শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১২. জিহাদের বিধানাবলী সম্পর্কিত - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫৩৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫৩৬৫
১৯. অধ্যায় : ফাই ও গনীমতের খুমুস বা এক পঞ্চমাংশের প্রকারভেদ

আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেন‌ : مَا أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْ أَهْلِ الْقُرَى فَلِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ

অর্থাৎ : আল্লাহ্ এই জনপদবাসীদের নিকট থেকে তাঁর রাসূলকে যা কিছু দিয়েছেন তা আল্লাহর, তাঁর রাসূলের, রাসূলের স্বজনদের এবং ইয়াতীমদের, অভাবগ্রস্ত ও পথচারীদের। (সূরা : ৫৯ আয়াত : ৭)
আল্লাহ্ তা'আলা আরো বলেন : وَاعْلَمُوا أَنَّمَا غَنِمْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ

অর্থাৎ : আরও জেনে রাখ যে, যুদ্ধে যা তোমরা লাভ কর তার এক পঞ্চমাংশ আল্লাহর রাসূলের, রাসূলের স্বজনদের, ইয়াতীমদের, দরিদ্রদের এবং পথচারীদের। (সূরা : ৮ আয়াত : ৪১)
৫৩৬৪-৬৫। পর্যালোচনাও বিশ্লেষণ
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন : আল্লাহ্ প্রথমোক্ত আয়াতে যা কিছু উল্লেখ করেছেন এটা মুশরিকদের ঐ সম্পদের ব্যাপারে, যার উপর মুসলমানগণ মুশরিকদের সঙ্গে সন্ধি করেছে এবং ঐ সম্পদের ব্যাপারে যা তাদের থেকে তাদের জানের জিয্ইয়া হিসাবে গ্রহণ করেছে প্রভৃতি সম্পদ সংক্রান্ত বিষয়ে। আর দ্বিতীয় আয়াতে যা কিছু উল্লেখ করেছেন, সেটা হলো ঐ সম্পদের পঞ্চমাংশ, যার উপর তারা তাদের তরবারী দ্বারা বিজয় লাভ করেছে। অথবা তা হলো ভূগর্ভস্থ সম্পদ, যাতে আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর রাসূল (ﷺ)-এর পবিত্র যবানে পঞ্চমাংশ সাব্যস্ত করেছেন। এ বিষয়ে তাঁর থেকে মুতাওয়াতির হাদীসসমূহ বর্ণিত আছে :

ইউনুস ইব্‌ন আব্দুল আ'লা (রাহঃ)..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী বলেছেন : ভূগর্ভস্থ সম্পদে খুমুস বা পঞ্চমাংশ রয়েছে।

ইউনুস ইব্‌ন আব্দুল আ'লা (রাহঃ)..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। কোন প্রশ্নকারী তাকে (সুফইয়ান র) জিজ্ঞাসা করল, হে আবু মুহাম্মাদ! তাঁর সঙ্গে কি আবু সালামা (রাহঃ) ও ছিলেন? তিনি বললেন, যদি তিনি তাঁর সঙ্গে থেকে থাকেন তো থেকেছেন [নতুবা সাঈদ ইব্‌ন মুসায়্যাব (র.) একাই নির্ভরযোগ্য]।

সুতরাং সমস্ত ফাই এবং গনীমতে পঞ্চমাংশের অভিন্ন হুকুম। অতঃপর আলিমগণ আল্লাহ্ তা'আলার বাণী ফাই সম্পৰ্কীয় আয়াতে فَلِلَّهِ এবং গনীমত সম্পৰ্কীয় আয়াতে فَأَنَّ لِلَّهِ -এর ব্যাখ্যাতে বিরোধ করেছেন। কতক আলিম বলেছেন, এর দ্বারা ফাই এর মধ্যে আল্লাহ্ তা'আলার জন্য এক হিস্যা ওয়াজিব, অনুরূপভাবে গনীমতের এক পঞ্চমাংশেও। তারা এই হিস্যাটিকে কা'বা শরীফের উপর ব্যয় করার জন্য নির্ধারণ করেছেন। তারা এ বিষয়টি আবুল আলিয়া (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন :
كِتَابُ وُجُوهِ الْفَيْءِ وَخُمُسِ الْغَنَائِمِ قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {مَا أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْ أَهْلِ الْقُرَى فَلِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ} [الحشر: 7] , وَقَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {وَاعْلَمُوا أَنَّمَا غَنِمْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ "} [الأنفال: 41][ص:276]
قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَكَانَ مَا ذَكَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي الْآيَةِ الْأُولَى , هُوَ فِيمَا صَالَحَ عَلَيْهِ الْمُسْلِمُونَ أَهْلَ الشِّرْكِ مِنَ الْأَمْوَالِ , وَفِيمَا أَخَذُوهُ مِنْهُمْ فِي جِزْيَةِ رِقَابِهِمْ , وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ , وَكَانَ مَا ذَكَرَهُ فِي الْآيَةِ الثَّانِيَةِ , هُوَ خُمُسُ مَا غَلَبُوا عَلَيْهِ بِأَسْيَافِهِمْ , وَمَا أَشْبَهَهُ , مِنَ الرِّكَازِ الَّذِي جَعَلَ اللهُ فِيهِ عَلَى لِسَانِ رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , الْخُمُسَ , وَتَوَاتَرَتْ بِذَلِكَ الْآثَارُ عَنْهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

5364 - حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ , وَعَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «فِي الرِّكَازِ , الْخُمُسُ»

5365 - حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِثْلُهُ فَقَالَ لَهُ السَّائِلُ: يَا أَبَا مُحَمَّدٍ , أَمَعَهُ أَبُو سَلَمَةَ؟ فَقَالَ: إِنْ كَانَ مَعَهُ , فَهُوَ مَعَهُ , فَكَانَ حُكْمُ جَمِيعِ الْفَيْءِ , وَخُمُسُ الْغَنَائِمِ , حُكْمًا وَاحِدًا , ثُمَّ تَكَلَّمَ النَّاسُ بَعْدَ ذَلِكَ فِي تَأْوِيلِ قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي آيَةِ الْفَيْءِ: فَلِلَّهِ , وَفِي الْغَنِيمَةِ «فَأَنَّ لِلَّهِ» , فَقَالَ بَعْضُهُمْ: قَدْ وَجَبَ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ بِذَلِكَ سَهْمٌ فِي الْفَيْءِ , وَفِي خُمُسِ الْغَنِيمَةِ , فَجَعَلَ ذَلِكَ السَّهْمَ فِي نَفَقَةِ الْكَعْبَةِ , وَرَوَوْا ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩৬৫
empty
৫৩৬৫।
5365 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩৬৬
১৯. অধ্যায় : ফাই ও গনীমতের খুমুস বা এক পঞ্চমাংশের প্রকারভেদ
৫৩৬৬। আলী ইব্‌ন আব্দুল আযীয (রাহঃ)..... আবুল আলিয়া (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে গনীমতের সম্পদ নিয়ে আসা হত। তিনি তাতে হাত রাখতেন, যা কিছু তাতে আসত তা কা'বা শরীফের জন্য নির্ধারণ করতেন এবং সেটা বায়তুল্লাহ্ শরীফের অংশ হত। এরপর যা কিছু অবশিষ্ট থাকত তা পাঁচ (ভাগে) ভাগ করতেন : নবী (ﷺ)-এর জন্য এক হিস্যা, তাঁর স্বজনদের জন্য এক হিস্যা, ইয়াতীমদের জন্য এক হিস্যা, দরিদ্রদের জন্য এক হিস্যা এবং পথচারীদের জন্য এক হিস্যা হত। তিনি (আবুল আলিয়া র) বলেন, কা'বা শরীফের জন্য সেই হিস্যাটিই নির্ধারণ করতেন, যা আল্লাহ্ তা'আলার হিস্যা হত।

পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এই মত গ্রহণ করেছেন যে, এতে আল্লাহ্ তা'আলা যা কিছু আপন সত্তার দিকে সম্বন্ধ করেছেন তা তো শুধু বাক্যের সূচনা করার জন্য। আল্লাহ্ তা'আলা এর সাথে ফাই এবং গনীমতের খুমুস তথা পঞ্চমাংশের বণ্টনের হুকুমের সূচনা করেছেন। তাঁরা বলেন, অনুরূপভাবে যা কিছু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর দিকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে এর হুকুমও এটাই। তাঁরা এই বিষয়টি ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন :
5366 - عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ كَتَبَ عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ , حَدَّثَنِي عَنْ أَبِي عُبَيْدِ اللهِ , عَنْ حَجَّاجٍ , عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الرَّازِيِّ , عَنِ الرَّبِيعِ , عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ , قَالَ: " كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُؤْتَى بِالْغَنِيمَةِ , فَيَضْرِبُ بِيَدِهِ , فَمَا وَقَعَ فِيهَا مِنْ شَيْءٍ , جَعَلَهُ لِلْكَعْبَةِ , وَهُوَ سَهْمُ بَيْتِ اللهِ , ثُمَّ يَقْسِمُ مَا بَقِيَ عَلَى خَمْسَةٍ , فَيَكُونُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَهْمٌ , وَلِذِي الْقُرْبَى سَهْمٌ , وَلِلْيَتَامَى سَهْمٌ , وَلِلْمَسَاكِينِ سَهْمٌ , وَلِابْنِ السَّبِيلِ سَهْمٌ قَالَ: وَالَّذِي جَعَلَهُ لِلْكَعْبَةِ , هُوَ السَّهْمُ الَّذِي جَعَلَهُ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ , وَذَهَبَ آخَرُونَ إِلَى مَا أَضَافَ اللهُ , جَلَّ ثَنَاؤُهُ , إِلَى نَفْسِهِ مِنْ ذَلِكَ , أَنَّهُ مِفْتَاحُ كَلَامٍ , افْتَتَحَ بِهِ مَا أَمَرَ مِنْ قِسْمَةِ الْفَيْءِ , وَخَمَّسَ الْغَنَائِمَ فِيهِ , قَالُوا: وَكَذَلِكَ مَا أَضَافَهُ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَرَوَوْا ذَلِكَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩৬৭
১৯. অধ্যায় : ফাই ও গনীমতের খুমুস বা এক পঞ্চমাংশের প্রকারভেদ
৫৩৬৭। মুহাম্মাদ ইব্‌ন হাজ্জাজ ইবন সুলায়মান আল-হাযরামী (রাহঃ), মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা ইবন রাশিদ আল-বসরী (রাহঃ) ও আলী ইব্‌ন আব্দুর রহমান ইব্‌ন মুগীরা আল-কুফী (রাহঃ) ..... ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, গনীমতের সম্পদ পাঁচ ভাগে ভাগ করা হত। এর থেকে চার হিস্যা জিহাদকারী তথা মুজাহিদদের জন্য হত এবং পঞ্চমাংশ চার ভাগ হত। এক হিস্যা আল্লাহ্ তা'আলা, তাঁর রাসূল (ﷺ) ও তাঁর স্বজনদের জন্য হত। বস্তুত যে হিস্যা আল্লাহ্ ও রাসূলের জন্য হত সেটাই নবী (ﷺ)-এর স্বজনদের জন্য হত। এবং নবী (ﷺ) খুমুস বা এক পঞ্চমাংশ থেকে কিছু গ্রহণ করতেন না। দ্বিতীয় হিস্যাই ইয়াতীমদের জন্য, তৃতীয় হিস্যা দরিদ্রদের জন্য এবং চতুর্থ হিস্যা পথচারী বা মুসাফিরদের জন্য হত। আর পথচারী মুসাফির দ্বারা ঐ সমস্ত দুর্বল ফকীর লোক উদ্দেশ্য, যারা মুসলমানদের কাছে এসে অবস্থান করে।

অন্য আরেক দল আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, আল্লাহ্ তা'আলার বাণী : فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ -এর মর্ম হলো বাক্যের সূচনা বা সূত্রপাত। এবং তাঁর বাণী : وَلِلرَّسُولِ দ্বারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জন্য হিস্যা ওয়াজিব
হয়। অনুরূপভাবে গনীমতের পঞ্চমাংশের ব্যাপারে যা কিছু তাঁর দিকে উল্লেখ হয়েছে, তা দ্বারা এটাই উদ্দেশ্য। তাঁরা এ বিষয়টি হাসান ইবন মুহাম্মাদ ইব্‌ন আলী ইবন আবী তালিব (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন :
5367 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحُجَّاجِ بْنِ سُلَيْمَانَ الْحَضْرَمِيُّ , وَمُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ بْنِ رَاشِدٍ الْبَصْرِيُّ , وَعَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْمُغِيرَةِ الْكُوفِيُّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ , قَالُوا:
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ , عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ , عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , قَالَ " كَانَتِ الْغَنِيمَةُ تُقْسَمُ عَلَى خَمْسَةِ أَخْمَاسٍ , فَأَرْبَعَةٌ مِنْهَا لِمَنْ قَاتَلَ عَلَيْهَا , وَخُمُسٌ وَاحِدٌ يُقْسَمُ عَلَى أَرْبَعَةٍ , فَرُبْعٌ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ وَلِذِي الْقُرْبَى , يَعْنِي: قَرَابَةَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَمَا كَانَ لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ , فَهُوَ لِقَرَابَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , «وَلَمْ يَأْخُذِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْخُمُسِ شَيْئًا» , وَالرُّبْعُ الثَّانِي لِلْيَتَامَى , وَالرُّبْعُ الثَّالِثُ لِلْمَسَاكِينِ , وَالرُّبْعُ الرَّابِعُ لِابْنِ السَّبِيلِ , وَهُوَ الضَّيْفُ الْفَقِيرُ الَّذِي يَنْزِلُ بِالْمُسْلِمِينَ «وَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ مَعْنَى قَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ» فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ " مِفْتَاحُ كَلَامٍ , وَأَنَّ قَوْلَهُ: وَلِلرَّسُولِ , يَجِبُ بِهِ لِرَسُولِ اللهِ سَهْمٌ , وَكَذَلِكَ مَا أَضَافَهُ إِلَى مَنْ ذَكَرَهُ فِي آيَةٍ خُمُسِ الْغَنَائِمِ جَمِيعًا , [ص:277] وَرَوَوْا ذَلِكَ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৫৩৬৯
১৯. অধ্যায় : ফাই ও গনীমতের খুমুস বা এক পঞ্চমাংশের প্রকারভেদ
৫৩৬৮-৬৯। ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ) ....... কায়স ইবন মুসলিম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হাসান ইবন মুহাম্মাদ ইব্‌ন আলী (রাহঃ)-কে আল্লাহ্ তা'আলার বাণী : وَاعْلَمُوا أَنَّمَا غَنِمْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ

(অর্থাৎ : আরও জেনে রাখ যে, যুদ্ধে যা তোমরা লাভ কর তার এক পঞ্চমাংশ আল্লাহর .....)-এর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি বলেছেন, فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ বাণীটি দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ্ তা'আলার কালামের ভূমিকা (এরপর) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ), রাসূলের স্বজনগণ, ইয়াতীম, দরিদ্র ও পথচারী মুসাফিরদের হিস্যা। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর ওফাতের পরে এ বিষয়ে সাহাবাদের মাঝে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলেছেন, স্বজনদের হিস্যা হলো খলীফার স্বজনদের জন্য। কেউ বলেছেন, নবী (ﷺ)-এর ওফাতের পরে তাঁর হিস্যা তাঁর পরবর্তী খলীফার জন্য। অতঃপর এ বিষয়ে সকলের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, তাঁরা সকলে এই দুই হিস্যাকে ঘোড়া তথা অস্ত্র-শস্ত্র ও আল্লাহর পথে জিহাদের প্রস্তুতির জন্য নির্ধারণ করেছেন। আর এটা আবু বকর (রাযিঃ) ও উমার (রাযিঃ)-এর খিলাফতের যুগে ছিলো।

যখন তাঁদের (ফকীহদের) মাঝে ফাই এবং গনীমতের খুমুস বা পঞ্চমাংশের বণ্টনের উপর এই মতবিরোধ হয়েছে এবং তাদের প্রত্যেক দল সেই কথাই বলেছেন যা আমরা উল্লেখ করেছি। সুতরাং আমাদের জন্য অপরিহার্য হলো সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা যেন তাদের অভিমতসমূহ থেকে বিশুদ্ধতম অভিমতটি বের করতে সক্ষম হই। তাই আমরা তাদের অভিমতকে নিরীক্ষণ করেছি যারা এটাকে ছয় ভাগে ভাগ করে এবং আল্লাহ্ তা'আলা এর যেই হিস্যা নিজের দিকে সম্পৃক্ত করেছেন তা আল্লাহ্ তা'আলার হকের ক্ষেত্রে ব্যয় করা হবে। যেমন তারা উল্লেখ করেছে যে, তাঁদের এ বক্তব্যের কি কোন স্বতন্ত্র অর্থ আছে? আমরা লক্ষ্য করেছি যে, এই উম্মত (মুহাম্মাদী) ব্যতীত অন্যান্য সমস্ত উম্মতের উপর গনীমত হারাম ছিলো। অতঃপর আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর খাস রহমতে এবং আসানী সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এই উম্মতের জন্য তা হালাল সাব্যস্ত করেছেন। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াতসমূহ বর্ণিত আছে :
5368 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو حُذَيْفَةَ , مُوسَى بْنُ مَسْعُودٍ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ , ح

5369 - وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارَكِ , عَنْ سُفْيَانَ , عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ , قَالَ: سَأَلْتُ الْحَسَنَ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ قَوْلِ اللهِ , عَزَّ وَجَلَّ {وَاعْلَمُوا أَنَّمَا غَنِمْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ} [الأنفال: 41] الْآيَةَ , قَالَ: أَمَّا قَوْلُهُ {فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ} [الأنفال: 41] فَهُوَ مِفْتَاحُ كَلَامِ اللهِ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ {وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ} [الأنفال: 41] فَاخْتَلَفَ النَّاسُ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَقَالَ قَائِلٌ: سَهْمُ ذَوِي الْقُرْبَى لِقَرَابَةِ الْخَلِيفَةِ , وَقَالَ قَائِلٌ: سَهْمُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْخَلِيفَةِ مِنْ بَعْدِهِ , ثُمَّ أَجْمَعَ رَأْيُهُمْ عَلَى أَنْ جَعَلُوا هَذَيْنِ السَّهْمَيْنِ فِي الْخَيْلِ وَالْعِدَّةِ فِي سَبِيلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ , فَكَانَ ذَلِكَ فِي إِمَارَةِ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , فَلَمَّا اخْتَلَفُوا فِيمَا يُقْسَمُ عَلَيْهِ الْفَيْءُ وَخُمُسُ الْغَنَائِمِ هَذَا الِاخْتِلَافِ , فَقَالَ كُلُّ فَرِيقٍ مِنْهُمْ مَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ عَنْهُ , وَجَبَ أَنْ نَنْظُرَ فِي ذَلِكَ , لِنَسْتَخْرِجَ مِنْ أَقْوَالِهِمْ فِيهِ قَوْلًا صَحِيحًا , فَاعْتَبَرْنَا قَوْلَ الَّذِينَ ذَهَبُوا إِلَى أَنَّهُمَا يُقْسَمَانِ عَلَى سِتَّةِ أَسْهُمٍ , وَجَعَلُوا مَا أَضَافَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَى نَفْسِهِ مِنْ ذَلِكَ يَجِبُ بِهِ سَهْمٌ , يُصْرَفُ فِي حَقِّ اللهِ تَعَالَى , كَمَا ذَكَرُوا , هَلْ لَهُ مَعْنَى أَمْ لَا؟ فَرَأَيْنَا الْغَنِيمَةَ قَدْ كَانَتْ مُحَرَّمَةً عَلَى مَنْ سِوَى هَذِهِ الْأُمَّةِ مِنَ الْأُمَمِ , ثُمَّ أَبَاحَهُ اللهُ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ رَحْمَةً مِنْهُ إِيَّاهَا وَتَخْفِيفًا مِنْهُ عَنْهَا , وَجَاءَتْ بِذَلِكَ الْآثَارُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩৬৯
empty
৫৩৬৯।
5369 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩৭০
১৯. অধ্যায় : ফাই ও গনীমতের খুমুস বা এক পঞ্চমাংশের প্রকারভেদ
৫৩৭০। ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ).... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের পূর্বে কোন কালো মাথা বিশিষ্ট জাতির জন্য গনীমত (-এর সম্পদ) হালাল ছিলনা। আসমান থেকে আগুন আসত এবং গনীমতের মাল জ্বালিয়ে দিত। পরে আয়াত নাযিল হলো : لَوْلَا كِتَابٌ مِنَ اللهِ سَبَقَ لَمَسَّكُمْ

অর্থাৎ : পূর্ববর্তী কিতাবে আল্লাহর পূর্ব বিধান না থাকলে (তোমরা যা গ্রহণ করেছ তজ্জন্য তোমাদের উপর মহাশাস্তি) আপতিত হত। (সূরা : ৮ আয়াত‌ : ৬৮)
5370 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو حُذَيْفَةَ , عَنْ سُفْيَانَ , عَنِ الْأَعْمَشِ , عَنْ ذَكْوَانَ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: لَمْ تَحِلَّ الْغَنِيمَةُ لِأَحَدٍ سُودِ الرُّءُوسِ قَبْلَنَا , كَانَتِ الْغَنِيمَةُ تَنْزِلُ النَّارَ فَتَأْكُلُهَا , فَنَزَلَتْ {لَوْلَا كِتَابٌ مِنَ اللهِ سَبَقَ لَمَسَّكُمْ} [الأنفال: 68] فِي الْكِتَابِ السَّابِقِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩৭১
১৯. অধ্যায় : ফাই ও গনীমতের খুমুস বা এক পঞ্চমাংশের প্রকারভেদ
৫৩৭১। হুসাইন ইব্‌ন নসর (রাহঃ).... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন : তোমাদের পূর্বে কোন কালো মাথা (চুল) বিশিষ্ট জাতির জন্য গনীমত (এর সম্পদ) হালাল ছিল না, আকাশ থেকে আগুন এসে তা জ্বালিয়ে দিত। অবশেষে বদর (যুদ্ধের) দিন এলো এবং মুসলমানগণ গনীমতের সম্পদে পড়ে গেল এবং তাদের মাঝে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়ে গেল। আল্লাহ্ তা'আলা আয়াত অবতীর্ণ করলেন : لَوْلَا كِتَابٌ مِنَ اللهِ سَبَقَ لَمَسَّكُمْ فِيمَا أَخَذْتُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ فَكُلُوا مِمَّا غَنِمْتُمْ حَلَالًا طَيِّبًا

অর্থাৎ : যদি আল্লাহর পূর্ব বিধান না থাকতো তাহলে তোমরা যা গ্রহণ করেছ তজ্জন্য তোমাদের উপর মহা শাস্তি আপতিত হত। (সূরা : ৮ আয়াত : ৬৮)

অতঃপর সাহাবাগণ নফল বা গনীমত সম্পর্কে মতবিরোধ করেছেন। তাই আল্লাহ্ তা'আলা তা তাদের থেকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জন্য সাব্যস্ত করেছেন। আল্লাহ্ তা'আলা এ বিষয়ে আয়াত অবতীর্ণ করেছেন। يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَنْفَالِ قُلِ الْأَنْفَالُ لِلَّهِ وَالرَّسُولِ

অর্থাৎ : লোকে তোমাকে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সম্বন্ধে প্রশ্ন করে; বল, যুদ্ধলব্ধ সম্পদ আল্লাহ্ এবং রাসূলের (সূরা : ৮ আয়াত : ১)
5371 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ الْفِرْيَابِيُّ , قَالَ: ثنا قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ , عَنِ الْأَعْمَشِ , عَنْ أَبِي صَالِحٍ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , " لَمْ تَحِلَّ الْغَنِيمَةُ لِقَوْمٍ سُودِ الرُّءُوسِ قَبْلَكُمْ , كَانَتْ تَنْزِلُ نَارٌ مِنَ السَّمَاءِ فَتَأْكُلُهَا حَتَّى كَانَ يَوْمُ بَدْرٍ , فَوَقَعُوا فِي الْغَنَائِمِ فَاخْتَلَفَ بِهِمْ , فَأَنْزَلَ اللهُ تَعَالَى {لَوْلَا كِتَابٌ مِنَ اللهِ سَبَقَ لَمَسَّكُمْ فِيمَا أَخَذْتُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ فَكُلُوا مِمَّا غَنِمْتُمْ حَلَالًا طَيِّبًا} [الأنفال: 69] ثُمَّ إِنَّ أَصْحَابَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اخْتَلَفُوا فِي الْأَنْفَالِ , فَانْتَزَعَهَا اللهُ مِنْهُمْ , ثُمَّ جَعَلَهَا لِرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَأَنْزَلَ اللهُ فِيهِ {يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَنْفَالِ قُلِ الْأَنْفَالُ لِلَّهِ وَالرَّسُولِ} [الأنفال: 1]
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩৭২
আন্তর্জাতিক নং: ৫৩৭৩
১৯. অধ্যায় : ফাই ও গনীমতের খুমুস বা এক পঞ্চমাংশের প্রকারভেদ
৫৩৭২-৭৩। ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ)..... উবাদা ইবন সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বদরের (যুদ্ধের) উদ্দেশ্যে বের হলেন এবং শত্রুর (কাফির) সাথে মুকাবিলা করলেন। যখন আল্লাহ্ তা'আলা তাদের (কাফিরদের) কে পরাস্ত করলেন তখন মুসলমানদের একটি দল তাদের পিছনে অনুসরণ করে চললো এবং তাদেরকে হত্যা করে চললো। পক্ষান্তরে অপর একটি দল রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে হিফাযত বা নিরাপত্তা দিচ্ছিলো। আরেকটি দল শত্রুবাহিনীর উপর বিজয়ী হলো এবং তাদেরকে লুট করতে লাগল। যখন আল্লাহ্ তা'আলা শত্রু (বাহিনী) কে পরাস্ত করে দিলেন এবং তাদের পিছনে অনুসরণকারী দল ফিরে এলো তখন তারা বলতে লাগল, গনীমতের মাল আমাদের। কেননা শত্রুর পিছনে আমরা (ধাওয়া) করেছি এবং আমাদের কারণে আল্লাহ্ তা'আলা তাদেরকে দূর করেছেন ও পরাস্ত করেছেন। যারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর হিফাযতে নিযুক্ত ছিলো তারা বলল, তোমরা আমাদের থেকে অধিক হকদার নও। আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে নিরাপত্তা দিয়েছি, যেন শত্রুবাহিনী প্রতারিত করে তাঁর উপর আক্রমণ করতে না পারে। আর যারা শত্রুর উপর বিজয়ী হলো এবং লুট করলো তারা বলতে লাগল, আল্লাহর কছম! তোমরা আমাদের অপেক্ষা এর অধিক হকদার নও। আমরা এই গনীমতের মালকে ঘিরে ফেলেছি এবং অর্জন করেছি। এই প্রসঙ্গেই আল্লাহ্ তা'আলা আয়াত অবতীর্ণ করেছেন : يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَنْفَالِ قُلِ الْأَنْفَالُ لِلَّهِ وَالرَّسُولِ........إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ
অর্থাৎ : লোকে তোমাকে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ (গনীমত) সম্বন্ধে প্রশ্ন করে, বল, 'যুদ্ধলব্ধ সম্পদ আল্লাহ্ এবং রাসূলের; যদি তোমরা মু'মিন হও পর্যন্ত (সূরাঃ ৮ আয়াত ১)। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদের মাঝে তা বরাবরভাবে বণ্টন করেছেন।

মালিক ইব্‌ন ইয়াহইয়া (রাহঃ).....আবু উমামা থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন এবং তিনি উবাদা (রাযিঃ)-এর উল্লেখ করেন নাই। তবে তিনি এটা বলেছেন যে, নবী (ﷺ) তাদের মাঝে তা বরাবর করে বণ্টন করেছেন এবং কুরআন শরীফের আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে : يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَنْفَالِ قُلِ الْأَنْفَالُ لِلَّهِ وَالرَّسُولِ

অর্থাৎ : লোকে তোমাকে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ (গনীমত) সম্বন্ধে প্রশ্ন করে; বল, যুদ্ধলব্ধ সম্পদ আল্লাহর এবং রাসূলের। আয়াতের শেষ পর্যন্ত। অন্য একদল আলিম বলেছেন যে, এই আয়াতটি অন্য অর্থে অবতীর্ণ হয়েছে |
5372 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ , قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ , قَالَ: حَدَّثَنِي [ص:278] عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ سُلَيْمَانِ بْنِ مُوسَى , عَنْ مَكْحُولٍ , عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ , عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , قَالَ: " خَرَجَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى بَدْرٍ , فَلَقِيَ الْعَدُوَّ , فَلَمَّا هَزَمَهُمُ اللهُ , اتَّبَعَتْهُمْ طَائِفَةٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَقْتُلُونَهُمْ وَأَحْدَقَتْ طَائِفَةٌ بِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَاسْتَوْلَتْ طَائِفَةٌ بِالْعَسْكَرِ وَالنَّهْبِ , فَلَمَّا نَفَى اللهُ الْعَدُوَّ , وَرَجَعَ الَّذِينَ طَلَبُوهُمْ , قَالُوا: لَنَا النَّفَلُ , نَحْنُ طَلَبْنَا الْعَدُوَّ , وَبِنَا نَفَاهُمُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ وَهَزَمَهُمْ , وَقَالَ الَّذِينَ أَحْدَقُوا بِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا أَنْتُمْ بِأَحَقَّ مِنَّا , نَحْنُ أَحْدَقْنَا بِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لَا يَنَالُ الْعَدُوُّ مِنْهُ غُرَّةً , وَقَالَ الَّذِينَ اسْتَوْلَوْا عَلَى الْعَسْكَرِ وَالنَّهْبِ: وَاللهِ مَا أَنْتُمْ أَحَقُّ بِهِ مِنَّا , نَحْنُ حَوَيْنَاهُ وَاسْتَوْلَيْنَاهُ , فَأَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَنْفَالِ قُلِ الْأَنْفَالُ لِلَّهِ وَالرَّسُولِ} [الأنفال: 1] إِلَى قَوْلِهِ {إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ} [البقرة: 91] فَقَسَمَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَهُمْ عَنْ فَوَاقٍ

5373 - حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ يَحْيَى , قَالَ: ثنا أَبُو النَّصْرِ , قَالَ: ثنا الْأَشْجَعِيُّ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ , عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى , عَنْ مَكْحُولٍ , عَنْ أَبِي سَلَّامٍ , عَنْ أَبِي أُمَامَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ نَحْوُهُ وَلَمْ يَذْكُرْ عُبَادَةَ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَقَسَمَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ فَوَاقٍ بَيْنَهُمْ وَنَزَلَ الْقُرْآنُ {يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَنْفَالِ قُلِ الْأَنْفَالُ لِلَّهِ وَالرَّسُولِ} [الأنفال: 1] وَقَدْ قَالَ قَوْمٌ: إِنَّ هَذِهِ الْآيَةَ نَزَلَتْ فِي غَيْرِ هَذَا الْمَعْنَى
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩৭৩
empty
৫৩৭৩।
5373 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩৭৪
১৯. অধ্যায় : ফাই ও গনীমতের খুমুস বা এক পঞ্চমাংশের প্রকারভেদ
৫৩৭৪। ইয়াহইয়া ইবন উসমান (রাহঃ)..... আতা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আল্লাহ্ তা'আলার এই বাণী : يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَنْفَالِ , قُلِ الْأَنْفَالُ لِلَّهِ وَالرَّسُولِ সম্পর্কে বলেছেন, এটা হল মুশরিকদের জন্তু লড়াই ব্যতীত পলায়ন করে মুসলমানদের দিকে ছুটে চলে আসা। অথবা অনুরূপ কোন অবস্থা হওয়া। তো এটা নবী (ﷺ)-এর জন্য নফল হিসাবে গণ্য হবে। আর তিনি বলেছেন, এই ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের বিশুদ্ধতার সপক্ষে প্রমাণ হলো আবু বাকরা (রাযিঃ)-এর বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াত :
5374 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ , قَالَ: ثنا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارَكِ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ , فِي قَوْلِهِ: {يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَنْفَالِ , قُلِ الْأَنْفَالُ لِلَّهِ وَالرَّسُولِ} [الأنفال: 1] , قَالَ: مَا نَدَّ مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِلَى الْمُسْلِمِينَ مِنْ غَيْرِ قِتَالٍ , مِنْ دَابَّةٍ وَنَحْوِ ذَلِكَ , فَهُوَ نَفْلٌ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: وَالدَّلِيلُ عَلَى صِحَّةِ هَذَا التَّأْوِيلِ , مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَمْرِ أَبِي بَكْرَةَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩৭৫
১৯. অধ্যায় : ফাই ও গনীমতের খুমুস বা এক পঞ্চমাংশের প্রকারভেদ
৫৩৭৫। ফাহাদ (ল)..... ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তায়িফ অভিযানের দিন যে কেউ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে চলে এসেছে তিনি তাকে আযাদ করে দিয়েছেন। আবু বাকরা (রাযিঃ) ও তাদের মধ্যে থেকে (একজন) ছিলেন এবং তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর আযাদ করা গোলাম ছিলেন।
5375 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا عُثْمَانُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ , قَالَ: ثنا أَبِي , عَنْ حَجَّاجٍ , عَنِ الْحَكَمِ , عَنْ مِقْسَمٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , قَالَ: «كَانَ مَنْ خَرَجَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الطَّائِفِ أَعْتَقَهُ , فَكَانَ أَبُو بَكْرَةَ مِنْهُمْ , فَهُوَ مَوْلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩৭৬
১৯. অধ্যায় : ফাই ও গনীমতের খুমুস বা এক পঞ্চমাংশের প্রকারভেদ
৫৩৭৬। ফাহাদ (রাহঃ)..... ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তায়িফ অভিযানের দিন সেখানকার যে গোলাম রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে এসেছে তিনি তাকে আযাদ করে দিয়েছেন। সেইদিন যারা আযাদ হয়েছিলো আবু বাকা (রাযিঃ) তাদের অন্যতম এবং অন্যরাও ছিলো, এরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর আযাদ করা গোলাম ছিলো।
5376 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ الْخَلِيلِ الْكُوفِيِّ , قَالَ أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ , عَنِ الْحَجَّاجِ , عَنِ الْحَكَمِ , عَنْ مِقْسَمٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , قَالَ: «أَعْتَقَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الطَّائِفِ , مَنْ خَرَجَ إِلَيْهِ مِنْ عَبِيدِ الطَّائِفِ , فَكَانَ مِمَّنْ عَتَقَ يَوْمَئِذٍ , أَبُو بَكْرَةَ وَغَيْرُهُ , فَكَانُوا مَوَالِيَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩৭৭
১৯. অধ্যায় : ফাই ও গনীমতের খুমুস বা এক পঞ্চমাংশের প্রকারভেদ
৫৩৭৭। আহমদ ইবন দাউদ ইবন মুসা (রাহঃ)..... শা'বী (রাহঃ) সূত্রে ছাকীফ গোত্রের জনৈক ব্যক্তি থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কাছে এই মর্মে আবেদন করলাম যে, আবু বাকরাকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিন। তিনি এতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলেন এবং বললেন, সে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের আযাদকৃত।

তোমরা কি লক্ষ্য করছনা যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আবু বাকরা (রাযিঃ) সহ তাঁর কাছে তায়িফ থেকে আগত অপরাপর গোলামদেরকে এরূপভাবে আযাদ করেছেন যে, এতে তারা তাঁর আযাদ করা গোলাম হয়ে গেছে। এতে প্রমাণিত হয় যে, তাদেরকে আযাদ করার পূর্বেই তাঁর জন্য তাদের মালিকানা অর্জিত হয়েছিলো, তার সঙ্গে অবশিষ্ট মুসলমানদের (মালিকানা) অর্জিত ছিলোনা, যখন তারা লড়াই ব্যতীত ধৃত হয়, যেমন ঐ সমস্ত সম্পদ যার উপর ঘোড়া এবং সওয়ারী দৌড়ান হয়নি। তবে এটা শুধু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জন্য নির্ধারিত, তাঁর সঙ্গে অপরাপর মুসলমানদের এতে কোন অংশ বা মালিকানা নেই। একদল আলিম বলেন যে, সংশ্লিষ্ট আয়াতে এই দুই অর্থ ব্যতীত অন্য অর্থ উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে :
5377 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ بْنِ مُوسَى , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ صَالِحٍ الْأَزْدِيُّ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ آدَمَ , عَنِ الْفَضْلِ [ص:279] بْنِ مُهَلْهَلٍ , عَنِ الْمُغِيرَةِ , عَنِ الشِّبَاكِ , عَنِ الشَّعْبِيِّ , عَنْ رَجُلٍ مِنْ ثَقِيفٍ قَالَ: «سَأَلْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَرُدَّ إِلَيْنَا أَبَا بَكْرَةَ , فَأَبَى عَلَيْنَا وَقَالَ هُوَ طَلِيقُ اللهِ , وَطَلِيقُ رَسُولِهِ» أَفَلَا تَرَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَعْتَقَ أَبَا بَكْرَةَ وَمَنْ نَزَلَ إِلَيْهِ مِنْ عَبِيدِ الطَّائِفِ عِتْقًا صَارُوا بِهِ مَوَالِيَهُ، فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ مِلْكَهُمْ كَانَ وَجَبَ لَهُ قَبْلَ الْعِتَاقِ دُونَ سَائِرِ مَنْ كَانَ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَأَنَّهُمْ إِذَا أُخِذُوا بِغَيْرِ قِتَالٍ كَمَا لَوْ لَمْ يُوجِفْ عَلَيْهِ بِخَيْلٍ وَلَا رِكَابٍ، وَذَلِكَ لِرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دُونَ مَنْ سِوَاهُ مِمَّنْ كَانَ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ. وَقَدْ قَالَ قَوْمٌ: إِنَّ تَأْوِيلَ هَذِهِ الْآيَةِ أُرِيدَ بِهِ مَعْنًى غَيْرَ هَذِينِ الْمَعْنَيَيْنِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩৭৮
১৯. অধ্যায় : ফাই ও গনীমতের খুমুস বা এক পঞ্চমাংশের প্রকারভেদ
৫৩৭৮। আব্দুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মাদ ইবন সাঈদ ইবন আবী মারইয়াম (রাহঃ)..... ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন বদর অভিযানের দিন হলো রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, যে ব্যক্তি এরূপ এরূপ করবে সে এই এই পুরস্কার পাবে। সুতরাং যুবক সাহাবাহগণ (যুদ্ধে ) চলে গেলেন এবং বৃদ্ধগণ পতাকার নীচে অবস্থান করলেন। যখন গনীমতের মালের বিষয় এলো তখন যুবকগণ এসে তাদের অতিরিক্ত হিস্যা চাইতে লাগলেন। বৃদ্ধগণ বললেন, আমাদের উপর তোমাদের প্রাধান্য নেই। আমরা পতাকার নীচে ছিলাম, যদি তোমরা পরাস্ত হতে তরে আমরা তোমাদের জন্য আশ্রয় ছিলাম। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ তা'আলা আয়াত অবতীর্ণ করেন : يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَنْفَالِ (লোকেরা তোমাকে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সম্বন্ধে প্রশ্ন করে) তিনি এই আয়াত পড়লেন এবং পড়তে পড়তে ঐ স্থান পর্যন্ত পৌঁছালেন : كَمَا أَخْرَجَكَ رَبُّكَ مِنْ بَيْتِكَ بِالْحَقِّ وَإِنَّ فَرِيقًا مِنَ الْمُؤْمِنِينَ لَكَارِهُونَ

অর্থাৎ: এটা এইরূপ যেমন তোমার প্রতিপালক তোমাকে ন্যায়ভাবে তোমার গৃহ থেকে বের করে দিয়েছিলেন অথচ বিশ্বাসীদের একদল এটা পসন্দ করে নাই। (সূরা‌ : ৮ আয়াত ৫) তিনি বলছিলেন, এই বিষয়ে আনুগত্য কর যেমনটি তোমরা আমার কাজের পরিণতি দেখছিলে যে, যখন তোমরা (গৃহ থেকে) বের হয়েছিলে তখন তো অপসন্দ করছিলে। সুতরাং তিনি তাদের মাঝে (গনীমতের মাল) বরাবর করে বন্টন করলেন। তোমরা‌দেখছনা যে, যখনই আল্লাহ্ তা'আলা আয়াত يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَنْفَالِ قُلِ الْأَنْفَالُ لِلَّهِ وَالرَّسُولِ অবতীর্ণ করলেন তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) গনীমতের সমস্ত মাল তাদের মাঝে বণ্টন করে দিলেন। আর যা কিছু আল্লাহ্ তা'আলা নিজের দিকে সম্বন্ধ করেছেন তা হলো ফরয এবং স্বীয় রাসূলের দিকে যা সম্বন্ধ করেছেন তা মালিক বানানো হিসাবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্য একটি মর্মও বর্ণনা করা হয়েছে :
5378 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ , قَالَ: ثنا أَسَدُ بْنُ مُوسَى , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ , قَالَ: ثنا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ , عَنْ عِكْرِمَةَ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ " لَمَّا كَانَ يَوْمَ بَدْرٍ , قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ فَعَلَ كَذَا وَكَذَا , فَلَهُ كَذَا وَكَذَا فَذَهَبَ شُبَّانُ الرِّجَالِ , وَجَلَسَ شُيُوخٌ تَحْتَ الرَّايَاتِ , فَلَمَّا كَانَتِ الْغَنِيمَةُ , جَاءَ الشُّبَّانُ يَطْلُبُونَ نَفْلَهُمْ , فَقَالَ الشُّيُوخُ: لَا تَسْتَأْثِرُوا عَلَيْنَا , فَإِنَّا كُنَّا تَحْتَ الرَّايَاتِ , وَلَوِ انْهَزَمْتُمْ , كُنَّا رِدْءًا لَكُمْ , فَأَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَنْفَالِ} [الأنفال: 1] فَقَرَأَ حَتَّى بَلَغَ {كَمَا أَخْرَجَكَ رَبُّكَ مِنْ بَيْتِكَ بِالْحَقِّ وَإِنَّ فَرِيقًا مِنَ الْمُؤْمِنِينَ لَكَارِهُونَ} [الأنفال: 5] يَقُولُ: أَطِيعُوا فِي هَذَا الْأَمْرَ , كَمَا رَأَيْتُمْ عَاقِبَةَ أَمْرِي , حَيْثُ خَرَجْتُمْ وَأَنْتُمْ كَارِهُونَ , فَقَسَمَ بَيْنَهُمْ بِالسَّوِيَّةِ , أَفَلَا تَرَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ قَسَمَهُ كُلَّهُ بَيْنَهُمْ كَمَا أَنْزَلَ اللهُ تَعَالَى «يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَنْفَالِ قُلِ الْأَنْفَالُ لِلَّهِ وَالرَّسُولِ» , وَكَانَ مَا أَضَافَهُ اللهُ إِلَى نَفْسِهِ , عَلَى سَبِيلِ الْفَرْضِ , وَمَا أَضَافَهُ إِلَى رَسُولِهِ , عَلَى سَبِيلِ التَّمْلِيكِ , وَقَدْ رُوِيَ فِي ذَلِكَ وَجْهٌ آخَرُ أَيْضًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩৭৯
১৯. অধ্যায় : ফাই ও গনীমতের খুমুস বা এক পঞ্চমাংশের প্রকারভেদ
৫৩৭৯। ইবরাহীম ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) .....মুস্আ'ব ইবন সা'দ (রাহঃ) তার পিতা (সা’দ রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার প্রসঙ্গে চারটি আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে। আমি বদরের (অভিযানের) দিন একটি তরবারি পেলাম এবং বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এটি আমাকে নফল হিসাবে প্রদান করুন। তিনি বললেন, এটি যেখান থেকে নিয়েছ সেখানেই রেখে দাও। এরপর বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এটি আমাকে নফল হিসাবে প্রদান করুন। তিনি বললেন, এটি যেখান থেকে নিয়েছ সেখানে রেখে দাও। আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! এটি আমাকে দিন। তিনি বললেন, এটি যেখান থেকে তুমি নিয়েছ সেখানে রেখে দাও। তোমাকে কি ঐ ব্যক্তির ন্যায় সাব্যস্ত করা হবে, যে মালদার নয় অথবা বলেছেন ঐ ব্যক্তির ন্যায় সাব্যস্ত করা হবে যার মালদারি অর্জিত নেই। (এখানে) ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ)-এর সন্দেহ রয়েছে। বলেন, এই প্রসঙ্গে নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে : يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَنْفَالِ إِلَى آخَرِ الْآيَةِ

বিশ্লেষণ
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন : এই সমস্ত রিওয়ায়াতসমূহে গনীমতের মাল হালাল হওয়ার যে উল্লেখ রেয়েছে, এটা শুরুতে আল্লাহ্ তা'আলা এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জন্য সাব্যস্ত করা হয়েছে। সুতরাং আল্লাহ্ তা'আলা যা কিছু নিজের দিকে সম্বন্ধ করেছেন, এর এই মর্ম নয় যে, যা কিছু আল্লাহ্ তা'আলার ব্যাপারে ব্যয় করা হবে তা হুবহু তারই ব্যাপারে ব্যয় করা হবে অন্য কোন দিকে ফিরানো জাইয হবে না এবং এটাকে হুবহু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর হিস্যার দিকে ফিরানো হবে এবং একে দুই হিস্যায় বণ্টন করে দুই স্থানে ব্যয় করা হবে (এমনটি নয়) । বরং এই সমস্ত মাল একই খাতে ব্যয় করা হবে। অর্থাৎ এটাকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর হিস্যা সাব্যস্ত করা হবে। অতঃপর তিনি এর সাথে না তাঁর সাহাবাদেরকে প্রাধান্য দিবেন এবং না কতককে ছেড়ে অন্য কতকের জন্য নির্দিষ্ট করবেন। বরং তাদের সকলকে ব্যাপকভাবে প্রদান করবেন। এবং তাদের মাঝে বরাবর করে বণ্টন করবেন। এর থেকে আল্লাহর জন্য পঞ্চমাংশ বের করবেনা। কেননা খুমুস বা পঞ্চমাংশের আয়াত 'মালে ফাই’-এর ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছে এবং তখন পর্যন্ত তাঁর উপর গনীমতের মালের ব্যাপারে আয়াত অবতীর্ণ হয়নি। বস্তুত যা কিছু আমরা উল্লেখ করেছি এতে প্রমাণিত হয় যে, যখন গনীমত সম্পর্কিত আয়াত নাযিল হলো আর এটা সেই আয়াত যার ব্যাখ্যাতে মতবিরোধ রয়েছে, যেমন আমরা উল্লেখ করেছি যে, যা কিছু আল্লাহ্ তা'আলা গনীমত থেকে নিজের দিকে সম্বন্ধ করেছেন তা থেকে আল্লাহ্ তা'আলার জন্য এরূপ হিস্যা সাব্যস্ত হয়না যা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর হিস্যার পরিপন্থী। বরং আল্লাহ্ তা'আলার হিস্যা ঐ সমস্ত পদ্ধতিতে বা লোকদের উপর বণ্টন হওয়া বাঞ্ছনীয় যাদের আমরা উল্লেখ করেছি। এতে সেই সমস্ত লোকদের অভিমত বাতিল হয়ে গিয়েছে, যাদের মতে গনীমতকে ছয় হিস্যায় বণ্টন করা হয়।

অতঃপর আমরা ঐ সমস্ত লোকদের অভিমতের দিকে ফিরে যাব, যাদের মতে গনীমতকে চার হিস্যায় বণ্টন করা হবে। তারা এ বিষয়ে ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন, যাকে আমরা এই অধ্যায়ের শুরুতে নকল করেছি। যদিও এই হাদীসটি ‘মুনকাতি’ (বিচ্ছিন্ন) এবং এরূপ রিওয়ায়াত প্রমাণিত হয়না। কিন্তু হাদীস বিশেষজ্ঞ একদল আলিম বলেন যে, এটা (হাদীসটি) সহীহ্ বা বিশুদ্ধ এবং আলী ইব্‌ন আবু তালহা (রাহঃ) যদিও আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) কে দেখেন নাই, কিন্তু তিনি এই রিওয়ায়াতটি মুজাহিদ (রাহঃ) ও ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর আযাদকৃত গোলাম ইকরামা থেকে গ্রহণ করেছেন।
5379 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ , عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ , عَنْ أَبِيهِ , قَالَ: " نَزَلَتْ فِي أَرْبَعُ آيَاتٍ , أَصَبْتُ سَيْفًا يَوْمَ بَدْرٍ , فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ , نَفِّلْنِيهِ , فَقَالَ ضَعْهُ مِنْ حَيْثُ أَخَذْتُهُ , ثُمَّ قُلْتُ: يَا رَسُولَ , نَفِّلْنِيهِ , فَقَالَ ضَعْهُ مِنْ حَيْثُ أَخَذْتُهُ قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ , نَفِّلْنِيهِ , فَقَالَ ضَعْهُ مِنْ حَيْثُ أَخَذْتُهُ , أَتَجْعَلُ كَمَنْ لَا غِنَى لَهُ , أَوْ قَالَ: أَوْ جَعَلَ كَمَنْ لَا غِنَى لَهُ الشَّكُّ مِنَ ابْنِ مَرْزُوقٍ , قَالَ: وَنَزَلَ «يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَنْفَالِ» إِلَى آخَرِ الْآيَةِ ". قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَفِي هَذِهِ الْآثَارِ كُلِّهَا , الَّتِي أَبَاحَتِ الْغَنَائِمَ إِنَّمَا جُعِلَتْ فِي بَدْءِ تَحْلِيلِهَا , لِلَّهِ وَالرَّسُولِ , فَلَمْ يَكُنْ مَا أَضَافَ اللهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى مِنْهَا إِلَى نَفْسِهِ , عَلَى أَنْ يُصْرَفَ شَيْءٌ مِنْهَا فِي حَقِّ اللهِ تَعَالَى , فَيُصْرَفُ ذَلِكَ فِي ذَلِكَ الْحَقِّ بِعَيْنِهِ , لَا يَجُوزُ أَنْ يَتَعَدَّى إِلَى غَيْرِهِ , وَيُصْرَفَ بِعَيْنِهَا إِلَى سَهْمٍ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَتَكُونُ مُقَسَّمَةً [ص:280] عَلَى سَهْمَيْنِ , مَصْرُوفَةً فِي وَجْهَيْنِ , بَلْ جُعِلَتْ كُلُّهَا مُتَصَرِّفَةً فِي وَجْهٍ وَاحِدٍ , وَهُوَ إِنْ جُعِلَتْ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَلَمْ يَسْتَأْثِرْ بِهَا عَلَى أَصْحَابِهِ , وَلَمْ يَخُصَّ بِهَا بَعْضَهُمْ دُونَ بَعْضٍ , بَلْ عَمَّهُمْ بِهَا جَمِيعًا , وَسَوَّى بَيْنَهُمْ فِيهَا , وَلَمْ يُخْرِجْ مِنْهَا لِلَّهِ خُمُسًا , لِأَنَّ آيَةَ الْخُمُسِ فَيْءُ الْأَفْيَاءِ , وَآيَةُ الْغَنَائِمِ لَمْ تَكُنْ نَزَلَتْ عَلَيْهِ حِينَئِذٍ , فَفِيمَا ذَكَرْنَا , مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ لَمَّا نَزَلَتْ آيَةُ الْغَنَائِمِ , وَهِيَ الَّتِي وَقَعَ فِي تَأْوِيلِهَا مِنَ الِاخْتِلَافِ مَا قَدْ ذَكَرْنَا , أَنْ لَا يَكُونَ مَا أَضَافَ اللهُ تَعَالَى مِنْهَا إِلَى نَفْسِهِ مِنَ الْغَنَائِمِ , يَجِبُ بِهِ لِلَّهِ فِيهَا سَهْمٌ , فَيَكُونُ ذَلِكَ السَّهْمُ , خِلَافَ سَهْمِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهَا , وَلَكِنَّهُ كَانَ مِنْهُ عَلَى أَنَّهُ لَهُ , عَزَّ وَجَلَّ , فَرَضَ أَنْ يُقْسَمَ عَلَى مَا سَمَّاهُ مِنَ الْوُجُوهِ الَّتِي ذَكَرْنَاهَا , فَبَطَلَ بِذَلِكَ قَوْلُ مَنْ ذَهَبَ إِلَى أَنَّ الْغَنِيمَةَ تُقْسَمُ عَلَى سِتَّةِ أَسْهُمٍ , ثُمَّ رَجَعْنَا إِلَى قَوْلِ مَنْ ذَهَبَ إِلَى أَنَّهَا تُقْسَمُ عَلَى أَرْبَعَةِ أَسْهُمٍ , إِلَى مَا احْتَجُّوا بِهِ فِي ذَلِكَ مِنْ خَبَرِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا الَّذِي رَوَيْنَاهُ فِي صَدْرِ هَذَا الْكِتَابِ , وَإِنْ كَانَ خَبَرًا مُنْقَطِعًا , لَا يَثْبُتُ مِثْلُهُ , غَيْرَ أَنَّ قَوْمًا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ بِالْآثَارِ يَقُولُونَ: إِنَّهُ صَحِيحٌ , وَإِنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَلْحَةَ , وَإِنْ كَانَ لَمْ يَكُنْ رَأَى عَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فَإِنَّمَا أَخَذَ ذَلِكَ , عَنْ مُجَاهِدٍ وَعِكْرِمَةَ , مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩৮০
১৯. অধ্যায় : ফাই ও গনীমতের খুমুস বা এক পঞ্চমাংশের প্রকারভেদ
৫৩৮০। আলী ইব্‌ন হুসাইন ইব্‌ন আব্দুর রহমান ইবন ফাহম (রাহঃ) তিনি বলেন, আমি আহমদ ইবন হাম্বল (রাহঃ) কে শুনেছি, তিনি বলতেন : যদি কেউ মিশর গিয়ে মু'আবিয়া ইবন সালিহ (রাহঃ)-এর গ্রন্থ 'কিতাবুত্ তাবীল' নিয়ে আসে তবে আমি তার এই সফরকে অনর্থক মনে করিনা।

সুতরাং আমরা এরূপ পেয়েছি যে, 'আনফালের' আয়াতে যা কিছু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর দিকে সম্বন্ধযুক্ত তা কেবল মালিক বানাবার জন্য, অন্য কোন মর্ম নয়। এতে অকাট্য প্রমাণ বিদ্যমান রয়েছে, যা আমাদেরকে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অন্য কোন প্রমাণ উপস্থাপন করা থেকে নির্মুখাপেক্ষী করে দেয়। কিন্তু আমরা তাদের বিরুদ্ধে আরো অতিরিক্ত প্রমাণ পেশ করতে চাচ্ছি। তাই আমরা বলছি যে, যে দুই আয়াত আমরা এই অধ্যায়ের শুরুতে উল্লেখ করেছি তা ব্যতীত অন্য আয়াতসমূহেও আল্লাহ্ তা'আলা 'মালে ফাই-এর কিছু হিস্যা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর দিকে সম্বন্ধযুক্ত করেছেন। তা দ্বারা উদ্দেশ্য মালিক বানান। আল্লাহ্ তা'আলা বলেন : مَا أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلَا رِكَابٍ

অর্থাৎ : আল্লাহ্ ইয়াহুদীদের নিকট থেকে তাঁর রাসূলকে যে ফাই (সম্পদ) দিয়েছেন, তার জন্য তোমরা অশ্বে কিংবা উষ্ট্রে আরোহণ করে যুদ্ধ কর নাই (সূরা : ৫৯ আয়াত ৬)।
5380 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ فَهْمٍ , قَالَ: سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ , يَقُولُ «لَوْ أَنَّ رَجُلًا , رَحَلَ إِلَى مِصْرٍ , فَانْصَرَفَ مِنْهَا بِكِتَابِ التَّأْوِيلِ لِمُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ , مَا رَأَيْتُ رِحْلَتَهُ ذَهَبَتْ بَاطِلَةً» فَوَجَدْنَا مَا أُضِيفَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالتَّحِيَّةَ فِي آيَةِ الْأَنْفَالِ , قَدْ كَانَ التَّمْلِيكُ , لَا عَلَى مَا سِوَاهُ , فَقَدْ كَانَ فِي هَذَا حُجَّةٌ قَاطِعَةٌ , تُغْنِينَا عَنِ الِاحْتِجَاجِ بِمَا سِوَاهَا , عَلَى أَهْلِ هَذَا الْقَوْلِ , وَلَكِنَّا نُرِيدُ فِي الِاحْتِجَاجِ عَلَيْهِمْ فَنَقُولُ: قَدْ وَجَدْنَا اللهَ عَزَّ وَجَلَّ أَضَافَ إِلَى رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْئًا مِنَ الْفَيْءِ فِي غَيْرِ الْآيَتَيْنِ اللَّتَيْنِ قَدَّمْنَا ذِكْرَهُمَا فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ , فَكَانَ ذَلِكَ عَلَى التَّمْلِيكِ مِنْهُ إِيَّاهُ , مَا أَضَافَهُ إِلَيْهِ مِنْ ذَلِكَ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ: {مَا أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلَا رِكَابٍ} [الحشر: 6]
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩৮১
১৯. অধ্যায় : ফাই ও গনীমতের খুমুস বা এক পঞ্চমাংশের প্রকারভেদ
৫৩৮১। ইয়াযীদ ইব্‌ন সিনান (রাহঃ) ও আবু উমাইয়া (রাহঃ) ..... মালিক ইবন আউস নসরী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমার ইবন খাত্তাব (রাযিঃ) আমাকে ডেকে পাঠালেন এবং বললেন, আপনার কাওমের কিছু পরিবার মদীনায় এসেছে। আমরা তাদেরকে দান করার নির্দেশ দিয়েছি। তাই আপনি তাদের মাঝে বণ্টন করে দিন। (রাবী বলেন) আমরা ঐ অবস্থায় ছিলাম যে, তাঁর প্রহরী ইয়ারফা এল এবং বলল, উসমান (রাযিঃ), আব্দুর রহমান ইবন সা'দ (রাযিঃ), যুবাইর (রাযিঃ) ও তালহা (রাযিঃ) আপনার নিকট আমার জন্য তাঁরা অনুমতি প্রার্থনা করছেন। বললেন, তাঁদেরকে অনুমতি প্রদান কর। অতঃপর আমরা কিছুক্ষণ অবস্থান করলাম এবং সে (প্রহরী) বলল, এই যে আব্বাস (রাহঃ) ও আলী (রাযিঃ) আপনার কাছে আসার জন্য অনুমতি চাচ্ছেন। তিনি বললেন, তাঁদেরকে অনুমতি দাও। অনন্তর আব্বাস (রাযিঃ) প্রবেশ করে বললেন, হে আমীরুল মু'মিনীন! আমার ও এই ব্যক্তির (আলী রা) মাঝে মীমাংসা করে দিন। তাঁরা উভয়ে তখন আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর রাসূলকে বানূ নযীরের যে মালে ফাই দিয়েছিলেন, সে ব্যাপারে বিবাদ করছিলেন। উপস্থিত লোকেরা (সাহাবাগণ) বললেন, হে আমীরুল মু'মিনীন! তাঁদের উভয়ের মাঝে মীমাংসা করে দিন এবং তাদের প্রত্যেককে অপরের থেকে শান্তির ব্যবস্থা করুন। উমার (রাযিঃ) বললেন, আমি তোমাদেরকে ঐ সত্তার কছম দিচ্ছি, যার হুকুমে আসমান ও যমীন প্রতিষ্ঠিত রয়েছে, তোমরা কি অবহিত আছ যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: আমরা (নবীগণ) মীরাছ রেখে যাইনা, আমরা যা ছেড়ে যাই, তা হলো সাদাকা। তাঁরা সকলে বললেন, হ্যাঁ, তিনি তা বলেছেন। অতঃপর তিনি তাদের দু'জনকে অনুরূপ বললেন। তাঁরাও বললেন, হ্যাঁ, তিনি (রাযিঃ) বললেন, আমি অতিসত্বর তোমাদেরকে এই মালে ফাই সম্পর্কে অবহিত করব। অবশ্যই আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর নবীকে বিশেষভাবে একটি বস্তু দান করেছেন যা অন্য কাউকে দেন নাই। আল্লাহ্ তা'আলা ইরশাদ করেন : مَا أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلَا رِكَابٍ

অর্থাৎ : আল্লাহ্ ইয়াহুদীদের নিকট থেকে তাঁর রাসূলকে যে ফাই (সম্পদ) দিয়েছেন, তার জন্য তোমরা অশ্বে কিংবা উষ্ট্রে উঠে আরোহণ করে যুদ্ধ কর নাই (সূরা‌ : ৫৯ আয়াত ৪৬)।

আল্লাহর কছম! তিনি (ﷺ) এই মাল তোমরা ব্যতীত কারো জন্য উঠিয়ে রাখেন নাই এবং না তোমাদের উপর কাউকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তিনি তা তোমাদের মাঝে বণ্টন করে দিয়েছেন এবং ছড়িয়ে দিয়েছেন। অবশেষে তা থেকে এই মাল অবশিষ্ট রয়ে গেছে। তিনি তা থেকে আপন পরিবারবর্গের বছরের ব্যয় নির্বাহ করতেন। এরপর বাকি মালকে আল্লাহর সাব্যস্ত করে একত্রিত করতেন। তোমরা কি লক্ষ্য করছ না যে, আল্লাহ্ তা'আলার বাণী : وَمَا أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ “আল্লাহ্ ইয়াহুদীদের নিকট থেকে তাঁর রাসূলকে (মালে) ফাই দিয়েছেন” এটা সেই মালে ফাই সম্পর্কে, যার মালিকানা শুধু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জন্য অর্জিত, অন্য লোকদের জন্য নয়। আর এটা কালাম বা বাক্যের সূচনার জন্য নয় যে, এর সাথে তাঁর জন্য মালিকানা ওয়াজিব হবেনা। অনুরূপভাবে আয়াতে ফাই ও আয়াতে গনীমত যা আমরা পূর্বে এই অধ্যায়ের শুরুতে উল্লেখ করেছি, তাতেও তাঁর দিকে সম্বন্ধ হয়েছে তাঁকে মালিক বানানোর হিসাবে। নিছক কালামের সূচনা হিসাবে নয়, যার কারণে তাঁর জন্য এর মালিকানা ওয়াজিব হয়না।

সুতরাং যা কিছু আমরা উল্লেখ করেছি তাতে সাব্যস্ত হয়েছে যে, ফাই এবং গনীমতের পঞ্চমাংশ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর যুগে পাঁচটি খাতে ব্যয়িত হত, না এর থেকে অধিকের উপর, না কমের উপর (ব্যয়িত হত)।
5381 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ , وَأَبُو أُمَيَّةَ , قَالَا: ثنا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ الزَّهْرَانِيُّ , قَالَ: ثنا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسٍ النَّضْرِيِّ , قَالَ: أَرْسَلَ إِلَيَّ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَقَالَ «إِنَّهُ قَدْ حَضَرَ الْمَدِينَةَ أَهْلُ أَبْيَاتِ قَوْمِكَ , وَقَدْ أَمَرْنَا لَهُمْ بِرَضْخٍ , فَاقْسِمْهُ بَيْنَهُمْ» فَبَيْنَا أَنَا كَذَلِكَ , إِذْ جَاءَهُ حَاجِبُهُ يَرْفَأُ , فَقَالَ: هَذَا عُثْمَانُ , وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ , وَسَعْدٌ , وَالزُّبَيْرُ , وَطَلْحَةُ يَسْتَأْذِنُونَ عَلَيْكَ فَقَالَ «ائْذَنْ لَهُمْ» , ثُمَّ مَكَثْنَا سَاعَةً فَقَالَ: هَذَا الْعَبَّاسُ وَعَلِيٌّ يَسْتَأْذِنَانِ عَلَيْكَ فَقَالَ «ائْذَنْ لَهُمَا» , فَدَخَلَ الْعَبَّاسُ , قَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ , اقْضِ بَيْنِي وَبَيْنَ هَذَا الرَّجُلِ , وَهُمَا , حِينَئِذٍ , فِيمَا أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْ أَمْوَالِ بَنِي النَّضِيرِ , فَقَالَ الْقَوْمُ: اقْضِ بَيْنَهُمَا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ وَأَرِحْ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا عَنْ صَاحِبِهِ , [ص:281] فَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: أَنْشُدُكُمُ اللهَ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ , أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «لَا نُورَثُ , مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ» قَالُوا: قَدْ قَالَ ذَلِكَ , ثُمَّ قَالَ لَهُمَا مِثْلَ ذَلِكَ , فَقَالَا: نَعَمْ , قَالَ: فَإِنِّي سَأُخْبِرُكُمْ عَنْ هَذَا الْفَيْءِ , إِنَّ اللهَ خَصَّ نَبِيَّهُ بِشَيْءٍ لَمْ يُعْطِهِ غَيْرَهُ فَقَالَ «مَا أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلَا رِكَابٍ» فَوَاللهِ مَا احْتَازَهَا دُونَكُمْ , وَلَا اسْتَأْثَرَ بِهَا عَلَيْكُمْ , وَلَقَدْ قَسَمَهَا بَيْنَكُمْ , وَبَثَّهَا فِيكُمْ , حَتَّى بَقِيَ مِنْهَا هَذَا الْمَالُ , وَكَانَ يُنْفِقُ مِنْهُ عَلَى أَهْلِهِ رِزْقَ سَنَةٍ , ثُمَّ يَجْمَعُ مَا بَقِيَ مَجْمَعَ مَالِ اللهِ «, أَفَلَا تَرَى أَنَّ قَوْلَهُ عَزَّ وَجَلَّ» وَمَا أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ " هُوَ عَلَى فَيْءٍ تَمَلَّكَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دُونَ سَائِرِ النَّاسِ , لَيْسَ عَلَى مِفْتَاحِ الْكَلَامِ الَّذِي لَا يَجِبُ لَهُ بِهِ مِلْكٌ , فَكَذَلِكَ مَا أَضَافَهُ إِلَيْهِ أَيْضًا فِي آيَةِ الْفَيْءِ وَفِي آيَةِ الْغَنِيمَةِ اللَّتَيْنِ قَدَّمْنَا ذِكْرَهُمَا فِي صَدْرِ هَذَا الْكِتَابِ , هُوَ عَلَى التَّمْلِيكِ مِنْهُ , لَيْسَ لَهُ عَلَى افْتِتَاحِ الْكَلَامِ الَّذِي لَا يَجِبُ لَهُ بِهِ مِلْكٌ , فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا أَنَّ الْفَيْءَ وَالْخُمُسَ مِنَ الْغَنَائِمِ , قَدْ كَانَا فِي عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصْرَفَانِ فِي خَمْسَةِ أَوْجُهٍ , لَا فِي أَكْثَرَ مِنْهَا , وَلَا فِيمَا دُونَهَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৫৩৮৪
১৯. অধ্যায় : ফাই ও গনীমতের খুমুস বা এক পঞ্চমাংশের প্রকারভেদ
৫৩৮২-৮৪। আলী ইবন আব্দুল আযীয (রাহঃ) আমাকে (তাহাবী র-কে) লিখেছেন, তিনি নিজস্ব সনদে রিওয়ায়াত করেন নাফি' (রাহঃ) থেকে এবং তিনি ইবন উমার (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেন। তিনি বলেন, আমি দেখেছি গনীমতের মালসমূহ পাঁচ হিস্যায় বণ্টিত হত। অতঃপর তাদের থেকে প্রত্যেকেই হিস্যা পেত। যা কিছু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) পেতেন তা তাঁরই জন্য হত, অন্য কারো জন্য একত্রিত করা হত না।

অতঃপর আমাকে (ইমাম তাহাবী র) এই হাদীসটি-ই ইয়াহ্ইয়া উসমান (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমার পিতা ও সাঈদ ইবন উফাইর (রাহঃ) আমাদেরকে বর্ণনা করেছেন। এর পর তিনি তাঁদের উভয় থেকে নিজস্ব সনদে (হাদীসের) মূল শব্দ সহকারে রিওয়ায়াত করেছেন :

ইয়াযীদ ইব্‌ন সিনাফ (রাহঃ)...... ইবন লাহিয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। অতঃপর তিনি নিজস্ব সনদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যা পেতেন তা তাঁরই জন্য হত এবং অবশিষ্ট তাদের মাঝে বণ্টন করে দেয়া হত।
আর এই বিষয়টিই ইয়াহইয়া ইবন জাযযার (রাহঃ) ও আতা ইবন আবী রিবাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে :
5382 - وَقَدْ كَتَبَ إِلَيَّ عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ يُحَدِّثُنِي , عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ عُفَيْرٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ لَهِيعَةَ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , قَالَ: رَأَيْتُ الْغَنَائِمَ تُجَزَّأُ خَمْسَةَ أَجْزَاءٍ , ثُمَّ تُسْهَمُ عَلَيْهِمْ , فَمَا أَصَابَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَهُوَ لَهُ , لَا تُحْتَازُ

5383 - ثُمَّ حَدَّثَنِيهِ يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ , قَالَ: ثنا أَبِي , وَسَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ , فَذَكَرَهُ بِإِسْنَادِهِ وَمَتْنِهِ عَنْهُمَا

5384 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ , قَالَ: ثنا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ , قَالَ: ثنا ابْنُ الْمُبَارَكِ , قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: مِمَّا أَصَابَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَهُوَ لَهُ , وَيَقْسِمُ الْبَقِيَّةَ بَيْنَهُمْ , وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ يَحْيَى بْنِ الْجَزَّارِ , وَعَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৩৮৩
empty
৫৩৮৩।
5383 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান