শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১৪. উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
হাদীস নং: ৫৮২২
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
হেবা প্রত্যাহার প্রসঙ্গ
৫৮২২। ফাহদ ইবন সুলায়মান ….. হযরত ইবন আব্বাস (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে বর্ণনা করেন, আমাদের জন্য একটি খারাপ উদাহরণ দেয়া ঠিক নয়, তবু বলছি যে ব্যক্তি তার হেবা করা বস্তু ফিরিয়ে নেয়, সে ঐ কুকুরের মত যে বমি করে তা পুনরায় ফিরিয়ে নেয়।
হাদীসটি ইমাম বুখারী বর্ণনা করেছেন।
হাদীসটি ইমাম বুখারী বর্ণনা করেছেন।
كتاب الهبة والصدقة
5822 - فَإِذَا فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَيْسَ لَنَا مَثَلُ السُّوءِ الرَّاجِعُ فِي هِبَتِهِ كَالْكَلْبِ يَعُودُ فِي قَيْئِهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫৮২৫
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
হেবা প্রত্যাহার প্রসঙ্গ
৫৮২৪-২৫। আবু বাকরা ……. হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে (দুটি সূত্রে) এবং তারা উভয়ই নবী ﷺ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তার দান করা বস্তু ফিরিয়ে নেয়, সে ঐ কুকুরের ন্যায় যে খেয়ে তৃপ্ত হবার পর বমি করে, অতঃপর পুনরায় তা খেয়ে ফেলে।
রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে তার এ ধরনের বক্তব্য অন্য অর্থেও বর্ণিত হয়েছে।
এ হাদীসের রাবী আওন ইবন আবী জামীলা। তিনি আ'রাবী নামে খ্যাত। তিনি একজন বিশ্বস্ত রাবী। ইমাম আহমদ তার মুসনাদ গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে তার এ ধরনের বক্তব্য অন্য অর্থেও বর্ণিত হয়েছে।
এ হাদীসের রাবী আওন ইবন আবী জামীলা। তিনি আ'রাবী নামে খ্যাত। তিনি একজন বিশ্বস্ত রাবী। ইমাম আহমদ তার মুসনাদ গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
كتاب الهبة والصدقة
5824 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ قَالَ ثنا عَوْفٌ عَنِ الْحَسَنِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ح
5825 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا رَوْحٌ قَالَ: ثنا عَوْفٌ عَنْ خِلَاسِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَثَلُ الَّذِي يَعُودُ فِي عَطَائِهِ كَمَثَلِ الْكَلْبِ أَكَلَ حَتَّى إِذَا شَبِعَ قَاءَ ثُمَّ عَادَ فِي قَيْئِهِ فَأَكَلَهُ» وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلُ هَذَا الْكَلَامِ فِي مَعْنًى غَيْرِ هَذَا الْمَعْنَى
5825 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا رَوْحٌ قَالَ: ثنا عَوْفٌ عَنْ خِلَاسِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَثَلُ الَّذِي يَعُودُ فِي عَطَائِهِ كَمَثَلِ الْكَلْبِ أَكَلَ حَتَّى إِذَا شَبِعَ قَاءَ ثُمَّ عَادَ فِي قَيْئِهِ فَأَكَلَهُ» وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلُ هَذَا الْكَلَامِ فِي مَعْنًى غَيْرِ هَذَا الْمَعْنَى
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮২৫
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
empty
৫৮২৫।
كتاب الهبة والصدقة
5825 -
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮২৬
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
হেবা প্রত্যাহার প্রসঙ্গ
৫৮২৬। নসর ইবন মারযূক ও ইবন আবু দাউদ …… হযরত আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ) বলতেন, হযরত উমর (রাযিঃ) একবার একটা ঘোড়া আল্লাহর রাহে সদকা করলেন কিন্তু পরে তিনি দেখলেন, ঘোড়াটা বিক্রয় করা হচ্ছে। তখন তিনি সেটা ক্রয় করার ইচ্ছা করলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট আগমন করে এ ব্যাপারে তার পরামর্শ প্রার্থনা করলেন। তিনি তাকে বললেন : তুমি তোমার দেয়া সাদকার মাল ফিরিয়ে নিও না। আর এ কারনেই হযরত ইবন উমর (রাযিঃ) যে মাল সাদকা করেছেন সে মাল তাকে ক্রয় করতে দেখা যেত না।
হাদীসের রাবী উকাইল ইবন খালিদ একজন বিশ্বস্ত রাবী। হাদীসটি ইমাম মুসলিম ও নাসাঈ (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন।
হাদীসের রাবী উকাইল ইবন খালিদ একজন বিশ্বস্ত রাবী। হাদীসটি ইমাম মুসলিম ও নাসাঈ (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন।
كتاب الهبة والصدقة
5826 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ وَابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَا: ثنا أَبُو صَالِحٍ قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ: حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللهِ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يُحَدِّثُ أَنَّ عُمَرَ تَصَدَّقَ [ص:79] بِفَرَسٍ فِي سَبِيلِ اللهِ فَوَجَدَهُ يُبَاعُ بَعْدَ ذَلِكَ فَأَرَادَ أَنْ يَشْتَرِيَهُ فَأَتَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْتَأْمَرَهُ فِي ذَلِكَ. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَعُدْ فِي صَدَقَتِكَ» فَلِذَلِكَ كَانَ ابْنُ عُمَرَ لَا يَرَى أَنْ يَبْتَاعَ مَالًا جَعَلَهُ صَدَقَةً
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮২৭
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
হেবা প্রত্যাহার প্রসঙ্গ
৫৮২৭। ইউনুস …. যায়দ ইবন আসলাম তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একবার আমি হযরত উমর (রাযিঃ) কে বলতে শুনলাম : আমি আল্লাহর রাহে বাহনের জন্য একটা ঘোড়া দান করলাম কিন্তু ঘোড়াটা যার নিকট ছিল সে তাকে ধ্বংস করার উপক্রম হলো। অতএব আমি সেটা ক্রয় করার ইচ্ছা করলাম। আর আমার ধারণা হলো, সে সস্তায় বিক্রয় করবে। আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর নিকট এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি আমাকে বললেন : তুমি সেটা ক্রয় করো না, সে তোমাকে এক দিরহাম দিলেও না। কারন সাদকা দেয়ার পর যে ব্যক্তি তা পুনরায় গ্রহণ করে, সে ঐ কুকুরের মত, যে তার বমি পুনরায় গ্রহণ করে।
হাদীসটি ইমাম মালিক, মুসলিম ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।
হাদীসটি ইমাম মালিক, মুসলিম ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।
كتاب الهبة والصدقة
5827 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ حَمَلْتُ عَلَى فَرَسٍ فِي سَبِيلِ اللهِ فَأَضَاعَهُ الَّذِي كَانَ عِنْدَهُ فَأَرَدْتُ أَنْ أَبْتَاعَهُ مِنْهُ وَظَنَنْتُ أَنَّهُ بَائِعُهُ بِرُخْصٍ هُوَ ضِدُّ الْغَلَاءِ. فَسَأَلْتُ عَنْ ذَلِكَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «لَا تَبْتَعْهُ وَإِنْ أَعْطَاكَهُ بِدِرْهَمٍ وَاحِدٍ وَلَا تَعُدْ فِي صَدَقَتِكَ فَإِنَّ الْعَائِدَ فِي صَدَقَتِهِ كَالْكَلْبِ يَعُودُ فِي قَيْئِهِ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮২৮
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
হেবা প্রত্যাহার প্রসঙ্গ
৫৮২৮। ইসমাঈল ইবন ইয়াহয়া …. যায়দ ইবন আসলাম তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি হযরত উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, একবার তিনি বাজারে একটা ঘোড়া বিক্রয় হতে দেখলেন। বস্তুত তিনিই ঘোড়াটা সদকা করেছিলেন। অতঃপর তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে জিজ্ঞেস করলেন, আমি কি ঘোড়াটা ক্রয় করতে পারি? তিনি বললেন : তুমি এটা ক্রয় করো না এবং ওর কোন বাচ্চাও ক্রয় করো না।
হাদীসটি ইমাম বায়হাকী বর্ণনা করেছেন।
এ হাদীস দ্বারা প্রকাশ, রাসূলুল্লাহ ﷺ হযরত উমর (রাযিঃ) কে ঐ ঘোড়া ক্রয় করতে নিষেধ করলেন, যা তিনি সদকা করেছিলেন। এমনকি তার কোন বাচ্চাও ক্রয় করতে নিষেধ করলেন। যদি তিনি এমন করেন, তবে তাকে ঐ কুকুরের মত সাব্যস্ত করলেন যে বমি করে পুনরায় তা গ্রহন করে। এ ক্ষেত্রে কিন্তু হাদীসটি সাদকাকারীর জন্য সদকার মাল ক্রয় করা হারাম করেনি। তবে তার জন্য ক্রয় না করা উত্তম। অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে হেবার মাল ফিরিয়ে নেবার ব্যাপারে যে হাদীস বর্ণনা করেছি, তাও হেবার মাল ফিরিয়ে নেয়াকে হারাম প্রমাণ করে না। তবে ফিরিয়ে না নেয়া উত্তম। আর এ ব্যাপারে নিম্নোক্ত হাদীস প্রণিধানযোগ্য :
হাদীসটি ইমাম বায়হাকী বর্ণনা করেছেন।
এ হাদীস দ্বারা প্রকাশ, রাসূলুল্লাহ ﷺ হযরত উমর (রাযিঃ) কে ঐ ঘোড়া ক্রয় করতে নিষেধ করলেন, যা তিনি সদকা করেছিলেন। এমনকি তার কোন বাচ্চাও ক্রয় করতে নিষেধ করলেন। যদি তিনি এমন করেন, তবে তাকে ঐ কুকুরের মত সাব্যস্ত করলেন যে বমি করে পুনরায় তা গ্রহন করে। এ ক্ষেত্রে কিন্তু হাদীসটি সাদকাকারীর জন্য সদকার মাল ক্রয় করা হারাম করেনি। তবে তার জন্য ক্রয় না করা উত্তম। অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে হেবার মাল ফিরিয়ে নেবার ব্যাপারে যে হাদীস বর্ণনা করেছি, তাও হেবার মাল ফিরিয়ে নেয়াকে হারাম প্রমাণ করে না। তবে ফিরিয়ে না নেয়া উত্তম। আর এ ব্যাপারে নিম্নোক্ত হাদীস প্রণিধানযোগ্য :
كتاب الهبة والصدقة
5828 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُمَرَ، أَنَّهُ أَبْصَرَ فَرَسًا تُبَاعُ فِي السُّوقِ وَكَانَ تَصَدَّقَ بِهِ فَسَأَلَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَشْتَرِيهِ؟ . فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَشْتَرِهِ وَلَا شَيْئًا مِنْ نِتَاجِهِ أَيْ مِمَّا يُنْتِجُهُ مِنَ الْوَلَدِ» فَمَنَعَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنْ يَبْتَاعَ مَا كَانَ تَصَدَّقَ بِهِ أَوْ شَيْئًا مِنْ نِتَاجِهِ وَجَعَلَهُ إِنْ فَعَلَ ذَلِكَ كَالْكَلْبِ يَعُودُ فِي قَيْئِهِ. فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ بِمُوجِبِ حُرْمَةِ ابْتِيَاعِ الصَّدَقَةِ عَلَى الْمُتَصَدِّقِ بِهَا وَلَكِنْ تَرْكُ ذَلِكَ أَفْضَلُ لَهُ. فَكَذَلِكَ مَا ذَكَرْنَا قَبْلَ هَذَا لِمَا ذُكِرَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الرُّجُوعِ فِي الْهِبَةِ لَيْسَ عَلَى تَحْرِيمِ ذَلِكَ سَوَاءٌ وَلَكِنَّهُ لِأَنَّ تَرْكَهُ أَفْضَلُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৩১
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
হেবা প্রত্যাহার প্রসঙ্গ
৫৮৩১। ইউনুস …… আমর ইবন শুআয়ব তার পিতার মাধ্যমে তার পিতামহ থেকে বর্ণনা করেন, একবার একব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর নিকট এসে বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ! আমি আমার আম্মাকে একটি বাগান দান করেছিলাম কিন্তু তিনি ইন্তিকাল করেছেন এবং আমি ব্যতীত অন্য কোন ওয়ারিস রেখে যান নি। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বললেন : তোমার সদকা সম্পন্ন হয়েছে এবং তোমার (আম্মার ইন্তিকালের কারনে ওয়ারিস হিসেবে) বাগানটি তোমার নিকট ফিরে এসেছে।
হাদীসে রাবী উবাইদুল্লাহ ইবন আমর সম্পর্কে আল্লামা আইনী বলেন : আসলে তিনি উবাইদুল্লাহ ইবন উমর ইবন আমর মায়সারা আল-কাওয়ারীরি। আমি (محشى) বলি, তিনি উবাইদুল্লাহ ইবন আমর ইবন আবিল ওয়ালীদ আর-রুক্কী। বস্তুত উবাইদুল্লাহ -এর পিতা আমর, উমর নন।
আবু জাফর (রাহঃ) বলেন, আপনি দেখেছেন না যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ সদকা প্রদানকারীর জন্য তার সদকা মুবাহ করেছেন, যখন মীরাসের মাধ্যমে তা তার নিকট প্রত্যাবর্তন করেছে। অপরদিকে হযরত উমর (রাযিঃ) কে তার সদকার মাল ক্রয় করতে তিনি নিষেধ করেছেন।
এ দুটি হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হলো, আল্লাহ পাকের ব্যবস্থাপনায় যে সদকার মাল সদকা প্রদানকারীর নিকট ফিরে আসে, তা তো সদকা প্রদানকারীর জন্য হালাল। কিন্তু সদকা প্রদানকারীর নিজস্ব কাজের মাধ্যমে ফিরে এলে তা তার জন্য মাকরূহ। অনুরূপভাবে পিতার প্রয়োজন ও দারিদ্র্যের কারণে পুত্রের মাল হতে তার ব্যয় বহন করা যে ওয়াজিব, এটা আল্লাহপাকই পিতার জন্য পুত্রের উপর ওয়াজিব করেছেন বলে ওয়াজিব হয়েছে। আর এ কারনেই নবী ﷺ পিতার জন্য তার হেবার মাল ফিরিয়ে নেয়া এবং নিজের জন্য তা ব্যয় করা মুবাহ করেছেন। আর মীরাসের মাধ্যমে কারো দান করা মাল পুনরায় তার মালিকানায় ফিরে আসার সাথে এর তুলনা করেছেন। তার প্রদান করা সদকার মাল কিংবা হিবা করা মাল, ক্রয় করার মাধ্যমে এবং হেবার মাল নেয়ার মাধ্যমে ফিরিয়ে নেবার সাথে তুলনা করেন নি। যদি কেউ এ প্রশ্ন করে যে, নবী ﷺ তো এ হাদীসে অন্যান্য সমস্ত হেবাকারীর মধ্য হতে শুধু হেবাকারী পিতাকেই খাস করেছেন। অতএব এক্ষেত্রে তো পুত্র পিতাকে যে হেবা করে, তার হুকুম, পিতা পুত্রকে যে হেবা করে তার হুকুম হতে আলাদা হবে।
তার এ প্রশ্নের জবাবে বলা হবে, এ ব্যাপারে পিতা পুত্র উভয়ের হুকুম সমান। আমরা যে কারন উল্লেখ করেছি, তার ওপর ভিত্তি করে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর (পিতা-পুত্রের) কোন একজনকে উল্লেখ করাই উভয়কে উল্লেখ করা এবং আরো যারা এদের হুকুম শামিল, তাদের সকলের পক্ষ হতে যথেষ্ট।
আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন :
حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ اُمَّهَاتُكُمْ وَبَنَاتُكُمْ وَاَخَوَاتُكُمْ وَخَالاتُكُمْ وَبَنَاتُ الاخِ وَبِنَاتُ الاُخْتُ -
অর্থাৎ "তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে তোমাদের মা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের ভগ্নি, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, তোমাদের ভাতিজি, তোমাদের ভগ্নি।"
এ আয়াতে এ সমস্ত বংশীয় মহিলাকে হারাম করা হয়েছে। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন :
وَاُمَّهَاتُكُمُ اللَّاتِىْ اَرْضَعْنَكُمْ وَاَخَوَاتُكُمْ مِّنَ الرَّضَاعَةِ -
অর্থাৎ "তোমাদের ঐ সকল মা-ও, যারা তোমাদেরকে দুধপান করিয়েছে এবং তোমাদের দুধে শরীক বোন (তোমাদের ওপর হারাম করা হয়েছে)। " স্তন্যদানের মাধ্যমে যাদেরকে হারাম করা হয়েছে, তাদের মধ্য হতে কেবল এ দুজনকে উল্লেখ করা হয়েছে। وامهاتكم الخ এর উল্লেখ করা এ কথারই প্রমাণ যে, নসবের মাধ্যমেই যাদেরকে হারাম করা হয়েছে, رضأعات এর হুকুমে তারা সকলেই সমান। আর তাদের এ দুজনের হারাম হবার কথা উল্লেখ করে অবশিষ্ট সকলের উল্লেখ করার প্রয়োজন সম্পন্ন করেছে। যখন তাদের সকলকে নসবের মাধ্যমে হারাম ঘোষণার মধ্যে একত্র করা হয়েছে এবং সকলের হুকুম এক ও অভিন্ন করা হয়েছে, সুতরাং তাদের কতিপয়কে আয়াতে رضاعت এর মাধ্যমে হারাম ঘোষণা করাও এ কথাই প্রমাণ করে যে, তাদের সকলের হুকুমই এক ও অভিন্ন।
অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন এ কথা বলেছেন যে, "কোন ব্যক্তির জন্য তার হেবাকরা বস্তু ফিরিয়ে নেয়া হালাল নয়" তখন তার এ ঘোষণা সকল হেবাকারীকে শামিল করেছে। তারপর যখন তিনি এ কথা বলেছেন,
"পিতা তার পুত্র হতে বিশেষ কারণে তার দেয়া হেবার মাল ফিরিয়ে নিতে পারবে", তখন এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, অন্যান্য যে সমস্ত হেবাকারী আছে, তারাও অনুরূপভাবে আল্লাহ তা'আলার ফিরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে তাদের হেবার মাল ফিরিয়ে নিতে পারবে। আর শুধু পিতার উল্লেখ করে আরো যারা আছে, তাদের উল্লেখ করার প্রয়োজন সম্পন্ন করেছেন। অতএব এ রিওয়ায়াতসমূহে এমন কিছু নেই, যা এ কথা প্রমাণ করে যে, হেবাকারী তার হেবার চুক্তি ভঙ্গ করে হেবা করা মাল ফিরিয়ে নিতে পারে, পূর্বের মালিকানা অধিগ্রহণ করতে পারে। কিন্তু পরে আমরা এদিকে দৃষ্টিপাত করেছি যে, সাহাবা-ই কিরাম হতে বর্ণিত রিওয়ায়াতসমূহে এ ব্যাপারে আমরা কিছু পাই কি না। তখন আমরা দেখতে পাই :
হাদীসে রাবী উবাইদুল্লাহ ইবন আমর সম্পর্কে আল্লামা আইনী বলেন : আসলে তিনি উবাইদুল্লাহ ইবন উমর ইবন আমর মায়সারা আল-কাওয়ারীরি। আমি (محشى) বলি, তিনি উবাইদুল্লাহ ইবন আমর ইবন আবিল ওয়ালীদ আর-রুক্কী। বস্তুত উবাইদুল্লাহ -এর পিতা আমর, উমর নন।
আবু জাফর (রাহঃ) বলেন, আপনি দেখেছেন না যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ সদকা প্রদানকারীর জন্য তার সদকা মুবাহ করেছেন, যখন মীরাসের মাধ্যমে তা তার নিকট প্রত্যাবর্তন করেছে। অপরদিকে হযরত উমর (রাযিঃ) কে তার সদকার মাল ক্রয় করতে তিনি নিষেধ করেছেন।
এ দুটি হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হলো, আল্লাহ পাকের ব্যবস্থাপনায় যে সদকার মাল সদকা প্রদানকারীর নিকট ফিরে আসে, তা তো সদকা প্রদানকারীর জন্য হালাল। কিন্তু সদকা প্রদানকারীর নিজস্ব কাজের মাধ্যমে ফিরে এলে তা তার জন্য মাকরূহ। অনুরূপভাবে পিতার প্রয়োজন ও দারিদ্র্যের কারণে পুত্রের মাল হতে তার ব্যয় বহন করা যে ওয়াজিব, এটা আল্লাহপাকই পিতার জন্য পুত্রের উপর ওয়াজিব করেছেন বলে ওয়াজিব হয়েছে। আর এ কারনেই নবী ﷺ পিতার জন্য তার হেবার মাল ফিরিয়ে নেয়া এবং নিজের জন্য তা ব্যয় করা মুবাহ করেছেন। আর মীরাসের মাধ্যমে কারো দান করা মাল পুনরায় তার মালিকানায় ফিরে আসার সাথে এর তুলনা করেছেন। তার প্রদান করা সদকার মাল কিংবা হিবা করা মাল, ক্রয় করার মাধ্যমে এবং হেবার মাল নেয়ার মাধ্যমে ফিরিয়ে নেবার সাথে তুলনা করেন নি। যদি কেউ এ প্রশ্ন করে যে, নবী ﷺ তো এ হাদীসে অন্যান্য সমস্ত হেবাকারীর মধ্য হতে শুধু হেবাকারী পিতাকেই খাস করেছেন। অতএব এক্ষেত্রে তো পুত্র পিতাকে যে হেবা করে, তার হুকুম, পিতা পুত্রকে যে হেবা করে তার হুকুম হতে আলাদা হবে।
তার এ প্রশ্নের জবাবে বলা হবে, এ ব্যাপারে পিতা পুত্র উভয়ের হুকুম সমান। আমরা যে কারন উল্লেখ করেছি, তার ওপর ভিত্তি করে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর (পিতা-পুত্রের) কোন একজনকে উল্লেখ করাই উভয়কে উল্লেখ করা এবং আরো যারা এদের হুকুম শামিল, তাদের সকলের পক্ষ হতে যথেষ্ট।
আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন :
حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ اُمَّهَاتُكُمْ وَبَنَاتُكُمْ وَاَخَوَاتُكُمْ وَخَالاتُكُمْ وَبَنَاتُ الاخِ وَبِنَاتُ الاُخْتُ -
অর্থাৎ "তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে তোমাদের মা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের ভগ্নি, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, তোমাদের ভাতিজি, তোমাদের ভগ্নি।"
এ আয়াতে এ সমস্ত বংশীয় মহিলাকে হারাম করা হয়েছে। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন :
وَاُمَّهَاتُكُمُ اللَّاتِىْ اَرْضَعْنَكُمْ وَاَخَوَاتُكُمْ مِّنَ الرَّضَاعَةِ -
অর্থাৎ "তোমাদের ঐ সকল মা-ও, যারা তোমাদেরকে দুধপান করিয়েছে এবং তোমাদের দুধে শরীক বোন (তোমাদের ওপর হারাম করা হয়েছে)। " স্তন্যদানের মাধ্যমে যাদেরকে হারাম করা হয়েছে, তাদের মধ্য হতে কেবল এ দুজনকে উল্লেখ করা হয়েছে। وامهاتكم الخ এর উল্লেখ করা এ কথারই প্রমাণ যে, নসবের মাধ্যমেই যাদেরকে হারাম করা হয়েছে, رضأعات এর হুকুমে তারা সকলেই সমান। আর তাদের এ দুজনের হারাম হবার কথা উল্লেখ করে অবশিষ্ট সকলের উল্লেখ করার প্রয়োজন সম্পন্ন করেছে। যখন তাদের সকলকে নসবের মাধ্যমে হারাম ঘোষণার মধ্যে একত্র করা হয়েছে এবং সকলের হুকুম এক ও অভিন্ন করা হয়েছে, সুতরাং তাদের কতিপয়কে আয়াতে رضاعت এর মাধ্যমে হারাম ঘোষণা করাও এ কথাই প্রমাণ করে যে, তাদের সকলের হুকুমই এক ও অভিন্ন।
অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন এ কথা বলেছেন যে, "কোন ব্যক্তির জন্য তার হেবাকরা বস্তু ফিরিয়ে নেয়া হালাল নয়" তখন তার এ ঘোষণা সকল হেবাকারীকে শামিল করেছে। তারপর যখন তিনি এ কথা বলেছেন,
"পিতা তার পুত্র হতে বিশেষ কারণে তার দেয়া হেবার মাল ফিরিয়ে নিতে পারবে", তখন এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, অন্যান্য যে সমস্ত হেবাকারী আছে, তারাও অনুরূপভাবে আল্লাহ তা'আলার ফিরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে তাদের হেবার মাল ফিরিয়ে নিতে পারবে। আর শুধু পিতার উল্লেখ করে আরো যারা আছে, তাদের উল্লেখ করার প্রয়োজন সম্পন্ন করেছেন। অতএব এ রিওয়ায়াতসমূহে এমন কিছু নেই, যা এ কথা প্রমাণ করে যে, হেবাকারী তার হেবার চুক্তি ভঙ্গ করে হেবা করা মাল ফিরিয়ে নিতে পারে, পূর্বের মালিকানা অধিগ্রহণ করতে পারে। কিন্তু পরে আমরা এদিকে দৃষ্টিপাত করেছি যে, সাহাবা-ই কিরাম হতে বর্ণিত রিওয়ায়াতসমূহে এ ব্যাপারে আমরা কিছু পাই কি না। তখন আমরা দেখতে পাই :
كتاب الهبة والصدقة
5831 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَجُلًا، أَتَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي أَعْطَيْتُ أُمِّي حَدِيقَةً وَإِنَّهَا مَاتَتْ وَلَمْ تَتْرُكْ وَارِثًا غَيْرِي. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَجَبَتْ صَدَقَتُكَ وَرَجَعَتْ إِلَيْكَ حَدِيقَتُكَ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: أَفَلَا تَرَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَبَاحَ لِلْمُتَصَدِّقِ صَدَقَتَهُ لَمَّا رَجَعَتْ إِلَيْهِ بِالْمِيرَاثِ وَمَنَعَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِنِ ابْتِيَاعِ صَدَقَتِهِ. فَثَبَتَ بِهَذَيْنِ الْحَدِيثَيْنِ إِبَاحَةُ الصَّدَقَةِ الرَّاجِعَةِ إِلَى الْمُتَصَدِّقِ بِفِعْلِ اللهِ وَكَرَاهَةُ الصَّدَقَةِ الرَّاجِعَةِ إِلَيْهِ بِفِعْلِ نَفْسِهِ. فَكَذَلِكَ وُجُوبُ النَّفَقَةِ لِلْأَبِ عَنْ مَالِ الِابْنِ لِحَاجَتِهِ وَفَقْرِهِ وَجَبَتْ لَهُ بِإِيجَابِ اللهِ تَعَالَى إِيَّاهَا لَهُ. فَأَبَاحَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ ارْتِجَاعَ هِبَتِهِ وَإِنْفَاقَهَا عَلَى نَفْسِهِ وَجَعَلَ ذَلِكَ كَمَا رَجَعَ إِلَيْهِ بِالْمِيرَاثِ لَا كَمَا رَجَعَ إِلَيْهِ بِالِابْتِيَاعِ وَالِارْتِجَاعِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَقَدْ خَصَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ الْوَالِدَ الْوَاهِبَ دُونَ سَائِرِ الْوَاهِبِينَ. أَفَيَكُونُ حُكْمُ الْوَلَدِ فِيمَا وَهَبَ لِأَبِيهِ خِلَافَ حُكْمِ الْوَالِدِ فِيمَا وَهَبَ لِوَلَدِهِ؟ قِيلَ لَهُ: بَلْ حُكْمُهُمَا فِي هَذَا سَوَاءٌ فَذِكْرُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَدَهُمَا عَلَى الْمَعْنَى الَّذِي ذَكَرْنَا يُجْزِئُ مِنْ ذِكْرِهِ إِيَّاهُمَا وَمِنْ ذِكْرِ غَيْرِهِمَا مِمَّنْ حُكْمُهُ فِي هَذَا مِثْلُ حُكْمِهِمَا. وَقَدْ قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ وَبَنَاتُكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ وَعَمَّاتُكُمْ وَخَالَاتُكُمْ وَبَنَاتُ الْأَخِ وَبَنَاتُ الْأُخْتِ} [النساء: 23] . فَحَرَّمَ هَؤُلَاءِ جَمِيعًا بِالْأَنْسَابِ. ثُمَّ قَالَ {وَأُمَّهَاتُكُمُ اللَّاتِي أَرْضَعْنَكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ مِنَ الرَّضَاعَةِ} [النساء: 23] وَلَمْ يَذْكُرْ فِي التَّحْرِيمِ بِالرَّضَاعَةِ غَيْرَ هَاتَيْنِ. [ص:81] فَكَانَ ذِكْرُهُ ذَلِكَ دَلِيلًا عَلَى أَنَّ سَائِرَ مَنْ حُرِّمَ بِالنَّسَبِ فِي حُكْمِ الرَّضَاعِ سَوَاءٌ وَأَغْنَاهُ ذِكْرُ هَاتَيْنِ بِالتَّحْرِيمِ بِالرَّضَاعِ عَنْ ذِكْرِ مَنْ سِوَاهُمَا فِي ذَلِكَ إِذْ كَانَ قَدْ جَمَعَ بَيْنَهُنَّ فِي التَّحْرِيمِ بِالْأَنْسَابِ فَجَعَلَ حُكْمَهُنَّ حُكْمًا وَاحِدًا. فَدَلَّ تَحْرِيمُهُ بَعْضَهُنَّ أَيْضًا بِالرَّضَاعِ أَنَّ حُكْمَهُنَّ فِي ذَلِكَ حُكْمٌ وَاحِدٌ. فَكَذَلِكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا قَالَ لَا يَحِلُّ لِأَحَدٍ أَنْ يَرْجِعَ فِي هِبَتِهِ فَعَمَّ بِذَلِكَ النَّاسَ جَمِيعًا. ثُمَّ قَالَ إِلَّا الْوَالِدُ لِوَلَدِهِ عَلَى الْمَعْنَى الَّذِي ذَكَرْنَا دَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ مَنْ سِوَى الْوَالِدِ مِنَ الْوَاهِبِينَ فِي رُجُوعِ الْهِبَاتِ إِلَيْهِمْ يُرِدِ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ إِيَّاهَا كَذَلِكَ وَأَغْنَاهُ ذِكْرُ بَعْضِهِمْ عَنْ ذِكْرِ سَائِرِهِمْ. فَلَمْ يَكُنْ فِي شَيْءٍ مِنْ هَذِهِ الْآثَارِ مَا يَدُلُّنَا عَلَى أَنَّ لِلْوَاهِبِ أَنْ يَرْجِعَ فِي هِبَتِهِ بِنَقْضِهِ إِيَّاهَا حَتَّى يَأْخُذَهَا مِنَ الْمَوْهُوبِ لَهُ وَيَرُدَّهَا إِلَى مِلْكِهِ الْمُتَقَدِّمِ الَّذِي أَخْرَجَهَا مِنْهُ بِالْهِبَةِ. فَنَظَرْنَا هَلْ نَجِدُ فِيمَا رُوِيَ عَنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ شَيْئًا.
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৮৩২
উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায়
হেবা প্রত্যাহার প্রসঙ্গ
৫৮৩২। ইবরাহীম ইবন মারযূক …. হযরত ইবন উমর (রাযিঃ) বলেন, আমি উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কাউকে কোন হেবা করে, সে তার সে হেবার মালের অধিক হকদার, যাবত না তার কোন বিনিময় প্রদান করা হয়, যাতে সে সন্তুষ্ট হয়ে যায়।
كتاب الهبة والصدقة
5832 - فَإِذَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا مَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: ثنا حَنْظَلَةُ عَنْ سَالِمٍ قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ يَقُولُ: سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَقُولُ مَنْ وَهَبَ هِبَةً فَهُوَ أَحَقُّ بِهَا حَتَّى يُثَابَ مِنْهَا بِمَا يَرْضَى
তাহকীক: