শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১৭. শুফআ এবং ইজারা অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৬০৭০
লুক্বতা ও হারানাে পশুসমূহ
৬০৭০। ইবরাহীম ইব্‌ন মারযূক ......... আবু মুসলিম আল-জাযামী জারূদ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, কোন মুসলমানের হারানাে বস্তু হলাে জাহান্নামের ইন্ধন।
بَابُ اللُّقَطَةِ وَالضَّوَالِّ
6070 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي الْعَلَاءِ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الشِّخِّيرِ عَنْ أَبِي مُسْلِمٍ الْجُذَامِيِّ عَنِ الْجَارُودِ أَنَّهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ ضَالَّةَ الْمُسْلِمِ حَرْقُ النَّارِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬০৭১
লুক্বতা ও হারানাে পশুসমূহ
৬০৭১। মুহাম্মাদ ইব্‌ন আলী ইবন দাউদ ..... জারূদ নবী ও মুমিনের হারানাে মাল হচ্ছে জাহান্নামের ইন্ধন।
6071 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ دَاوُدَ قَالَ: ثنا عَفَّانَ بْنُ مُسْلِمٍ قَالَ: ثنا هَمَّامٌ قَالَ: ثنا قَتَادَةُ عَنْ يَزِيدَ أَخِي مُطَرِّفٍ عَنْ أَبِي مُسْلِمٍ الْجُذَامِيِّ عَنِ الْجَارُودِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ ضَالَّةَ الْمُسْلِمِ أَوِ الْمُؤْمِنِ حَرْقُ النَّارِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬০৭২
লুক্বতা ও হারানাে পশুসমূহ
৬০৭২। মুহাম্মাদ ইবন আলী ইবন দাউদ ..... মুতাররিফ ইবন শিখখীর তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একবার আমরা বনু আমের গােত্রীয় একটি দলসহ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর দরবারে আগমন করলাম। তখন তিনি আমাদেরকে বললেন, আমি তােমাদের জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা করে দিব কি? আমি বললাম, আমরা পথে মালিকবিহীন কিছু উটের দেখা পাই (সেগুলাে কি আমরা যানবাহন হিসেবে ব্যবহার করব না)? তখন নবী (ﷺ) : বললেন, মুসলমানের হারানাে পশু হলাে জাহান্নামের ইন্ধন। এসব হাদীসের ভিত্তিতে এক দল উলামা-ই কিরাম বলেন, হারানাে পশুকে ধরা সর্বাবস্থায় হারাম। চাই প্রচারের উদ্দেশ্যে হােক কিংবা অন্য কোন উদ্দেশ্যে। আর এসব হাদীসকেই তারা দলীল হিসেবে পেশ করেন।

আল্লামা আহনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা আবু যারয়ান, আবুল ওয়ালাদ, ইবন সা'দ, সাঈদ ইবন জয়র, রাবী ইবন খুসায়ম, শুরাইহ্ আল-কাযী, মুজাহিদ, জাবির ইবন ইয়াযীদ ও আতা ইবন আবু রাবাহ। হযরত ইবন উমর ও ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণিত আছে। অপরপক্ষে অন্য একদল উলামা-ই কিরাম এর বিপরীত মত প্রকাশ করে বলেন, আমরা এই যে সব হাদীস উল্লেখ করেছি, এসব হাদীস দ্বারা নবী (ﷺ) -এর উদ্দেশ্য এটা নয় যে, মালিককে জানাবার উদ্দেশ্যেও তা ধরা হারাম; বরং হারাম হবে তখন, যখন তা অন্য উদ্দেশ্যে ধরবে। আর যে মত তারা পােষণ করেন, নিম্নের হাদীস তা স্পষ্টভাবেই প্রকাশ করে : আল্লামা আইনী বলেন, এ উলামা-ই কিরাম হলেন, হাসান বসরী, নাখঈ, সাওরী, আবু হানীফা, মালিক, শাফিঈ, আহমদ, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)।
6072 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَفَّانَ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، قَالَ: ثنا الْحَسَنُ، عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ الشِّخِّيرِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ: قَدْ كُنَّا قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي نَفَرٍ مِنْ بَنِي عَامِرٍ. فَقَالَ لَنَا: «أَلَا أَحْمِلُكُمْ؟» فَقُلْتُ: إِنَّا نَجِدُ فِي الطَّرِيقِ هَوَامِّي الْإِبِلِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ ضَالَّةَ الْمُسْلِمِ حَرْقُ النَّارِ» فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الضَّوَالَّ حَرَامٌ أَخْذُهَا عَلَى كُلِّ حَالٍ لِلتَّعْرِيفِ وَغَيْرِ ذَلِكَ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: إِنَّهُ لَمْ يُرِدِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَا قَدْ ذَكَرْنَا فِي هَذِهِ الْآثَارِ تَحْرِيمَ أَخْذِ الضَّالَّةِ لِلتَّعْرِيفِ وَإِنَّمَا أَرَادَ أَخْذَهَا لِغَيْرِ ذَلِكَ. وَقَدْ بَيَّنَ مَا ذَهَبُوا إِلَيْهِ مِنْ ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬০৭৩
লুক্বতা ও হারানাে পশুসমূহ
৬০৭৩। ইবরাহীম ইবন মারযুক ..... জারূদ বলেন, একবার আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) : -এর দরবারে উপস্থিত হলাম। তখন দুর্বল উটের ওপর সওয়ার ছিলাম। আমরা বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা তাে উপত্যকার খাদ দিয়ে অতিক্রম করি, তখন আমরা সেখানে উট পেয়ে তাতে আরােহণ করি। তিনি বললেন, মুসলমানের হারানাে মাল হচ্ছে জাহান্নামের উত্তাপ।
বস্তুত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট তাদের প্রশ্নই ছিল উট এবং তাতে আরােহণ সম্পর্কে মালিককে জানাবার উদ্দেশ্যে ঘােষণা ও প্রচার করার জন্য নয়। অতএব রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে জবাবে বললেন ضالة المسلم حرق النارঅর্থাৎ মুসলমানের হারানাে পশুর হুকুম হলাে হারানাে পশুটি সংরক্ষণ করা এবং তার মালিকের নিকট পৌছে দেয়া। তাতে আরােহণ করা কিংবা অন্য কোনভাবে তার দ্বারা উপকৃত হওয়া বৈধ নয়। এমন করলে তা জাহান্নামের ইন্ধনে পরিণত হবে। এ ব্যাখ্যা দ্বারা হাদীসের অর্থ স্পষ্ট হয়ে গেল।
যারা হারানাে পশু নেয়া হারাম বলে মন্তব্য করেন তারা নিম্নের এসব হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন :
6073 - مَا حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الشِّخِّيرِ عَنْ أَبِي مُسْلِمٍ الْجُذَامِيِّ عَنِ الْجَارُودِ أَنَّهُ قَالَ: كُنَّا أَتَيْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ عَلَى إِبِلٍ عِجَافٍ. فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّا نَمُرُّ بِالْجُرُفِ فَنَجِدُ إِبِلًا فَنَرْكَبُهَا فَقَالَ: «إِنَّ ضَالَّةَ الْمُسْلِمِ حَرْقُ النَّارِ» فَكَانَ سُؤَالُهُمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَخْذِهَا لَأَنْ يَرْكَبُوهَا لَا لَأَنْ يُعَرِّفُوهَا فَأَجَابَهُمْ بِأَنْ قَالَ ضَالَّةُ الْمُسْلِمِ حَرْقُ النَّارِ أَيْ: إِنَّ ضَالَّةَ الْمُسْلِمِ حُكْمُهَا أَنْ يُحْفَظَ عَلَى صَاحِبِهَا حَتَّى تُؤَدَّى إِلَى صَاحِبِهَا لَا لَأَنْ يُنْتَفَعَ بِهَا لِرُكُوبٍ وَلَا لِغَيْرِ ذَلِكَ. فَبَانَ بِذَلِكَ مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ وَأَنَّ ذَلِكَ عَلَى مَا قَدْ ذَكَرْنَا. وَقَدْ كَانَ مِمَّا احْتَجَّ بِذَلِكَ أَيْضًا مَنْ قَدْ حَرَّمَ أَخْذَ الضَّالَّةِ مِنْ ذَلِكَ
مَا قَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬০৭৪
লুক্বতা ও হারানাে পশুসমূহ
৬০৭৪। আলী ইবন মা'বাদ ..... দাহ্হাক ইবনুল মুনযির হযরত মুনযির হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন একবার আমি বাওয়াযীজ-এ ছিলাম, সব গরু বাড়ি ফিরে এল। জারীর তার গরুর মধ্যে একটি অপরিচিত গাভী দেখতে পেলেন। তিনি রাখালকে বললেন, এই গাভীটি কার? সে বললাে, গাভীটি আমাদের গরুর সাথে মিশে এসেছে ;
কার তা আমি জানি না। অতঃপর হযরত জারীর গাভীটি তাড়িয়ে দেবার নির্দেশ দিলেন এবং তাড়িয়ে দেয়া হল। এমনকি সেটি অদৃশ্য হয়ে গেল। অতঃপর তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে বলতে শুনেছি, ভ্রষ্ট ছাড়া কেউ হারানাে বস্তুকে আশ্রয় দেয় না। তারা বলেন, এ হাদীসও হারানাে মাল ধরা ও নেয়াকে হারাম প্রমাণ করে। কিন্তু ভিন্নমত পােষণকারী অন্য দলের উলামা-ই কিরামের এ ব্যাপারে বক্তব্য হলাে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আশ্রয় দানকারীকে যে ভ্রষ্ট বলেছেন, হয়ত সেটা প্রচার করার উদ্দেশ্যে আশ্রয় দান করা নয়, যেমন নিম্নের হাদীসে স্পষ্ট বলা হয়েছে :
6074 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ قَالَ: ثنا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ قَالَ: ثنا أَبُو حَيَّانَ التَّمِيمِيُّ عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ الْمُنْذِرِ عَنِ الْمُنْذِرِ أَنَّهُ قَالَ: قَدْ كُنْتُ بِالْبَوَازِيجِ مَوْضِعٌ فَرَاحَتِ الْبَقَرُ فَرَأَى فِيهَا جَرِيرٌ بَقَرَةً أَنْكَرَهَا. فَقَالَ لِلرَّاعِي: مَا هَذِهِ الْبَقَرَةُ؟ قَالَ: بَقَرَةٌ لَحِقَتْ بِالْبَقَرِ لَا أَدْرِي لِمَنْ هِيَ؟ فَأَمَرَ بِهَا جَرِيرٌ فَطُرِدَتْ حَتَّى تَوَارَتْ. ثُمَّ قَالَ: قَدْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا يَأْوِي الضَّالَّةَ إِلَّا ضَالٌّ» [ص:134] قَالُوا: فَهَذَا الْحَدِيثُ أَيْضًا يُحَرِّمُ أَخْذَ الضَّالَّةِ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ لِلْآخَرِينَ فِي ذَلِكَ أَنَّهُ قَدْ يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ هُوَ ذَلِكَ الْإِيوَاءَ الَّذِي لَا تَعْرِيفَ مَعَهُ. فَإِنَّهُ قَدْ بَيَّنَ ذَلِكَ أَيْضًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬০৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬০৭৬
লুক্বতা ও হারানাে পশুসমূহ
৬০৭৫-৭৬। ফাহদ ইব্ন সুলায়মান ......... আবু সালেম জায়শানী যায়দ ইব‌ন খালিদ আল-জুহানী হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কোন হারানাে পশুকে আশ্রয় প্রদান করে, সে গুমরাহ, যাবত না সে তার প্রচার করে।

আহ‌মদ ইব্ন আব্দুর রহমান ইব‌ন ওয়াহব ..... আমর ইব‌ন হারিস তার সনদে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে হুবহু অনুরূপ বর্ণনা করেন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ হাদীসের মাধ্যমে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, হারানাে বস্তুকে আশ্রয় দিলে কোন ব্যক্তি গুমরাহ হয়। আর সে ব্যক্তি হলাে ঐ ব্যক্তি, যে হারানাে পশুর প্রচার করে না। অতএব এ হাদীসের অর্থও এ ব্যাপারে | জারূদ ও শিখখীর কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের অর্থে এসে দাড়ায়।
6075 - مَا قَدْ حَدَّثَنَا فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ قَالَ: أَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ قَالَ: حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ أَنَّ بَكْرَ بْنَ سَوَادَةَ قَدْ أَخْبَرَهُمْ عَنْ أَبِي سَالِمٍ الْجَيَشَانِيِّ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ أَنَّهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ آوَى ضَالَّةً فَهُوَ ضَالٌّ مَا لَمْ يُعَرِّفْهَا»

6076 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ وَهْبٍ قَالَ: ثنا عَمِّي عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ قَالَ: حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ ثُمَّ ذَكَرَ هَذَا الْحَدِيثَ بِإِسْنَادِهِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِثْلِ ذَلِكَ أَيْضًا سَوَاءً فَبَيَّنَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ مَنِ الَّذِي يَكُونُ بِإِيوَاءِ الضَّالَّةِ ضَالًّا وَأَنَّهُ الَّذِي لَا يُعَرِّفُهَا. فَعَادَ مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ إِلَى مَعْنَى حَدِيثِ الْجَارُودِ وَعَبْدِ اللهِ بْنُ الشِّخِّيرِ فِي ذَلِكَ أَيْضًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬০৭৬
empty
৬০৭৬।
6076 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬০৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬০৭৮
লুক্বতা ও হারানাে পশুসমূহ
৬০৭৭-৭৮। আবু বাকরা ..... মুহাম্মাদ ইব‌্ন সুরাকা তার পিতা সুরাকা ইব‌্ন মালিক হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর দরবারে উপস্থিত হয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! কোন হারানাে উট আমার উটের হাউযের পানি পান করার জন্য উপস্থিত হলে আমি তাকে পানি পান করালে কি আমার সাওয়াব হবে? তিনি জবাবে বললেন, উত্তপ্ত কলিজাকে পান করিয়ে ঠাণ্ডা করলে তাতে সাওয়াব আছে। আর এ ব্যাপারে-

ফাহদ ইব্ন সুলায়মান ...... আব্দুর রহমান ইব‌্ন মালিক ইব‌্ন জুশূম তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, একবার তার ভাই সুরাকা ইবন মালিক বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! অতঃপর তিনি এ হাদীস হুবহু অনুরূপ বর্ণনা করলেন। হযরত সুরাকা ইবন মালিক যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে এ প্রশ্ন করছিলেন, তখন তিনি একটি হারানাে প্রাণীকে আশ্রয় প্রদান করে তাকে পানি পান করাচ্ছিলেন।
কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে এরূপ আশ্রয় প্রদান করা হতে নিষেধ করলেন না। যখন তার উদ্দেশ্যই হলাে সওয়াবের নিয়্যাতে তার মালিকের উপকার করা এবং তার মালিকের নিকট পৌছে দেয়া। এতে প্রমাণিত হলাে যে, হযরত জারীর (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস যে আশ্রয় দানকে মাকরূহ বলা হয়েছে, তা হচ্ছে ঐ আশ্রয় দান, যার উদ্দেশ্য মালিকের নিকট পৌছান এবং সাওয়াবের নয়।
প্রথম মতের প্রবক্তাগণ তাদের মতের সমর্থনে এ হাদীসও দলীল হিসেবে পেশ করেন।
6077 - وَقَدْ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا الْحُسَيْنُ بْنُ الْمَهْدِيِّ قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ: أنا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ وَائِلِ بْنِ دَاوُدَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سُرَاقَةَ عَنْ أَبِيهِ سُرَاقَةَ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ جَاءَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهُ: يَا رَسُولَ اللهِ يَرِدُ عَلَى حَوْضِي إِبِلٌ إِلَى أَحِرَارٌ أَسْقَيْتُهَا؟ قَالَ: «وَفِي الْكَبِدِ الْحَرَّاءِ أَجْرٌ» وَقَدْ

6078 - حَدَّثَنَا فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ: ثنا الْحَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ إِدْرِيسَ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ أَخَاهُ سُرَاقَةَ بْنَ مَالِكٍ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ ثُمَّ ذَكَرَ هَذَا الْحَدِيثَ بِمِثْلِ ذَلِكَ أَيْضًا سَوَاءً وَهُوَ فِي حَالِ سَقْيِهِ إِيَّاهَا مُؤَوِّلُهَا فَلَمْ يَنْهَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ الْإِيوَاءِ إِذَا كَانَ إِنَّمَا يُرِيدُ بِهِ مَنْفَعَةَ صَاحِبِهَا وَإِبْقَاءَهَا عَلَى رَبِّهَا وَالثَّوَابُ فِيهَا. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الْإِيوَاءَ الْمَكْرُوهَ فِي حَدِيثِ جَرِيرٍ إِنَّمَا هُوَ الْإِيوَاءُ الَّذِي يُرَادُ بِهِ خِلَافُ حَبْسِهَا عَلَى صَاحِبِهَا وَطَلَبُ الثَّوَابِ فِيهَا. وَقَدِ احْتَجَّ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى لِقَوْلِهِمْ فِي ذَلِكَ أَيْضًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬০৭৮
empty
৬০৭৮।
6078 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬০৭৯
লুক্বতা ও হারানাে পশুসমূহ
৬০৭৯। ইউনুস ইবন আব্দুল আ'লা আস্-সাদাফী ..... মুম্বায়স-এর আযাদ করা গােলাম ইয়াযীদ হযরত যায়দ ইবন খালিদ আল-জুহানী (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একবার এক ব্যক্তি নবী (ﷺ) -এর নিকট উপস্থিত হলাে, আমি তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকটই ছিলাম। লােকটি লুকতা (হারান) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি তার থলে, তার মুখ বাধা রশি চিনে রাখ, তারপর একবছর পর্যন্ত (হারান মাল প্রাপ্তির) প্রচার কর। যদি তার মালিক এসে যায়, তবে তাে তাকে প্রদান কর, নচেৎ তুমিই তা ব্যবহার কর। লােকটি জিজ্ঞেস করল ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ) হারানাে ছাগল পাওয়া গেলে? তিনি বললেন, তা তাে হয় তােমাব, না হয় তােমার ভাইয়ের, আর না হয় নেকড়ের। সে আবার জিজ্ঞেস করল ইয়া রাসূলাল্লাহ! হারানাে উট (পাওয়া গেলে)? তখন তিনি বললেন, তার সাথে তার 'মশক' আছে (তার অভ্যন্তরে পানি রাখার কুদরতী ব্যবস্থা) এবং তার জুতা আছে। সে ঘাটে নেমে পানি পান করবে এবং গাছের পাতা খাবে। এমনকি একসময় তার সাথে মালিকের সাক্ষাত ঘটবে।
6079 - بِمَا قَدْ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى الصَّدَفِيُّ قَالَ: أنا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبِ بْنِ مُسْلِمٍ الْقُرَشِيُّ قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ وَمَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَسُفْيَانُ بْنُ سَعِيدٍ الثَّوْرِيُّ جَمِيعًا أَنَّ رَبِيعَةَ بْنَ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الرَّأْيَ حَدَّثَهُمْ جَمِيعًا عَنْ يَزِيدَ مَوْلَى الْمُنْبَعِثِ عن زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ أَنَّهُ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ فَسَأَلَهُ عَنِ اللُّقَطَةِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اعْرِفْ عِفَاصَهَا وَوِكَاءَهَا ثُمَّ عَرِّفْهَا سَنَةً فَإِنْ جَاءَ صَاحِبُهَا وَإِلَّا فَشَأْنُكَ بِهَا» قَالَ: فَضَالَّةُ الْغَنَمِ يَا رَسُولَ اللهِ؟ فَقَالَ: «هِيَ لَكَ أَوْ لِأَخِيكَ أَوْ لِلذِّئْبِ» . قَالَ: فَضَالَّةُ الْإِبِلِ يَا رَسُولَ اللهِ؟ فَقَالَ: «مَعَهَا سِقَاؤُهَا وَحِذَاؤُهَا تَرِدُ الْمَاءَ وَتَأْكُلُ الشَّجَرَ حَتَّى يَلْقَاهَا رَبُّهَا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬০৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৬০৮২
লুক্বতা ও হারানাে পশুসমূহ
৬০৮০-৮২। রাওহ ইবনুল ফারজ ..... মুম্বায়স-এর আযাদ করা গোলাম ইয়াযীদ হযরত শায়দ খালিদ আল- জুহানী হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট সােনা-রূপার ‘নুকতা' সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, তুমি তার থলে, তার রশি চিনে রাখ। অতঃপর এক বছর পর্যন্ত তা প্রাপ্তির ঘােষণা দাও। এর মধ্যে যদি তার মালিককে চিনতে না পার, তবে তা দ্বারা তুমি উপকৃত হও এবং তা যেন তােমার নিকট ওদীআত হিসেবে থাকে। যদি কোনকালে তার সন্ধানকারীর আগমন ঘটে, তবে তুমি তাকে আদায় করে দাও। অতঃপর তিনি হাদীসে, উট ও ছাগল সম্পর্কে ইউনুস কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।

আলী ইব্ন আব্দুর রহমান ..... মুম্বায়স-এর আযাদ করা গােলাম ইয়াযীদ বলেন, তিনি যায়দ ইব‌্ন খালিদ হতে হুবহু অনুরূপ বর্ণনা করেন। আল-জুহানীকে বলতে শুনেছেন, অতঃপর তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

ইবরাহীম ইব্ন মারমূক ......... যায়দ ইবন খালিদ আল-জুহানী নবী হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে এ ব্যাপারে وليكن وديعة عندك বলেননি।
6080 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْفَهْمِيُّ قَالَ: أنا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ وَرَبِيعَةُ بْنُ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ جَمِيعًا عَنْ يَزِيدَ مَوْلَى الْمُنْبَعِثِ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ أَنَّهُ قَالَ: قَدْ سُئِلَ [ص:135] رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ اللُّقَطَةِ مِنَ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَالْوَرِقِ. فَقَالَ: «اعْرِفْ وِكَاءَهَا وَعِفَاصَهَا ثُمَّ عَرِّفْهَا سَنَةً فَإِنْ لَمْ تُعْرَفْ فَاسْتَنْفِعْ بِهَا وَلْتَكُنْ وَدِيعَةً عِنْدَكَ فَإِنْ جَاءَ لَهَا طَالِبٌ يَوْمًا مِنَ الدَّهْرِ فَأَدِّهَا إِلَيْهِ» ثُمَّ ذَكَرْنَا فِي الْحَدِيثِ فِي الْإِبِلِ وَالْغَنَمِ بِمِثْلِ مَا فِي حَدِيثِ يُونُسَ سَوَاءٌ

6081 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ يَزِيدَ، مَوْلَى الْمُنْبَعِثِ أَنَّهُ سَمِعَ زَيْدَ بْنَ خَالِدٍ الْجُهَنِيَّ، يَقُولُ: ثُمَّ ذَكَرَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ ذَلِكَ أَيْضًا سَوَاءً

6082 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الرَّائِي، عَنْ يَزِيدَ، مَوْلَى الْمُنْبَعِثِ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِثْلِ ذَلِكَ الْحَدِيثِ أَيْضًا سَوَاءً غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَقُلْ فِي ذَلِكَ وَلْيَكُنْ وَدِيعَةً عِنْدَكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬০৮১
empty
৬০৮১।
6081 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬০৮২
empty
৬০৮২।
6082 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬০৮৩
লুক্বতা ও হারানাে পশুসমূহ
৬০৮৩। ফাহদ ইব্ন সুলায়মান ও আলী ইব‌্ন আব্দুর রহমান .... হযরত আবু হুরায়রা নবী (ﷺ) " হতে বর্ণনা করেন, একবার তাকে হারানাে ছাগল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলাে। তখন তিনি বললেন, সেটা হয় তােমার, না হয় তােমার ভাইয়ের কিংবা নেকড়ের। তাকে হারানাে উট সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, তােমার : তার কি সম্পর্ক? তার সাথে রয়েছে তার মশক ও তার জুতা। তাকে ছেড়ে দাও, এমনকি এক সময় তার মালিক তাকে পেয়ে যাবে ।
তারা বলেন, এ হাদীসে হারানাে উট ধরতে নিষেধ এবং ছেড়ে দিতে আদেশ করা হয়েছে। এটাও এ কথারই প্রমাণ যে, হারানাে পশু ধরে নেয়া হারাম।
তাদের এ বক্তব্যের জবাবে বলা হবে যে, আপনাদের দাবির পক্ষে কোন দলীল নেই এবং এ হাদীসে তাে কেবল হারানো উট ছেড়ে দেয়ার জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ উটের প্রাকৃতিক অবস্থা হলো এই যে, সে পানি খুঁজে বের করতে (ও তা সংরক্ষণ করে রাখতে) সক্ষম। আর পানাহারের অভাবে তার হালাক হবারও আশংকা নেই। কারণ উট নিজেই পানির ঘাটে যেতে পারে এবং গাছের পাতা খেতে পারে। আর এক সময় : তার মালিক তাকে পেয়ে যায়। অতএব তাকে ছেড়ে দেয়া ধরে রাখা অপেক্ষা উত্তম। অবশ্য মালিকের নিকট পৌঁছে দেবার নিয়্যতে যে ব্যক্তি তা সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্যে ধরল, সে গুনাহগার হবে না। আর এ হাদীসেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে হারানাে ছাগল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, সেটা হয় তােমার, না হয় তােমার ভাইয়ের অথবা নেকড়ে বাঘের। لك -এর অর্থ হলাে তুমি তােমার নিজের হিফাযতে রাখার জন্য ধরা জায়ে, তখন তােমার ভাইয়ের জন্য তা সংরক্ষিত থাকবে। অথবা তুমি তা ছেড়ে দেবে, সে ক্ষেত্রে তা নেকড়ে বাঘ খেয়ে নিবে অথবা তার মালিক তা পেয়ে নিয়ে নিবে। অতএব এ হাদীসে হারানাে পশু ধরার অনুমতিই রয়েছে। আর হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবন আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) কর্তৃকও এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। যা নীচে বর্ণিত হলাে :
6083 - حَدَّثَنَا فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، وَعَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَا: ثنا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَجْلَانَ، قَالَ: حَدَّثَنِي الْقَعْقَاعُ بْنُ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ ضَالَّةِ الْغَنَمِ فَقَالَ: «هِيَ لَكَ أَوْ لِأَخِيكَ أَوْ لِلذِّئْبِ» . وَسُئِلَ عَنْ ضَالَّةِ الْإِبِلِ فَقَالَ مَا لَكَ وَمَا لَهَا؟ مَعَهَا سِقَاؤُهَا وَحِذَاؤُهَا دَعْهَا حَتَّى يَجِدَهَا رَبُّهَا " قَالُوا فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ قَدْ نَهَاهُ عَنْ أَخْذِ ضَالَّةِ الْإِبِلِ وَأَمَرَهُ بِتَرْكِهَا فَذَلِكَ أَيْضًا دَلِيلٌ عَلَى تَحْرِيمِ أَخْذِ الضَّوَالِّ. قِيلَ لَهُمْ: مَا فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى مَا ذَكَرْتُمُوهُ وَلَكِنْ فِي ذَلِكَ أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهُ بِتَرْكِ ضَالَّةِ الْإِبِلِ لِأَنَّ مِنْ شَأْنِهَا طَلَبَ الْمَاءِ حَتَّى يَقْدِرَ عَلَى ذَلِكَ وَهُوَ لَا يَخَافُ عَلَيْهَا الضَّيَاعَ لِذَلِكَ لِأَنَّهَا قَدْ تَرِدُ الْمَاءَ وَتَأْكُلُ الشَّجَرَ حَتَّى يَلْقَاهَا رَبُّهَا فَتَرْكُهَا أَفْضَلُ مِنْ أَخْذِهَا وَلَيْسَ مَنْ أَخَذَهَا لِيَحْفَظَهَا عَلَى صَاحِبِهَا بِمَأْثُومٍ بِذَلِكَ. وَقَدْ سُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عَنْ ضَالَّةِ الْغَنَمِ فَقَالَ هِيَ لَكَ أَوْ لِأَخِيكَ أَوْ لِلذِّئْبِ. أَيْ: لَكَ أَنْ تَأْخُذَهَا لِنَفْسِكَ فَتَكُونَ فِي يَدَيْكَ لِأَخِيكَ أَوْ تُخَلِّيهَا فَيَأْخُذَهَا الذِّئْبُ فَيَأْكُلَهَا أَوْ يَجِدَهَا رَبُّهَا فَيَأْخُذَهَا. فَفِي ذَلِكَ إِبَاحَةٌ لِأَخْذِهَا. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ أَيْضًا
مَا قَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬০৮৪
লুক্বতা ও হারানাে পশুসমূহ
৬০৮৪। ইউনুস ......... হযরত আমর ইবনুল আস হতে বর্ণনা করেন, একবার মুযায়না গােত্রীয় এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট আগমন করে তাকে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর নবী! হারানাে ছাগল সম্পর্কে আপনার মত কি? তিনি বললেন, সেটা হয় তােমার খাবার হবে, আর না হয় তােমার ভাইয়ের খাবার অথবা নেকড়ের খাবার। তুমি তােমার ভাইয়ের জন্য তার হারানাে ছাগলটি আব্দ্ধ করে রাখ। অতঃপর লােকটি বলল, হে আল্লাহর নবী! হারানাে উট সম্পর্কে আপনার রায় কি? তখন তিনি বললেন, তার ও তােমার সাথে কি সম্পর্ক? তার সাথে (কুদরতী) পানির মশক রয়েছে আর রয়েছে, পায়ে (কুদরতী) জুতা (যাতে মরুভূমিতে চলাচল কোন সমস্যার সৃষ্টি হয় না)। আর নেকড়ের আক্রমণেরও আশংকা নেই। সে নিজে ঘাস খেতে পারে এবং পানির জন্য ঘাটে অবতরণ করতে পারে। তাকে ছেড়ে দাও। এমনকি এক সময় তার সন্ধানকারী তার নিকট উপস্থিত হবে। এ হাদীসে ঐ হারানাে পশু ধরে রাখা ও আটকিয়ে রাখা মুবাহ হবার প্রমাণ রয়েছে, যার হালাক আশংকা রয়েছে।
সুতরাং এ হাদীস এ কথাই প্রমাণ করে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর এ হাদীস ضالة المسلم أو المؤمن حرق النار মুসলমান কিংবা মুমিনের হারানাে পশু হলাে জাহান্নামের ইন্ধন! এবং لا يأوي أو يؤوي الضالة إلا ضال হারানাে পশুকে কেবল গুমরাহ ব্যক্তিই আশ্রয় প্রদান করে। এর মধ্যে যে আশ্রয় প্রদানকে গুমরাহী হয়েছে, যার উদ্দেশ্য, হারানাে প্রাপ্তির প্রচার নয়। অনুরূপভাবে এমন ধরা উদ্দেশ্য যার সাথে হারানাে প্রাপ্তি ঘােষণা হয় না। আর এই ঘােষণাই মালিককে না দিয়ে আটকিয়ে রাখার বিপরীত। এভাবে আমাদের এই হাদীস আর ঐ দু-হাদীসের অর্থ অভিন্ন হবে, বিরােধপূর্ণ হবে না।

আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উট সম্পর্কে যে বলেছেন, ما لك وما لها معها سقاؤها وحذاؤها ولا يخاف الذئب عليها তােমার ও তার কি সম্পর্ক? তার সঙ্গে তাে কুদরতী মশক রয়েছে, রয়েছে তার কুদরত জুতাও তার ওপর নেকড়ের আক্রমণের কোন আশংকাও নেই। এটা এ কথারই প্রমাণ যে, যেহেতু তার ওপর নেকড়ের ভয় নেই, এ কারণে তাকে ধরার অনুমতি দেয়া হয়নি। আর যেহেতু ছাগলের ওপর নেকড়ের আক্রমণের আশংকা আছে, এ কারণে তা ধরা মুবাহ, এটা এ কথারই প্রমাণ বহন করে যে, উটের ওপর নেকড়ে ছাড়া অন্য কিছু। আক্রমণের আশংকা থাকলে ছাগলের ন্যায় উটও ধরা জায়েয হবে। আর এক্ষেত্রে তা ধরা এবং মালিকের নিকট পৌঁছে দেবার জন্য তা সংরক্ষণ করা তা ছেড়ে দেয়া ও তার ভেগে যাওয়া অপেক্ষা উত্তম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে এমন হাদীসও বর্ণিত হয়েছে যা এ কথা প্রমাণ করে যে, হারানাে পশু ও লুকতার হুকুম এক ও অভিন্ন।
6084 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ وَهِشَامُ بْنُ سَعْدٍ كِلَاهُمَا عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّ رَجُلًا مِنْ مُزَيْنَةَ أَتَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ فَقَالَ لَهُ: يَا نَبِيَّ اللهِ كَيْفَ تَرَى فِي ضَالَّةِ الْغَنَمِ؟ . فَقَالَ: «طَعَامٌ مَأْكُولٌ لَكَ أَوْ لِأَخِيكَ أَوْ لِلذِّئْبِ احْبِسْ عَلَى أَخِيكَ ضَالَّتَهُ» . [ص:136] فَقَالَ لَهُ: يَا نَبِيَّ اللهِ وَكَيْفَ تَرَى فِي ضَالَّةِ الْإِبِلِ؟ فَقَالَ: «مَا لَكَ وَمَا لَهَا؟ مَعَهَا سِقَاؤُهَا وَحِذَاؤُهَا وَلَا يَخَافُ عَلَيْهَا الذِّئْبُ تَأْكُلُ الْكَلَأَ وَتَرِدُ الْمَاءَ دَعْهَا حَتَّى يَأْتِيَ طَالِبُهَا» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَيْضًا إِبَاحَةُ أَخْذِ الضَّوَالِّ الَّتِي قَدْ يُخَافُ عَلَيْهَا الضَّيَاعُ وَحَبْسُهَا لَهُ. فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ مَعْنَى قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ ضَالَّةَ الْمُسْلِمِ أَوِ الْمُؤْمِنِ حَرْقُ النَّارِ وَقَوْلُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَأْوِي أَوْ يُؤْوِي الضَّالَّةَ إِلَّا ضَالٌّ إِنَّمَا أَرَادَ بِذَلِكَ الْإِيوَاءَ الَّذِي لَا تَعْرِيفَ مَعَ ذَلِكَ وَالْأَخْذُ الَّذِي لَا تَعْرِيفَ مَعَ ذَلِكَ أَيْضًا اللَّذَيْنِ هُمَا ضِدُّ الْحَبْسِ عَلَى صَاحِبِ الضَّوَالِّ حَتَّى يَتَّفِقَ مَعْنَى حَدِيثِنَا هَذَا وَمَعْنَى ذَيْنِكَ الْحَدِيثَيْنِ وَلَا يَتَضَادَّ هَذَا الْحَدِيثُ وَذَيْنِكَ الْحَدِيثَيْنِ أَيْضًا. وَفِيمَا قَدْ بَيَّنَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْإِبِلِ بِقَوْلِهِ مَا لَكَ وَمَا لَهَا؟ مَعَهَا سِقَاؤُهَا وَحِذَاؤُهَا وَلَا يَخَافُ الذِّئْبُ عَلَيْهَا دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ لَمْ يُطْلِقْ لَهُ أَخْذَهَا لِعَدَمِ الْخَوْفِ عَلَيْهَا. وَفِي إِبَاحَتِهِ لِأَخْذِ الشَّاةِ لِخَوْفِهِ عَلَيْهَا مِنَ الذِّئْبِ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ النَّاقَةَ كَذَلِكَ أَيْضًا إِذَا خِيفَ عَلَيْهَا مِنْ غَيْرِ الذِّئْبِ وَأَنَّ أَخْذَهَا لِصَاحِبِهَا وَحِفْظَهَا عَلَى رَبِّهَا أَوْلَى مِنْ تَرْكِهَا وَذَهَابِهَا. وَقَدْ جَاءَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ حُكْمَ الضَّالَّةِ كَحُكْمِ اللُّقَطَةِ فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬০৮৫
লুক্বতা ও হারানাে পশুসমূহ
৬০৮৫। ইবরাহীম ইব্ন মারযুক .... আবুল আলা, ইয়ায ইব‌্ন হাম্মাদ হতে বর্ণনা করেন, একবার নবী (ﷺ)-কে হারানাে পশু সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, হারানাে প্রাপ্তির ঘােষণা দাও, যদি তার মালিককে পাও (তবে তাে তাকে প্রদান কর), নচেৎ তা আল্লাহর মাল ।
এ হাদীস দ্বারা প্রকাশ যে, হারানাে পশু প্রাপ্তির ঘােষণা দেয়া ওয়াজিব। আর ঘােষণা প্রদানকারী তার ঘােষণা প্রদানকালে তাে তা আটকিয়েই রাখে ও আশ্রয় প্রদান করে। তখন তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয় না। এটা এ কথাই প্রমাণ করে, অন্য হাদীসে বর্ণিত নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্র হলাে নিজের উদ্দেশ্যে আটক রাখা, তার মালিকের উদ্দেশ্যে নয়। হারানাে পশু সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে যে আহকাম বর্ণিত হয়েছে, এ হলাে তার কিছু অংশ।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে লুকতা সম্পর্কে বর্ণিত যে, তিনি তার ওপর সাক্ষী রাখা এবং তা গােপন না করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে যে হাদীস বর্ণিত হয়েছে তা হলাে :
6085 - وَهُوَ مَا قَدْ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي الْعَلَاءِ عَنْ عِيَاضِ بْنِ حِمَارٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ سُئِلَ عَنِ الضَّالَّةِ فَقَالَ: «عَرِّفْهَا فَإِنْ وَجَدْتَ صَاحِبَهَا وَإِلَّا فَهِيَ مَالُ اللهِ» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ تَعْرِيفَهَا وَاجِبٌ وَمُعَرِّفَهَا فِي حَالِ تَعْرِيفِهِ إِيَّاهَا مُمْسِكٌ لَهَا وَمُؤْوٍ إِيَّاهَا لِصَاحِبِهَا وَلَمْ يُؤْمَرْ بِتَرْكِ ذَلِكَ. فَدَلَّ هَذَا أَنَّ الْإِمْسَاكَ الْمَنْهِيَّ عَنْهُ عَنْ ذَلِكَ فِي غَيْرِ هَذَا الْحَدِيثِ إِنَّمَا هُوَ الْإِمْسَاكُ الَّذِي لَمْ يَفْعَلْهُ الْمُمْسِكُ لِنَفْسِهِ لَا لِرَبِّ الضَّالَّةِ فِي ذَلِكَ. فَهَذَا مَا فِي الضَّوَالِّ مِنَ الْأَحْكَامِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي اللُّقَطَةِ أَنَّهُ قَدْ أَمَرَ بِالْإِشْهَادِ عَلَيْهَا وَتَرْكِ كِتْمَانِهَا مِمَّا قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ
مَا قَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬০৮৬
লুক্বতা ও হারানাে পশুসমূহ
৬০৮৬। মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা ..... ইয়ায ইব্ন হিমার আল-মুজাশিঈ নবী (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কোন লুকতা কুড়িয়ে নেয়, সে যেন তার ওপর একাধিক আদেল ব্যক্তিকে সাক্ষী বানায় এবং গােপন না করে। আর তার মধ্যে কোন পরিবর্তনও যেন না করে । যদি তার মালিক এসে যায়, তবে সে-ই তার অধিক - হকদার, নচেত তা আল্লাহর মাল, যাকে সে ইচ্ছা করবে তাকে দান করবে।
সতরাং যখন এ নিয়মে লুকতা উঠানো জায়েয আছে, অনুরূপভাবে হারানাে পশুও ধরা ও নেয়া জায়েয আছে। আর এর বিপরীত উদ্দেশ্য হলে তখন লুকতা ও হারানাে উভয়টা ধরাই মাকরুহ হবে।
হযরত উবাই-ইব্ন কা'ব (রাযিঃ) লুকতা ও হারানাে বস্তু ধরা ও উঠিয়ে নেয়া এবং হিংস্র পশুর জন্য রেখে না দেয়া মুস্তাহাব মনে করতেন। আর এ ব্যাপারে
6086 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا الْمُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُخْتَارِ عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ عَنْ يَزِيدَ بْنِ الشِّخِّيرِ عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ الشِّخِّيرِ عَنْ عِيَاضِ بْنِ حِمَارٍ الْمُجَاشِعِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «مَنِ الْتَقَطَ لُقَطَةً فَلْيُشْهِدْ عَلَيْهَا ذَوَيْ عَدْلٍ وَلَا يَكْتُمْهَا وَلَا يُغَيِّرْهَا فَإِنْ جَاءَ رَبُّهَا وَإِلَّا فَمَالُ اللهِ يُؤْتِيهِ مَنْ يَشَاءُ» فَلَمَّا كَانَ أَخْذُ اللُّقَطَةِ عَلَى هَذَا الْوَجْهِ مُبَاحًا كَانَ كَذَلِكَ أَيْضًا أَخْذُ الضَّالَّةِ فِي ذَلِكَ وَإِنَّمَا يُكْرَهُ أَخْذُهُمَا جَمِيعًا إِذَا كَانَ يُرَادُ مِنْهُمَا ضِدُّ ذَلِكَ. وَلَقَدِ اسْتَحَبَّ أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ أَخْذَ اللُّقَطَاتِ وَأَنْ لَا يُتْرَكَ لِلسِّبَاعِ.
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬০৮৭
লুক্বতা ও হারানাে পশুসমূহ
৬০৮৭। আলী ইব্‌ন শায়বা ...... সালামা ইব‌্ন কুহায়ল হযরত সুওয়ায়দ ইব‌্ন গাফালা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একবার আমি হজ্জ করার উদ্দেশ্যে বের হলাম। পথে একটা চাবুক পেয়ে আমি তা উঠালাম। তখন যায়দ ইবন সুহান আমাকে বললেন, এটা ফেলে দাও। আমি বললাম, আমি তা হিংস্রদের জন্য ফেলে দেবাে না। আমি অবশ্যই এটা নিব এবং উপকৃত হব। অতঃপর উবাই ইব্ন কা'ব (রাযিঃ)-এর সাথে আমার সাক্ষাত হলাে এবং এ ঘটনা আমি তার নিকট উল্লেখ করলাম। তিনি আমাকে বললেন, ভাল কাজ করেছ। একবার আমি রাসূলুল্লাহ‌্ (ﷺ) -এর যুগে একটা থলে পেয়েছিলাম, যার মধ্যে একশ দীনার ছিল। আমি সেটা উঠিয়ে নিলাম। তারপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট উপস্থিত হয়ে ঘটনাটির উল্লেখ করলাম। তখন তিনি বললেন, এক বছর পর্যন্ত হারানাে প্রাপ্তির ঘােষণা কর। যদি তুমি তাকে পাও যে এটা চেনে, তাকে প্রদান কর। নচেত এরদ্বারা তুমি নিজে উপকৃত হও ।
6087 - فَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ قَالَ: أنا سُفْيَانُ بْنُ سَعِيدٍ الثَّوْرِيُّ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ أَنَّهُ قَالَ: خَرَجْتُ حَاجًّا فَأَصَبْتُ سَوْطًا فَأَخَذْتُهَا. فَقَالَ لِي زَيْدُ بْنُ صُوحَانَ: دَعْهَا فَقُلْتُ: لَا أَدَعُهَا لِلسِّبَاعِ لَآخُذَنَّهَا فَلِأَسْتَنْفِعَنِّ بِهَا. فَلَقِيتُ أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ لِي: لَقَدْ أَحْسَنْتُ فِي ذَلِكَ إِنِّي قَدْ كُنْتُ وَجَدْتُ صُرَّةً فِيهَا مِائَةُ دِينَارٍ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخَذْتُهَا فَذَكَرْتُهَا لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لِي: «عَرِّفْهَا حَوْلًا فَإِنْ وَجَدْتَ مَنْ يَعْرِفُهَا فَادْفَعْهَا إِلَيْهِ وَإِلَّا فَاسْتَنْفِعْ بِهَا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬০৮৮
লুক্বতা ও হারানাে পশুসমূহ
৬০৮৮। আবু বাকরা ...... সালমা ইব্ন কুহায়ল বলেন, আমি সুওয়ায়দ ইব্ন গাফালাকে বলতে শুনেছি, একবার আমি হজ্জ করার উদ্দেশ্যে বের হলাম। অতঃপর পথে একটা চাবুক পেয়ে তা উঠলাম। তখন যায়দ ইব্ন সুহান আমাকে বললেন, এটা রেখে দাও। আমি বললাম, আল্লাহর কসম, আমি হিংস্রদের জন্য রেখে দিব না। আমি অবশ্যই এটা নিব এবং এর দ্বারা উপকৃত হব। অতঃপর হযরত উবাই ইব‌নে কা'ব (রাযিঃ)-এর সাথে আমার সক্ষাত হলে এবং ঘটনাটি তাকে আমি খুলে বললাম। তখন তিনি আমাকে বললেন, তুমি এটা উঠিয়ে ভাল কাজ করেছ। আমি এক বার একটা থলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর যুগে পেয়েছিলাম যার মধ্যে একশ দীনার ছিল। আমি সেটা উঠিয়ে নিলাম ! তা নিয়ে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট উপস্থিত হলাম এবং তার নিকট ঘটনার উল্লেখ করলাম। তখন তিনি আমাকে বললেন, পূর্ণ এক বছর পর্যন্ত হারানাে প্রাপ্তির ঘােষণা করতে থাক। তিনি বলেন, আমি এক বছর পর্যন্ত ঘােষণা করলাম। কিন্তু এটা চেনে এমন কাউকে আমি পেলাম না। অতঃপর পুনরায় আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট তা নিয়ে উপস্থিত হলে তিনি বললেন, যাও, আরাে এক বছর ঘােষণা কর। আমি এক বছর ঘােষণা করলাম। কিন্তু এবারও তার মালিককে আমি পেলাম না। অতঃপর আমি আবারাে তা নিয়ে রসূল্লাহ (ﷺ) -এর দরবারে উপস্থিত হলাম। তখনও তিনি বললেন, আরাে এক বছর তুমি এর ঘােষণা দিতে থাক। কিন্তু এই থলে চেনে এমন, কাউকে আমি পেলাম না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, এর সংখ্যা, এ পাত্র, থলে ও রশি সংরক্ষণ করে রাখ। যদি মালিক আসে তবে তাকে প্রদান কর। নচেত তুমি নিজেই উপকৃত হও! 'বা বলেন, অতঃপর সালামা ইব্ন কুহায়ল এ ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তিনি নিশ্চিত ছিলেন না যে, হযরত উবাই ইব্ন কাব কি তিন বছরের কথা বলেছেন, নাকি এক বছরের কথা বলেছেন। সালামা ইব‌নে ফুহায়ল বলেন, তখন এ হাদীস আমার ভাল লেগেছে। অতঃপর আমি আবু সাদিককে এ কথা বললে তিনি বললেন, আমি ও হযরত উবাই ইব‌নে কা'ব হতে এ হাদীস তদ্রপ শুনেছি, যেমন সুওয়ায়দ ইন গাফালাহ হযরত উবাই ইব‌নে কা'ব (রাযিঃ) হতে শুনেছেন।-হুবহু এক ও অভিন্ন।
6088 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ أَنَّهُ قَالَ: قَدْ سَمِعْتُ سُوَيْدَ بْنَ غَفَلَةَ يَقُولُ: قَدْ كُنْتُ خَرَجْتُ حَاجًّا فَأَصَبْتُ سَوْطًا فَأَخَذْتُهَا. فَقَالَ لِي زَيْدُ بْنُ صُوحَانَ: دَعْهَا عَنْكَ فَقُلْتُ: وَاللهِ لَا أَدَعُهَا لِلسِّبَاعِ وَلَآخُذَنَّهَا فَلِأَسْتَنْفِعَنِّ بِهَا. فَلَقِيتُ أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ فَذَكَرْتُ لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ لِي: لَقَدْ أَحْسَنْتُ فِي أَخْذِهَا فَإِنِّي قَدْ كُنْتُ وَجَدْتُ صُرَّةً فِيهَا مِائَةُ دِينَارٍ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخَذْتُهَا ثُمَّ أَتَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرْتُهَا لَهُ فَقَالَ: «عَرِّفْهَا حَوْلًا كَامِلًا» . قَالَ: فَعَرَّفْتُهَا حَوْلًا فَلَمْ أَجِدْ مَنْ يَعْرِفُهَا. قَالَ: فَأَتَيْتُ بِهَا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «اذْهَبْ فَعَرِّفْهَا حَوْلًا فَعَرَّفْتُهَا حَوْلًا فَلَمْ أَجِدْ مَنْ يَعْرِفُهَا» . ثُمَّ أَتَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «عَرِّفْهَا حَوْلًا» فَعَرَّفْتُهَا حَوْلًا فَلَمْ أَجِدْ مَنْ يَعْرِفُهَا. فَقَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «احْفَظْ عَدَدَهَا وَوِعَاءَهَا وَعِفَاصَهَا وَوِكَاءَهَا , فَإِنْ جَاءَ صَاحِبُهَا وَإِلَّا فَاسْتَمْتِعْ بِهَا» . قَالَ شُعْبَةُ: ثُمَّ إِنَّ سَلَمَةَ بْنَ كُهَيْلٍ شَكَّ فِي ذَلِكَ لَا يَدْرِي أَثَلَاثَةَ أَعْوَامٍ قَالَ فِي الْحَدِيثِ: أَوْ عَامًا وَاحِدًا؟ . قَالَ سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ: فَأَعْجَبَنِي هَذَا الْحَدِيثُ فَقُلْتُ لِأَبِي صَادِقٍ ذَلِكَ فَقَالَ أَبُو صَادِقٍ: وَقَدْ سَمِعْتُ أَنَا ذَلِكَ الْحَدِيثَ أَيْضًا مِنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ كَمَا قَدْ سَمِعَهُ سُوَيْدُ بْنُ غَفَلَةَ مِنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ سَوَاءً
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬০৮৯
লুক্বতা ও হারানাে পশুসমূহ
৬০৮৯। ইবরাহীম ইব্ন আবু দাউদ ..... সালামা ইব‌্ন কুহায়ল হযরত সুওয়ায়দ ইব‌্ন গাফালা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি হযরত উবাই ইব‌্ন কা'ব (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর যুগে একশ দীনার কুড়িয়ে নিলাম। আমি তা নিয়ে রাসূলুল্লাহ‌্ (ﷺ) -এর দরবারে উপস্থিত হয়ে এর উল্লেখ করলাম। তখন তিনি আমাকে বললেন, এক বছর এর ঘােষণা দিতে থাক। অতঃপর আমি এক বছর পর্যন্ত তার ঘােষণা দিলাম। তারপর আমি তার দরবারে উপস্থিত হয়ে তাঁকে বললাম, এক বছর পর্যন্ত এর ঘােষণা দিয়েছি কিন্তু যে ব্যক্তি তার বলে, এমন কাউকে আমি পেলাম না। তখন তিনি বললেন, আরাে এক বছর এর ঘােষণা দাও। আমি আরাে এক বছর ঘােষণা দিলাম। কিন্তু কে যে এর মালিক, তাকে আমি পেলাম না। আমি পুনরায় রাসূলুল্লাহ‌্ (ﷺ) -এর দরবারে উপস্থিত হয়ে বললাম, আমি এক বছর এর ঘােষণা দিয়েছি কিন্তু এমন কাউকে আমি পেলাম যে এই মালটি চিনে। তারপর তিনি আমাকে বললেন, আরাে এক বছর এর ঘােষণা দাও। আমি আরাে এক বছর ঘােষণা দিয়ে কাউকে না পেলে তিনি আমাকে বললেন, এর সংখ্যা এবং রশি চিনে রাখ । তারপর তুমি এ দ্বারা উপকৃত হও।
এ ব্যাপারে হযরত উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে :
6089 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو مَعْمَرٍ الْمِنْقَرِيُّ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَارِثِ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ جُحَادَةَ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ، عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، أَنَّهُ قَالَ: كُنْتُ الْتَقَطْتُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِائَةَ دِينَارٍ فَأَتَيْتُ بِهَا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ لِي: «عَرِّفْهَا سَنَةً» فَعَرَّفْتُهَا سَنَةً ثُمَّ أَتَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ لَهُ: عَرَّفْتُهَا سَنَةً فَلَمْ أَجِدْ مَنْ يَعْرِفُهَا فَقَالَ لِي: «عَرِّفْهَا سَنَةً» فَعَرَّفْتُهَا سَنَةً فَلَمْ أَجِدْ أَحَدًا يَعْرِفُهَا فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ لَهُ: عَرَّفْتُهَا سَنَةً فَلَمْ أَجِدْ مَنْ يَعْرِفُهَا فَقَالَ لِي: «عَرِّفْهَا سَنَةً» فَعَرَّفْتُهَا سَنَةً فَلَمْ أَجِدْ أَحَدًا يَعْرِفُهَا فَقَالَ لِي: «اعْلَمْ عَدَدَهَا وَوِكَاءَهَا ثُمَّ اسْتَمْتِعْ بِهَا»
وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي ذَلِكَ أَيْضًا مَا قَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান