শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১৪. উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং : ৫৮২১
হেবা প্রত্যাহার (কাউকে কিছু দিয়ে তা ফিরিয়ে নেয়া) প্রসঙ্গে।
5821 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا حَجَّاجُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْأَزْرَقُ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عُمَرَ، قَالَ مَنْ وَهَبَ هِبَةً لِذِي رَحِمٍ جَازَتْ وَمَنْ وَهَبَ هِبَةً لِغَيْرِ ذِي رَحِمٍ مَحْرَمٍ لَهُ فَهُوَ أَحَقُّ بِهَا مَا لَمْ يُثَبْ مِنْهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং : ৫৮২১
অধ্যায়: হেবা ও সদকা পর্ব
হেবা প্রত্যাহার প্রসঙ্গ
হেবা প্রত্যাহার প্রসঙ্গ
৫৮২১। ইবরাহীম ইবন মারযূক …. সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব হযরত ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেন : যে ব্যক্তি হেবা করে তা ফিরিয়ে নেয়, সে ঐ ব্যক্তির মত যে বমি করে (মুখের মধ্যে) ফিরিয়ে নেয়।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা তাউস ইবন কায়সান, ইকরিমা, শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক উদ্দেশ্য।
আলোচনা : আবু জাফর (রাহঃ) বলেন : উলামা-ই কিরামের একটি দল এ মত পোষণ করেন যে, হেবাকারীর জন্য তার হেবা করা বস্তু ফিরিয়ে নেয়া জায়েয নয়। তারা উল্লেখিত হাদীস প্রমান হিসেবে পেশ করেন। তারা বলেন : রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন হেবা করে ফিরিয়ে নেয়াকে বমি করে তা ফিরিয়ে নেয়ার সমতুল্য বলে উল্লেখ করেছেন। অথচ বমি করে তা পুনরায় (মুখের মধ্যে) ফিরিয়ে নেয় তার জন্য হারাম। সুতরাং হেবা করে তার পুনরায় ফিরিয়ে নেয়াও হারাম হবে।
অপর পক্ষে উলামা-ই কিরামের অন্য একটি দল এর বিপরীত মত পোষন করেন। তারা বলেন, হেবাকারীর জন্য তার হেবা করা মাল পুনরায় ফিরিয়ে নেয়া জায়েয আছে (১) যদি তা অপরিবর্তিত অবস্থায় বহাল থাকে, (২) যদি তা নষ্ট করে ফেলা না হয়ে থাকে, (৩) এবং তার যদি তার মধ্যে কোন বৃদ্ধিও না করা হয়ে থাকে, (৪) যাকে হেবা করা হয়েছে সে তার কোন 'মাহরাম' (রক্ত সম্পর্কিত ঘনিষ্ট আত্নীয়)-ও নয়, (৫) এবং হেবা করার পর সে কোন বিনিময়ও গ্রহণ করে নি। যাকে হেবা করা হয়েছে সে যদি হেবাকারীকে কোন বিনিময় দান করে থাকে এবং হেবাকারী বিনিময় গ্রহন করে থাকে অথবা যাকে হেবা করা হয়েছে সে যদি হেবাকারীর কোন 'মাহরাম' হয়ে থাকে, তবে হেবাকারীর জন্য তার হেবা করা বস্তু ফিরিয়ে নেয়া জায়েয হবে না। আর যদি হেবাকারী হেবাকৃত ব্যক্তির মাহরাম' না হয়, তবে কোন মহিলা তার স্বামীকে কিংবা স্বামী তার স্ত্রীকে হেবা করলে তারা দু'জনই এ ক্ষেত্রে 'মাহরাম'-এর মতই। তাদের কারো পক্ষেই ঐ মাল ফিরিয়ে নেয়া জায়েয নয় যা সে তার সাথীকে হেবা করেছে। আর এ ব্যাপারে তাদের দলীল হলো, রাসূলুল্লাহ ﷺ হেবা করার পর যে ব্যক্তি পুনরায় তা ফিরিয়ে নেয় তাকে তার সমতুল্য করেছেন যে বমি করার পর তা পুনরায় মুখে ফিরিয়ে নেয়। তবে তিনি একথা স্পষ্ট করেননি যে, সে কে, যে তার বমি ফিরিয়ে নেয়? এখানে এ সম্ভাবনা আছে যে, সে হলো ঐ মানুষটি, যে তার নিজের বমি পুনরায় মুখে ফিরিয়ে নেয়। সে ক্ষেত্রে তিনি হেবার মাল যে ব্যক্তি ফিরিয়ে নিল তাকে ঐ ব্যক্তির সমতুল্য সাব্যস্ত করলেন, যে ব্যক্তি হারাম বস্তু ফিরিয়ে নিল। অতএব এ হাদীস দ্বারা যারা প্রথম বক্তব্য পেশ করেছেন, তাদের মত প্রমাণিত হলো।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম হলেন, সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব, উমর ইবন আব্দুল আযীয, শুরায়হ আল- কাযী, আসওয়াদ ইবন ইয়াযীদ, হাসান বসরী, আমের আশ-শা'বী, ইমাম আবু হানীফা আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)। অতঃপর তিনি বলেন : এ মত হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব, ফুযালা ইবন উবায়দ ও হযরত আলী ইবন আবী তালিব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত।
আর এ সম্ভাবনা আছে যে, তিনি কুকুরকেই উদ্দেশ্য করেছেন, যে কুকুর বমি করে তার বমি পুনরায় মুখে ফিরিয়ে নেয় অথচ কুকুর তো আর হারাম-হালালের মুকাল্লাফ নয়।
অতএব হাদীসের অর্থ হবে যে ব্যক্তি হেবা করার পর পুনরায় তা ফিরিয়ে নেয়, সে ঘৃনিত বস্তু ফিরিয়ে নেয়। আর এটা ঐ ঘৃণিত বস্তুর মতই ঘৃণিত, যা কুকুর তার মুখে ফিরিয়ে নেয়। অতএব এ অর্থের প্রেক্ষিতে হেবাকারীর জন্য তার হেবা করা বস্তু ফিরিয়ে নেয়া নিষিদ্ধ হওয়া প্রমানিত হবে না।
অতঃপর আমরা এ ব্যাপারে দৃষ্টি দিয়েছি যে, প্রথম হাদীস দ্বারা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর উদ্দেশ্য কি, তা প্রমাণ করে, এমন কোন হাদীস পাই কিনা। এ প্রচেষ্টার পর আমরা দেখতে পাই যে,
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা তাউস ইবন কায়সান, ইকরিমা, শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক উদ্দেশ্য।
আলোচনা : আবু জাফর (রাহঃ) বলেন : উলামা-ই কিরামের একটি দল এ মত পোষণ করেন যে, হেবাকারীর জন্য তার হেবা করা বস্তু ফিরিয়ে নেয়া জায়েয নয়। তারা উল্লেখিত হাদীস প্রমান হিসেবে পেশ করেন। তারা বলেন : রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন হেবা করে ফিরিয়ে নেয়াকে বমি করে তা ফিরিয়ে নেয়ার সমতুল্য বলে উল্লেখ করেছেন। অথচ বমি করে তা পুনরায় (মুখের মধ্যে) ফিরিয়ে নেয় তার জন্য হারাম। সুতরাং হেবা করে তার পুনরায় ফিরিয়ে নেয়াও হারাম হবে।
অপর পক্ষে উলামা-ই কিরামের অন্য একটি দল এর বিপরীত মত পোষন করেন। তারা বলেন, হেবাকারীর জন্য তার হেবা করা মাল পুনরায় ফিরিয়ে নেয়া জায়েয আছে (১) যদি তা অপরিবর্তিত অবস্থায় বহাল থাকে, (২) যদি তা নষ্ট করে ফেলা না হয়ে থাকে, (৩) এবং তার যদি তার মধ্যে কোন বৃদ্ধিও না করা হয়ে থাকে, (৪) যাকে হেবা করা হয়েছে সে তার কোন 'মাহরাম' (রক্ত সম্পর্কিত ঘনিষ্ট আত্নীয়)-ও নয়, (৫) এবং হেবা করার পর সে কোন বিনিময়ও গ্রহণ করে নি। যাকে হেবা করা হয়েছে সে যদি হেবাকারীকে কোন বিনিময় দান করে থাকে এবং হেবাকারী বিনিময় গ্রহন করে থাকে অথবা যাকে হেবা করা হয়েছে সে যদি হেবাকারীর কোন 'মাহরাম' হয়ে থাকে, তবে হেবাকারীর জন্য তার হেবা করা বস্তু ফিরিয়ে নেয়া জায়েয হবে না। আর যদি হেবাকারী হেবাকৃত ব্যক্তির মাহরাম' না হয়, তবে কোন মহিলা তার স্বামীকে কিংবা স্বামী তার স্ত্রীকে হেবা করলে তারা দু'জনই এ ক্ষেত্রে 'মাহরাম'-এর মতই। তাদের কারো পক্ষেই ঐ মাল ফিরিয়ে নেয়া জায়েয নয় যা সে তার সাথীকে হেবা করেছে। আর এ ব্যাপারে তাদের দলীল হলো, রাসূলুল্লাহ ﷺ হেবা করার পর যে ব্যক্তি পুনরায় তা ফিরিয়ে নেয় তাকে তার সমতুল্য করেছেন যে বমি করার পর তা পুনরায় মুখে ফিরিয়ে নেয়। তবে তিনি একথা স্পষ্ট করেননি যে, সে কে, যে তার বমি ফিরিয়ে নেয়? এখানে এ সম্ভাবনা আছে যে, সে হলো ঐ মানুষটি, যে তার নিজের বমি পুনরায় মুখে ফিরিয়ে নেয়। সে ক্ষেত্রে তিনি হেবার মাল যে ব্যক্তি ফিরিয়ে নিল তাকে ঐ ব্যক্তির সমতুল্য সাব্যস্ত করলেন, যে ব্যক্তি হারাম বস্তু ফিরিয়ে নিল। অতএব এ হাদীস দ্বারা যারা প্রথম বক্তব্য পেশ করেছেন, তাদের মত প্রমাণিত হলো।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম হলেন, সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব, উমর ইবন আব্দুল আযীয, শুরায়হ আল- কাযী, আসওয়াদ ইবন ইয়াযীদ, হাসান বসরী, আমের আশ-শা'বী, ইমাম আবু হানীফা আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)। অতঃপর তিনি বলেন : এ মত হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব, ফুযালা ইবন উবায়দ ও হযরত আলী ইবন আবী তালিব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত।
আর এ সম্ভাবনা আছে যে, তিনি কুকুরকেই উদ্দেশ্য করেছেন, যে কুকুর বমি করে তার বমি পুনরায় মুখে ফিরিয়ে নেয় অথচ কুকুর তো আর হারাম-হালালের মুকাল্লাফ নয়।
অতএব হাদীসের অর্থ হবে যে ব্যক্তি হেবা করার পর পুনরায় তা ফিরিয়ে নেয়, সে ঘৃনিত বস্তু ফিরিয়ে নেয়। আর এটা ঐ ঘৃণিত বস্তুর মতই ঘৃণিত, যা কুকুর তার মুখে ফিরিয়ে নেয়। অতএব এ অর্থের প্রেক্ষিতে হেবাকারীর জন্য তার হেবা করা বস্তু ফিরিয়ে নেয়া নিষিদ্ধ হওয়া প্রমানিত হবে না।
অতঃপর আমরা এ ব্যাপারে দৃষ্টি দিয়েছি যে, প্রথম হাদীস দ্বারা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর উদ্দেশ্য কি, তা প্রমাণ করে, এমন কোন হাদীস পাই কিনা। এ প্রচেষ্টার পর আমরা দেখতে পাই যে,
كِتَابُ الْهِبَةِ وَالصَّدَقَةِ بَابُ الرُّجُوعِ فِي الْهِبَةِ
5821 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ وَهِشَامٌ عَنْ قَتَادَةَ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْعَائِدُ فِي هِبَتِهِ , كَالْعَائِدِ فِي قَيْئِهِ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْوَاهِبَ لَيْسَ لَهُ أَنْ يَرْجِعَ فِيمَا وَهَبَ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَقَالُوا: لَمَّا كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ جَعَلَ الرُّجُوعَ فِي الْهِبَةِ كَالرُّجُوعِ فِي الْقَيْءِ وَكَانَ رُجُوعُ الرَّجُلِ فِي قَيْئِهِ حَرَامًا عَلَيْهِ كَانَ كَذَلِكَ رُجُوعُهُ فِي هِبَتِهِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: لِلْوَاهِبِ أَنْ يَرْجِعَ فِي هِبَتِهِ إِذَا كَانَتْ قَائِمَةً عَلَى حَالِهَا لَمْ تُسْتَهْلَكْ وَلَمْ يَزِدْ فِي بَدَنِهَا بَعْدَ أَنْ يَكُونَ الْمَوْهُوبُ لَهُ لَيْسَ بِذِي رَحِمٍ مَحْرَمٍ مِنَ الْوَاهِبِ وَبَعْدَ أَنْ يَكُونَ لَمْ يُثِبْهُ أَيْ: لَمْ يُعْطِهِ مِنْهَا ثَوَابًا. فَإِنْ كَانَ أَثَابَهُ مِنْهَا ثَوَابًا وَقَبِلَ ذَلِكَ الثَّوَابَ مِنْهُ أَوْ كَانَ الْمَوْهُوبُ لَهُ ذَا رَحِمٍ مَحْرَمٍ مِنَ الْوَاهِبِ فَلَيْسَ لِلْوَاهِبِ أَنْ يَرْجِعَ فِيهَا. فَإِنْ لَمْ يَكُنِ الْوَاهِبُ ذَا رَحِمٍ مَحْرَمٍ لِلْمَوْهُوبِ لَهُ وَلَكِنَّهَا امْرَأَةٌ وَهَبَتْ لِزَوْجِهَا أَوْ زَوْجٌ وَهَبَ لِامْرَأَتِهِ فَهُمَا فِي ذَلِكَ كَذِي الرَّحِمِ الْمَحْرَمِ وَلَيْسَ لِوَاحِدٍ مِنْهُمَا أَنْ يَرْجِعَ فِيمَا وَهَبَ لِصَاحِبِهِ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَعَلَ الْعَائِدَ فِي هِبَتِهِ وَلَمْ يُبَيِّنْ لَنَا مَنِ الْعَائِدُ فِي قَيْئِهِ. فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ الرَّجُلَ الْعَائِدَ فِي قَيْئِهِ فَيَكُونَ قَدْ جَعَلَ الْعَائِدَ فِي هِبَتِهِ كَالْعَائِدِ فِيمَا هُوَ حَرَامٌ عَلَيْهِ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ مَا قَالَ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى. [ص:78] وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ الْكَلْبَ الْعَائِدَ فِي قَيْئِهِ وَالْكَلْبُ غَيْرُ مُتَعَبِّدٍ بِتَحْرِيمٍ وَلَا تَحْلِيلٍ فَيَكُونُ الْعَائِدُ فِي قَيْئِهِ عَائِدًا فِي قَذَرٍ كَالْقَذَرِ الَّذِي يَعُودُ فِيهِ الْكَلْبُ فَلَا يَثْبُتُ بِذَلِكَ مَنْعُ الْوَاهِبِ مِنَ الرُّجُوعِ فِي الْهِبَةِ. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ هَلْ نَجِدُ فِي الْآثَارِ مَا يَدُلُّنَا عَلَى مُرَادِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ مَا هُوَ؟

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং : ৫৮২২
আন্তর্জাতিক নং: ৫৮২৩
হেবা প্রত্যাহার (কাউকে কিছু দিয়ে তা ফিরিয়ে নেয়া) প্রসঙ্গে।
5822 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ جَابِرٍ الْجُعْفِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ الْقَاسِمَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ الْوَاهِبُ أَحَقُّ مَا لَمْ يُثَبْ مِنْهَا فَهَذَا عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ جَعَلَ لِلْوَاهِبِ الرُّجُوعَ فِي هِبَتِهِ مَا لَمْ يُثَبْ مِنْهَا. فَذَلِكَ عِنْدَنَا عَلَى الْوَاهِبِ الَّذِي جَعَلَ لَهُ الرُّجُوعَ فِي هِبَتِهِ عَلَى مَا ذُكِرَ فِي الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَيْنَاهُ عَنْهُ قَبْلَ هَذَا حَتَّى لَا يَتَضَادَّ قَوْلُهُمَا رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فِي ذَلِكَ. وَقَدْ
5823 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ عَنْ جَابِرٍ عَنِ الْقَاسِمِ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ عَلَى مَا رَوَيْنَا عَنْ سُلَيْمَانَ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ بِنَحْوٍ مِنْ هَذَا
5823 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ عَنْ جَابِرٍ عَنِ الْقَاسِمِ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ عَلَى مَا رَوَيْنَا عَنْ سُلَيْمَانَ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ بِنَحْوٍ مِنْ هَذَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং : ৫৮২৩
হেবা প্রত্যাহার প্রসঙ্গ
৫৮২৩। মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা ….. হযরত ইবন আব্বাস নবী ﷺ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন : যে ব্যক্তি তার হেবা করা বস্তু পুনরায় ফিরিয়ে নেয় সে ঐ কুকুরের ন্যায় যে বমি করে এবং পুনরায় তার বমি সে (মুখের মধ্যে) ফিরিয়ে নেয়।
এ হাদীস এ কথাই প্রমাণ করে যে, প্রথম হাদীসে আমরা যা উল্লেখ করেছি, তা দ্বারা রাসূলুল্লাহ ﷺ তার উম্মতকে কুকুরের সদৃশ হতে বিরত রেখেছেন। হেবা করার পর তাদের তা ফিরিয়ে নেবার অধিকার বাতিল করে দিয়েছেন-এটা তার উদ্দেশ্য নয়। হযরত ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর মাধ্যমে হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর যে হাদীস আমরা বর্ণনা করেছি, তার মধ্যেও একথা বর্ণনা করা হয়েছে।
এ হাদীস এ কথাই প্রমাণ করে যে, প্রথম হাদীসে আমরা যা উল্লেখ করেছি, তা দ্বারা রাসূলুল্লাহ ﷺ তার উম্মতকে কুকুরের সদৃশ হতে বিরত রেখেছেন। হেবা করার পর তাদের তা ফিরিয়ে নেবার অধিকার বাতিল করে দিয়েছেন-এটা তার উদ্দেশ্য নয়। হযরত ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর মাধ্যমে হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর যে হাদীস আমরা বর্ণনা করেছি, তার মধ্যেও একথা বর্ণনা করা হয়েছে।
5823 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ، قَالَ: ثنا وُهَيْبٌ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْعَائِدُ فِي هِبَتِهِ كَالْكَلْبِ يَقِيءُ ثُمَّ يَعُودُ فِي قَيْئِهِ» فَدَلَّ هَذَا الْحَدِيثُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا أَرَادَ بِمَا قَدْ ذَكَرْنَا فِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ تَنْزِيهَ أُمَّتِهِ عَنْ أَمْثَالِ الْكِلَابِ لَا أَنَّهُ أَبْطَلَ أَنْ يَكُونَ لَهُمُ الرُّجُوعُ فِي هِبَاتِهِمْ. وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْكَلَامُ أَيْضًا الَّذِي رَوَيْنَاهُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং : ৫৮২৪
হেবা প্রত্যাহার (কাউকে কিছু দিয়ে তা ফিরিয়ে নেয়া) প্রসঙ্গে।
5824 - حَدَّثَنَا أَبُو زُرْعَةَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو الدِّمَشْقِيُّ، قَالَ: ثنا أَبُو صَالِحٍ عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَامِرٍ الْيَحْصُبِيِّ، قَالَ: كُنْتُ عِنْدَ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ فَأَتَاهُ رَجُلَانِ يَخْتَصِمَانِ إِلَيْهِ. فَقَالَ أَحَدُهُمَا: إِنِّي وَهَبْتُ لِهَذَا بَازِيًا عَلَى أَنْ يُثِيبَنِي فَلَمْ يَفْعَلْ. فَقَالَ الْآخَرُ: وَهَبَ لِي وَلَمْ يَذْكُرْ شَيْئًا. فَقَالَ لَهُ فَضَالَةُ: ارْدُدْ إِلَيْهِ هِبَتَهُ فَإِنَّمَا يَرْجِعُ فِي الْهِبَةِ النِّسَاءُ وَسُقَّاطُ الرِّجَالِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং : ৫৮২৫
হেবা প্রত্যাহার (কাউকে কিছু দিয়ে তা ফিরিয়ে নেয়া) প্রসঙ্গে।
5825 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَامِرٍ الْيَحْصُبِيِّ، أَنَّهُ قَالَ: كُنْتُ عِنْدَ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ إِذْ جَاءَهُ رَجُلَانِ يَخْتَصِمَانِ إِلَيْهِ فِي بَازٍ. فَقَالَ أَحَدُهُمَا: وَهَبْتُ لَهُ بَازِيًا وَأَنَا أَرْجُو أَنْ يُثِيبَنِي مِنْهُ. فَقَالَ الْآخَرُ: نَعَمْ قَدْ وَهَبَ لِي بَازِيًا مَا سَأَلْتُهُ وَمَا تَعَرَّضْتُ لَهُ؟ فَقَالَ لَهُ فَضَالَةُ ارْدُدْ إِلَيْهِ هِبَتَهُ فَإِنَّمَا يَرْجِعُ فِي الْهِبَاتِ النِّسَاءُ وَشِرَارُ الْأَقْوَامِ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي ذَلِكَ أَيْضًا
مَا قَدْ
مَا قَدْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং : ৫৮২৬
হেবা প্রত্যাহার (কাউকে কিছু দিয়ে তা ফিরিয়ে নেয়া) প্রসঙ্গে।
5826 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا أَبُو صَالِحٍ قَالَ: حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ رَاشِدِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ الْمَوَاهِبُ ثَلَاثَةٌ رَجُلٌ وَهَبَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يُسْتَوْهَبَ فَهِيَ كَسَبِيلِ الصَّدَقَةِ فَلَيْسَ لَهُ أَنْ يَرْجِعَ فِي صَدَقَتِهِ.وَرَجُلٌ اسْتُوهِبَ فَوَهَبَ فَلَهُ الثَّوَابُ فَإِنْ قَبِلَ عَلَى مَوْهِبَتِهِ ثَوَابًا فَلَيْسَ لَهُ إِلَّا ذَلِكَ وَلَهُ أَنْ يَرْجِعَ فِي هِبَتِهِ مَا لَمْ يُثَبْ. وَرَجُلٌ وَهَبَ وَاشْتَرَطَ الثَّوَابَ فَهُوَ دَيْنٌ عَلَى صَاحِبِهَا فِي حَيَاتِهِ وَبَعْدَ وَفَاتِهِ فَهَذَا أَبُو الدَّرْدَاءِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ جَعَلَ مَا كَانَ مِنَ الْهِبَاتِ مَخْرَجُهُ مَخْرَجَ الصَّدَقَاتِ فِي حُكْمِ الصَّدَقَاتِ. وَمَنَعَ الْوَاهِبَ مِنَ الرُّجُوعِ فِي ذَلِكَ كَمَا يُمْنَعُ الْمُتَصَدِّقُ مِنَ الرُّجُوعِ فِي صَدَقَتِهِ. وَجَعَلَ مَا كَانَ مِنْهَا بِغَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ مِمَّا لَمْ يُشْتَرَطْ ثَوَابٌ مِمَّا يَرْجِعُ فِيهِ مَا لَمْ يُثَبِ الْوَاهِبُ عَلَيْهِ. وَجَعَلَ مَا اشْتُرِطَ فِيهِ الْعِوَضُ فِي حُكْمِ الْمَبِيعِ فَجَعَلَ الْعِوَضَ لِوَاهِبِهِ وَاجِبًا عَلَى الْمَوْهُوبِ لَهُ فِي حَيَاتِهِ وَبَعْدَ وَفَاتِهِ فَهَذَا حُكْمُ الْهِبَاتِ عِنْدَنَا، فَأَمَّا مَا ذَكَرْنَا مِنِ انْقِطَاعِ رُجُوعِ الْوَاهِبِ فِي هِبَتِهِ لِمَوْتِ الْمَوْهُوبِ لَهُ أَوْ بِاسْتِهْلَاكِهِ الْهِبَةَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং : ৫৮২৭
হেবা প্রত্যাহার (কাউকে কিছু দিয়ে তা ফিরিয়ে নেয়া) প্রসঙ্গে।
فَلِمَا رُوِيَ عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَيْضًا فِي ذَلِكَ
5827 - حَدَّثَنَا صَالِحٌ، قَالَ: ثنا حَجَّاجُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: ثنا يَحْيَى، عَنِ الْحَجَّاجِ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عُمَرَ، مِثْلَهُ يَعْنِي: مِثْلَ حَدِيثِهِ الَّذِي ذَكَرْنَا فِي الْفَصْلِ الَّذِي قَبْلَ هَذَا الْفَصْلِ وَزَادَ وَيَسْتَهْلِكُهَا أَوْ يَمُوتُ أَحَدُهُمَا. فَجَعَلَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ اسْتِهْلَاكَ الْهِبَةِ يَمْنَعُ وَاهِبَهَا مِنَ الرُّجُوعِ فِيهَا وَجَعَلَ مَوْتَ أَحَدِهِمَا يَقْطَعُ مَا لِلْوَاهِبِ فِيهَا مِنَ الرُّجُوعِ أَيْضًا فَكَذَلِكَ نَقُولُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ شُرَيْحٍ فِي الْهِبَةِ نَظِيرُ مَا قَدْ رُوِيَ عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ
5827 - حَدَّثَنَا صَالِحٌ، قَالَ: ثنا حَجَّاجُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: ثنا يَحْيَى، عَنِ الْحَجَّاجِ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عُمَرَ، مِثْلَهُ يَعْنِي: مِثْلَ حَدِيثِهِ الَّذِي ذَكَرْنَا فِي الْفَصْلِ الَّذِي قَبْلَ هَذَا الْفَصْلِ وَزَادَ وَيَسْتَهْلِكُهَا أَوْ يَمُوتُ أَحَدُهُمَا. فَجَعَلَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ اسْتِهْلَاكَ الْهِبَةِ يَمْنَعُ وَاهِبَهَا مِنَ الرُّجُوعِ فِيهَا وَجَعَلَ مَوْتَ أَحَدِهِمَا يَقْطَعُ مَا لِلْوَاهِبِ فِيهَا مِنَ الرُّجُوعِ أَيْضًا فَكَذَلِكَ نَقُولُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ شُرَيْحٍ فِي الْهِبَةِ نَظِيرُ مَا قَدْ رُوِيَ عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং : ৫৮২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৫৮২৯
হেবা প্রত্যাহার (কাউকে কিছু দিয়ে তা ফিরিয়ে নেয়া) প্রসঙ্গে।
5828 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ قَالَ: أَخْبَرَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ قَالَ: سَمِعْتُ مُحَمَّدًا يُحَدِّثُ: أَنَّ شُرَيْحًا قَالَ مَنْ أَعْطَى فِي قَرَابَةٍ أَوْ مَعْرُوفٍ أَوْ صِلَةٍ فَعَطِيَّتُهُ جَائِزَةٌ وَالْجَانِبُ الْمُسْتَقْرَبُ يُثَبْ مِنْ هِبَتِهِ أَوْ يُرَدُّ عَلَيْهِ
5829 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ شُرَيْحٍ، مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: وَأَمَّا هِبَةُ كُلِّ وَاحِدٍ مِنَ الزَّوْجَيْنِ لِصَاحِبِهِ
5829 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ شُرَيْحٍ، مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: وَأَمَّا هِبَةُ كُلِّ وَاحِدٍ مِنَ الزَّوْجَيْنِ لِصَاحِبِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং : ৫৮২৯
আন্তর্জাতিক নং: ৫৮৩০
হেবা প্রত্যাহার প্রসঙ্গ
৫৮৩০। ইবন আবু ইমরান …. তাউস হযরত ইবন উমর ও হযরত আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেন : কোন হেবাকারীর জন্য তার হেবাকরা মাল ফেরত নেয়া হালাল নয়। তবে পিতা তার সন্তানের নিকট হতে ফেরত নিতে পারবে।
যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, এ হাদীস তো পিতা ব্যতীত অন্যের জন্য হেবার মাল ফেরত নেয়াকে হারাম প্রমাণ করে। তবে তাকে বলা হবে, আপনি যা উল্লেখ করেছেন, এ হাদীস তার কিছুই প্রমান করে না। কারন এখানে এ সম্ভাবনা আছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ যে لا يحل الخ বলেছেন, এটা তিনি এ কারনে বলেছেন যে, তিনি উম্মতের জন্য কোন খারাপ উদাহরণ সাব্যস্ত হোক, তা পছন্দ করেন না। অতএব ধমকি প্রদানের জন্য তিনি এরূপ বলেছেন। যেমন রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেন : সদকার মাল এমন ব্যক্তির জন্য হালাল নয় যে শক্তিশালী হৃষ্টপুষ্ট পূর্নাঙ্গ বিশিষ্ট। এ হাদীসের মধ্যে যে হালাল না হওয়ার কথা বলা হয়েছে, এটা এই অর্থে নয়, যেমন একজন ধনী লোকের পক্ষে সদকার মাল হালাল নয়, বরং তার পক্ষে তা হারাম। হাদীসের অর্থ হলো, ঐ ব্যক্তি সদকার মাল ঠিক তদ্রূপ হালাল নয়, যেমন একজন দরিদ্র অসহায় অঙ্গহীন ব্যক্তির জন্য হালাল। অনুরূপ রাসূলুল্লাহ ﷺ এর যে বক্তব্য উল্লেখ করেছি, "হেবাকারীর জন্য তার হেবা করা বস্তু ফেরত নেয়া হালাল নয়" -এর অর্থও এই যে, তার জন্য ঠিক ঐরূপ হালাল নয় যেমন : অন্যান্য যাবতীয় বস্তু, যা আল্লাহ তা'আলা তার বান্দার জন্য হালাল করেছেন। আর যে ব্যক্তি একাজ করলো, তার জন্য তিনি সেরূপ কোন উদাহরণ পেশ করেন নি, যেমন হেবার মাল পুনঃগ্রহনকারীর জন্য উদাহরণ পেশ করেছেন।
আর হেবার মাল পুনঃগ্রহন এবং তা ক্রয় করা ও অন্য কোন মাধ্যমে পুনঃগ্রহন করা, সবটাই এর অন্তর্ভুক্ত।
"হেবাকারীর জন্য হেবার মাল পুনঃগ্রহন করা হালাল নয় " এ কথা বলার পর তিনি (রাসূলুল্লাহ ﷺ পিতা সন্তানকে হেবা করার পর তার থেকে পুনঃগ্রহন করার বিষয়টি এ হুকুম থেকে বাদ দিয়েছেন। আর আমাদের মতে এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, পিতা পুত্রকে হেবা করার পর পিতার প্রয়োজনকালে তার পক্ষে পুনরায় তা গ্রহণ করা মুবাহ ও জায়েয। কারণ এক্ষেত্রে পিতার জন্য যা কিছু সাব্যস্ত হয়, তা তার নিজের কোন কর্মকাণ্ডের জন্য নয়। তার নিজস্ব কোন কর্মকান্ডের জন্য হলেই না তার পক্ষ হতে তার হেবার মাল ফিরিয়ে নেয়ার প্রশ্ন উত্থাপিত হতো, আর তখনই তার উদাহরণ ঐ কুকুরের মত হতো, যে তার বমি পুনরায় মুখে তুলে নেয়। কিন্তু পিতার জন্য এ অধিকার তো আল্লাহ তা'আলা তার প্রয়োজনে তার জন্য সাব্যস্ত করেছেন এবং এ ব্যাপারে তার কোন সংকীর্ণতাও চাপিয়ে দেননি। যেমন: রাসূলুল্লাহ ﷺ হতেও অন্য এক হাদীসে এরূপ বর্ণিত হয়েছে :
যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, এ হাদীস তো পিতা ব্যতীত অন্যের জন্য হেবার মাল ফেরত নেয়াকে হারাম প্রমাণ করে। তবে তাকে বলা হবে, আপনি যা উল্লেখ করেছেন, এ হাদীস তার কিছুই প্রমান করে না। কারন এখানে এ সম্ভাবনা আছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ যে لا يحل الخ বলেছেন, এটা তিনি এ কারনে বলেছেন যে, তিনি উম্মতের জন্য কোন খারাপ উদাহরণ সাব্যস্ত হোক, তা পছন্দ করেন না। অতএব ধমকি প্রদানের জন্য তিনি এরূপ বলেছেন। যেমন রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেন : সদকার মাল এমন ব্যক্তির জন্য হালাল নয় যে শক্তিশালী হৃষ্টপুষ্ট পূর্নাঙ্গ বিশিষ্ট। এ হাদীসের মধ্যে যে হালাল না হওয়ার কথা বলা হয়েছে, এটা এই অর্থে নয়, যেমন একজন ধনী লোকের পক্ষে সদকার মাল হালাল নয়, বরং তার পক্ষে তা হারাম। হাদীসের অর্থ হলো, ঐ ব্যক্তি সদকার মাল ঠিক তদ্রূপ হালাল নয়, যেমন একজন দরিদ্র অসহায় অঙ্গহীন ব্যক্তির জন্য হালাল। অনুরূপ রাসূলুল্লাহ ﷺ এর যে বক্তব্য উল্লেখ করেছি, "হেবাকারীর জন্য তার হেবা করা বস্তু ফেরত নেয়া হালাল নয়" -এর অর্থও এই যে, তার জন্য ঠিক ঐরূপ হালাল নয় যেমন : অন্যান্য যাবতীয় বস্তু, যা আল্লাহ তা'আলা তার বান্দার জন্য হালাল করেছেন। আর যে ব্যক্তি একাজ করলো, তার জন্য তিনি সেরূপ কোন উদাহরণ পেশ করেন নি, যেমন হেবার মাল পুনঃগ্রহনকারীর জন্য উদাহরণ পেশ করেছেন।
আর হেবার মাল পুনঃগ্রহন এবং তা ক্রয় করা ও অন্য কোন মাধ্যমে পুনঃগ্রহন করা, সবটাই এর অন্তর্ভুক্ত।
"হেবাকারীর জন্য হেবার মাল পুনঃগ্রহন করা হালাল নয় " এ কথা বলার পর তিনি (রাসূলুল্লাহ ﷺ পিতা সন্তানকে হেবা করার পর তার থেকে পুনঃগ্রহন করার বিষয়টি এ হুকুম থেকে বাদ দিয়েছেন। আর আমাদের মতে এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, পিতা পুত্রকে হেবা করার পর পিতার প্রয়োজনকালে তার পক্ষে পুনরায় তা গ্রহণ করা মুবাহ ও জায়েয। কারণ এক্ষেত্রে পিতার জন্য যা কিছু সাব্যস্ত হয়, তা তার নিজের কোন কর্মকাণ্ডের জন্য নয়। তার নিজস্ব কোন কর্মকান্ডের জন্য হলেই না তার পক্ষ হতে তার হেবার মাল ফিরিয়ে নেয়ার প্রশ্ন উত্থাপিত হতো, আর তখনই তার উদাহরণ ঐ কুকুরের মত হতো, যে তার বমি পুনরায় মুখে তুলে নেয়। কিন্তু পিতার জন্য এ অধিকার তো আল্লাহ তা'আলা তার প্রয়োজনে তার জন্য সাব্যস্ত করেছেন এবং এ ব্যাপারে তার কোন সংকীর্ণতাও চাপিয়ে দেননি। যেমন: রাসূলুল্লাহ ﷺ হতেও অন্য এক হাদীসে এরূপ বর্ণিত হয়েছে :
5830 - وَقَدْ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ عَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ طَاوُسٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَحِلُّ لِوَاهِبٍ أَنْ يَرْجِعَ فِي هِبَتِهِ إِلَّا الْوَالِدُ لِوَلَدِهِ» فَقَالَ قَائِلٌ فَقَدْ دَلَّ هَذَا الْحَدِيثُ عَلَى تَحْرِيمِ الرُّجُوعِ فِي الْهِبَةِ مِنَ الرَّجُلِ لِغَيْرِ وَلَدِهِ. قِيلَ لَهُ: مَا دَلَّ ذَلِكَ عَلَى شَيْءٍ مِمَّا ذَكَرْتَ فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَفَ ذَلِكَ الرُّجُوعَ بِأَنَّهُ لَا يَحِلُّ لِتَغْلِيظِهِ إِيَّاهُ لِكَرَاهِيَةِ أَنْ يَكُونَ لِأَحَدٍ مِنْ أُمَّتِهِ مَثَلُ السُّوءِ. وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَحِلُّ الصَّدَقَةُ لِذِي مَرَّةٍ سَوِيٍّ فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ عَلَى مَعْنَى أَنَّهَا تَحْرُمُ عَلَى الْأَغْنِيَاءِ وَلَكِنَّهَا عَلَى مَعْنَى لَا تَحِلُّ لَهُ مِنْ حَيْثُ تَحِلُّ لِغَيْرِهِ مِنْ ذَوِي الْحَاجَةِ وَالزَّمَانَةِ. فَكَذَلِكَ مَا ذَكَرْنَا مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا لَا يَحِلُّ لِوَاهِبٍ أَنْ يَرْجِعَ فِي هِبَتِهِ إِنَّمَا هُوَ عَلَى أَنَّهُ لَا يَحِلُّ لَهُ ذَلِكَ كَمَا تَحِلُّ لَهُ الْأَشْيَاءُ الَّتِي قَدْ أَحَلَّهَا اللهُ عَزَّ وَجَلَّ لِعِبَادِهِ. وَلَمْ يَجْعَلْ لِمَنْ فَعَلَهَا مَثَلًا كَالْمَثَلِ الَّذِي جَعَلَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْعَائِدِ فِي هِبَتِهِ. وَقَدْ دَخَلَ فِي ذَلِكَ الْعَوْدُ فِيهَا بِالرُّجُوعِ وَالِابْتِيَاعِ وَغَيْرِهِ، ثُمَّ اسْتَثْنَى مِنْ ذَلِكَ مَا وَهَبَ الْوَالِدُ لِوَلَدِهِ. [ص:80] فَذَلِكَ عِنْدَنَا وَاللهُ أَعْلَمُ عَلَى إِبَاحَتِهِ لِلْوَالِدِ أَنْ يَأْخُذَ مَا وَهَبَ لِابْنِهِ فِي وَقْتِ حَاجَتِهِ إِلَى ذَلِكَ وَفَقْرِهِ إِلَيْهِ لِأَنَّ مَا يَجِبُ لِلْوَلَدِ مِنْ ذَلِكَ لَيْسَ بِفِعْلٍ يَفْعَلُهُ فَيَكُونُ ذَلِكَ رُجُوعًا مِنْهُ يَكُونُ مَثَلُهُ فِيهِ كَمَثَلِ الْكَلْبِ الْمُتَرَاجِعِ فِي قَيْئِهِ. وَلَكِنَّهُ شَيْءٌ أَوْجَبَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ لِفَقْرِهِ فَلَمْ يُضَيِّقْ ذَلِكَ عَلَيْهِ كَمَا قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا فِي غَيْرِ هَذَا الْحَدِيثِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং : ৫৮৩০
হেবা প্রত্যাহার (কাউকে কিছু দিয়ে তা ফিরিয়ে নেয়া) প্রসঙ্গে।
5830 - فَإِنَّ أَبَا بَكْرَةَ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ قَالَ: أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ مُحَمَّدٍ أَنَّ امْرَأَةً وَهَبَتْ لِزَوْجِهَا هِبَةً ثُمَّ رَجَعَتْ فِيهَا فَاخْتَصَمَا إِلَى شُرَيْحٍ فَقَالَ لِلزَّوْجِ شَاهِدَاكَ أَنَّهُمَا رَأَيَاهَا وَهَبَتْ لَكَ مِنْ غَيْرِ كُرْهٍ وَلَا هَوَانٍ وَإِلَّا فَيَمِينُهَا لَقَدْ وَهَبَتْ لَكَ عَنْ كُرْهٍ وَهَوَانٍ فَهَذَا شُرَيْحٌ قَدْ سَأَلَ الزَّوْجَ الْبَيِّنَةَ أَنَّهَا وَهَبَتْ لَهُ لَا عَنْ كُرْهٍ بَعْدَ ارْتِجَاعِهَا فِي الْهِبَةِ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ السُّنَّةَ لَوْ ثَبَتَتْ عِنْدَهُ عَلَى ذَلِكَ لَرَدَّ الْهِبَةَ إِلَيْهَا وَلَمْ يَجُزْ لَهَا الرُّجُوعُ فِيهَا. وَقَدْ كَانَ مِنْ رَأْيِهِ أَنَّ لِلْوَاهِبِ الرُّجُوعَ فِي هِبَتِهِ إِلَّا مِنْ ذِي الرَّحِمِ الْمَحْرَمِ فَجَعَلَ الْمَرْأَةَ فِي هَذَا كَذِي الرَّحِمِ الْمَحْرَمِ فَهَكَذَا نَقُولُ. وَأَمَّا هِبَةُ الزَّوْجِ لِامْرَأَتِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং : ৫৮৩১
হেবা প্রত্যাহার (কাউকে কিছু দিয়ে তা ফিরিয়ে নেয়া) প্রসঙ্গে।
5831 - فَإِنَّ أَبَا بَكْرَةَ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ أَبِي يَعْفُورٍ قَالَ: قَالَ إِبْرَاهِيمُ: إِذَا وَهَبَتِ الْمَرْأَةُ لِزَوْجِهَا أَوْ وَهَبَ الرَّجُلُ لِامْرَأَتِهِ فَالْهِبَةُ جَائِزَةٌ وَلَيْسَ لِوَاحِدٍ مِنْهُمَا أَنْ يَرْجِعَ فِي هِبَتِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং : ৫৮৩২
হেবা প্রত্যাহার (কাউকে কিছু দিয়ে তা ফিরিয়ে নেয়া) প্রসঙ্গে।
5832 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ، عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، أَنَّهُ قَالَ: الزَّوْجُ وَالْمَرْأَةُ بِمَنْزِلَةِ ذِي الرَّحِمِ الْمُحَرَّمِ إِذَا وَهَبَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ لَمْ يَكُنْ لَهُ أَنْ يَرْجِعَ فَجُعِلَ الزَّوْجَانِ فِي هَذِهِ الْأَحَادِيثِ كَذِي الرَّحِمِ الْمَحْرَمِ فَمَنَعَ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مِنَ الرُّجُوعِ فِيمَا وَهَبَ لِصَاحِبِهِ فَهَكَذَا نَقُولُ. وَقَدْ وَصَفْنَا فِي هَذَا مَا ذَهَبْتَ إِلَيْهِ فِي الْهِبَاتِ وَمَا ذَكَرْنَا مِنْ هَذِهِ الْآثَارِ إِذْ لَمْ نَعْلَمْ عَنْ أَحَدٍ مِثْلِ مَنْ رَوَيْنَاهَا عَنْهُ خِلَافًا لَهَا. فَتَرَكْنَا النَّظَرَ مِنْ أَجْلِهَا وَقَلَّدْنَاهَا. وَقَدْ كَانَ النَّظَرُ لَوْ خَلَّيْنَا وَإِيَّاهُ خِلَافَ ذَلِكَ وَهُوَ أَنْ لَا يَرْجِعَ الْوَاهِبُ فِي الْهِبَةِ لِغَيْرِ ذِي الرَّحِمِ الْمَحْرَمِ ; لِأَنَّ مِلْكَهُ قَدْ زَالَ عَنْهَا بِهِبَةِ إِيَّاهَا وَصَارَ لِلْمَوْهُوبِ لَهُ دُونَهُ فَلَيْسَ لَهُ نَقْضُ مَا قَدْ مَلَكَ عَلَيْهِ إِلَّا بِرِضَاءِ مَالِكِهِ. وَلَكِنِ اتِّبَاعُ الْآثَارِ وَتَقْلِيدُ أَئِمَّةِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَوْلَى فَلِذَلِكَ قَلَّدْنَاهَا وَاقْتَدَيْنَاهَا. وَجَمِيعُ مَا بَيَّنَّا فِي هَذَا الْبَابِ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং : ৫৮৩৩
হেবা প্রত্যাহার প্রসঙ্গ
৫৮৩৩। ইউনুস …. মারওয়ান ইবনুল হাকাম হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলেন : যে ব্যক্তি আত্মীয়তার বন্ধনের উদ্দেশ্যে হেবা করে কিংবা সদকা হিসেবে দান করে, সে তো তা পুনরায় গ্রহণ করতে পারবে না। আর যে ব্যক্তি হেবা করে এই উদ্দেশ্যে যে, সে তার বিনিময় গ্রহন করবে, তবে তার হেবার ওপর তার অধিকার থাকবে যদি সে বিনিময়ে সন্তুষ্ট না হয়। এই তো হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ), তিনি হেবা ও সদকার মাঝে পার্থক্য করেছেন। সদকা সম্পর্কে তো তিনি মন্তব্য করেছেন যে, সদকা প্রদানকারী তা ফেরত নিতে পারবে না এবং হেবাকে তিনি দু'ভাগে বিভক্ত করেছেন। আর তার এক প্রকার হলো صلة الارحام বা নিকটাত্মীয় রক্ষা করা। হেবার এই প্রকারকে তিনি সদকার হুকুমের সাথে শামিল করেছেন এবং হেবাকারীকে পুনরায় তা গ্রহন করতে নিষেধ করছেন। আর দ্বিতীয় এক প্রকার হলো এর বিপরীত। হেবাকারীকে এ ব্যাপারে তিনি পুনঃগ্রহন করার অধিকার দিয়েছেন যাবত না সে (তার বিনিময়ে) সন্তুষ্ট হয়।
5833 - وَإِذَا يُونُسُ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ عَنْ أَبِي غَطَفَانَ بْنِ طَرِيفٍ الْمُرِّيِّ، عَنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ , أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ مَنْ وَهَبَ هِبَةً لِصِلَةِ رَحِمٍ أَوْ عَلَى وَجْهِ صَدَقَةٍ فَإِنَّهُ لَا يَرْجِعُ فِيهَا وَمَنْ وَهَبَ هِبَةً يَرَى أَنَّهُ إِنَّمَا يُرَادُ بِهِ الثَّوَابُ فَهُوَ عَلَى هِبَتِهِ يَرْجِعُ فِيهَا إِنْ لَمْ يَرْضَ مِنْهَا فَهَذَا عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ فَرَّقَ بَيْنَ الْهِبَاتِ وَالصَّدَقَاتِ فَجَعَلَ الصَّدَقَاتِ لَا يَرْجِعُ فِيهَا وَجَعَلَ الْهِبَاتِ عَلَى ضَرْبَيْنِ. فَضَرْبٍ مِنْهَا صِلَةُ الْأَرْحَامِ فَرَدَّ ذَلِكَ إِلَى حُكْمِ الصَّدَقَاتِ وَمَنَعَ الْوَاهِبَ مِنَ الرُّجُوعِ فِيهَا وَضَرْبٍ مِنْهَا خِلَافُ ذَلِكَ فَجَعَلَ لِلْوَاهِبِ أَنْ يَرْجِعَ فِيهِ مَا لَمْ يَرْضَ مِنْهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং : ৫৮৩৪
হেবা প্রত্যাহার প্রসঙ্গ
৫৮৩৪। সাহিল ইবন আব্দুর রহমান .... আসওয়াদ হযরত উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তার কোন মাহরামকে (ঘনিষ্ঠ আত্মীয়কে) হেবা করল,তার জন্য তা জায়েজ। আর যে ব্যক্তি মাহরাম ব্যতীত অন্য কাউকে হেবা করল, তবে যাবত না তার কোন বিনিময় গ্রহন করল, সে তার (হেবার) অধিক হকদার।
হাদীসটি ইবন আবী শায়বা মুসান্নাফ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।
হাদীসটি ইবন আবী শায়বা মুসান্নাফ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।
5834 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا حَجَّاجُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْأَزْرَقُ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عُمَرَ، قَالَ مَنْ وَهَبَ هِبَةً لِذِي رَحِمٍ جَازَتْ وَمَنْ وَهَبَ هِبَةً [ص:82] لِغَيْرِ ذِي رَحِمٍ مَحْرَمٍ لَهُ فَهُوَ أَحَقُّ بِهَا مَا لَمْ يُثَبْ مِنْهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং : ৫৮৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৫৮৩৬
হেবা প্রত্যাহার প্রসঙ্গ
৫৮৩৫-৩৬। সুলায়মান ইবন শুআয়ব .... আব্দুর রহমান ইবন আবযা হযরত আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: হিবাকারী তার হিবা করা মালের অধিক হকদার, যাবত না সে তার কোন বিনিময় গ্রহন করে। মুসান্নাফ ইবন আবী শায়বা।
এই তো আলী (রাযিঃ), তিনি হিবাকারীর জন্য তার হিবা করা মাল ফিরিয়ে নেয়ার অধিকার প্রদান করেছেন। যাবত না সে তার কোন বিনিময় গ্রহন করে। আর হযরত আলী (রাযিঃ)-এর এই অধিকার প্রদান ঐ হিবাকারীর জন্য প্রযোজ্য, যাকে হযরত উমর (রাযিঃ) তার হিবার মাল ফিরিয়ে নেয়ার অনুমতি প্রদান করেছেন। যেমন পূর্বে বর্ণিত হাদীসের মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে। অতএব দু'জনের বক্তব্যে কোন প্রকার বৈপরীত্য সৃষ্টি হবে না।
আর আবু বাকরা ধারাবাহিকভাবে আবু দাউদ, শুবা, জাবির ও কাসেম হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজস্ব সনদে সুলায়মান হতে বর্ণিত হাদীসের ন্যায় হাদীস বর্ণনা করেছেন।
এবং ফুযালা ইবন উবায়দ হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
এই তো আলী (রাযিঃ), তিনি হিবাকারীর জন্য তার হিবা করা মাল ফিরিয়ে নেয়ার অধিকার প্রদান করেছেন। যাবত না সে তার কোন বিনিময় গ্রহন করে। আর হযরত আলী (রাযিঃ)-এর এই অধিকার প্রদান ঐ হিবাকারীর জন্য প্রযোজ্য, যাকে হযরত উমর (রাযিঃ) তার হিবার মাল ফিরিয়ে নেয়ার অনুমতি প্রদান করেছেন। যেমন পূর্বে বর্ণিত হাদীসের মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে। অতএব দু'জনের বক্তব্যে কোন প্রকার বৈপরীত্য সৃষ্টি হবে না।
আর আবু বাকরা ধারাবাহিকভাবে আবু দাউদ, শুবা, জাবির ও কাসেম হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজস্ব সনদে সুলায়মান হতে বর্ণিত হাদীসের ন্যায় হাদীস বর্ণনা করেছেন।
এবং ফুযালা ইবন উবায়দ হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
5835 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ جَابِرٍ الْجُعْفِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ الْقَاسِمَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ الْوَاهِبُ أَحَقُّ مَا لَمْ يُثَبْ مِنْهَا فَهَذَا عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ جَعَلَ لِلْوَاهِبِ الرُّجُوعَ فِي هِبَتِهِ مَا لَمْ يُثَبْ مِنْهَا. فَذَلِكَ عِنْدَنَا عَلَى الْوَاهِبِ الَّذِي جَعَلَ لَهُ الرُّجُوعَ فِي هِبَتِهِ عَلَى مَا ذُكِرَ فِي الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَيْنَاهُ عَنْهُ قَبْلَ هَذَا حَتَّى لَا يَتَضَادَّ قَوْلُهُمَا رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فِي ذَلِكَ. وَقَدْ
5836 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ عَنْ جَابِرٍ عَنِ الْقَاسِمِ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ عَلَى مَا رَوَيْنَا عَنْ سُلَيْمَانَ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ بِنَحْوٍ مِنْ هَذَا
5836 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ عَنْ جَابِرٍ عَنِ الْقَاسِمِ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ عَلَى مَا رَوَيْنَا عَنْ سُلَيْمَانَ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ بِنَحْوٍ مِنْ هَذَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং : ৫৮৩৬
empty
৫৮৩৬।
5836 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং : ৫৮৩৭
হেবা প্রত্যাহার প্রসঙ্গ
৫৮৩৭। আবু যুরআ আব্দুর রহমান ইবন আমর দামেশকী.... আব্দুল্লাহ ইবন আমির ইয়াহসাবী বলেন, একবার আমি ফুযালা ইবন উবায়দের নিকট ছিলাম, তখন তার কাছে দু'জন লোক এলো বিবাদরত অবস্থায়, তাদের একজন বললো, আমি একে একটি বায হাদিয়া দিয়েছিলাম এই শর্তে যে, সে আমাকে এর বিনিময় দেবে কিন্তু সে তা করেনি। তখন অপরজন বললো, সে আমাকে হেবা করেছে কিন্তু কিছু বলেনি, তখন ফুযালা তাকে বললেন, তুমি তার হেবা ফিরিয়ে দাও; কারন হেবা শুধু মহিলারা এবং নীচু লোকেরাই ফেরত নেয়।
হাদীসের রাবী ইয়াহসাবী ইমাম আহমদ (রাহঃ)-এর ওসী ছিলেন। হাদীসের শব্দ سُقاط এটা ساقط এর বহুবচন, অর্থহীন ও নিকৃষ্ট লোক। হাদীসটি ইবন আবী শায়বা বর্ণনা করেছেন।
হাদীসের রাবী ইয়াহসাবী ইমাম আহমদ (রাহঃ)-এর ওসী ছিলেন। হাদীসের শব্দ سُقاط এটা ساقط এর বহুবচন, অর্থহীন ও নিকৃষ্ট লোক। হাদীসটি ইবন আবী শায়বা বর্ণনা করেছেন।
5837 - حَدَّثَنَا أَبُو زُرْعَةَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو الدِّمَشْقِيُّ، قَالَ: ثنا أَبُو صَالِحٍ عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَامِرٍ الْيَحْصُبِيِّ، قَالَ: كُنْتُ عِنْدَ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ فَأَتَاهُ رَجُلَانِ يَخْتَصِمَانِ إِلَيْهِ. فَقَالَ أَحَدُهُمَا: إِنِّي وَهَبْتُ لِهَذَا بَازِيًا عَلَى أَنْ يُثِيبَنِي فَلَمْ يَفْعَلْ. فَقَالَ الْآخَرُ: وَهَبَ لِي وَلَمْ يَذْكُرْ شَيْئًا. فَقَالَ لَهُ فَضَالَةُ: ارْدُدْ إِلَيْهِ هِبَتَهُ فَإِنَّمَا يَرْجِعُ فِي الْهِبَةِ النِّسَاءُ وَسُقَّاطُ الرِّجَالِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং : ৫৮৩৮
হেবা প্রত্যাহার প্রসঙ্গ
৫৮৩৮। ফাহদ ..... আব্দুল্লাহ ইবন আমির ইয়াহসাবী হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন : একবার আমি ফুযালা ইবন উবায়দ -এর নিকট ছিলাম, এমন সময় দুই বিবাদমান ব্যক্তি তার নিকট উপস্থিত হলো। একজন বললো, আমি তাকে একটু বায দিয়েছিলাম আর আমি আশা করেছিলাম, সে আমাকে বিনিময় দান করবে। তখন অপরজন বললো, হ্যা, সে আমাকে একটি বায দিয়েছে কিন্তু আমি তার নিকট প্রার্থনা চাইনি। আর কিছু পাবার জন্য তার পেছনে ঘুরিনি। অতঃপর হযরত ফুযালা তাকে বললেন, তুমি তার হেবার মাল তাকে ফিরিয়ে দাও। বস্তুত মহিলা ও দুষ্ট লোকেরাই তাদের হিবার মাল ফিরিয়ে নেয়া।
এ ব্যাপারে হযরত আবুদ্-দারদা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে। যেমন:
এ ব্যাপারে হযরত আবুদ্-দারদা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে। যেমন:
5838 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَامِرٍ الْيَحْصُبِيِّ، أَنَّهُ قَالَ: كُنْتُ عِنْدَ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ إِذْ جَاءَهُ رَجُلَانِ يَخْتَصِمَانِ إِلَيْهِ فِي بَازٍ. فَقَالَ أَحَدُهُمَا: وَهَبْتُ لَهُ بَازِيًا وَأَنَا أَرْجُو أَنْ يُثِيبَنِي مِنْهُ. فَقَالَ الْآخَرُ: نَعَمْ قَدْ وَهَبَ لِي بَازِيًا مَا سَأَلْتُهُ وَمَا تَعَرَّضْتُ لَهُ؟ فَقَالَ لَهُ فَضَالَةُ ارْدُدْ إِلَيْهِ هِبَتَهُ فَإِنَّمَا يَرْجِعُ فِي الْهِبَاتِ النِّسَاءُ وَشِرَارُ الْأَقْوَامِ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي ذَلِكَ أَيْضًا
مَا قَدْ
مَا قَدْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং : ৫৮৩৯
হেবা প্রত্যাহার প্রসঙ্গ
৫৮৩৯। ফাহদ ..... রাশেদ ইবন সা'দ হযরত আবুদ্-দাররা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, হেবা তিন প্রকার : (১) এক ব্যক্তি তার নিকট প্রার্থনা ছাড়াই সে হেবা করেছে। তার এ হেবা সদকার অনুরূপ, তার জন্য তা পুনরায় ফিরিয়ে নেয়া জায়েয নয় ; (২) এক ব্যক্তি, তার নিকট হেবার মাল প্রার্থনা করা হয়েছে, অতঃপর সে হেবা করেছে। যদি সে তার বিনিময় গ্রহন করে, তবে তার জন্য তা গ্রহন করা জায়েয হবে। আর তার জন্য এছাড়া অন্য কিছু (পরকালীন বিনিময়) হবে না। আর যাবত না সে জেনে বিনিময় গ্রহন করবে, তার জন্য তার হেবার মাল পুনঃগ্রহন করা জায়েয; (৩) আর এক ব্যক্তি যে হেবা করল এবং বিনিময়ের শর্ত করল, বস্তুত এটা হেবা গ্রহনকারীর ওপর ঋণ হিসেবে বিবেচিত - তার জীবিতাবস্থায় এবং মৃত্যুর পরও।
এই যে হযরত আবুদ্-দারদা (রাযিঃ) সদকার শ্রেনীভুক্ত হেবার ওপর সদকার হুকুম আরোপ করেছেন এবং হেবাকারীকে তা ফেরত নিতে নিষেধ করেছেন, যেমন সদকাকারীকে সদকা মাল পুনঃগ্রহন করতে নিষেধ করা হয়। আর যে হেবা এই নিয়মে করা হয় না এবং তার মধ্যে কোন বিনিময়ের শর্তও আরোপ করা হয় না, তাকে তিনি ঐ হেবার অন্তর্ভুক্ত করেছেন, যাতে হেবা প্রদানকারী ফেরত নিতে পারবে, যাবত না সে তার কোন বিনিময় গ্রহণ করবে। আর যে হেবার মধ্যে বিনিময়ের শর্ত আরোপ করা হয়েছে, তাকে তিনি مبيع (বিক্রয় করা মাল)- এর অন্তর্ভুক্ত করেছেন, যাকে হেবা করা হয়েছে, তার ওপর হিবাকারীর জন্য তার বিনিময় প্রদান করা ওয়াজিব করেছেন। জীবিতাবস্থায় যেমন, (আর জীবিতাবস্থা বিনিময় না দিয়ে থাকলে) তার মৃত্যুর পর বিনিময় প্রদান করাও তেমন ওয়াজিব।
আমাদের মতে হেবাসমূহের হুকুম এটাই। তবে (যাকে হেবা করা হয়েছে) তার মৃত্যুর কারনে কিংবা তার হেবার মাল ধ্বংস করে দেবার কারনে যে হেবাকারী ব্যক্তির ফেরত নিতে না পারার কথা আমরা উল্লেখ করেছি, তাও বলছি হযরত উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত রিওয়ায়াতের করানে। যেমন:
এই যে হযরত আবুদ্-দারদা (রাযিঃ) সদকার শ্রেনীভুক্ত হেবার ওপর সদকার হুকুম আরোপ করেছেন এবং হেবাকারীকে তা ফেরত নিতে নিষেধ করেছেন, যেমন সদকাকারীকে সদকা মাল পুনঃগ্রহন করতে নিষেধ করা হয়। আর যে হেবা এই নিয়মে করা হয় না এবং তার মধ্যে কোন বিনিময়ের শর্তও আরোপ করা হয় না, তাকে তিনি ঐ হেবার অন্তর্ভুক্ত করেছেন, যাতে হেবা প্রদানকারী ফেরত নিতে পারবে, যাবত না সে তার কোন বিনিময় গ্রহণ করবে। আর যে হেবার মধ্যে বিনিময়ের শর্ত আরোপ করা হয়েছে, তাকে তিনি مبيع (বিক্রয় করা মাল)- এর অন্তর্ভুক্ত করেছেন, যাকে হেবা করা হয়েছে, তার ওপর হিবাকারীর জন্য তার বিনিময় প্রদান করা ওয়াজিব করেছেন। জীবিতাবস্থায় যেমন, (আর জীবিতাবস্থা বিনিময় না দিয়ে থাকলে) তার মৃত্যুর পর বিনিময় প্রদান করাও তেমন ওয়াজিব।
আমাদের মতে হেবাসমূহের হুকুম এটাই। তবে (যাকে হেবা করা হয়েছে) তার মৃত্যুর কারনে কিংবা তার হেবার মাল ধ্বংস করে দেবার কারনে যে হেবাকারী ব্যক্তির ফেরত নিতে না পারার কথা আমরা উল্লেখ করেছি, তাও বলছি হযরত উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত রিওয়ায়াতের করানে। যেমন:
5839 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا أَبُو صَالِحٍ قَالَ: حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ رَاشِدِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ الْمَوَاهِبُ ثَلَاثَةٌ رَجُلٌ وَهَبَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يُسْتَوْهَبَ فَهِيَ كَسَبِيلِ الصَّدَقَةِ فَلَيْسَ لَهُ أَنْ يَرْجِعَ فِي صَدَقَتِهِ. [ص:83] وَرَجُلٌ اسْتُوهِبَ فَوَهَبَ فَلَهُ الثَّوَابُ فَإِنْ قَبِلَ عَلَى مَوْهِبَتِهِ ثَوَابًا فَلَيْسَ لَهُ إِلَّا ذَلِكَ وَلَهُ أَنْ يَرْجِعَ فِي هِبَتِهِ مَا لَمْ يُثَبْ. وَرَجُلٌ وَهَبَ وَاشْتَرَطَ الثَّوَابَ فَهُوَ دَيْنٌ عَلَى صَاحِبِهَا فِي حَيَاتِهِ وَبَعْدَ وَفَاتِهِ فَهَذَا أَبُو الدَّرْدَاءِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ جَعَلَ مَا كَانَ مِنَ الْهِبَاتِ مَخْرَجُهُ مَخْرَجَ الصَّدَقَاتِ فِي حُكْمِ الصَّدَقَاتِ. وَمَنَعَ الْوَاهِبَ مِنَ الرُّجُوعِ فِي ذَلِكَ كَمَا يُمْنَعُ الْمُتَصَدِّقُ مِنَ الرُّجُوعِ فِي صَدَقَتِهِ. وَجَعَلَ مَا كَانَ مِنْهَا بِغَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ مِمَّا لَمْ يُشْتَرَطْ ثَوَابٌ مِمَّا يَرْجِعُ فِيهِ مَا لَمْ يُثَبِ الْوَاهِبُ عَلَيْهِ. وَجَعَلَ مَا اشْتُرِطَ فِيهِ الْعِوَضُ فِي حُكْمِ الْمَبِيعِ فَجَعَلَ الْعِوَضَ لِوَاهِبِهِ وَاجِبًا عَلَى الْمَوْهُوبِ لَهُ فِي حَيَاتِهِ وَبَعْدَ وَفَاتِهِ فَهَذَا حُكْمُ الْهِبَاتِ عِنْدَنَا، فَأَمَّا مَا ذَكَرْنَا مِنِ انْقِطَاعِ رُجُوعِ الْوَاهِبِ فِي هِبَتِهِ لِمَوْتِ الْمَوْهُوبِ لَهُ أَوْ بِاسْتِهْلَاكِهِ الْهِبَةَ فَلِمَا رُوِيَ عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَيْضًا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান