শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১৯. শিকার,জবাই ও কুরবানীর বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৬৪২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪২৮
ঘোড়ার গোশত খাওয়া প্রসঙ্গ
৬৪২৭-২৮। রাবী আল-জীযী ও আব্দুর রহমান ইবন আমর আদ-দামেশকী নিজ সূত্রে হযরত খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ঘোড়া, খচ্চর ও গাধার গোশত খেতে নিষেধ করেছেন।
আবু জাফর (তাহাবী) বলেন, একদল উলামা-ই কিরাম এ হাদীসের ভিত্তিতে ঘোড়ার গোশত খাওয়া মাকরূহ বলে মন্তব্য করেন। আর যারা এ মত পোষণ করেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন ইমাম আবু হানীফা (রাযিঃ) এবং তারা এ হাদীস দ্বারাই দলীল পেশ করেন।
আল্লামা আইনী (রাযিঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা মুজাহিদ, হাসান বসরী, হাকাম ইবন উতায়বা, আওযাঈ এবং ইমাম মালিক উদ্দেশ্য। অতঃপর তিনি বলেন, হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) হতেও এ মত বর্ণিত আছে।
অপরপক্ষে উলামা-ই কিরামের অন্য একটি জামাত আল্লামা আইনী (রাযিঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা সাঈদ ইবন যুবাইর, আতা ইবন আবু রাবাহ, ইবরাহীম নাখাঈ, সাওরী, ইমাম শাফিঈ আবু ইউসুফ, মুহাম্মাদ, ইমাম আহমদ ও ইসহাক (রাযিঃ) উদ্দেশ্য।
এ মতের বিরোধিতা করে বলেন, ঘোড়ার গোশত খাওয়ায় কোন অসুবিধা নেই। আর এ ব্যাপারে তারা নিম্নের হাদীস দলীল হিসেবে পেশ করেন :
আবু জাফর (তাহাবী) বলেন, একদল উলামা-ই কিরাম এ হাদীসের ভিত্তিতে ঘোড়ার গোশত খাওয়া মাকরূহ বলে মন্তব্য করেন। আর যারা এ মত পোষণ করেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন ইমাম আবু হানীফা (রাযিঃ) এবং তারা এ হাদীস দ্বারাই দলীল পেশ করেন।
আল্লামা আইনী (রাযিঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা মুজাহিদ, হাসান বসরী, হাকাম ইবন উতায়বা, আওযাঈ এবং ইমাম মালিক উদ্দেশ্য। অতঃপর তিনি বলেন, হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) হতেও এ মত বর্ণিত আছে।
অপরপক্ষে উলামা-ই কিরামের অন্য একটি জামাত আল্লামা আইনী (রাযিঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা সাঈদ ইবন যুবাইর, আতা ইবন আবু রাবাহ, ইবরাহীম নাখাঈ, সাওরী, ইমাম শাফিঈ আবু ইউসুফ, মুহাম্মাদ, ইমাম আহমদ ও ইসহাক (রাযিঃ) উদ্দেশ্য।
এ মতের বিরোধিতা করে বলেন, ঘোড়ার গোশত খাওয়ায় কোন অসুবিধা নেই। আর এ ব্যাপারে তারা নিম্নের হাদীস দলীল হিসেবে পেশ করেন :
بَابُ أَكْلِ لُحُومِ الْفَرَسِ
6427 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ، قَالَ. ثنا أَبُو نُعَيْمٍ ح
6428 - وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو الدِّمَشْقِيُّ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ رَبِّهِ، وَخَالِدُ بْنُ خَلِيٍّ، قَالُوا: ثنا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ صَالِحِ بْنِ يَحْيَى بْنِ الْمِقْدَامِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ لُحُومِ الْخَيْلِ , وَالْبِغَالِ , وَالْحَمِيرِ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا , فَكَرِهُوا لُحُومَ الْخَيْلِ. وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى ذَلِكَ , أَبُو حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا بَأْسَ بِأَكْلِ لُحُومِ الْخَيْلِ. [ص:211] وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
6428 - وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو الدِّمَشْقِيُّ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ رَبِّهِ، وَخَالِدُ بْنُ خَلِيٍّ، قَالُوا: ثنا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ صَالِحِ بْنِ يَحْيَى بْنِ الْمِقْدَامِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ لُحُومِ الْخَيْلِ , وَالْبِغَالِ , وَالْحَمِيرِ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا , فَكَرِهُوا لُحُومَ الْخَيْلِ. وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى ذَلِكَ , أَبُو حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا بَأْسَ بِأَكْلِ لُحُومِ الْخَيْلِ. [ص:211] وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৪২৮
empty
৬৪২৮।
6428 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৪২৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৩১
ঘোড়ার গোশত খাওয়া প্রসঙ্গ
৬৪২৯-৩১। ইউনুস ..... আতা ইবন রাবাহ হযরত জাবির ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর যামানায় ঘোড়ার গোশত খেতাম।
ফাহদ .......আব্দুল করীম হতে বর্ণনা করেন, অতঃপর তিনি নিজস্ব সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
ফাহদ .......আব্দুল করীম হতে বর্ণনা করেন, অতঃপর তিনি নিজস্ব সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
31 - 6429 - بِمَا حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو , عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ الْجَزَرِيِّ عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ , عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ: «كُنَّا نَأْكُلُ لُحُومَ الْخَيْلِ , عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا ابْنُ الْأَصْبَهَانِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ،
(وقال ابن الأصبهاني أيضًا) وَوَكِيعٌ , عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ , مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا ابْنُ الْأَصْبَهَانِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ،
(وقال ابن الأصبهاني أيضًا) وَوَكِيعٌ , عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ , مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৪৩০
empty
৬৪৩০।
6430 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৪৩১
empty
৬৪৩১।
6431 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৪৩২
ঘোড়ার গোশত খাওয়া প্রসঙ্গ
৬৪৩২। মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন ইউনুস….. ফাতিমা বিনতুল মুনযির হযরত আসমা বিনত আবু বকর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমরা একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর যুগে ঘোড়া যবেহ করলাম, অতঃপর আমরা তা আহার করলাম।
এ পরিচ্ছেদে এমন আরো কিছু হাদীস রয়েছে যা গৃহপালিত গাধার গোশত নিষিদ্ধ পরিচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে। যা পুনরায় উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই। অতএব এসব হাদীসের প্রেক্ষিতে একদল উলামা-ই কিরাম ঘোড়ার গোশত খাওয়া জায়েয বলে মত পোষণ করেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন, ইমাম আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাযিঃ), তাঁরা এ সম্পর্কে মুতাওয়াতির সূত্রে বর্ণিত হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন। আর যদি নযর ও যুক্তির নিরীখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তবে গৃহপালিত ঘোড়া ও গৃহপালিত গাধার মধ্যে কোন পার্থক্য হবে না। কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে যখন বিশুদ্ধ ও মুতাওয়াতির হাদীস বর্ণিত হয়, তখন যুক্তির তুলনায় সেটা গ্রহণ করাই উত্তম। বিশেষ করে যখন হযরত জাবির ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে তিনি বলেন, নবী গৃহপালিত গাধার গোশত খেতে নিষেধ করেছিলেন, তখন তিনি ঘোড়ার গোশত তাদের জন্য মুবাহ করেছিলেন। এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, ঘোড়া ও গাধা উভয়ের গোশতের হুকুম ভিন্ন ভিন্ন । হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) হতে এ মত বর্ণিত ।
এ পরিচ্ছেদে এমন আরো কিছু হাদীস রয়েছে যা গৃহপালিত গাধার গোশত নিষিদ্ধ পরিচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে। যা পুনরায় উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই। অতএব এসব হাদীসের প্রেক্ষিতে একদল উলামা-ই কিরাম ঘোড়ার গোশত খাওয়া জায়েয বলে মত পোষণ করেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন, ইমাম আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাযিঃ), তাঁরা এ সম্পর্কে মুতাওয়াতির সূত্রে বর্ণিত হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন। আর যদি নযর ও যুক্তির নিরীখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তবে গৃহপালিত ঘোড়া ও গৃহপালিত গাধার মধ্যে কোন পার্থক্য হবে না। কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে যখন বিশুদ্ধ ও মুতাওয়াতির হাদীস বর্ণিত হয়, তখন যুক্তির তুলনায় সেটা গ্রহণ করাই উত্তম। বিশেষ করে যখন হযরত জাবির ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে তিনি বলেন, নবী গৃহপালিত গাধার গোশত খেতে নিষেধ করেছিলেন, তখন তিনি ঘোড়ার গোশত তাদের জন্য মুবাহ করেছিলেন। এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, ঘোড়া ও গাধা উভয়ের গোশতের হুকুম ভিন্ন ভিন্ন । হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) হতে এ মত বর্ণিত ।
6432 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ يُونُسَ، قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنِ امْرَأَتِهِ، فَاطِمَةَ بِنْتِ الْمُنْذِرِ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ: «نَحَرْنَا فَرَسًا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَكَلْنَاهُ» وَفِي هَذَا الْبَابِ آثَارٌ , قَدْ دَخَلَتْ فِي بَابِ النَّهْيِ عَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ الْأَهْلِيَّةِ , فَأَغْنَانَا ذَلِكَ عَنْ إِعَادَتِهَا. فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذِهِ الْآثَارِ , فَأَجَازُوا أَكْلَ لُحُومِ الْخَيْلِ , وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى ذَلِكَ , أَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ رَحِمَهُمَا اللهُ وَاحْتَجُّوا بِذَلِكَ بِتَوَاتُرِ الْآثَارِ فِي ذَلِكَ وَتَظَاهُرِهَا. وَلَوْ كَانَ ذَلِكَ مَأْخُوذًا مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , لَمَا كَانَ بَيْنَ الْخَيْلِ الْأَهْلِيَّةِ وَالْحُمُرِ الْأَهْلِيَّةِ فَرْقٌ. وَلَكِنَّ الْآثَارَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا صَحَّتْ وَتَوَاتَرَتْ أَوْلَى أَنْ يُقَالَ بِهَا مِنَ النَّظَرِ , وَلَا سِيَّمَا إِذْ قَدْ أَخْبَرَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فِي حَدِيثِهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَاحَ لَهُمْ لُحُومَ الْخَيْلِ فِي وَقْتِ مَنْعِهِ إِيَّاهُمْ مِنْ لُحُومِ الْحُمُرِ الْأَهْلِيَّةِ , فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى اخْتِلَافِ حُكْمِ لُحُومِهِمَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান