীত হয় (অর্থাৎ মধুর মত ঘন হয়) তবে সে ক্ষেত্রে তার হুকুম মধুর হুকুমই হবে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি যে, زبيب (কিশমিশ) ও تمر (শুকনো খেজুর) জ্বাল দেয়া রস সর্বসম্মতভাবে মুবাহ। অতএব নযর ও যুক্তির দাবি হলো, যেমন عصير العنب (আঙুরের কাঁচা রস) ও জ্বাল দেয়া রসের হুকুম এক ও অভিন্ন, অনুরূপভাবে শুকনো খেজুর ও কিশমিশ এর কাঁচা রস ও জ্বাল দেয়া রসের হুকুমও এক ও অভিন্ন হবে। কিন্তু আমাদের ফুক্বাহা-ই কিরাম এ মতের বিরোধিতা করে। আর এ বিরোধিতা তারা করেন, হযরত আবু হুরায়রা ও হযরত আনাস (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের ঐ ব্যাখ্যার প্রেক্ষিতে যা আমরা উল্লেখ করেছি।এছাড়া আরো একটি বিষয় রয়েছে যা তারা হযরত সাঈদ ইবন জুবায়র (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন।
كتاب الأشربة
6446 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: ثنا مِسْعَرُ بْنُ كِدَامٍ، عَنْ أَبِي عَوْنٍ الثَّقَفِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ شَدَّادِ بْنِ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: «حُرِّمَتِ الْخَمْرُ بِعَيْنِهَا , وَالسُّكْرُ مِنْ كُلِّ شَرَابٍ» فَأَخْبَرَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَنَّ الْحُرْمَةَ وَقَعَتْ عَلَى الْخَمْرِ بِعَيْنِهَا , وَعَلَى السُّكْرِ مِنْ سَائِرِ الْأَشْرِبَةِ سِوَاهَا. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ مَا سِوَى الْخَمْرِ الَّتِي حُرِّمَتْ مِمَّا يُسْكِرُ كَثِيرُهُ , قَدْ أُبِيحَ شُرْبُ قَلِيلِهِ الَّذِي لَا يُسْكِرُ , عَلَى مَا كَانَ عَلَيْهِ مِنَ الْإِبَاحَةِ الْمُتَقَدِّمَةِ تَحْرِيمُ الْخَمْرِ , وَأَنَّ التَّحْرِيمَ الْحَادِثَ , إِنَّمَا هُوَ فِي عَيْنِ الْخَمْرِ وَالسُّكْرِ مِمَّا فِي سِوَاهَا مِنَ الْأَشْرِبَةِ. فَاحْتَمَلَ أَنْ يَكُونَ الْخَمْرُ الْمُحَرَّمَةُ , هِيَ عَصِيرُ الْعِنَبِ خَاصَّةً , وَاحْتَمَلَ أَنْ يَكُونَ كُلُّ مَا خَمَرَ , مِنْ عَصِيرِ الْعِنَبِ وَغَيْرِهِ. فَلَمَّا احْتَمَلَ ذَلِكَ , وَكَانَتِ الْأَشْيَاءُ قَدْ تَقَدَّمَ تَحْلِيلُهَا جُمْلَةً , ثُمَّ حَدَثَ تَحْرِيمٌ فِي بَعْضِهَا , لَمْ يَخْرُجْ شَيْءٌ مِمَّا قَدْ أُجْمِعَ عَلَى تَحْلِيلِهِ , إِلَّا بِإِجْمَاعٍ يَأْتِي عَلَى تَحْرِيمِهِ. [ص:215] وَنَحْنُ نَشْهَدُ عَلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ , أَنَّهُ حَرَّمَ عَصِيرَ الْعِنَبِ إِذَا حَدَثَتْ فِيهِ صِفَاتُ الْخَمْرِ , وَلَا نَشْهَدُ عَلَيْهِ أَنَّهُ حَرَّمَ مَا سِوَى ذَلِكَ إِذَا حَدَثَ فِيهِ مِثْلُ هَذِهِ الصِّفَةِ. فَالَّذِي نَشْهَدُ عَلَى اللهِ بِتَحْرِيمِهِ إِيَّاهُ هُوَ الْخَمْرُ الَّذِي آمَنَّا بِتَأْوِيلِهَا , مِنْ حَيْثُ قَدْ آمَنَّا بِتَنْزِيلِهَا. وَالَّذِي لَا نَشْهَدُ عَلَى اللهِ أَنَّهُ حَرَّمَ هُوَ الشَّرَابَ الَّذِي لَيْسَ بِخَمْرٍ. فَمَا كَانَ مِنْ خَمْرٍ , فَقَلِيلُهُ وَكَثِيرُهُ حَرَامٌ , وَمَا كَانَ مِمَّا سِوَى ذَلِكَ مِنَ الْأَشْرِبَةِ , فَالسُّكْرُ مِنْهُ حَرَامٌ , وَمَا سِوَى ذَلِكَ مِنْهُ مُبَاحٌ. هَذَا هُوَ النَّظَرُ عِنْدَنَا , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ. غَيْرَ نَقِيعِ الزَّبِيبِ وَالتَّمْرِ خَاصَّةً , فَإِنَّهُمْ كَرِهُوا. وَلَيْسَ ذَلِكَ عِنْدَنَا فِي النَّظَرِ كَمَا قَالُوا , لِأَنَّا وَجَدْنَا الْأَصْلَ الْمُجْمَعَ عَلَيْهِ أَنَّ الْعَصِيرَ وَطَبِيخَهُ سَوَاءٌ , وَأَنَّ الطَّبْخَ لَا يَحِلُّ بِهِ , مَا لَمْ يَكُنْ حَلَالًا قَبْلَ الطَّبْخِ , إِلَّا الطَّبْخَ الَّذِي يُخْرِجُهُ مِنْ حَدِّ الْعَصِيرِ , إِلَى أَنْ يَصِيرَ فِي حَدِّ الْعَسَلِ , فَيَكُونُ بِذَلِكَ حُكْمُهُ حُكْمَ الْعَسَلِ. فَرَأَيْنَا طَبِيخَ الزَّبِيبِ وَالتَّمْرِ مُبَاحًا بِاتِّفَاقِهِمْ. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ فِيهِمَا كَذَلِكَ , فَيَسْتَوِي نَبِيذُ التَّمْرِ وَالْعِنَبِ , النِّيءُ وَالْمَطْبُوخُ , كَمَا اسْتَوَى الْعَصِيرُ وَطَبِيخُهُ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ , وَلَكِنَّ أَصْحَابَنَا خَالَفُوا ذَلِكَ , لِلتَّأْوِيلِ الَّذِي تَأَوَّلُوا عَلَيْهِ حَدِيثَ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسٍ اللَّذَيْنِ ذَكَرْنَا، وَشَيْءٍ رَوَوْهُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ. فَإِنَّهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৪৪৭
(হালাল-হারাম) পানীয়ের অধ্যায়
হারাম মদ কি
৬৪৪৭। ইবন আবু দাউদ..... ইবন শুবরুমা হযরত সাঈদ ইবন জুবায়র (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি এ সম্পর্কে বলেন, এটা (মদ), অতএব এ হতে বিরত থাক।
كتاب الأشربة
6447 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ ثنا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ قَالَ: أنا هُشَيْمٌ , عَنِ ابْنِ شُبْرُمَةَ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ أَنَّهُ قَالَ فِي ذَلِكَ: «هِيَ الْخَمْرُ فَاجْتَنِبْهَا»
তাহকীক: